নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিলাম বইয়ের পোকা, এখন ইন্টারনেটের ।

সাদা মনের মানুষ

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'

সাদা মনের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রামের নাম রোনিন পাড়া.........

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪


বান্দবানের পাহাড় চুড়া সিপ্পি বা আরসুয়াং জয় কিংবা বৃহৎ ঝর্ণা তিনাপ সাইতার ভ্রমণের বেস ক্যাম্প বলা চলে এই রোনিন / রনিন পাড়াকে। রোনিন পাড়ায় মূলত বম ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস।প্রকৃতির সন্তান এখানকার মানুষদের সাথে মিশলে যে কারো ভালো লাগবে এটা নিশ্চিৎ। বান্দরবান পৌঁছে বাস থেকে নেমে রোয়াংছড়ির বাসস্ট্যান্ড থেকে লোকাল বাসে যেতে হবে রোয়াংছড়ি। সেখান থেকে গাইড নিয়ে ২৩ কিমি পাহাড়ি পথ হেঁটে পাইক্ষ্যাং পাড়া হয়ে যেতে হবে রোনিন পাড়ায়। অন্য পথে গেলে বান্দরবান থেকে রুমা হয়ে মুন্নুয়াম পাড়া হয়ে রোনিন পাড়ায় যেতে হয়। মুন্নুয়াম পাড়ার পথটা অবশ্য দূরত্ব একটু বেশী হয়। তবে যেই পথেই যান না কেন মোটামুটি একটা দিন তো লেগেই যাবে। খুব ভালো ট্র্যাকার হলে হয়তো কিছুটা সময় বাঁচানো যাবে। আমার দুই পথেই যাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রথম বার গিয়েছিলাম সিপ্পি সামিটের জন্য, কিন্তু রোনিন পাড়া যাওয়ার আগেই আমার পায়ে সমস্যা হয়ে যাওয়ায় সিপ্পি পর্যন্ত পৌছতে পারিনি। তবে ভাগ্য ভালো যে, ওখান থেকে অনেক কষ্ট হলেও কারো সাহায্য ছাড়াই ফিরে আসতে পেরেছি। দ্বিতীয় বার গিয়েছিলাম বাংলাদেশের বৃহত্তম ঝর্ণা তিনাপ সাইতার দেখার উদ্দেশ্যে। পাহাড়ে এমন এ্যডভেঞ্চার ট্যুরগুলো সব সময়ই আমাকে রোমাঞ্চিত করে। কিন্তু প্রায় দুই বছর হতে চলল পাহাড়ের ডাকে সাড়া দিতে পারছি না। চলুন আমার ক্যামেরায় রোনিন পাড়াটা দেখে আসি.............


(২) দীর্ঘ পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে এক সময় রোনিন পাড়া আমাদের নজরের মধ্যে চলে এলো।


(৩) পাড়ায় ঢোকার মুখেই পেতে রাখা আছে বাঁশ কাঠ নির্মিত বসার বেঞ্চ, ক্লান্ত শরীরে বসার বেঞ্চে শুয়ে পড়ল অনেকে।


(৪) এই গ্রামের পাশেই রয়েছে আরো উঁচু পাহাড়, সেই পাহাড়ের ঝর্ণাতে লাগানো পাইপ দিয়ে সর্বক্ষণ ওরা পানির সরবরাহ পেয়ে থাকে। একটা বড় হাউজ বানিয়ে তার মাঝে ঝর্ণা থেকে লাগানো পাইপের খোলা মুখ সেট করে দেওয়া আছে। পাড়ার সবাই এখান থেকে সমস্ত গেরস্থালীর পানি পেয়ে থাকে। সেই পানির হাউজের সামনে ব্যস্ত কিছু আদিবাসি মহিলাদের দেখা যাচ্ছে।


(৫/৬) আমাদের থাকার জন্য বরাদ্ধ বাড়িটা আরো ভেতরের দিকে, তাই গ্রামের ভেতরের রাস্তা দিয়ে আরো এগিয়ে যেতে হয়।



(৭/৮) উৎসুক নয়নে আমাদের অনেকে দেখছিল।



(৯) এই বাড়িটা ছিল দুই রাত থাকার জন্য আমাদের রোনিন পাড়ার ঠিকানা।


(১০) গ্রামের ভেতরে একটা লাল মাটির পথ নেমে গেছে নিচের দিকে।


(১১) এটা একটা সেনা ছাউনি, রোনিন পাড়া থেকে কিছুটা নিচে এই সেনা ছাউনিটা।


(১২/১৩) ওখানে আমাদের সকালের নাস্তাটা ছিল এমন। ওদের মাচার উপরের ঘরগুলোতেই চুলায় সব রান্নাবান্না হয়ে থাকে।



(১৪/১৫) রোনিন পাড়ার মা ও শিশুরা যেমন।



(১৬/১৭) ওখানকার পরিশ্রমী মানুষেরা যেমন।



(১৮) এখানে এমন কিছু প্রাণী আছে যারা অতিথীদের সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত।


(১৯) দুইদিন থাকার পর অন্য পথে যখন রোনিন পাড়া ত্যাগ করছিলাম।


(২০) ফেরার পথে সিঁদুরে কলমী ফুল গুলো যেন আমাদের টিমকে বলেছিলো আবার এসো, আমরা অপেক্ষায় থাকবো তোমাদের জন্য.........

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক দিন পরে আপনার দেওয়া ছবি দেখছি ব্লগে।বরাবরের মতই দারুন সব ছবি।
আশা করি আপনি ভাল আছেন ভাইয়া?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি অনেক ভালো আছি মোস্তফা ভাই, আপনি কেমন আছেন?

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১

ইসিয়াক বলেছেন: খুবই সুন্দর ।
ধন্যবাদ কামাল ভাই্।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন ইসিয়াক ভাই।

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট মিস করছিলাম। মনে মনে অপেক্ষায় ছিলাম আপনার পোষ্টের।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজিব ভাই, আমিও আপনার পোষ্টের ভক্ত।

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

আমি তিতুমীর বলছি বলেছেন:



বান্দরবন একবার গিয়েছি, সব জায়গায় চান্দের গাড়িতে করে, নীলগিরি ছিল সব থেকে দুরে, অনেক ভ্রমণ গ্রুপ থেকে জেনেছি বান্দরবনে অনেক সুন্দর সুন্দর স্পট আছে কিন্তু খুবই দুর্গম। আপনি যেহেতু কয়েকবার ভ্রমণ করেছেন তাই আপনার অভিজ্ঞতা ভাল, আপনার অভিজ্ঞতা কি বলে ইচ্ছে করলে কি সরকার এই দুর্গম পথগুলি সহজে যাতায়াত করার ব্যবস্থা করতে পারবে?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এখন চান্দের গাড়ি এসব গ্রামের অনেকটা কাছ পর্যন্ত যায়। যদি এসব জায়গায় সরকার রাস্তা করে দেয় তাহলে আদিবাসীদের জীবনে আধুনিকতার ছোয়া লাগবে, তবে যারা এ্যডভেঞ্চারের নেশায় ছুটবে তাদের জন্য হয়তো এখানটায় ততোটা রসদ আর থাকবে না।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এতদিন কই ছিলেন?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার নিজের বাড়িতে, আপনি কি ভাবছিলেন? আমি কোথায় থাকার সম্ভাবনা ছিল?

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ১৮ নম্বর ছবি। ভয়ে আমার দাঁত কাপছে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বুড়া বয়সে দাঁত কাপা ভালো লক্ষণ নয় কিন্তু B-)

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভাল লেগেছে ভায়া। বরাবরের মতোন চমৎকার ছবি ব্লগ!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ডানা, শুভেচ্ছা নেবেন।

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


পার্বত্য জীবনধারায় মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সত্যিই এমন পাহাড়ি জীবন ধারা দেখতে খুবই ভালো লাগে.........শুভ কামনা জানবেন কান্ডারি

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৮

শের শায়রী বলেছেন: আপনার সাথে রোনিন পাড়া ঘুরে আসলাম। একটি পুর্নাঙ্গ ছবি ব্লগ। ভালো লাগা।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ শের, আপনার জন্য তো এই সব এলাকাই পারফেক্ট :D

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কামাল ভাই কেমন আছেন অনেক দিন পর দেখলাম আপনাকে, ব্লগডেতে দেখিনি। অনেক সুন্দর পোস্ট। উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ব্যস্ততা মোরে দেয়না অবসর, অনেক দিন কোথাও বের হতেও পারছি না। কেমন আছেন সুজন ভাই?

১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট

জোঁক দেইখ্যা ডরাইছি

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এটা ডরানোর মতোই একটা প্রাণী, দেখলেই গা শিরশির করে......ভালো থাকবেন আপু।

১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: ১৮ নং ছবিতে কি রকম সেবা দিলো বুঝতে পারিছি না।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওটা আমার পায়ের তলায় বসে রক্ত চুষতে ছিল, আমি আগে ছবি তুলেছি তারপর ওনাকে পায়ের তলা থেকে ছাড়িয়েছিলাম।

১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজিব ভাই, আমিও আপনার পোষ্টের ভক্ত।

আপনার মতোণ ঘুরে বেড়াতে চাই। অথচ টাকা নাই। সময় কত দ্রুত চলে যাচ্ছে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার টাকা আছে আপনাকে কে বললো রাজিব ভাই? শুধু এই ঘুরে বেড়ানোর জন্যই আমার সম মানের বন্ধু বান্ধব থেকে অর্থনৈতিক ভাবে আমি অনেকটা পিছিয়ে আছি। তবে ইদানিং কম ঘুরে অর্থের পেছনেই ছোটা হচ্ছে বেশী।

১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার ছবিগুলো।++
শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার জন্যও রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাইজান।

১৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০১

হাসান রাজু বলেছেন: দেখিনা, আপনাকে আগের মত দেখিনা ।
আমি ও ততটা অবসর পাই না।


ভাইজান, ভালো আছেন ?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভালো আছি ভাইজান, ব্যস্ত আছি অনেক। সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি বেশী।

১৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৩৬

এস এ মেহেদী বলেছেন: কেমন আছেন কামাল ভাই?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ব্যস্ততার মাঝেই ভালো আছি ভাই, আপনি কেমন আছেন?

১৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

এস এ মেহেদী বলেছেন: আমি ভালো। আপনাকে অনলাইনে দেখে লগইন করলাম।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন মেহেদী ভাই।

১৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৯

পুলক ঢালী বলেছেন: ১৮ নং ছবি ভয়ানক। আপনার অনেক সাহস আগে ছবি তুলে তারপর ওনাকে বিদায় করেছেন ;)
আমি একবার বর্ষার শুরুতে মাধবকুন্ডুর ঝর্না দেখতে গিয়ে প্রকৃতির সাড়া দিতে গিয়ে ঝিরির কাছের একটা ঝোপ বেছে নিয়েছিলাম। হঠাৎ খেয়াল করলাম ছোটবড় গুড়ি গুড়ি অসংখ্য চিনে জোক আমার দিকে ধেয়ে আসছে। মনে হচ্ছিলো মা,বাবা,দাদা,দাদী,নানা,নাতী নাতনী পুরো গুষ্ঠী যেন ভোজ খেতে চলে আসছিলো। আমি বাবারে মা-রে বলে পিছিয়ে এসে কোনমতে ----- হে হে হে পরে আর কখনো ঐ ভুল করিনি। :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.