নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিলাম বইয়ের পোকা, এখন ইন্টারনেটের ।

সাদা মনের মানুষ

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'

সাদা মনের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ - ২

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৮


“সোনাদিয়া” কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলার একটি সুন্দর দ্বীপ। এই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৭ বর্গ কিমি.। কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিমি উত্তর-পশ্চিমে এবং মহেশখালি দ্বীপের দক্ষিনে সোনাদিয়া দ্বীপটি অবস্থিত। একটি খাল দ্বারা এটি মহেশখালি দ্বীপ থেকে বিছিন্ন হয়েছে। তিন দিকে সমুদ্র সৈকত, সাগর লতায় ঢাকা বালিয়াড়ি, কেয়া- নিশিন্দার ঝোপ, ছোট-বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন এবং বিচিত্র প্রজাতির জলাচর পাখি দ্বীপটিকে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। এটি জীববৈচিত্রের দ্বীপ নামেও পরিচিতি এবং এ দ্বীপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য অন্যতম পর্যটন স্থান। তবে সরকার ইদানিং সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর সহ বড় বড় প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে, যা এখানকার জীব বৈচিত্রের জন্য হুমকী স্বরূপ।

সোনাদিয়া দ্বীপে পর্যটকদের থাকার জন্য কোনো আবাসিক হোটেল নেই। খাওয়ারও তেমন কোনো নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় লোকজনকে টাকা দিলে তারা খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। আর সোনাদিয়া দ্বীপে রাত্রি যাপনের ক্ষেত্রেও ভরসা সেই স্থানীয় বাসিন্দারাই। তবে তাবু করেও ওখানে থাকা যায়, সেক্ষেত্রে স্থানীয়দের পাহাড়ার ব্যবস্থাটা অবশ্যই বাঞ্চনীয়।

সোনাদিয়া দ্বীপের মানব বসতির ইতিহাস মাত্র ১০০-১২৫ বছরের। দ্বীপটি ২টি পাড়ায় বিভক্ত। পূর্ব ও পশ্চিম পাড়া। দ্বীপের মোট জনবসতি প্রায় ২০০০ জন। পূর্ব পাড়ায় তুলনামূলকভাবে জনবসতি বেশী। মাছ ধরা এবং মাছ শুকানো, চিংড়ি ও মাছের পোনা আহরন দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা। কিছু মানুষ ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও কাঠের সাধারন নৌকা এবং উহা চালানোর সহকারী হিসাবে কাজ করেও জীবিকা নির্বাহ করে। চারিদিকে নোনা পানি বেষ্টিত হওয়ায় এই দ্বীপে তেমন কোন খাদ্য শষ্য উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। দৈনন্দিন প্রয়োজনাদি জিনিস পত্র সব মহেশখালি থেকে ক্রয় করে আনতে হয়।

এই দ্বীপে ২টি মসজিদ, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি সাইক্লোন সেন্টার, আনুমানিক ১২টি গভীর নলকূপ রয়েছে।


(২/৩) দ্বীপে নামার আগে আমাদের সবাইকে পা ধুয়ে নিতে হলো বাধ্য হয়ে।



(৪/৫) ব্যাগ ব্যগেজ নিয়া আমরা নির্ধারিত বাড়িটিতে উঠলাম, কে কার ব্যাগ বহন করলাম সেটা জানা নাই।



(৬) প্রথম যেই বাড়িটা দ্বীপে চোখে পড়ল তা দৈন্যতার প্রতিকৃতি তথা এই দ্বীপের মানুষদের দৈন্যতারই যেন প্রতিচ্ছবি। বাড়িওয়ালা সাগর থেকে ধরে আনা মাছ শুকিয়ে শুটকি করছিলেন।


(৭) কাছে গিয়ে দেখলাম চিংড়ি মাছ শুকানো হচ্ছে তার উঠানে।


(৮) নারকেল গাছে ঝুলে থাকা বাসায় বসে বাবুই দম্পতি আমাদের দেখছিল যেন কৌতুহলি চোখে।


(৯/১০) পুরো দ্বীপটাই এমন বালিয়ারিতে পরিপূর্ণ, কোথাও বালির ছোট্ট টিলা, কোথাও বা সমতল আবার কোথাও খাদ আকৃতির। তবে সবই বেশ দৃষ্টিনন্দন। কোথাও সাগর লতা প্রাচুর্য্য কোথাও ল্যান্টানার ঝোপ আর আছে নানা জাতের ক্যাকটাস।



(১১) বালিয়ারিতে ল্যান্টানার ঝোপে ফুটে থাকা নানা রঙা ফুলগুলো নীল আকাশের অবয়বে অসাধারণ লাগছিল।


(১২) একটা নাম না জানা পাখি।


(১৩/১৪) সোনাদিয়ার সাগরটা সত্যিই অসাধারণ। সাগরের পাড় কোনটা আর আকাশ কোনটা চেনাই দায়। আর এখানের ঢেউগুলো আমাদের কক্সবাজার থেকে অনেক বড় ছিল।



(১৫) ঢেউয়ের সাথে ভেসে আসা মরা শামুক জমে আছে বালিতে।


(১৬) এমন চমৎকার ক্যাকটাস রয়েছে এখানে প্রচুর। এই ক্যাকটাসের ফুলগুলোও খুবই সুন্দর হয়।


(১৭/১৮) সোনাদিয়ার বাড়িঘরগুলো প্রায় এমনি।



(১৯) ভাবছেন শামুক? মোটেওনা শামুকের খোলস দখল করা একটা কাঁকড়া। রাতে সোনাদিয়ায় এদের ব্যাপক বিচরণ।


(২০) সোনাদিয়ায় আমাদের টিমের প্রথম রাতের থাকার জন্য যেখানটায় তাবু গেড়েছিলাম।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩১

খোলা মনের কথা বলেছেন: কাপড় ছাড়া মাঝি দেখলাম মনে হচ্ছে....
কতদিনের জন্য ভ্রমন ভাই???

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওটা ছিল তিন দিনের সফর ভাই

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেশ

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ছবিগুলো সুন্দর। পরিবারবর্গ নিয়ে এসেছেন, ভাল লাগলো।

আচ্ছা এই এলাকায় নাকি একটা বন্দর হচ্ছে (ডিপ সি পোর্ট) নাকি অন্য যাগায়?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুনেছিলাম তো গভীর সমুদ্র বন্দর হবে সোানাদিয়ায়, বিস্তারিত জানিনা ভাই।

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ভাইজান, আপনার ছবি দেখে সত্যি বুকের ভিতর মুচড় মেরেছে, মন কাঁদতে চেয়েছিল। গরিব হয়েছি ভাইজান, চাইলেও দেশে আসতে পারব না। তবে মন খুশি হয় যখন চিন্তা করি এই দেশে আমার জন্ম।

আপনি কেমন আছেন?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দেশের জন্য মন কাঁদাটা স্বাভাবিক, আসতে পারা না পারার চেয়ে দেশকে নিয়ে গর্ব করতে পারার মতো বিষয়টা অনেক বেশী স্বস্তিদায়ক। আমি আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি, আপনি কেমন আছে মিঞা ভাই?

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি ভালো আছি মেভাই, আমি হলাম আপনার ছবির ভক্ত।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আর আমি হলাম আপনার লেখনীর ভক্ত :D

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২০

এমজেডএফ বলেছেন: খুব সুন্দর জায়গা! যেতে হবে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের মূল ভূখন্ডের অনেক জেলে বর্ষার শেষের দিকে কয়েক মাসের জন্য সোনাদিয়া দ্বীপে যায়। সেখানে তারা সমুদ্র থেকে মাছ ধরে সোনাদিয়া দ্বীপে রোদে শুকিয়ে শুটকি করে। পরে শীতের সময় এই শুটকি নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব জেলেরা কয়েক মাসের জন্য সোনাদিয়া দ্বীপে যাওয়ার সময় তাদের প্রিয়জনেরা বেদনাবিধুর হৃদয়ে বিদায় জানায়। সেই বিদায় মুহুর্তকে নিয়ে শেফালি ঘোষ ও শ্যামসুন্দর খুব সুন্দর একটি গান গেয়েছিলেন। ছোটবেলায় সেই গানিটি অনেকবার শুনেছি।

তুঁই যাইবা সোনাদিয়া বন্ধু মাছ মারিবার লাই

https://www.youtube.com/watch?v=UpyZwPKcd00

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: গানা আগে শুনিনি, বেশ ভালো লাগলো.....শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা, তা আমি জানি, দেশে আসলে আমরা দেশ ভ্রমণে যাব। আপনি আমার কবিতা পড়বেন, আর ছবি দেখে দেখে আমি পড়ব আপনার লেখা ভ্রমণকাহিনী। B-)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: খুব ভালো হবে ভাই, চলে আসেন।

৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ইংলেণ্ডের Snowdonia park

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: স্নোডোনিয়া বা এরি ভ্রমণ করে একটা ছবি ব্লগ দিয়া দেন মিঞা ভাই

৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দ্বীপে বর্জ্য ত্যাগের ব্যবস্থা কী?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সু্দর দ্বীপটায় এসব করার দরকার কি? নাকি আপার সমস্যাটা এখনো শেষ হয়নি :D

১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ৪/৫ নম্বর ছবি। পোলাপান আপনার পিছে পিছে আসে ক্যান?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওরা কয় আমি নাকি সিনেমার নায়ক ;)

১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাদা মনের মানুষ,




ঈর্ষা জাগানো পোস্ট।
সোনাদিয়ার আকাশ-সাগর আর মাটির ছবিগুলো মন উদাস করে দিয়ে গেলো!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভ্রমণ পোষ্ট দেখলে আমারও ইর্ষা জাগে, আপনার তো আমি কোন দুষ দেখি না :-B

১২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দ্বীপে খড়ের চালার ঘরগুলো বিপজ্জনক। ঝড় বৃষ্টি হলে খবর আছে। আর উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড় বৃষ্টি তো প্রায়ই হতে শোনা যায়। খাওয়ার পানির ব্যবস্থা কী?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: খাবার পানির জন্য টিউবওয়েল আছে, তবে পানির স্বাদ অনেকটা স্যালাইনের মতো, খালি এক মুঠো গুড় সাথে নিয়া যাইয়েন =p~

১৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৭

মা.হাসান বলেছেন: হেনা ভাইয়ের জন্য বর্জ্যত্যাগের ব্যবস্থার একখানা ছবি দিয়ে দিয়েন।
আমারও বুকে মোচড় দিতেছে। সাঁতার জানিনা বলে এসব জায়গায় যাইতে খুব ভয় লাগে। ছবিও পোস্ট সিরাম হইছে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই, হেনা ভাইকে সাথে নিয়ে ওখানকার সচিত্র প্রতিবেদন করার চেষ্টা করতে হবে :D

১৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫০

মা.হাসান বলেছেন: শেফালী ঘোষের গান খানা খুব সুন্দর। ফণীমনসার ফুল থেকে এক রকমের ফল হয়। এই ফল পাকার পরে অনেক জায়গায় খাইতে দেখছি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পাঁকা ফল দেখেছি আমি ভুটানে, খায় কিনা জানিনা।

১৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ছবিগুলো অনেক সুন্দর।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন সুজন ভাই।

১৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৪৭

কনফুসিয়াস বলেছেন: শেফালি ঘোষ ও শ্যামসুন্দর এর গানখানা সোনাদিয়া দ্ধীপের মতই মনমুগ্ধকর। এমন জায়গা ভীষন পছন্দের।

বিস্তারিত খরচাপাতি ও চট্রগ্রাম থেকে যাওয়ার রুট, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ লিখলে খুবই উপকৃত হব। ভবিষ্যৎতে যেতে চাই। ধন্যবাদ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:০১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: গানটা সত্যিই খুব সুন্দর, যাতায়াতের বিস্তারিত খরচাপাতি সহ নেটে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন ভাই.......শুভ কামনা সব সময়।

১৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অপরূপ সৌন্দর্যের আধার এ দ্বীপটির তিন দিকে সমুদ্র সৈকত,সাগর লতায় ঢাকা বালিয়াড়ি, কেয়া- নিশিন্দার ঝোপ, ছোট-বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন। বিচিত্র প্রজাতির জলচর পাখি দ্বীপটিকে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্য মন্ডিত। আপনার দেয়া ছবিগুলি বেশ প্রাণবন্ত । সেখানকার ম্যানগ্রোভ বন এবং উপকূলীয় বনভূমি, সাগরে গাঢ় নীল পানি, পানির সাথে নীল আকাশের ছোয়া , কেয়া বন, লাল কাঁকড়া, বিভিন্ন প্রকারের সামুদ্রিক পাখি মনে দোলা দেয়।

অনেকেই বলে থাকেন এটি নাকি দেশের প্রধান শুটকি মাছ উৎপাদন কেন্দ্র। বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির জন্য নির্বাচিত দ্বীপটিতে স্থানীয় মানুষজনদের বসবাসের জন্য কুড়ে ঘর দেখে মনটা বিষন্নতায় ভরে গেল । সাইক্লোন ও সামুদ্রিক ঘূর্ণীঝরের ঝুঁকিতে থাকা এই দ্বীপের মানুষের বসবাসের জন্য পাকা বাড়ীঘরের ব্যবস্থা করার বিষয়টি সরকারী , আধা সরকারী ও এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলি সক্রিয়ভাবে ভেবে দেখতে পারে । শুধু শুটকী মাছ উৎপাদন কেন, পর্যটন হতেও এই দ্বীপ থেকে প্রচুর আয় হয় বলে ধারনা করি ।

শুভেচ্ছা রইল

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুটকী উৎপাদন তো এখানে খুব বেশী চোখে পড়েনি ভাই। অল্প সল্প যা চোখে পড়েছে তা টেকনাফ বা দুবলার চরের তুলনায় অতি নগন্য।

১৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো ঝকমক করছে।
চমৎকার।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজিব ভাই, ভালো থাকুন সব সময়।

১৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৪

হাসান রাজু বলেছেন: নীল রঙের আকাশ ও সৈকতের যে ছবি খানা দিলেন তা দেখেই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।
ক্যাকটাসের ছবিটাও অসাধারন হয়েছে ।
ভাল আছেন ভাইজান?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আমি অনেক ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন?

২০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। দারুণ দারুণ সব ছবি । ++
পোস্টে ভালোলাগা।

শুভকামনা জানবেন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন পদাতিক ভাই।

২১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪০

সোহানী বলেছেন: আমার জীবনের একটা বড় সময় কেটেছে সোনাদিয়া ভ্রমণে যখন কেউই তেমন সোনািয়িা সম্পর্কে জানতো না। বাবার অফিসে ছিল একটা ছোট ট্রলার। সে ট্রলারে করে আমার বাবা প্রায় ইউকএন্ডে আমাদের নিয়ে সেখানে যেত খাবার দাবাড় সহ। সারাদিন কাটিয়ে রাতে ফিরতাম। কারন তখন জেলেদের কিছু কড়েঁঘর ছাড়া তেমন কিছুই ছিল না। সবচেয়ে ভালো লাগতো সেখানকার পানি। সামান্য খুঁড়েই চমৎকার মিঠা পানি পাওয়া যেত............।

আপনার ছবিগুলো অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিল।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তাহলে তো বলা চলে আপনি একেবারে ভার্জিন সোনাদিয়াকেই দেখেছেন আপু।

২২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: দারুন সব ছবির জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ায় আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ মোস্তফা ভাই।

২৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩১

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: কত দিন ছিলেন? কত খরচ পড়লো?

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৩৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমরা ওখানে ছিলাম দুই রাত তিন দিন। টিম নিয়ে তাবুতে থেকেছি, রান্না নিজেরা করে খেয়েছি খরচ খুব একটা ছিল না ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.