নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'
চট্টগ্রাম মেইলটা নরসিংদী স্টেশনে আসে রাত সাড়ে এগারটা থেকে বারটার মধ্যেই। ভোর রাতের মধ্যে কসবা পৌছার জন্য এই ট্রেনটা একেবারে পারফেক্ট। নরসিংদী স্টেশনে রাত সাড়ে দশটার মধ্যেই পৌছে গেছি। রেল স্টেশন আমার খুবই প্রিয় জায়গা। এই স্টেশন গুলোতে যেন দুনিয়ার সব রকম লোকের দেখা পাওয়া যায়। স্টেশনের হকারদের মন ভোলানো হাঁকডাক। এদের মধ্যে কেউ ঝালমুড়ি, কেউ লেবু পানি আর আচার বিক্রেতা। এছাড়া প্রতারক আংটি ব্যবসায়ী ছাড়াও রয়েছে নানা রকম ধান্ধাবাজ, হেন কোন লোক নাই যে এখানে মিলবে না। স্টেশনে গেলে এসব আমি খুব মনোযোগ দিয়ে দেখি।
ব্রিটিশদের নির্মিত সিমেন্টের ভাঙ্গা বেঞ্চিগুলো ইতি মধ্যেই ভবঘুরেদের দখলে চলে গেছে। এক ঝাক মশার প্রহরায় কেউবা নাক ঢেকে ঘুমোচ্ছে, অন্য কোথাও আবার কয়েকজন বসে আড্ডা মারছে, এমনকি তাদের মতিগতি ভালো ঠেকছে না বলে দূরে থাকাই শ্রেয় মনে হচ্ছে। ওয়েটিং রুমের যা তা অবস্থার কথাটা নাইবা বললাম। স্টেশন মাষ্টার প্রথম বলেছিল রাত ১২টার মধ্যেই ট্রেন চলে আসবে। ঘুরে ঘুরে বাদাম চানাচুর খাচ্ছিলাম আর মাঝে মাঝে মোবাইল স্ক্রীনে চোখ বুলিয়ে টাইম দেখে নিচ্ছিলাম। পৌনে বারটার দিকে স্টেশন মাষ্টার জানিয়ে দিলো আজ ট্রেন লেট হবে, মানে হলো ১২টায়ও আসছে না। চোখের পাতা এবং পা দুটোই বেশ ভারি হয়ে আসছিল। কোথাও বসে একটু চা খেতে পারলে চোখ আর পায়ের বিশ্রাম হতো। কিন্তু স্টেশনের ভাসমান চা বিক্রেতাদের কাছে লাল চা খেতে পারলেও বসার সুযোগ পাওয়া যাবে না।
যেহেতু ট্রেন আসতে লেট হবে ভাবলাম একটু হেটে স্টেশনের বাহির থেকে গাভির দুধের চা খেয়ে আসি। প্লাটফরম থেকে নেমে রেল লাইন ধরে সোজা একটু হাটতেই পেয়ে গেলাম একটা চা দোকান। এখান থেকে স্টেশন যেহেতু দেখাই যায় সুতরাং চা খাওয়ার উছিলায় একটু আয়েস করে সময় কাটানো যাবে ভালোই। কয়েকজন লেবার শ্রেণীর লোক বসে চা খাচ্ছে বা নিজেদের সাংসারিক আলাপ করছে। একটা বেঞ্চিতে অল্প একটু যায়গা খালিই ছিলো যাতে আমি লোক গুলোর গা ঘেষে গাদাগাদি করে বসতে পারলাম। গরুর দুধের চায়ের অর্ডার দিলাম। দোকানি বেশ বয়স্ক মানুষ, আর পোষাকেও দারিদ্রতার ছাপ স্পষ্ট। অনেক সময় নিয়ে আমাকে চা বানিয়ে দিলেন, আমার ও তো কোন তাড়া নাই। চা খেতে খেতে দোকানীর সাথে কিছুটা আলাপ জমানোর পরই উনি বললো অমাবশ্যার রাতে ট্রেন ভ্রমণ ভালো নয় বাবা।
চারিদিকে তাকিয়ে দেখলাম ঘুটঘুটে অন্ধকার। মনে হচ্ছে পৃথিবীতে এই দোকানটা ছাড়া আর কিছুই নাই। অথচ আমার স্পষ্ট মনে আছে প্লাটফরম থেকে যখন মাটির রাস্তায় নামি চাঁদের আলোয় রাস্তা চকচক করছিলো। মোবাইলের কোন আলো না জ্বালিয়েই আমি এখানে এসেছি। ভাবলাম হয়তো মেঘে চাঁদ ঢেকে গেছে। কিন্তু ধাক্কাটা খেলাম যখন স্টেশনটাকে দেখতে পেলাম না। অথচ এখানে বসে চা খেতে খেতে আমি অনেক বার স্টেশনের আলোগুলো দেখেছি। বিল মিটিয়ে তাড়াতাড়ি স্টেশনের দিকে পা বাড়ালাম। একটু আগানোর পরই স্টেশনের লাইটগুলো আবার দেখতে পেলাম। কিন্তু স্টেশনে পৌছে মনে কেমন যেন খটকা লাগলো। লোকজন এতো কম কেন? স্টেশন মাষ্টারকে জিজ্ঞেস করলাম চট্টগ্রাম মেইল কখন আসবে? ওটা তো চলে গেছে ঘন্টাখানেক আগেই। এটা কি করে সম্ভব! আমি তো ট্রেন লাইনের পাশেই বসে চা খাচ্ছিলাম! কসবা যাওয়া আজ আর হবে না বুঝে গেলাম। স্টেশন থেকে বের হয়ে একটা সিএনজি নিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হলাম।
পরের দিন ভোরেই খবরের হেড লাইনে দেখলাম চট্টগ্রাম মেইলের সঙ্গে মহানগর গোধূলি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই ট্রেনের চালক সহ ১২ জন নিহত। সকালেই আমি ছুটে গেলাম দূর্ঘটনা স্থল দেখতে। একেবারে ভয়াবহ অবস্থা। একটা ট্রেন অন্যটার ভেতরে ঢুকে গেছে। আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ দিয়ে ফেরার পথে ভাবলাম চাচার দোকান থেকে একটা দুধ চা খেয়েই যাই। কিন্তু ওখানে গিয়েই খেলাম বড় ধাক্কাটা। ওখানে তো কিছুই নাই একেবারে ফাঁকা যায়গা। ভাবলাম ভুল করছি, তাই স্টেশনে গিয়ে আবার ফিরে এলাম, নাহ আমার কোন ভুল নাই। মহা ফাপড়ে পড়ে গেলাম এবং রাতের সবগুলো ঘটনা আবার রিভার্স দিলাম। স্টেশন মাষ্টারের ভুল বলা, পাশ দিয়ে ট্রেন যাওয়ার পরও না দেখা, এক সময় এই দোকান ছাড়া আর কিছুই না দেখা! সব কিছু যেন স্বপ্নের অংশ মনে হচ্ছে। কাছাকাছি আরশি নগরের এক মধ্য বয়স্ক দোকানীকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই ওখানে তো একটা চা দোকান ছিল, সেটা কোথায়? কেউ কি ওটা দেখেছে? লোকটা আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করলো। মানে কি? লোকটা বললো মানে হলো নিশ্চয়ই গত রাতে কেউ ঐ দোকানটা দেখেছে। আর তারই ফলাফল হলো এই ট্রেন দূর্ঘটনা। আমার মাথায় কিছুই ঢুকছিল না।
তখন মানুষ ঢাকা যাতায়াত করতো পায়ে হেটে। বৃটিশরা এসে এই ট্রেন লাইন সৃষ্টি করে। ট্রেন লাইন হওয়াতে এলাকার মানুষের সুবিধা হয়, এবং খুব অল্প সময়েই স্টেশনটা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তখন এই এলাকায় একটা মাত্র দোকান ছিল যেখানে কিছু খাবার দাবার আর চা বিক্রি হতো। এক দিন সন্ধ্যার ট্রেন আসতে খুব লেট করছিলো। শোনা যায় যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে আসতেই ওর দেরি হচ্ছিল। যখন ট্রেনটা আসে তখন প্রায় মধ্য রাত। বিপরিত দিক থেকেও তখন অন্য ট্রেনটি চলে এসেছিল, তখন সিগন্যাল গুলো হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হতো। কোন কারণে সিগন্যাল ম্যান অনুপস্থিত ছিলো বা বিপরিত দিক থেকে লেট করে আসা ট্রেনটির কথা ভুলে গিয়েছিল। ফলাফল মুখোমুখি সংঘর্ষ। সেই সংঘর্ষের সময় পাশেই থাকা দোকানে কয়েকজন রেল শ্রমিক চা খাচ্ছিল বা আড্ডা মারছিল। একটা ইঞ্জিন ছিটকে এসে ঐ দোকানে চলে আসে, আর ওখানে থাকা শ্রমিক এবং দোকানি ইঞ্জিনের গরম কয়লায় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মাঝে মধ্যেই লোকজন মধ্য রাতে ঐ দোকানটা দেখে। আর যেদিন দেখে সেদিন কোথাও ও না কোথাও ট্রেন দূর্ঘটনা নিশ্চিৎ। এটা অনেক পুরোনো কিন্তু সত্য কথা, দোকানি আমাকে বলল।
শির দাড়া বেয়ে একটা শিতল স্রোত নেমে গেল আমার। বলে কি লোকটা! তাহলে গত রাতে আমি সেই শত বর্ষ পুরোনো দোকানে বসে চা খেয়েছিলাম! লোকগুলো শতবর্ষি পুরোনো, আর দুধ চা টাও নিশ্চয়ই সেই সময়কারই! কতো যায়গায়ই তো আমরা কি সেলফি তুলি, ওখানে একটা সেলফি তুললাম না কেন??
২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই, একটা মুছে দিয়েছি।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪১
পুলক ঢালী বলেছেন: বাব্বা ! গা শিরশিরানি গল্প মনে হচ্ছে সত্য ঘটনা। ভাবছি এখন থেকে ট্রেনে চড়ার আগে গিয়ে দেখে আসতে হবে ঐ দোকানটা আছে কিনা !?
এখন তাইলে টাকা দেন হেলিকপ্টার কিনমু নইলে দেইখা আইসা ট্রেন আর ধরন লাগবোনা।
জোক এসাইড। কামাল ভাই আপনার পর্যবেক্ষন ক্ষমতা এবং লেখনি দক্ষতা অসামান্য ।
ভাল লাগলো।
২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার হেলিকপ্টারে আমাকে মাঝে মাঝে ফিরিতে চড়তে দিয়েন, হেলিকপ্টারে করে চাচার দোকানে চা খেতে যাওয়া যাবে খুব দ্রুত।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৪
পলাতক মুর্গ বলেছেন: ধন্যবাদ, অনেক ভাল লাগল। এরকম লেখা আরও চাই।
২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হয়তো পাবেন, আসলে লিখার জন্য ভেতরে মাল মসলা অনেক কম পলাতক ভাই।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটাকি গল্প?
না নিজের অভিজ্ঞতা?
গল্প হলে দুর্দান্ত! অভিজ্ঞতা হলে ভয়াবহ!
+++
২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অভিজ্ঞতা আর গল্পের কম্বিনেশন ভাইজান, দুর্ঘটনাটা সত্য।
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখা পড়ে বিমোহিত হলাম।
২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হওয়াটা স্বাভাবিক, কষ্ট রে লেখা তো
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: দারুণ হয়েছে
ধইন্যা পাতা লন, সামনের বাজারে আকাল পড়তে পারে
২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কৃষি পণ্য এখন খুবই সস্তা, তাই তো এখনি ধইন্যা নেওয়ার সময়, ভালো থাকবেন খাদেম ভাই।
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট পড়ে জানতে ইচ্ছা করলো আপনার বয়স কত??
২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কতো বছর হলে লেকাটা সঠিক বা বেঠিক হতে পারে রাজীব ভাই? আমার বয়স হাফ সেঞ্চুরি থেকে ৮ মাস বাকি।
৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
ওমেরা বলেছেন: আমি তো ভয়ে বরফ হয়ে গেলাম !, এটা গল্প লিখলেন নাকি সত্য ঘটনা বল্লেন বুঝতে পারছি না ।
গল্প হলে আপনার ছবি তোলা বাদ দিয়ে গল্পকার হওয়া উচিত ।
ধন্যবাদ।
২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সত্য আর গল্পের মিসেলে তৈরি ককটেল আপু।
৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখাটা পড়ে কয়েকটা প্রশ্ন মাথায় এলো। না করেও শান্তি পাচ্ছি না.....বরং করেই ফেলি।
শতবর্ষ পুরানো চা-দুধ-চিনি ঠিক ছিল? চায়ের টেস্ট কেমন ছিল? সকালে কোন রকমের অসুবিধা অনুভব করেছিলেন কি, নাকি সব স্বাভাবিক ভাবেই হয়েছিল!!
২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার এমন ভুয়া প্রশ্ন করা উচিৎ না মফিজ ভাই। গল্পের চা চিনি সবই স্বাভাবিক থাকে
১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
রানা আমান বলেছেন: আপনি গল্প লেখা শুরু করুন কামাল ভাই । পাঠক পাবেন অনেক লেখকের চেয়ে বেশি ।
২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মাথায় কিচ্ছু না ভাই, তবে বলেছেন যখন একটা চেষ্টা করে দেখতে পারি। শুভ কামনা জানবেন ভাই।
১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১১
ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: সুন্দর লেখা, কিছুটা রোমাঞ্চ তো অবশ্যই!
২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম, চেষ্টা করেছি ফেরদাউস ভাই.......শুভেচ্ছা জানবেন।
১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০১
মা.হাসান বলেছেন: এরকম গল্প সকালে না পোস্ট করে রাতে পোস্ট করবেন।
তার পর হেনা ভাইকে নক করে পড়তে বলবেন।
দেখা যাক কে ডায়াপার পরে ঘুমায়।
সকালে পড়েছি। লগ ইন করতে সমস্যা থাকায় মন্তব্য করতে পারিনি।
অসাধারণ গল্প হয়েছে। প্লিজ আরো লিখবেন। তবে ভয়ের গল্প হলে একটু রাত করেই পোস্ট দিয়েন।
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:০৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভয়ের গল্ রাতে পোষ্টাইতে হয়, এই নিয়মটা জানা ছিলো না। লুকটা মনে হয় ঠিকই ডায়াপার পড়ে ঘুমাচ্ছে
১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:১৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রোমাঞ্চকর।
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:১১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম, ধন্যবাদ সাধু
১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। ভালো থাকবেন।
সাবধান থাকবেন। ভালোবাসা নিবেন।
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:১২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এই সময়টায় আমাদের সবারই অনেক বেশী সাবধানে থাকা উচিৎ, ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
১৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্প ব্যাপক চমক হয়েছে। শতবর্ষের পুরানো চা যখন খেয়েছেন তাহলে এক্সিডেন্টের পাশাপাশি আরেকটি বিষয় জানতে একটু কৌতুহল হচ্ছে। চায়ের চা দুধ চিনি সবই কি ঐ সময়ের না এখনকার? ওই সময়কার যদি হয় তাহলে আপনি খাঁটি দুধের চা খেয়েছেন এবং অমরত্বের দাবি করতেই পারেন। আর এই সময়কার যদি হয় তাহলে আপনি সেন্ট পার্সেন্ট ভেজাল দুধের চা খেয়েছেন। পেটের গন্ডগোলের সম্ভাবনা আছে। হেহেহে...
গল্প চমৎকার হয়েছে খুব এনজয় করেছি।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:১৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: গল্প লেখা আমার কম্মো নয় ভাই। কিছু বাস্তব ঘটনার সাথে কল্পনার মিশেলে কিছু একটা লেখার চেষ্টা করলাম। ভেজালের এই দুনিয়ায় এখন সত্যিই খাঁটি পাওয়া খুব মুশকিল.........শুভ কামনা সব সময়।
১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি লোকটা ভালো না। আমাদের মতো গল্পকারদের ভাত মারার আয়োজন করেছেন। এত চমৎকার প্যারানরমাল গল্প লিখে আমাদেরকে সামু ব্লগ থেকে উচ্ছেদ করতে চান? ঠিক আছে, করুন। শুধু আপনার ক্যামেরাটা আমাদের কাউকে দিয়ে দিন। ওটা তো আর আপনার কাজে লাগবে না।
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনি যদি আবার আগের মতো নিয়মিত লেখা শুরু না করেন তাহলে আমার লেখা চলতেই থাকবে (বাস্তবে ক্ষমতা নাই)।
বাতিল ক্যামেরাটা ফেলে না রেখে আপনাকে দে দেওয়াটা কম খারাপ হবেনা মনে হয়
১৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৫১
ফারহানা শারমিন বলেছেন: ভাগ্যিস! সকাল বেলা পড়েছি। হাতের লোম খাড়া হয়ে গেছে।
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, রাতে আসলে তো এক সাথে চাচার দোকানের চা খেতে খেতে গল্প করা যেত
১৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১১
পুলক ঢালী বলেছেন: আপনার হেলিকপ্টারে আমাকে মাঝে মাঝে ফিরিতে চড়তে দিয়েন
হা হা হা শুদু শুদু লইজ্জা দেন কেনু ?
আমনের টাকায় কেনা হেলিকপ্টারে তো আমনে ফিরিই চড়বেন তয় বোনাস হিসাবে হেনা ভাইরেও সঙ্গে লইয়া লমু (অবশ্যুই ডায়াপার সহ)
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তাহলে হেনা ভাইকেই বলেন একটা হেলিকপ্টার নিয়া আসুক। রাজশাহী থেকে ডায়াপার পরিবহন করার জন্য এটা তো প্রয়োজন পড়বেই
১৯| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১১:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার একটি প্যারানরমাল গল্প। আরো অনেকেই যেমনটি বলেছেন, আমিও তেমনি বলছি, আপনি গল্প লেখা শুরু করেন।
ট্রেনের ছবিটি দেখে সেই পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যায়! ট্রেন আমাকে খুব নস্টালজিক করে তোলে।
গল্পে প্লাস +।
০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল ভাই, মাঝে মাঝে চেষ্টা করবো কিছুটা হলেও লিখতে।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০৬
ঈশান মাহমুদ বলেছেন: দারুণ একটি রোমাঞ্চ গল্প! ভালো লিখছেন। তবে লেখাটা দুবার পোস্ট হয়ে গেছে। যে কোন একটি মুছে দিন।