নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদা সাধু

সাদা সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

#রাস্তা খোঁড়ো টাকা কামাও

১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৪৪

বিশেষ সংবাদ

প্রবল ঝরে আমায় কাইত কইরা
বাইত পাঠাইছে,
সমান্তরাল যায়গা বুঝে বাস থেকে নামতেই বিশাল ব্রেন অকেজো হইয়া ড্রেনে,
খাইলাম দুমিনিট চুবানি।

এর পর নবাব সিরাজ উদ দৌলার মতো বাংলা বিহার উড়িষ্যা কইয়া উপরে আসতেই,,,,
হাটুমালা কাঁপিয়া জুতা সহ আমার আসবাবপত্র ঠিক করবার পর আবিষ্কার করলাম ৩ খান ৫০০ টাকারমুখ কম, উহা খেসারৎ সরুপ বানের জলে ভাসিয়া গিয়াছে।

মনের দুক্ষে চুদু হইয়া গেলাম,
বাকত্রুটির কারনে গলার আওয়াজযুক্ত হবার কথা রাইখা সুপ্ত হইয়া গেলো।

খানিকক্ষণ বেদনাহত হইয়া আবারো হাটা ধরলাম
ফুটপাত নামক রাজকীয় রাস্তার সস্তা বালের ইট দেখে দেখে।

তয় যত বড় নবাব ই হই বেইমান মিরজাফর
কাহিনীঅবলম্বনে ঠিক পিছন থেকে আছোলা বাশ নিয়া দারায় আছিল,,

নতুন নবাব সভাভঙ্গ না বদলাইয়া
অন্ধের গন্ধ লইয়া আবারো আচমকা রাস্তার পাসের ছন্দ খুজিয়া পাইলেন।

এইবার আর রাজ্যসীমা লইয়া না ভাবিয়া নিদারুণ অভাবিতপূর্ব খিস্তীতিতে মুখশ্রী ১৮০ ডিগ্রীপ্রাপ্ত করিয়া
গালি দিয়া নিজেকে পাগল বলিয়া জনগনের নিকট কোটি বারের মতো প্রকাশ করিলাম।

রাস্তারলোক
আর ইমারত

কই কাছে আসেন

বাসের লোক
যারা ভদ্র পল্লির বাসিন্দা

কই কাছে আসেন

কই লিভারপুল আর কই ফকিরাপুল

আজিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ না মানে সাধু, না মানছে আবালবৃদ্ধ দেশ কি আমার বাপের রে ফকিন্নির পুত
দেশ তো তর বাপের,
মাইনে নিলাম তয় আমরা কি ভাড়া থাকিরে বাংলাদেশে
অধিকার চাইলে বিভিন্নদিক দিয়া,, (উদ্ধার) করা হয়।

গদিযুক্ত কইরা কি মুক্তি দিয়া দিছি
সারা বছর পার কইরা জলের সময় বালের কাজ ধরো।
বছরবছর ভোগান্তি লইয়া কিছু কইলে 7up এর ভাব।

নজরুল দেশ লইয়া লেখছে সে বিদ্রোহী
তয় আমি লিখলাম আমি হইলাম দেশদ্রোহী।

কি উচিতকর্ম করবা আর কইতা পারুম না?
তর নাইলে বাপ,,,

কান খারা কইরা শুইনা রাখ আমার কিন্তু নিজের হুম।

দাদার নামে গাধা
বাপের নামে আধা
আর নিজের নামে শাহজাদা।

তলায়তে তলাইতে দেশ তো বংশপরম্পরা বাদ দিয়া বংগ সাগরে ভিড়তে গেলো ,

টিনের গগজ খুইলা কামে হাত দেন নাইলে আমজনতা কিচ্ছু কইবো বো না কইবার ও খেমতা রাখেনা,
এমন অভিশাপ দিবো,,,,,,,,,,,,,,,,,
গ্রাস করতে করতে কিয়ামত থেকে কিয়ামত নামাই ফালাইব।

#রাস্তা খোঁড়ো টাকা কামাও
গেল বছর রাজধানীর শাহজাদপুর এলাকায় প্রগতি সরণিতে পয়ো ও পানি-নিষ্কাশনের জন্য রিং বসানো হয়েছিল। এখন একই স্থানে আবার রিং বসানো হচ্ছে। পার্থক্য এটুকুই, আগের রিংগুলো ছিল একটু ছোট, এবারকারগুলো কিছুটা বড়। বাড্ডা থেকে নর্দা পর্যন্ত একই চিত্র। স্থানীয়রা বলছেন, এগুলো উন্নয়ন নয়, বরং দুর্ভোগ। নতুন রিং বসানোর উদ্দেশ্য নতুন বাজেট। রাস্তা খুঁড়ে টাকা কামানোই উদ্দেশ্য। শুধু শাহজাদপুর নয়, পুরো ঢাকার উন্নয়নের চিত্র প্রায় একই। শুধু স্থানীয় বাসিন্দারা নন, বিশেষজ্ঞরাও বলছেন একই কথা। স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ‘কাজ যত দেরি, রেট তত বেশি। ঠিকাদাররা ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন কাজ নেওয়ার আগে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন। কিন্তু সেটা মানেন না। চুক্তিপত্র না মেনে তারা কীভাবে বিল নিয়ে যান? রাস্তা খোঁড়া হয়। ওয়াসা বা তিতাস খুঁড়ছে। কিন্তু আমরা বহুবার এসব প্রতিষ্ঠানকে বলেছি, এখন বিশ্বের অনেক দেশে মাটি খোঁড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাকে তোলা হয়। কিন্তু এখানে তা করা হচ্ছে না। ’

সরেজমিন রাজধানীর মিরপুর হজরত শাহ আলী (রহ.) বোগদাদি মাজার শরিফের সামনে থেকে পুরনো গাবতলী পর্যন্ত রাস্তায় রিং বসানোর কাজ চলছে, কালশী মোড় থেকে তালতলা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা খোঁড়া হয়েছে মেট্রোরেলের জন্য, মালিবাগ-মৌচাক সড়কে চলছে ফ্লাইওভারের কাজ, যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে ডেমরা-শনির আখড়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলছে সম্প্রসারণের কাজ। উত্তর যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, দোলাইরপাড়, শ্যামপুর, জুরাইন, পোস্তগোলা, করাতিটোলা, দয়াগঞ্জ, কুতুবখালী, শনির আখড়া, কাজলার পাড়, মাতুয়াইল, মাতুয়াইল মধ্যপাড়া, বিজয়নগর এলাকায় চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। আর বাড্ডা-নর্দা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকা খুঁড়ে রাস্তার ওপরই রাখা হয়েছে পিচ ও মাটি।

রাজধানীতে বর্ষা এলেই শুরু হয় উন্নয়ন কাজ। ঢিমেতালে থেমে থেমে চলতে থাকে কাজ। বছরজুড়ে বাজেট পাস করে কাজ শুরু করা হয় ঝড়-বৃষ্টি-বর্ষার মৌসুমে। আর এর ফলে বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেলে পরবর্তী বছরগুলোতে আবারও একই কাজের বাজেট পাস করা হয়। ঢাকার উন্নয়নের নামে প্রতিদিনই চলছে সংস্কার, সম্প্রসারণ, ড্রেন নির্মাণ, ফুটপাথ সংস্কারের নামে খোঁড়াখুঁড়ি। আর এই ধারাবাহিক খোঁড়াখুঁড়ির সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে রাজধানীবাসীকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। রাস্তা খুঁড়ে মাটি, ইট ছড়িয়ে রাখা হচ্ছে চারপাশ দিয়ে। অনেক জায়গায় এই খোঁড়াখুঁড়ির ফলে রাস্তার মধ্যে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। বৃষ্টিতে এসব গর্ত পরিণত হয়েছে মৃত্যুকূপে। প্রতিনিয়তই রিকশা, লেগুনা উল্টে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। মিরপুর-১০ এলাকার বাসিন্দা নাঈম উদ্দিন বলেন, ‘এ এলাকার রাস্তা প্রথমে ওয়াসা খুঁড়ে পানির পাইপ বসাল। এরপর বিটিসিএল খুঁড়ে টেলিফোন লাইনের তার বসাল। এখন মেট্রোরেলের জন্য কয়েক মাস ধরে রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে। এত দিন ধুলাবালুতে শ্বাস নিতে পারতাম না, আর এখন বৃষ্টির পানি-কাদায় রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারি না। ’

যাত্রাবাড়ী এলাকায় কয়েকটি স্থানে রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে। আর এর ফলে ড্রেনের ময়লা পানিতে সয়লাব হচ্ছে এলাকা। নোংরা আর দুর্গন্ধে নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে মানুষকে। যাত্রাবাড়ী এলাকার মনির হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিনই কোনো না কোনো রাস্তা খোঁড়া হয়। মাটি তুলে ড্রেনের ওপর রাখায় পানি যাতায়াত করতে পারে না। এর ফলে একদিকে ভাঙাচোরা রাস্তা, অন্যদিকে ড্রেনের পানি জমায় যাতায়াত করতে পারছে না মানুষ। আর এসব কারণে সারাক্ষণই তীব্র যানজট লেগে থাকে এ রুটগুলোতে।

বাড্ডা এলাকায় রিং বসানোর জন্য বাড্ডা লিংক রোডের পাশ থেকে শুরু হয়েছে খোঁড়াখুঁড়ি। আস্তে আস্তে বুলডোজার দিয়ে বাড্ডা থেকে নর্দা পর্যন্ত সড়ক খোঁড়া হচ্ছে। কিন্তু রাস্তা খুঁড়ে মাটি, ইট, পিচ সবকিছুই রাস্তার ওপরে রাখা হয়েছে। আর প্রায়ই বৃষ্টি হওয়ায় থেমে থেমে চলছে কাজ। রাস্তা প্রায় কয়েক কিলোমিটার খুঁড়লেও কাজে গতি নেই বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। শাহজাদপুর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তা খোঁড়ার সময় কাজের গতি বেশি থাকে। কিন্তু খোঁড়া শেষে ঠিক করার সময় কাজ চলে আস্তে-ধীরে। খোঁড়ার পর থেকে এ রুটে দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। আর বৃষ্টির কারণে কাজ দেরির ঘটনা তো আছেই। রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় একই রাস্তা বারবার খোঁড়া হয়। একবার এক সংস্থা সংস্কার করে তো পরের বার আরেক সংস্থা লাইন বসানোর জন্য খোঁড়ে। বিজয়নগর এলাকার বাসিন্দা হান্নান আলী বলেন, ‘আমার দোকানের সামনের এই রাস্তা চারবার খোঁড়া হয়েছে। সিটি করপোরেশন এ রাস্তা সংস্কার করে দেওয়ার পর ওয়াসা এবং বিটিসিএল খোঁড়ে। খোঁড়ার পর কত মাস শুধু ইট আর খোয়া বিছিয়ে রাখা ছিল। এরপর যখন কাজ শুরু হলো, নিজ চোখে দেখলাম কীভাবে কম মাল-মসলা দিয়ে কাজ হচ্ছে। এ বিষয়ে বলতে গেলে ঠিকাদারের সঙ্গে আমার বাকবিতণ্ডাও হয়। এ রাস্তার ওপর যদি একটা মালবাহী ট্রাক দাঁড়ায়, তাহলে যে কোনো সময় তা বসে যেতে পারে। ’ পুরান ঢাকার অলিগলিগুলোর সোয়ারেজ কিংবা রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হলেও তা এখনো পরিপূর্ণভাবে মেরামত করা হয়নি। ফলে লাইনের ফাঁকা স্থানগুলো দিয়ে ময়লা-আবর্জনা ঢুকে সেগুলো ব্লক হয়ে যাচ্ছে। শাহ সাহেব লেন। ওয়ারীর অন্যতম পরিচিত একটি সড়কের নাম। যার একপাশে সাধু যোসেফ কারিগরি বিদ্যালয় আর অন্য পাশের দুই দিকেই কেবলা শাহ আহসান উল্লাহ মাজার শরিফ। ওয়ারী থানা মোড় থেকে স্বামীবাগ সংযোগ সড়কটি খোঁড়াখুঁড়ি করে রেখে দেওয়া হয়েছিল দীর্ঘদিন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা আংশিক মেরামত করে রেখে দেওয়া হয়। ২৭ নম্বর দক্ষিণ মৈশুন্দী সড়কটিও বেহাল হয়ে আছে প্রায় বছরখানেক ধরে—এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। এর ড্রেনগুলোতেও ঠিকমতো লাগানো হয়নি ঢাকনা। একটু বর্ষাতেই ড্রেনের ময়লা কালো পানিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। চরম বিড়ম্বনা নিয়ে চলাচল করতে হয় সাধারণ মানুষকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা ওয়ারী হলেও ময়লা-আবর্জনায় চরম অব্যবস্থাপনা। টিপু সুলতান রোড, গোয়ালঘাট লেন ও লালমোহন সাহা স্ট্রিটের মোড়টির তিন ভাগের এক ভাগ ময়লা-আবর্জনায় ভরা। এর ফলে সকাল-বিকাল সৃষ্টি হয় যানজটের। গৌর নিতাই সাহা স্ট্রিটের বিক্রমপুর নূরানী আয়রন মার্কেটের সামনে এলাকার পানি সংকট নিরসনে বসানো হয়েছে কল, যেখানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিনভর গোসল এবং রাত ১০টার পর কাপড় ধোয়ার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বনগ্রাম রোডটির ড্রেনও অর্ধেক মেরামত করা। ফলে সেটি সম্পূর্ণ ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ৬৪, ৬৩, ৫৫, ৫৬ নম্বর বাড়ি এবং বায়তুন নূর জামে মসজিদের সামনে প্রায় ২০ মিটার অন্তর ময়লার তিনটি বড় স্তূপ রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এখানে নেই কোনো ডাস্টবিন। নেই সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সুদৃষ্টি। জানা গেছে, সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনের দিকের অলিগলিতে রয়েছে বেহাল পয়োনিষ্কাশন ও ঢাকনাবিহীন সোয়ারেজ লাইন। এতে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। আর এম রোড, শুকলাল দাস লেন, রূপচান দাস লেন, রূপলাল দাস লেন ও পি কে রায় রোডে একটু বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। লোহার পুলের আর এম দাস রোডের মোড়টিও অব্যবস্থাপনায় ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। জুরাইন রেলগেটের পূর্বে সুপার মার্কেটের সামনের রাস্তা ড্রেনেজ লাইন মেরামতের জন্য প্রায় দুই মাস ধরে খুঁড়ে রাখা হয়েছে। সেখানে জায়গায় জায়গায় তৈরি হয়েছে ময়লা আর কাদা-মাটির স্তূপ। ফলে একটু বর্ষায় চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গেন্ডারিয়ার ১৭৭ নম্বর ডিআইটি রোডে খোঁড়াখুঁড়ির পর ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে রাখা হয়েছিল প্রায় আড়াই মাস ধরে। সেখানেও আংশিক রাস্তা মেরামত করা হয়। বর্ষায় এ রাস্তায় হাঁটুপানি পর্যন্ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো আশপাশের ভবনের নিচতলায় পর্যন্ত পানি প্রবেশ করে থাকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.