![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মাদকাসক্ত জীবন-৫( হিরোইন পর্ব)
(এই লেখাটিকে কেউ মাদকাসক্তির পক্ষে দাঁড় করাবেন না অনুগ্রহ করে)
হিরোইন ব্যাপারটাই না কত অদ্ভুত। সিনেমার, যাত্রার, নাটকের নায়িকাদের আমরা আহ্লাদে হিরোইন বলে ডাকতাম। সেই হিরোইন কিনা নেশা হয়ে গেল। মানুষ থেকে বস্তুতে। সাদা, ব্রাউন সাধারণত এইরকমই পাওয়া যায়। সাদাটার দাম অত্যধিক চড়া, যারা নেশা করে তারা ব্রাউনটাই খায়। খায় তো না টানে। আমার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী (বর্তমানে) এক বন্ধুর মারফৎ পেলাম সেই দর্শনযোগ্য জিনিসটা প্রথম। নানান ক্যারিক্যাচা খেতে গেলে। সিগারেটের প্যাকেট সুন্দর করে কেঁচি দিয়ে লম্বা লম্বা করে কাটো, প্যাকেটের ভেতরের রাংতা সর্তকভাবে আলাদা করো, মোমবাতি জোগাড় করো, আধুলি নেও। হ্যাপার শেষ নাই। প্রথম প্রথম তো মহা বিরক্ত লাগত। কিন্তু নেশাটা ভালোই ছিল। রক্তের মধ্যে কেমন যেন বায়বীয় ব্যাপারস্যাপার ঘটত। উড়ে উড়ে চলার মতো। ফুরফুরে একটা অনুভূতি। নেশার লাটিম ঝিম ধরেছে, চোখের তারায় রঙ জমেছে। হায় রে নেশা। মিরপুর কাজীপাড়া থাকি। তখন রোকেয়া স্মরণীতে আমরা ক্রিকেট খেলতাম। রাস্তায় গাড়ি এত কম থাকত যে, অনায়াশে ক্রিকেট খেলা যায়। আজকের কঠিন হরতালে যেরকম গাড়ি চলে তার চাইতেও কম। আসলে মাজার রোডটাই তখন ব্যবহার হতো। ১০ নম্বর গোল চক্করের পর সব শুনশান। একদিন পাড়ার এক বড়ভাই আমাদের ধরে নিয়ে গেল বিচার-শালিশ করাতে। মনে আছে একটা বাঁশের সাঁেকা ছিল। সেই সাঁকো পার হতে গিয়ে ধপাস। কচুরিপানা এত ঘন ছিল যে, ঢুবে যাই নি। সকলে ধরাধরি করে তুলল। ওপারে গিয়ে বিচার করলাম। কিছুই না। এক বুড়া বেটা যোয়ান এক মেয়েকে (বউ) তালাক দিবে। কারণ তার চরিত্র খারাপ। আমরা তো দিলাম ঝাড়ি। বুড়া বেটা মিনমিন করতে করতে রাজি। পরে জানলাম যে, ঐ বড়ভাই মেয়েটির কাছে যায়। মিরপুর তখন গ্রামই বলা যায়। ৮৬,৮৭ সালে কেউ ওদিক মাড়াতো না। শিক্ষিত লোকের সংখ্যাও কম ছিল। আমরা ক’বন্ধুই তাদের কাছে মহাপন্ডিত। বাপরে বাপ ভার্সিটিতে পড়ে। যাই হোক, সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে কথাটা একশতভাগ সত্য। আমার বন্ধুরা নেশা আর মেয়েমানুষ নিয়ে পড়ে থাকতে শুরু করল। আমি নিজেরে দোষে প্রত্যহ হতেছি আলাদা। আমি বলি, নেশা করবি ঠিক আছে কিন্তু এসব মেয়েমানুষ-টানুষ কেন? শুরু হলো গন্ডোগোল। কোথায় যেন একটা নৈতিকতা আমাকে টেনে রেখেছিল আগাগোড়া। আমি ভাবতাম, আমি খারাপ ঠিক আছে কিন্তু অন্যকে কেন আমি নষ্ট করতে যাবো। যে কষ্ট, যে বেদনা তা তো আমার একার। অন্যকে পোড়াতে যাবো কেন? বন্ধুরা মানল না। আমি আবার ঢাকা ছাড়লাম। একসময় চিঠির পর চিঠি। তুই ফিরে আয়। ক্ষমা করে দে। যা হওয়ার হয়েছে। এইসব। ফিরলাম। তখন চোরশ, গাঁজা, হিরোইন যে যার খুশি খাচ্ছে। একটা মহামারী, মড়ক। এরই মাঝে একদিন নওগাঁ থেকে ৫০০ গ্রাম হিরোইন নিয়ে এলো এক বন্ধু। বিক্রি করবে। তখন মিরপুর ১০ এ বিরাট এক বস্তি ছিল। মতিন, ভুঁড়িঅলা এক ব্যাটা হিরোইনের ব্যবসা করত। তার কাছে গিয়ে ১০০ গ্রাম বিক্রি করলাম ৩৫০০ টাকায়। সেই টাকা নিয়ে ভরপুর বিরানি খেলাম। রুমে ফিরে হিরোইন। হঠাৎ কি হলো, বমি করলাম। ভাবলাম পেটে গ্যাস হয়েছে। পরদিন থেকে যেই হিরোইন খেতে যাই দু টান দিলেই বমি আসে। পানির মতো একটা কিছু বের হয়। মহা ঠেলা। আমি তো আনন্দের জন্য নেশা করি। আমার কোনো দুঃখবোধ নেই, কোনো অশান্তি নেই, কোনো উচ্চাভিলাষ নেই। শ্রেফ আনন্দ। কিন্তু সেই আনন্দই যদি ঠিক মতো করতে না পারি তবে কেন নেশা করা। বন্ধুদের দেখতাম তাদের অবর্ননীয় কষ্ট। নেশা কেটে যাচ্ছে ঘুমের মধ্যে। হাত পা কুঁকড়ে আসছে, কুকুরের মতো গুটিসুটি হয়ে যাচ্ছে, সারা শরীর চুলকাচ্ছে, রক্ত বের হয়ে যাচ্ছে, তারপর কাঁপাতে কাঁপতে ধড়মড় করে উঠে বলছে, দোস্ত রেডি কর। নেশা ফাইটা গেল। আমি সেইসব দেখছি আর ভাবছি। আমার সে-সব উপসর্গ না হওয়ার পেছনের কারণ অবশ্য কোনো নেশাতেই থিতু না হওয়া। কোনোদিন হিরোইন খাচ্ছি, তো কোনোদিন শুক্রাবাদ থেকে ডাইন এনে খাচ্ছি, আবার কেউ ধরল চল আজ মদ খাই, তো মদ খাচ্ছি। বন্ধু ছিল প্রচুর। আর সকলে কেন যেন আমাকে পছন্দ করত। বিভিন্ন সার্কেলে আমি মিশতে পারতাম। সেটা সাহিত্য নিয়ে, খেলা নিয়ে, রাজনীতি নিয়ে যে বিষয়ই হোক না কেন? আমি সাবলিলভাবে ঢুকে যেতে পারতাম। তো, ভাবলাম এই যদি হিরোইনের নেশা হয় তবে থাক। আমার অন্যকিছুই ভালো। তারা যখন হিরোইন খেত আমি বাইরে চলে যেতাম। বলতাম আমার শুকনাতে পোষায় না, ভিজা দরকার। বাঙলা মদ খেতাম ১১ নম্বর গিয়ে। আর মদারুদের দেখতে আমার ভালোই লাগত। কত দিল খোলা। একদিন সেই আসরেই এক ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে পরিচয়। সে মূলত গাঁজাখোর। মাঝে মাঝে মদ খায়। এভাবে দেখা হতে হতে তাকে বড়ভাই ডাকা শুরু করলাম। তার আমন্ত্রণে একদিন শাহ আলী (রঃ) মাজারে গেলাম। মূল মাজার থেকে পৃথক এক আসর। নারী, পুরুষ গাঁজা টানছে। আমি তো হতবাক। সব নিম্নআয়ের মানুষ, পতিতাও আছে মনে হলো। আসলে সব পতিত মানুষ। রাত ১২টার পর শুরু হলো, ঢোলের বাদ্য, গান আর নাচ। উহ্ কি ভয়াবহ চিত্র। একজন ‘বাবা’ কে তারা হাঁটু মুড়ে সেজদাহ করছে। আমাকে সেই বড়ভাই বলল, সেজদাহ করেন। আমি হাসলাম। করজোড়ে সেই প্রায় ন্যাংটা মানুষটার আগাপাশতলা দেখলাম। পরে তো বড়ভাই মহা ক্ষ্যাপা, নারে ভাই তোমারে এখানে আনা ঠিক হয় নাই। তুমি কামেল চেন না? আমি বললাম, ন্যাংটা মানুষ কামেল হয় কেমনে? তিনি বললেন, তুমি অন্তরটা দেখলা না। আমি বললাম দেখেন, আমি নেশাখোর ঠিক আছে। আমার কাছে কামেল আর কুকুর একই। যারে ভালো লাগবো, তারেই গলা জড়ায়া ধরুম। নেশা কাটলে না ভেদ-বিচার? তিনি আর কোনো কথা বললেন না। তবুও বন্ধুদের জোরাজুরিতে মাঝে মাঝে হিরোইন খাই। মজা পাই না। আর সবচেয়ে বড় যে কথা তা হলো, হিরোইন আমাকে পরিচালিত করতে চায়। কিন্তু আমি চাই আমি যেভাবে চাইব সেভাবেই পরিচালিত হোক আমার মন, শরীর। দ্বন্দ্বটা শুরু হলো। আমি বলি, এখন আমি পড়ব, সে বলে, তুই এখন ঝিম মেরে পড়ে থাক। কোনো ভালো গান দু তিন লাইনের বেশি শুনতে পারি না। বাকি লাইনগুলো হারিয়ে যায়। আমি ভাবি, এই জোছনা রাতে লেকের পাড়ে হাঁটি। আমার পা কাঁপে, হাঁটতে পারি না। এই দ্বন্দ্বেই নেশাটা ছেড়ে দিলাম। আর তখন বিশাল বিশাল ফিচার প্রকাশিত হতে শুরু করেছিল, বিচিত্রায়, বিভিন্ন পত্রিকায়। হিরোইনের সর্বনাশা কাহিনী নিয়ে। পারমানেন্টভাবে মদ ধরলাম। (চলবে)
২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৪
সাদাসিধা বলেছেন: ধন্যবাদ। আত্মজীবনীই এটা।
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৪
মিলটন বলেছেন: কিন্তু হিরোইন ছাড়লেন কিভাবে, শুনেছি, ওটা ধরলে নাকি ছাড়া খুবই কঠিন।
চলুক।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১২
সাদাসিধা বলেছেন: ছাড়া নিঃসন্দেহে কঠিন। কিন্তু প্যারালাল ভাবে যদি আপনি অন্য নেশাও করতে থাকেন তখন আর ওটা তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। নাক দিয়ে এক আধটু পানি ঝরবে, শীত শীত করবে কিন্তু মদ গিলতে শুরু করলে ওটা আর কোনো পাত্তাই পায় না। বলা হয় ঠিক মতো ৩ দিন হিরোইন খেলেই শরীরে ওটার প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়ে যায়। ভোগাস কথা। আসলে তারা হিরোইন ছাড়া আর কোনো নেশাই করেনি। তবে হিরোইনের নেশার মজাটাই আলাদা। পালকের মতো ভেসে থাকা, উড়ে যাওয়া।
ভালো আছেন, আপনি?
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৪
শাফি আহমেদ বলেছেন: ভালই লাগছে। ধন্যবাদ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১৩
সাদাসিধা বলেছেন: ভালো লাগছে সেটা তো গল্প বলার ধরণে। আসলে বিষয়টা মোটেই ভালো না, তাই না?
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১০
অপহন্তা বলেছেন: হুমমম। সুস্থ থাকুন এই কামনা করি
২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১৯
সাদাসিধা বলেছেন: আপনারও সুস্থতা কামনা করছি।
৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১৬
মুহিব বলেছেন: এত সহজভাবে নিজের ভুল বলে অন্যকে শোধরানো সহজ কথা না। ধন্যবাদ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:২৮
সাদাসিধা বলেছেন: বুঝলাম না মমার্থ। তবে আপনার কথাটা একঅর্থে যথার্থ যে, সহজ নয় শোধরানো। তবে চেষ্টা করতে দোষ কোথায়। আমি আমার বন্ধুদের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি, তারা কেউ কেউ সুস্থ জীবনের ধারায় ফিরে এসেছে। তাদের নানাভাবে সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছি। রিকভারি সেন্টার চালাচ্ছে তারা। বুদ্ধি দিয়ে, পরামর্শ দিয়ে, অর্থ দিয়ে তাদেরকে সাহায্য করছি। ভালো আছে তারা। তবে দুঃখের কথা, সম্প্রতি ২ বন্ধু মরণব্যাধি হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত। আমি তাদের জন্য লড়ছি।
৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১৭
হৃদয়হীনা বলেছেন: চলুক..............। বর্তমানে কি অবস্থা?
২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৬
সাদাসিধা বলেছেন: অনেক ভালো। এখন ভালো থাকতে চাই।
৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১৮
তেপান্তের মাঠ পেরিয়ে বলেছেন: +। কিভাবে নেশা থেকে মুক্ত হলেন সেটাও বিস্তারিত জানতে চাই।
আপনার লেখার হাত কিন্তু অনেক ভালো।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:২৫
সাদাসিধা বলেছেন: ওই যে বললাম, একসময় মনে হলো নেশাই আমাকে পরিচালিত করতে চায়। কিন্তু আমি তো অন্য কারো দ্বারা পরিচালিত হতে চাই না। দ্বন্দ্বটা এখানেই। আনন্দের জন্য নেশা করতাম। কিন্তু সে একসময় আমাকে নিরানন্দের দিকে নিয়ে যায়। এটাই ছাড়ার কারণ। আর মা, বাবার দোয়া। মূল্যবোধ এসব তো আছেই। একমাত্র ছেলে তো তাই দায়বদ্ধতার একটা ব্যাপারও হয়ত কোথাও ক্রিয়াশীল ছিল।
আর লেখার হাত। কি যে বলেন? ব্লগে তো কত মহান মহান লেখক আছে। আমি তো ছারপোকা।
৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৩০
রাজামশাই বলেছেন: হুমমম
২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:২৭
সাদাসিধা বলেছেন: আরে রাজা মশাই যে, কিছু দিলেন না দক্ষিণা। নেশা ছেড়ে ভালোমানুষ হলাম। নাকি আপনার রাজ্যে মন্দরাই শুধু থাকে?
৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৩৮
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: আপানার মনের জোর অনেক ... বেশির ভাগ মানুষ পারবে না ;
পোষ্ট এর জন্য ধন্নবাদ
২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৩০
সাদাসিধা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। মানুষের অসীম ক্ষমতা।
১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৫১
মহাকালর্ষি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ যে আপনি এখন বাচাতেও লড়ছেন।
ভালো থাকুন সবসময়........
২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪২
সাদাসিধা বলেছেন: মানুষের আনন্দটাই মূল লক্ষ্য। সারাটি জীবন সেটিই সে চায়। জোসেফ ক্যাম্পবেল ও বিল মোয়ার্স মিথ নিয়ে একখানে বলছেন যে, একদিন একটা মানুষকে দেখলাম যে ব্রীজ থেকে লাফ দিতে চাচ্ছে। আমি জীবনের ঝুকি নিয়ে তাকে উদ্ধার করলাম। কেননা আমার তখন মনে হয়েছিল যে, ঐ মানুষটার পতন বা মৃতু্ মানে আমারই মরণ।
বিষয়টা এরকমই।
১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:০১
অমাবশ্যার চাঁদ বলেছেন: মহাকালর্ষি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ যে আপনি এখন বাচাতেও লড়ছেন।
ভালো থাকুন সবসময়........
২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৫
সাদাসিধা বলেছেন: দোয়া করবেন।
১২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:১০
জিনাত বলেছেন: ভাই জটিল লিখেছেন ...আগামী পর্বটা জলদি দিন ...ভালো থাকুন
২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:১৬
সাদাসিধা বলেছেন: লিখছি। ভালো থাকবেন।
১৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:২৮
জয়িতা বলেছেন: হুম।আমি খুব কাছের একজনেক দেখেছি কিভাবে এই সর্বনাশা নেশায় নিজেকে ঢেলে দিয়েছে....খুব ইচ্ছে করত যদি তাকে ফিরাতে পারতাম কিন্তু আমি ত জানি না এ পথ থেকে কাউকে কিভাবে ফেরানো যায়।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:১১
সাদাসিধা বলেছেন: হায় হায় কি করেছেন আপনি? চেষ্টা তো করতেন, তারপর না হয় একটা সিদ্ধান্ত নিতেন। যারা নেশা করে তারা পতিত নয়, একটু সহমর্মিতা পেলে তারাও ফিরবার পথটুকু পায়।
১৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:০১
হুমায়ুন বলেছেন: লেখা ভাল লাগছে। আশা করি ক্ষতিকর দিকগুলোর প্রতি বেশি নজর দিবেন এবং বেশি লিখবেন। কারন নেশা আজ "আমাদের সমাজে মরনব্যাধির মত" যাতে করে ক্ষতিকর দিকগুলো পড়ে এর থেকে সবাই দুরে থাকতে পারে।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:১২
সাদাসিধা বলেছেন: সমূহটাই ক্ষতি। নেশার ভালো বলে কিছু নেই। আপনার মতামত মাথায় রাখবো।
১৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩০
এম্নিতেই বলেছেন: মুহিব বলেছেন: এত সহজভাবে নিজের ভুল বলে অন্যকে শোধরানো সহজ কথা না।
// নেগেটিভ কথা এত আনন্দে বলার জন্য লুহিব কে মাইনাস।
@লেখক
এ পর্বটা খুব ভাল লিখেছেন, আগেরগুলার চেয়ে। চালিয়ে যান।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:২০
সাদাসিধা বলেছেন: আর হয়ত এ নিয়ে দু একটা পর্ব লিখব। আপনাদের এত সমর্থন পাচ্ছি। যদি এসব সে-সময় পেতাম নেশার বিরুদ্ধে তাহলে জীবনটা হয়ত অন্যরকম হতো। তবুও দুঃখবোধ নেই। যাপিত জীবনটাই এখন অনকে মধুর।
১৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৩৫
মুহিব বলেছেন: আপনি যেভাবে সহজ করে লিখছেন তা অনেক বড় ব্যাপার। এত সহজ ভাষায় আমি লিখতে পারি না। এ লেখা পড়ে অনেকেই হয়ত মাদককে না বলবে। তাই আপনাকে ধন্যবাদ।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:২৪
সাদাসিধা বলেছেন: মুহিব ভাই, সহজ কঠিন বড় ব্যাপার নয়। আপনি যে পক্ষে দাঁড়িয়েছেন এটাই তো বড়। আপনাদের মতো ব্লগারের সমর্থনটা জরুরি। আমি ধারনা করি, এ ব্লগেও অনেক ব্লগার আছে যারা ভিকটিম ছিল বা এখনো আছে। সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমি চেষ্টা করছি। জানি না সফল হবো কিনা। ঠিক মতো লিখতেও পারি না। তবে চেষ্টা করছি, আবেদনটা যেন সকলের কাছে পৌছায়।
১৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৩
জয়িতা বলেছেন: এখানে সিদ্ধান্ত নেয়ার তো কিছু নেই।যাকে দেখেছি সে খুব কাছের মানুষ কিন্তু যারা নেশা করে তারা বোধ হয় অনুভূতি, আদর, যুক্তিকে তেমন গ্রাহ্য করে না।আপনি কি জানেন কিভাবে এই পথ থেকে একেবারে কাউকে ফেরানো যায়?
২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৭
সাদাসিধা বলেছেন: যদি ঢাকায় থাকেন তবে মোহম্মদপুরে ক্রিয়া, আপন এসব রিকভারি সেন্টার আছে যারা মাদকাসক্তদের সেবা প্রদান করে। ওদের কাছে তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে নিয়ে যান। কিছু টাকা খরচ হবে অবশ্য। তিনমাস /ছয়মাস সাধারণত সে-সব সেন্টারে ওরা মাদকাসক্তদের নানারকম মেডিটেশন, সাজেশন ইত্যাদি দেয়। শুধু মনে রাখবেন, ঐ সেন্টারগুলো থেকে বের হয়ে আসলেই সবাই ভালো হয়ে যায় না। তখনই শুরু হয় পরিবারের সমর্থন, বন্ধুদের দায়িত্ব। সেটাই নির্ধারন করে দেয় সে কতটুকু ভালো থাকবে। দুঃখের ব্যাপারকি জানেন, এই সমর্থনটাই কেউ দেয় না। কারণে আকারণে বলে, তুই তো নেশাখোর, এরকম কথা তো তুই বলবি। কি এভাবেই চলবি। এসব। একটু সহমর্মীতা ও সচেতনা থাকলেই খুব সহজেই ফেরানো সম্ভব।
১৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:২০
জয়িতা বলেছেন: হুমমমম।যারা বুঝেও না, তারা ভালোবাসা, আদর গ্রাহ্য করে না।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৫
সাদাসিধা বলেছেন: আপনি রেগে গেছেন। ওরা তো চাই চায়। আপনি রেগে যান। দূরে সরে যান। প্রথম কাজটুকুই কষ্টের। তারপর দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে। মনোবল হারাবেন না। আমরা তো আছি।
১৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০৪
মুনিয়া বলেছেন: ভাল লাগল...
আসলেই খুব মারাত্মক হিরোইনের নেশা...
তবে ইচ্ছা থাকলে ছেড়ে আসা যায় এটাও দেখেছি। আপনার মনোবল প্রশংসনীয়। সেই সাথে লেখার হাত
শুভকামনা।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:২৫
সাদাসিধা বলেছেন: ওটা ছিল বলেই আজ আপনাদের পাশে। শুভকামনা রইল।
২০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:২১
জয়িতা বলেছেন: রেগে যাইনি রে ভাইয়া।আমি হয়ত জানি না কি করে কিউর হতে পারে একজন এসব থেকে।কষ্ট হয়।মনে হয় যদি জানতাম কেমন করে ফিরে আসতে পারে এই পথ থেকে।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৯
সাদাসিধা বলেছেন: বললাম তো সহজভাবে তার সাথে চলুন। নেশা নিয়ে এতটুকুও খারাপ কিছু বলবেন না। তার বর্তমান কাজকর্ম নিয়েও। তার সাথে সাথে চলুন। নেশা করতে দিন। এরা খুব ইমোশনাল হয়। তাই ইমোশনাল ব্লাকমেইল করুন। ধরুন সে ১০টা সিগারেট খায়। তবে আপনি চেষ্টা করুন যাতে সে ৮টার বেশি খেতে না পারে। একটা নির্ভরশীলতা তৈরি করুন আপনার প্রতি। যখন দেখবেন সে আপনার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, বিশ্বাস করছে তখন আপনি রিকভারি সেন্টারগুলোতে নিয়ে ভর্তি করিয়ে দিন। পরেরটা তাদের উপর। বিশ্বাস রাখেন। মানুষের উপর বিশ্বাস হারানোটা পাপ। আপনার জন্য খুব খারাপ লাগছে। কোনো উপকার করতে পারলে খুশি হবো।
২১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫৫
জয়িতা বলেছেন: বিশ্বাস!আমাকে যে বিশ্বাস করে সে পুরোটাই করে।আসলে মানুষ চাইলেই সব পারে না।কিছু সীমাবদ্ধতা তার চারপাশে দেয়াল তৈরী করে রাখে।মনের সবটুকু অনুভূতি সে দেয়ালকে টপকাতে পারে না.....এটাই বোধ হয় নিয়তি।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১০
সাদাসিধা বলেছেন: সেই দেয়ালটাকেই তো ভাঙতে হবে। তবেই না আপনি একটা মনোরম উদ্যান পাবেন, যেখানে জীবনের মধুর সুরের মূর্চ্ছনা বাজবে, আপনি স্বস্তির দুডানা মেলতে পারবেন। সবকিছু নিয়তির উপর ছেড়ে দিলে কি চলে? যদি আমি সেরকম মনে করতাম, তবে কি ও পথ থেকে ফিরতে পারতাম? এই যে আপনার সাথে ইন্টারাকশন হচ্ছে তা কি সম্ভব হতো? আপনার অনুভূতিগুলো আমাকে ব্যথিত করত?
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৮
নিবিড় বলেছেন: হুমম আত্মজীবনী হলে চলুক ....সত্যকে গ্রহন করার ক্ষমতা আছে