নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম \'বোধ\'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবি

সাদাত হোসাইন

লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম 'বোধ'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবিতে...

সাদাত হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাগ বিষয়ে...

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

দীর্ঘ ছয়টি বছর আমি সেখানে ছিলাম, সুতরাং জাহাঙ্গীরনগর এর সংস্কৃতি, শিক্ষার্থীদের মানসিকতা নিয়ে আমার মোটামুটি ভালই জানার কথা, এবং আমার ধারণা, আমি সেটা জানি... গতকাল জাবি ক্যাম্পাসে RAG দেয়া সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে পোস্টটা দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেছিলাম, হতভম্ব! এই কি সেই জাহাঙ্গীরনগর যাকে আমি চিনি? ছয়টি বছরের প্রায় প্রতিটি মুহূর্ত যে ক্যাম্পাসের নিঃশ্বাস আমি বুক ভরে টেনেছি! আমি বলার মতো কোন ভাষা খুঁজে পাইনি। যে ক্যাম্পাসের কথা ভাবলে এক অদ্ভুত ভালোলাগার অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়ে থাকি সেই ক্যাম্পাসে ঘটা এমন একটি বিকৃত ঘটনায় নিঃসন্দেহে শুধুমাত্র একটি নির্ঘুম রাত্রীই যথেষ্ট নয়। এবং সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি ইনবক্স ভর্তি মেসেজ, সেই মেসেজগুলতে ব্যাক্তিগত অনেক খোঁচা যেমন আছে, অনেকেই আবার বিষয়টা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণও করতে চেয়েছেন, মতামত চেয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে মতামত দিতে গিয়ে দিশেহারা ফিল করছি। যারা এই পোস্টটি পড়ছেন, তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, পোস্টটি পুরোপুরি না পড়ে, না বুঝে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না।

জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তি হওয়ার আগে থেকেই এই ক্যাম্পাস সম্পর্কে অজস্র গাল-গল্প শুনেছি, তার মধ্যে আদি-রসাত্মক কাহিনী-ই বেশি। সেই গল্পগুলাতে এমনো রয়েছে যে জাহাঙ্গীরনগরের মেয়েরা হাফপ্যান্ট পড়ে রাস্তায় হাঁটে, জাহাঙ্গীরনগরের ল্যাম্পপোস্টে কোন লাইট থাকেনা, কারন সন্ধ্যার পর যাতে ক্যাম্পাসের চিপা-চাপা গুলা আরও অন্ধকার হয়ে যায়, এখানে মেয়েরা বোরকা পড়তে পারেনা, এখানে ছেলেদের হলে মেয়েদের অবাধ যাতায়াত, এখানে হলের ছাদে ছাদে গাঁজার চাষ হয় এমন আরও আরও আরও অনেক...

সম্ভবত এমন একটি অবাধ রঙ্গিন দুনিয়ায় ভর্তি হবার লোভেই চিটাগং ইউনিভারসিটির বিবিএ রেখে জাহাঙ্গীরনগরের নৃবিজ্ঞানে ভর্তি হয়েছিলাম, কিন্তু আফসোস! এইখানে মেয়েদের কোনদিন হাফপ্যান্ট পড়ে দূরে থাক থ্রী কোয়ার্টার পরেও রাস্তায় ঘুরতে দেখলাম না, আমার ক্লাশের ৪৫ জনের মধ্যে অন্তত ৭-৮ জন ছিলেন যারা বোরকা পরে ক্লাশে আসতো, এই ক্যাম্পাসের প্রতিটি গলি ঘুঁজিতে পর্যন্ত ঝা চকচকে লাইট জ্বলতে দেখেছি, বাংলাদেশর যতগুলা পাবলিক ইউনিভার্সিটি রয়েছে, সম্ভবত জাহাঙ্গীরনগরের বিদ্যুৎ সুবিধাই সবচেয়ে বেশী নিরবিচ্ছিন্ন। শুধু তাই নয়, নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রোক্টরকে দেখেছি তার টিম নিয়ে সন্ধ্যার পরে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস টহল দিতে। ছয় বছরে বিভিন্ন সময়ে প্রবলভাবে অসুস্থ হওয়ার পরো কোন মেয়ে সহপাঠীকে দর্শনার্থী হিসেবেও ছেলেদের হলে ঢোকার প্রবেশাধীকার পেতে দেখি নি। অথচ আমার এক মেয়ে কাজিন জাহাঙ্গীরনগরে চান্স পেয়েও উপরোক্ত ‘প্রতিষ্ঠিত প্রোপ্যাগান্ডার’ কারণে বাসা থেকে ভর্তির ছাড়পত্র পান নি...

অনেকেই হয়তো ভাবছেন আমি ধান ভানতে শিবের গীত গাইছি... মোটেই তা না... লেখাটা শেষ পর্যন্ত পড়বেন...

জাহাঙ্গীরনগরে যে সব ছেলে মেয়ে পড়ে, তারা কি আমেরিকা-ইউরোপ থেকে এসেছে? তাদের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি কি ভীন্ন? নাকি বাংলাদেশের আর দশটা অন্য সাধারণ পরিবার থেকেই তারা এসেছে? এবং সেই সকল পরিবারও কিন্তু দেশের আর দশটা সাধারণ পরিবারের মতই একই মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ধারণ করে, তাহলে? তাহলে কোন সে জাদু মন্ত্রবলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মাস ছয়েকের মধ্যে তারা একেক জন হয়ে যায় তথাকথিত ‘মুল্যবোধহীন’, ‘লাজ-লজ্জাহীন’, ‘অবাধ-নির্বিচার’ এইসব আচরণ অনুশীলনকারী?? কি??

অনেককেই বলতে শুনেছি, জাহাঙ্গীরনগরের সুনসান পরিবেশ, চিপা-চাপা, ঝোপ-ঝাড় এই জন্য দায়ী। খুবই হাস্যকর যুক্তি। একটি ছেলে মেয়ে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, তখন কিন্তু সে প্রাপ্ত বয়স্ক, এবং সে জানে তার কি করা উচিত কিংবা উচিত না... সুতরাং, সে কার সাথে কি করবে কিংবা করবে না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায় একান্তই তার, কোন নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের না। যারা রাবি, চবি, শাবিপ্রবি, ঢাবি, কিংবা বাকৃবি’র মতো বড় ক্যাম্পাসের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন, এ বিষয়ে তারা ভালো বলতে পারবেন, আপনি ক্যাম্পাসের কোথায় কার সাথে যাবেন, সে বিষয়ে কি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে কিংবা জবাবদিহি করতে আপনি বাধ্য? বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অর্ডিনেন্সে কি এই বিষয়ে কোন বাধ্যবাধকতা আছে? না থাকা উচিত?

বিশ্ববিদ্যালয়ে কম বেশী RAG er শিকার আমরা সকলেই হয়েছি। একটা বিষয় ক্লিয়ার করি, বাংলাদেশে যতগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, জাহাঙ্গীরনগরের সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক সম্ভবত সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এবং গভীর। এবং 'এই RAG কিংবা RAG না, কিছু সুস্থ এবং সহনশীল ও মজাদার বুদ্ধিবৃত্তিক আড্ডা' কালচারের একটা শক্তিশালী ভূমিকা এতে আছে, এক্সকিউজ মি, আমি RAG'র পক্ষে কোন সাফাই দিচ্ছিনা। আমি বলতে চাইছি, সেই RAG বা সুস্থ এবং সহনশীল ও মজাদার বুদ্ধিবৃত্তিক আড্ডা কতটা উপভোগ্য আমাদের কাছে ছিল। সেটা অনেকক্ষেত্রে অনেক কনষ্ট্রাকটিভ এবং মজারও ছিল। কিন্তু শেষ কিছু দিন থেকে বিষয়টি ক্রমশই ভয়ংকর হয়ে উঠছিল, এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকাই নিয়েছিল। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই বিষয়ে সতর্কতামূলক পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট টাঙিয়েছে, এমনকি, রুমে রুমে গিয়ে লিফলেট পর্যন্ত দিয়ে এসেছে... এবং RAG erআধিক্য কিন্তু ক্রমশই কমে যাচ্ছিল... অনেক সিনিয়রদেরই বলতে দেখেছি, ধুর! এখনতো RAG-ই হয় না।

এবার আসি মূল প্রসঙ্গে, ঘটনাটা হচ্ছে এমন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু একজন মেয়ে শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কয়েকজন বড় আপু’ মেয়েটির ক্লাশের সিনিয়র ভাইয়েদের কাছে গিয়ে তার ব্রেস্টের মাপ দিয়ে আসতে বলেছে!! ঘটনাটি কতটুকু নোংরা সেটি বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সেই বড় আপুরা কারা? আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে এই লেখাটি পড়ে থাকেন, আমার প্রশ্ন, একজন মেয়ে হয়ে আপনি আরেকটি মেয়েকে উপরের কথাটি বলতে পারেন কিনা! কিংবা আদৌ কোন মেয়ে পারে কি না! আমার ধারণা, যেই মেয়েগুলো ওই ‘কাজটি করেছে’ তারা আপনার মতোই একটি পরিবার, পারিবারিক মূল্যবোধ থেকে এসেছে, এবং একজন মেয়ে হিসেবে কিছু সহজাত বোধও তাদের থাকার কথা! সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার ছয় মাস-একবছর-দেড় বছরের মধ্যে তাদের সেইসব বোধ কই গেল? কিভাবে গেল?? আদৌ গেল কিনা? তারা আসলে কি বলেছে? উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে সধারানত ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারের শিক্ষার্থীরাই RAG দিয়ে থাকে।

আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় লাইফে কোন মেয়ে শিক্ষার্থীকে ‘সেই অর্থে’ বড় ধরনের RAG'র শিকার হতে দেখি নি, যেগুলোর সাথে কিংবা কাছাকাছিও সাম্প্রতিক এই ঘটনাটিকে দাড় করানো যায়! জাহাঙ্গীরনগর থেকে পাশ করে গেছেন এমন আপু-রা এক্ষেত্রে ভালো বলতে পারবেন। তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, বিষয়টি হেলা-ফেলা করে এড়িয়ে যাবেন না। ইস্যুটা অনেক বড়। একজন জাহাঙ্গীরনগরিয়ান হিসেবে প্রায়ই কিছু নেতিবাচক এবং অগ্রহনযোগ্য অনেক মন্তব্যই আমাদের শুনতে হয়, এবং এর পেছনে আমাদের নিরব ভুমিকাও কোন অংশে কম দায়ী নয়...

উপরের ঘটনাটির যারা ভুক্তভোগী, যারা ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার, তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, অভিযুক্তদের সম্পর্কে পর্যাপ্ত এবং যথাযথ তথ্য দিন, আমরা যারা জাহাঙ্গীরনগরকে ভালোবাসি, যারা চাই না জাহাঙ্গীর নগরকে নিয়ে কোন সত্য-কিংবা মিথ্যা নেতিবাচক প্রচারণা ছড়াক, আমরা আমাদের সরবচ্চ চেষ্টা করবো বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানর এবং প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের।

কিন্তু দয়া করে কোন ধরনের অথেনটিক এবং সুস্পষ্ট তথ্য না দিয়ে ফেসবুক/ ব্লগের মতো জনপ্রিয় পাবলিক ডোমেইনে ঢালাওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন প্রচারণা চালাবেন না।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

কষ্টসখা বলেছেন: ভাই ,ঘটনা মিথ্যা হলে যারা এই কুৎসা রটনা করছে তাদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা যায় কিনা সেবিষয়ে জাবির বড় ভাইদের সহহযোগিতা কামনা করছি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৪

সাদাত হোসাইন বলেছেন: Click This Link

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

এম. ওলি বলেছেন: গতকাল রাত থেকেই ফেসবুকে একটি খবর সবাই সেয়ার করেছেন “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আই.টি. - ১ম বর্ষের একজন ছাত্রীকে জাহানারা ইমাম হলের সিনিয়র আপুরা র‍্যাগ (rag) দিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেছে।” প্রমাণ সহ বলতে পারি এই খবরটি সম্পূর্ণ একটই গুজব ছাড়া আর কিছুই না।

জা.বি’র একজন বর্তমান ছাত্র আমি, আমি যখন গতকাল রাতেই এই খবর শুনতে পাই সাথে সাথেই খবরের সত্যতা অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেছি। এবং আজ সকাল ১০ টা থেকে সশরীরে ক্যাম্পাসে থেকে এর সত্যতা সম্পর্কে অনুসন্ধান করেছি। এবং অনুসন্ধান করে জেনেছি এটি একটি গুজব। অনুসন্ধান প্রক্রিয়া এবং এটি যে একটি গুজব তাঁর প্রমাণ নিচে দিচ্ছি।

১. রাতে মাহাবুব হাসান ভাই প্রথম এই খবরের স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন এবং রাতেই আমি তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে ‘কথিত’ লাঞ্ছিত মেয়েটির নাম এবং রোল নাম্বার সংগ্রহ করেছিলাম। এবং রাতেই জাহানারা ইমাম হলে আমার সহপাঠী এবং জুনিয়র মেয়ের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করেছি মেয়ের পরিচয় গোপন রেখে। রাতে কিছুই জানতে পারিনি কারন তখন প্রায় মধ্যরাত।

২. আজ সকালে মাহাবুব ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে কথিত ভিক্তিম মেয়ের ‘কথিত’ ভাইয়ের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করি এবং তার সাথেও যোগাযোগ করি। কিন্তু সে এই ব্যাপারে আমার সাথে কথা বলতে নারাজ ছিলেন। তখনি সন্দেহ করছিলাম এটি একই গুজব।

৩. এর পর আমি যোগাযোগ করি জাহানারা ইমাম হলের হল সুপারের সাথে এবং প্রভোস্ট এর সাথে। জাহানারা ইমাম হলে আইটি- ১ম বর্ষের মাত্র দুইজন মেয়ে হলে উঠেছে। এবং সেই জুইজনের কেউই র‍্যাগের স্বীকার হয়নি এবং এই সম্পর্কে কিছুই জানে না। এবং পরবর্তীতে আমি হল সুপারের কাছে কথিত ভিক্টিম মেয়ের নাম বলেছি এবং হলের রেজিস্ট্রি খাতা খুঁজে জানতে পেরেছি, যেই মেয়ের নাম আমাকে বলা হয়েছে সেই নামের মেয়ে এখনো হলেই উঠেনি। সেখানে তাকে র‍্যাগ দেয়ার প্রশ্নই আসেনা। এখানে একটা ব্যাপার ক্লিয়ার করতে চাই- হলে প্রথম যেদিন কেউ উঠে সেদিনই একটা স্লিপের মাধ্যমে তাকে হলের রুম নাম্বার ঠিক করে দেয়া হয়, অর্থাৎ সেই নামের কেউ হলে উঠে থাকলে সেটার প্রমাণ তো থাকবেই। এখানেও প্রমান হয় ঘটনা গুজব ছাড়া কিছুই না।

৪. এর পর আমি যোগাযোগ করি ‘ব্লগার শারমিন রেজওয়ানা’ আপুর সাথে। তিনিও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্রী। তিনিও গতকাল রাত থেকে ভার্সিটির ‘এসিস্ট্যান্ট প্রোক্টর’ এর সাথে যোগাযোগ করেছেন, এবং জাহানারা ইমাম হলের দুই জন হল সুপারের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তিনিও এই ঘটনার কোনও সত্যতা খুঁজে পান নি। অর্থাৎ এটি একটি গুজব ছাড়া আর কিছুই না।

৫. সব শেষ যখন আমি নিশ্চিত হলাম এটি একটি গুজব, তখম আমি আবার সেই ‘কথিত ভিক্টিম’ মেয়ের কথিত লতায় পাতায় ভাইকে (কাজিন) ফোন করেছি, যার মাধ্যমে মাহাবুব ভাই এই ব্যাপারে জেনেছিলেন। সেই কথিত ভাইকে ফোন করে ঝাড়ি দেয়ার পর তিনি নিজে আমাকে বলেছেন, “সরি ভাই, আমি পুরো ব্যাপারটার জন্য দুঃখিত। আমার ভুল হয়ে গেছে। আর কখনো এমন কাজ করবো না।” সব শেষে আবারো প্রমাণ হয় এটি একটি রটানো গুজব।

অনেকেই দেখলাম সকালে ফেসবুকে বলেছেন, ভিক্তিম মেয়েটি নিরাপদে আছে বলে ভার্সিটির ভিসি আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, ভিসিকে মেয়েটির নাম ধাম, রোল নাম্বার কিছুই জানানো হয়নি। এক্ষেত্রে ভিসি কিভাবে আশ্বস্ত করেছেন যেখানে ভিক্টিমেরই কোনও খবর তিনি জানেন না, আর অস্তিত্ব নেই! এটিও একটি গুজব।

একটি অসাধু মহল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সব সময়েই খারাপ কথা গুজব আকারে প্রচার করে আসছে। জাবি প্রশাসন সব ধরণের অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে সোচ্চার। আর র‍্যাগিং নামক কুপ্রথা ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আরো বেশি সোচ্চার। ক্যাম্পাসের প্রতিটি ভবনে , মূল গেইটে র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে অভিযোগ কয়ার জন্য প্রক্টর, মহিলা প্রোক্টর এবং প্রশাসনের ফোন নাম্বার পোস্টারিং এর মাধ্যমে দেয়া আছে। একটি মাত্র ফোন করলেই দ্রুততম সময়ে র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়। সেখানে এমন র‍্যাগিং কখনোই হওয়া সম্ভব না। বিগত কয়েক বছর ধরেই র‍্যাগিং নামক অসামাজিক কাজটি একেবারেই বন্ধ আছে।

সব শেষে বলব, গুজবে কান দিবেন না। এবং গুজব ছড়িয়ে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবেন না। গতকাল রাতে যিনি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তিনি ইতোমধ্যে ডিস্ক্লেইমার ও দুঃখ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আর তিনি বলেছিলেন “প্রথমে র‍্যাগিং দিয়ে শুরু হলেও পরে ভার্সিটির বড় ভাই/নেতাদের মনোরঞ্জনে শরীরটাও বিকিয়ে দিতে হয় টিকে থাকতে হলে।" এতি সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। গত ৪১ বছরের ইতিহাসে জাবিতে এমন কিছুই হয়নি। বরং আমি নিশ্চিত করতে পারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র জুনিয়রের মাঝে যে সুসম্পর্ক বিরাজমান টা দেশের অন্য কোনও ভার্সিটিতে পাওয়া যাবে না। এই বিসয়ে গতকালকের স্ট্যাটাসদাতা দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষমা চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

আবারো বলছি, গুজবে কান দিবেন না। র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলুন। র‍্যাগিং প্রতিরোধ করতে জাবি যেমন বদ্ধ পরিকর তেমনি ভাবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও যেন ব্যাবস্থা নেয়া হয় সেই আশা করছি।
-
গতকাল রটে যাওয়া গুজব ঠেকাতে এবং সত্য ঘটনা সবাইকে জানানোর জন্য ফ্রেন্ডলিস্টের সবাইকে বলবো, এই স্ট্যাটাসটি সেয়ার করে সবাইকে সত্য জানার সুযোগ করে দিবেন।

ধন্যবাদ
Click This Link

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৩

সাদাত হোসাইন বলেছেন: Click This Link

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

আহ্‌সান হাবীব বলেছেন: হায়রে পাবলিক!!!!!!!!!!!
আজগুবি খবরের পোস্টে হিটের ছড়াছড়ি কিন্তু তথ্যমূলক পোস্ট কারো নজরেই পড়ে না।
সেলুকাস!!!!!!!!!!!!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২২

সাদাত হোসাইন বলেছেন: Click This Link

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

শাওণ_পাগলা বলেছেন: হায়রে পাবলিক!!!!!!!!!!!
আজগুবি খবরের পোস্টে হিটের ছড়াছড়ি কিন্তু তথ্যমূলক পোস্ট কারো নজরেই পড়ে না।
সেলুকাস!!!!!!!!!!!!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২১

সাদাত হোসাইন বলেছেন: Click This Link

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

ব্ল্যাকএজেন্ট বলেছেন: লেখক আপনাকেই বলছি। যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে সে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে যাচাই করে নিন। আমরা যতদূর জানি ভিক্টিম নিজে কিছুটা বাড়িয়ে বলেছে। এক্ষেত্রে প্রক্টর ব্যবস্থা নিচ্ছেন। দোষ যারই হোক তাকে জবাবদিহি ঠিকই দিতে হবে। আর জাবি সম্পর্কে যে সব ব্লগাররা না জেনে শুধু ফাঁকা বুলি আওরাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি ঃ আপনাদের নীতি হচ্ছে পাই না তাই খাই না। নিজেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পান না আর সবাইকে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় খারাপ। আগে নিজেরা ঠিক হোন তারপর অন্যের দোষ খুঁজেন। আর ঢাবির ভাইয়েরা যারা জাবির ছেলেদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন তাদের বলছিঃ ঐ ঢাবিতেই কিন্তু পহেলা বৈশাখে এক মেয়ের ওরনা টেনে নেয়া হয়েছিলো। আরেকজনের দিকে যখন আঙ্গুলটা তোলেন তখন নিজের হাতের দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখবেন আপনার বাকি তিনটা আঙ্গুল কিন্তু আপনার দিকেই তাক করে আছে। নিজের স্বভাবটা ভালো করবেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২১

সাদাত হোসাইন বলেছেন: Click This Link

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৩

ধানের চাষী বলেছেন: ঘটনা সম্পূর্ণ বানানো, এ ধরণের কোন ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটে নি, মিডিয়াতে নিজে নোংরামি না প্রকাশ করলেও চলে, আজাইরা পাবলিক গুলারে পিডানোর কাম

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২০

সাদাত হোসাইন বলেছেন: Click This Link

৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৬

ঝটিকা বলেছেন: এই পোষ্ট আর কিছু মন্তব্য দেখে খুবই বিরক্ত হলাম। আপনার ক্যাম্পাস, আপনার অনেক আবেগ থাকবে সেটা ঠিক। তাই বলে ধোয়া তুলসি পাতা প্রমান করে কি লাভ? রেগ জাহাঙ্গির নগরে অনেক আগে থেকেই ছিল, যে কোন সময় তা মাত্রা ছাড়িয়ে যেতেই পারে। মাত্রা ছাড়ালে তা কোন পর্যায়ে যায় তা আমি জানি। যত্তসব X( X((

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৯

সাদাত হোসাইন বলেছেন: গতকাল রাত থেকেই ফেসবুকে একটি খবর সবাই সেয়ার করেছেন “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আই.টি. - ১ম বর্ষের একজন ছাত্রীকে জাহানারা ইমাম হলের সিনিয়র আপুরা র‍্যাগ (rag) দিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেছে।” প্রমাণ সহ বলতে পারি এই খবরটি সম্পূর্ণ একটই গুজব ছাড়া আর কিছুই না।

জা.বি’র একজন বর্তমান ছাত্র আমি, আমি যখন গতকাল রাতেই এই খবর শুনতে পাই সাথে সাথেই খবরের সত্যতা অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেছি। এবং আজ সকাল ১০ টা থেকে সশরীরে ক্যাম্পাসে থেকে এর সত্যতা সম্পর্কে অনুসন্ধান করেছি। এবং অনুসন্ধান করে জেনেছি এটি একটি গুজব। অনুসন্ধান প্রক্রিয়া এবং এটি যে একটি গুজব তাঁর প্রমাণ নিচে দিচ্ছি।

১. রাতে মাহাবুব হাসান ভাই প্রথম এই খবরের স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন এবং রাতেই আমি তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে ‘কথিত’ লাঞ্ছিত মেয়েটির নাম এবং রোল নাম্বার সংগ্রহ করেছিলাম। এবং রাতেই জাহানারা ইমাম হলে আমার সহপাঠী এবং জুনিয়র মেয়ের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করেছি মেয়ের পরিচয় গোপন রেখে। রাতে কিছুই জানতে পারিনি কারন তখন প্রায় মধ্যরাত।

২. আজ সকালে মাহাবুব ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে কথিত ভিক্তিম মেয়ের ‘কথিত’ ভাইয়ের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করি এবং তার সাথেও যোগাযোগ করি। কিন্তু সে এই ব্যাপারে আমার সাথে কথা বলতে নারাজ ছিলেন। তখনি সন্দেহ করছিলাম এটি একই গুজব।

৩. এর পর আমি যোগাযোগ করি জাহানারা ইমাম হলের হল সুপারের সাথে এবং প্রভোস্ট এর সাথে। জাহানারা ইমাম হলে আইটি- ১ম বর্ষের মাত্র দুইজন মেয়ে হলে উঠেছে। এবং সেই জুইজনের কেউই র‍্যাগের স্বীকার হয়নি এবং এই সম্পর্কে কিছুই জানে না। এবং পরবর্তীতে আমি হল সুপারের কাছে কথিত ভিক্টিম মেয়ের নাম বলেছি এবং হলের রেজিস্ট্রি খাতা খুঁজে জানতে পেরেছি, যেই মেয়ের নাম আমাকে বলা হয়েছে সেই নামের মেয়ে এখনো হলেই উঠেনি। সেখানে তাকে র‍্যাগ দেয়ার প্রশ্নই আসেনা। এখানে একটা ব্যাপার ক্লিয়ার করতে চাই- হলে প্রথম যেদিন কেউ উঠে সেদিনই একটা স্লিপের মাধ্যমে তাকে হলের রুম নাম্বার ঠিক করে দেয়া হয়, অর্থাৎ সেই নামের কেউ হলে উঠে থাকলে সেটার প্রমাণ তো থাকবেই। এখানেও প্রমান হয় ঘটনা গুজব ছাড়া কিছুই না।

৪. এর পর আমি যোগাযোগ করি ‘ব্লগার শারমিন রেজওয়ানা’ আপুর সাথে। তিনিও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্রী। তিনিও গতকাল রাত থেকে ভার্সিটির ‘এসিস্ট্যান্ট প্রোক্টর’ এর সাথে যোগাযোগ করেছেন, এবং জাহানারা ইমাম হলের দুই জন হল সুপারের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তিনিও এই ঘটনার কোনও সত্যতা খুঁজে পান নি। অর্থাৎ এটি একটি গুজব ছাড়া আর কিছুই না।

৫. সব শেষ যখন আমি নিশ্চিত হলাম এটি একটি গুজব, তখম আমি আবার সেই ‘কথিত ভিক্টিম’ মেয়ের কথিত লতায় পাতায় ভাইকে (কাজিন) ফোন করেছি, যার মাধ্যমে মাহাবুব ভাই এই ব্যাপারে জেনেছিলেন। সেই কথিত ভাইকে ফোন করে ঝাড়ি দেয়ার পর তিনি নিজে আমাকে বলেছেন, “সরি ভাই, আমি পুরো ব্যাপারটার জন্য দুঃখিত। আমার ভুল হয়ে গেছে। আর কখনো এমন কাজ করবো না।” সব শেষে আবারো প্রমাণ হয় এটি একটি রটানো গুজব।

অনেকেই দেখলাম সকালে ফেসবুকে বলেছেন, ভিক্তিম মেয়েটি নিরাপদে আছে বলে ভার্সিটির ভিসি আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, ভিসিকে মেয়েটির নাম ধাম, রোল নাম্বার কিছুই জানানো হয়নি। এক্ষেত্রে ভিসি কিভাবে আশ্বস্ত করেছেন যেখানে ভিক্টিমেরই কোনও খবর তিনি জানেন না, আর অস্তিত্ব নেই! এটিও একটি গুজব।

একটি অসাধু মহল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সব সময়েই খারাপ কথা গুজব আকারে প্রচার করে আসছে। জাবি প্রশাসন সব ধরণের অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে সোচ্চার। আর র‍্যাগিং নামক কুপ্রথা ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আরো বেশি সোচ্চার। ক্যাম্পাসের প্রতিটি ভবনে , মূল গেইটে র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে অভিযোগ কয়ার জন্য প্রক্টর, মহিলা প্রোক্টর এবং প্রশাসনের ফোন নাম্বার পোস্টারিং এর মাধ্যমে দেয়া আছে। একটি মাত্র ফোন করলেই দ্রুততম সময়ে র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়। সেখানে এমন র‍্যাগিং কখনোই হওয়া সম্ভব না। বিগত কয়েক বছর ধরেই র‍্যাগিং নামক অসামাজিক কাজটি একেবারেই বন্ধ আছে।

সব শেষে বলব, গুজবে কান দিবেন না। এবং গুজব ছড়িয়ে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবেন না। গতকাল রাতে যিনি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তিনি ইতোমধ্যে ডিস্ক্লেইমার ও দুঃখ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আর তিনি বলেছিলেন “প্রথমে র‍্যাগিং দিয়ে শুরু হলেও পরে ভার্সিটির বড় ভাই/নেতাদের মনোরঞ্জনে শরীরটাও বিকিয়ে দিতে হয় টিকে থাকতে হলে।" এতি সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। গত ৪১ বছরের ইতিহাসে জাবিতে এমন কিছুই হয়নি। বরং আমি নিশ্চিত করতে পারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র জুনিয়রের মাঝে যে সুসম্পর্ক বিরাজমান টা দেশের অন্য কোনও ভার্সিটিতে পাওয়া যাবে না। এই বিসয়ে গতকালকের স্ট্যাটাসদাতা দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষমা চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

আবারো বলছি, গুজবে কান দিবেন না। র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলুন। র‍্যাগিং প্রতিরোধ করতে জাবি যেমন বদ্ধ পরিকর তেমনি ভাবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও যেন ব্যাবস্থা নেয়া হয় সেই আশা করছি।


Click This Link

**আর কথা বোঝার মতো বুদ্ধি বৃত্তিক স্তর পুরু না হলে চুপ থাকবেন, ওটাই শ্রেয়, না হলে, নিজেকেই নিজ 'যত্তসব' বানাবেন.।

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪

শাহ মো. আরিফুল আবেদ বলেছেন: বুঝস না, শিবির এই গুজব ছড়াইছে। ঢাবি আর জাবি'তে ওদের ভাত নাই, তাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.