নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম \'বোধ\'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবি

সাদাত হোসাইন

লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম 'বোধ'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবিতে...

সাদাত হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সে

১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

হাসানের হাতের ভেতর শীলার হাত।



শীলা হাত ছাড়িয়ে নেয়। তার ব্যাগের ভেতর ফোন বাজছে। ব্যাগ থেকে ফোন বের করে শীলা। তার কপাল কুঁচকে যায়, আম্মুর ফোন এই সময়ে!’



ফোনটা ধরে শীলা। হাসান তাকিয়ে থাকে।



বুড়িগঙ্গার বাতাসে শীলার খোলা চুল উড়ছে। বাতাসে বুড়িগঙ্গার তীব্র কটু গন্ধ। হাসান অবশ্য এই গন্ধ টের পায় না। সে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তার সামনে দাঁড়ানো পরী মেয়েটার দিকে। এই মেয়েটাকে সে যে কি অসম্ভব ভালোবাসে!



কিন্তু সমস্যা হলো শীলার সাথে তার প্রায় দেখাই হয় না। দেখা হয় দু-তিন মাস পর একদিন। আজ সেই দু-তিন মাস পরের একদিন। গতকাল রাজশাহী থেকে শীলা ঢাকায় এসেছে। তার ইন্টার্নি চলছে। মেডিকেলে ইন্টার্নি মানে রাত-দিন একাকার। তারপরও সময় পেলেই ঢাকায় ছুটে আসে শীলা। হাসান এই একটা দিনের জন্য তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায় থাকে।

কিন্তু এই একটি দিন শীলা কাকে দিবে? মা, বাবা না হাসানকে?



হাসানের শীলাকে সারাদিন চাই। সে শীলাকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিকশায় ঘুরতে চায়, টিএসসি, রবীন্দ্র সরোবর, ক্রিসেন্ট লেকে ঘুরে বেড়াতে চায়। কিন্তু মা-বাবাকে কি করে বোঝাবে শীলা? তারাও যে শীলার অপেক্ষায় দিন গুনে কাটান।

শীলার হয়েছে শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা!



আর হাসানের জন্য নতুন আপদের নাম রেজা। রেজা শীলার খালাতো ভাই। এই ছেলে থাকে আমেরিকায়। বড় চাকরী করে সেখানে। শীলার জন্য সে পাগল। শীলার বাবা-মাও চান রেজাকে বিয়ে করে ফেলুক শীলা। সেই ছেলে দেশে এসেছে এবার। এবারই কিছু একটা করে ফেলতে চায় সে। শীলার মায়ের একধরনের সিজফ্রেনিয়া আছে। তার আচরণ অনেকটা বাচ্চাদের মতো। যা চান, তাই করতে হবে। ডাক্তাররাও স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, পারলে যেন তার কোন ইচ্ছার বিরুদ্ধে না যাওয়া হয়। এই নিয়ে হাসানের ভিতর তীব্র এক ভয় কাজ করে। শীলা যদি মায়ের কথা রাখতে গিয়ে রেজাকে বিয়ে করে ফেলে!

এই পর্যন্তই। এর বেশি কিছু ভাবতে পারে না হাসান। সে জানে, চালচুলোহীন তার কথা শীলাদের বাসায় কেউ জানলে রীতিমত কুরুক্ষেত্র হয়ে যাবে।



শীলা ফোনটা কাটে। তার মুখে চিন্তার ছাপ।



‘আম্মুর ফোন।’ অনেক দ্বিধা এবং সঙ্কোচ নিয়েই বলে শীলা। ‘আম্মুর ডাক্তারের কাছে এপয়েন্টমেন্ট আছে। সাথে রেজা ভাইও আছে কিন্তু আমাকে ছাড়া যেতে ভয় পাচ্ছে আম্মু।’



হাসান যা আশঙ্কা করেছিলো তাই। তার কেন যেন মনে হচ্ছিলো ফোনটা রেখেই শীলা বলবে তাকে যেতে হবে। ইদানীং এই জিনিসটা তার হয়। সে একধরনের ইনসিকিউরিটিতে ভোগে। তার মনে হয় শীলা হুট করে এক দিন চলে যাবে। আর ফিরে আসবে না। সে ফোন করে দেখবে শীলার ফোন বন্ধ। সেই বন্ধ ফোন আর কোনদিন খুলবে না। হাসানের দম বন্ধ হয়ে আসে। সে আর ভাবতে পারে না।



তারা বুড়িগঙ্গা ব্রিজের এখানে এসেছে দশ মিনিটও হয় নি। আর শীলা বলছে তাকে এখুনি যেতে হবে। শীলা চাইলেতো আন্টিকে কোন একটা অজুহাতে না-ও করে দিতে পারতো। করলো না কেন তাহলে?

ওহ্। তাহলে কি আন্টির সাথে রেজা আছে বলেই?

রাগে হাসানের মাথা ঝিমঝিম করছে। কিন্তু সে কিছুই বলতে পারছে না। বিষয়টা শীলার মায়ের অসুস্থতা নিয়ে। সে অনেক কষ্টে রাগটা চেপে যায়। হাসান বোঝে না, ডাক্তারের কাছে যেতে হলে শীলাকে কেন দরকার? আন্টির সাথে গাড়ী আছে, ড্রাইভার আছে, সাথে রেজাও আছে। অনায়াসে ডাক্তারের কাছে চলে যাওয়া যায়। শীলাকে কেন দরকার আসলেই বোঝে না হাসান। শীলাতো আজ ঢাকায় নাও থাকতে পারতো, তাহলে?



‘আচ্ছা, যাও।’ হাসান নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।



শীলা হাসানের কাছে এসে গা ঘেঁষে দাঁড়ায়। তারপর ব্রিজের রেলিঙের উপর রাখা হাসানের হাতখানা আলতো করে ছুঁয়ে দেয়। হাসান তাকিয়ে আছে দূরে। নৌকাগুলোকে বিন্দুর মতো মনে হয়। ছুটন্ত একেকটা বিন্দু।



‘সরি।’ শীলা হাসানের হাতখানা শক্ত করে ধরে। ‘কি করবো বলো, আম্মু এমন করে বললো। তাছাড়া তুমিতো জানোই, আম্মু সবকিছুতে কেমন ভয় পায়। আমি কবে আসবো, সেই অপেক্ষায় সব কাজ ফেলে রাখে। ডাক্তারও দেখায় না।’



‘সমস্যা নেই। তুমি যাও।’ হাসান চেষ্টা করেও নিজের কণ্ঠ স্বাভাবিক রাখতে পারে না। ‘সবাই তোমার অপেক্ষায় থাকে, কেবল আমি থাকি না। আমি ছাড়া আর সবার অপেক্ষার দাম তোমার কাছে আছে।’ শীলা অবাক হয়ে হাসানের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিছু বলে না।



হাসান চেঁচায়, ‘আমার সাথে তোমার থাকারই দরকার নাই। তিন-চার মাসে একবার দেখা হয় না, রাত-দিন তোমার কাজ কাজ আর কাজ। এক-দু’মিনিট ফোনে কথা বলারও সময় হয় না তোমার। যখনই ফোন দেই তখনই হাসপাতাল, তখনই ডিউটি, রোগী, ওয়ার্ড, এডমিশন। তিন-চার মাস পরে একদিন দেখা হলেও তোমার দশ মিনিট সময় হয় না। যাও তুমি। দরকার নাই আমার কাউকে।’



চারপাশে লোকজনের ভীড় জমতে শুরু করেছে। ঢাকা শহরের লোকজনের মনে হয় কাজ-কাম খুব একটা নেই। এরা মজা দেখতে পছন্দ করে। সব জায়গায়ই মজা খুঁজে বেরায়। শীলা হাসানের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।



হাসান তারস্বরে চিৎকার করে, ‘কি দিয়েছো তুমি আমাকে? আমি কিছু বলি না দেখে তোমার বাড় বেড়ে গেছে। আমিতো একটা গাধা। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে, কবে চলে যেতো। তারপরও তোমার কোন স্যাটিসফেকশন নাই। তুমি ভেবেছো আমি কিছু বুঝি না, না? আমি সব বুঝি, সব। আমি দেখে এখনো আছি। অন্য কেউ হলে...।’ হাসান থামে। চারপাশের ভীড়ের দিকে তাকায়। কিন্তু তার মাথায় তখন আগুন। সে চিৎকার করতে থাকে, ‘আমি সব বুঝি, তুমি এখন আর আগের তুমি নেই। আমি সব টের পাই। সব। রেজাকে বিয়ে করবা তাইতো? অনেক টাকা, অনেক। আমি বুঝি, আমি জানি...।’



হাসানের কথা শেষ করার আগেই পেছন ফিরে হাঁটা শুরু করে শীলা। ভালো ভীড় জমে গেছে চারপাশে। ঘেন্নায়, অপমানে গা রি রি করছে শীলার। কি ভেবে আবার ফিরে তাকায় সে। তারপর হাসানের দিকে আগায় দু’পা।



‘আর কখনো আমাকে ফোন দিবে না, কখনো না। কোন ধরনের যোগাযোগ করার চেষ্টা করবা না।’ দাঁতে দাঁত চেপে কথাগুলো বলে শীলা।

তারপর ভীড় ঠেলে হনহন করে হেঁটে চলে যায়।



২.

হাসান ঝিম মেরে বসে আছে মেসের বারান্দায়।



গ্রীলের ফাঁক দিয়ে সামনের অন্ধকার রাস্তাটা দেখা যায়। গলির রাস্তার পাশেই দোতলা মেস। উঁচু পাচিল দিয়ে ঘেরা। মেসের ঢোকার গেটের কাছে একটা ল্যাম্পপোস্ট। ল্যাম্পপোস্টের লাইটটা সম্ভবত নষ্ট। জায়গাটা অন্ধকার হয়ে আছে। দুপুরের ঘটনার পর থেকে আর ফোন করে নি শীলা। একটা এসএমএস করেছিলো মোবাইল ফোনে,- ‘আই হেট ইউ এন্ড এভরিথিং ইজ ওভার।’ হাসানও রাগের মাথায় জবাব দিতে ছাড়ে নি। কিন্তু ঘন্টা দুই যেতে না যেতেই হাসানের হাসফাস লাগতে থাকে। শীলাকে ছাড়া থাকতে পারে না সে।

শীলা কি তাহলে সত্যি সত্যি...?



আর ভাবতে পারে না হাসান। শীলাকে ফোন দেয়। শীলা ফোন ধরে না। ‘সরি’ লিখে এসএমএস করে, কোন রিপ্লাই নেই। এক বার দু বার তিন বার। শীলা ফোন ধরে না। হাসান ফোন দিতেই থাকে। দিতেই থাকে। শীলা ফোন ধরে না। হাসানের বুকের ভেতরটা কেউ খামচে ধরে। যেন শ্বাস নিতে পারে না। সন্ধ্যা সাতটার দিকে হঠাৎ ফোন বন্ধ করে ফেলে শীলা। হাসানের পুরো পৃথিবীটা যেন কেঁপে ওঠে। শীলা কি আর কোন দিন ফোন খুলবে না! আর কখনো শীলাকে দেখতে পাবে না সে! হাসানের মাথা আর কাজ করে না।

শীলাকে ছাড়া সে থাকবে কিভাবে? কিভাবে?



সেই থেকে ঝিম মেরে বসে আছে হাসান। চারপাশটা কি অর্থহীন মনে হয় তার কাছে। দমবন্ধ লাগে। বুকের ভেতর কেমন অদ্ভুত এক অনুভূতি হতে থাকে। গলার কাছে এসে দলা পাকিয়ে আঁটকে থাকে কান্না। কিছু ভালো লাগে না হাসানের। শীলাকে ছাড়া থাকতে পারবে না সে। কখনোই না। কখনোই না।

শীলা কি পারবে?



হাসান জানে না। কিচ্ছু জানে না। জানতেও চায় না। সে কেবল শীলার কণ্ঠ শুনতে চায়। শীলা যত ইচ্ছা বকুক, যা ইচ্ছা তাই বলুক, সে কেবল শীলার গলা শুনতে চায়। তার মনে হয় অনন্তকাল সে শীলার কণ্ঠ শোনে না। শীলা কি তাহলে রেজাকেই বিয়ে করে ফেলবে? সে কি এখন রেজার সাথে গাড়িতে করে ঘুরছে? টিএসসি, রবীন্দ্র সরোবর, ক্রিসেন্ট লেক? কিংবা হুড তোলা রিকশায়? হাসানের গলা শুকিয়ে আসে। বুক ধড়ফড় করে। সে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। রুমে কেউ নেই। সে শীলার বাসাও চেনে না। কি করবে সে?



এই সময় ফোনটা কেঁপে ওঠে। শীলার মেসেজ! রুদ্ধশ্বাসে মেসেজ বক্সে ঢোকে হাসান। কি লিখেছে শীলা?



শীলা লিখেছে, ‘তোমার ধারণা সত্যি। আমি তোমার সাথে আর সম্পর্ক রাখতে চাই না। তোমার বাসার সামনে আমাদের ড্রাইভার দাঁড়িয়ে আছে। ওর কাছে আমাকে দেয়া তোমার কিছু জিনিস পাঠিয়ে দিলাম, নিয়ে নিও। আর চাইলে তুমিও কিছু দিয়ে দিতে পারো। ভালো থেকো। শুভ বিদায়।’



কথাগুলো হাসানের বিশ্বাস হয় না। সে কি ভুল পড়ছে?

হাসান শীলাকে ফোন করে। কিন্তু শীলার ফোন আবার অফ। হাসান হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। সে আর কিছু ভাবতে পারে না। বুকের ভেতরটা শূন্য হয়ে যায়। শূন্য। একটা লোমশ নখওয়ালা জান্তব হাত যেন খামচে ধরে আছে তার হৃদপিন্ড। সে শ্বাস নিতে পারে না। ঝিম মেরে দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে থাকে।



হঠাৎ গ্রিলের ফাঁকে অন্ধকার রাস্তায় সাদা গাড়িটা খুব চোখে লাগে হাসানের। শীলার ড্রাইভার অপেক্ষায় আছে। ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ায় সে। এলেমেলো পায়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামে। হাসানের হাতে একটা নীল পাঞ্জাবী আর ভাঁজ করা চিরকূট। সে গেট দিয়ে রাস্তায় নামে।



অন্ধকার রাস্তা। সাদা গাড়িটাটা সামনেই। হাসান সামনে আগায়। কিন্তু গাড়ীর ভেতরটা ফাঁকা। কেউ নেই। ড্রাইভারটা গেলো কোথায়?

হাসান ডানে-বায়ে খোঁজে।

নেই।

সে গেটের কাছে গিয়ে উঁচু দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়ায়। আকাশের দিকে তাকায়। বুকের ভেতরটা কেমন শূন্য লাগে। একা। অবশ। আকাশভর্তি তারা। ছোট। বড়। অজস্র তারা। হাসান একটা একটা করে তারা গোনে। কিন্তু তার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। তারাগুলো সব মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়।



হঠাৎ পেছনের অন্ধকার থেকে কেউ একজন হাসানের শার্টের কলার চেপে ধরে। তারপর এক টানে টেনে নেয় উঁচু পাচিলের গা ঘেষে অন্ধকার কোনে। সটাৎ সটাৎ বৃষ্টির মতো চড় পড়তে থাকে হাসানের ভেজা গালে। ঘুটঘুটে অন্ধকারে হাসান কিছু দেখতে পায় না। সে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পাচিলের সাথে। একজোড়া নরম ঠোট হুট করে ডুবে যায় হাসানের ভেজা ঠোটে।

শুষে নিতে থাকা কান্না, অভিমান, ক্রোধ, সংশয়। সব। সবকিছু। শীলাকে শক্ত হাতে বুকের সাথে চেপে ধরে হাসান। নিঃশব্দ। আরো জোরে। আরো। শীলা টুপ করে হাসানের কপালে চুমু খায়।



তারপর ফিসফিস করে বলে, ‘তুই এমন গাধা ক্যান?’

হাসান কথা বলে না, চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। নিঃশব্দ।



সে জানে, সে এমন গাধা হয়েই থাকতে চায়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

সাব্বির ০০৭ বলেছেন: আহারে! বেচারা!
সৌভাগ্যবান বেচারা!! ;)

২| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২৯

সাদাত হোসাইন বলেছেন: :P

৩| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩৯

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ভাল লেগেছে গল্প।

৪| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ!

৫| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

অিপ পোদ্‌দার বলেছেন: +++++++++++++++++

৬| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। অনেক।

:)

৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

ইমরান নিলয় বলেছেন: :)

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

সাদাত হোসাইন বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.