![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম 'বোধ'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবিতে...
আমাদের ছেলেবেলায় পাঠ্য বইয়ের ছবিগুলো ছিল অসাধারণ! ছবিগুলো ছবির মতই। কি যে অসম্ভব সুন্দর! বুকের ভেতর কোথায় যেন তিরতির করে ছুঁয়ে দিত নরম বাতাস। আজকাল কারা বাচ্চাদের বইয়ের ছবি আঁকেন জানিনা, তবে এসকল ছবিতে প্রাণ নেই, অনুভূতি নেই, সেই তিরতির ছুঁয়ে যাওয়া নরম বাতাসও নেই! সেদিন ছোটবোনের বই ওলটাতে গিয়ে দেখি ভেতরের ছবিগুলোয় কারো হাতের চেয়ে মাথা বড়, গাছের চেয়ে পাতা বড়, ডালের চেয়ে পাখি বড়! একটা বেখাপ্পা কার্টুন কার্টুন ভাব!
অবশ্য আজকাল কার্টুনেরই যুগ।
আমরা গাওগ্রামে বেড়ে উঠেছি বলেই কিনা কার্টুন সংক্রান্ত বিষয়ে ছিলাম পুরোপুরি অন্ধকারে। ইউনিভার্সিটি ফার্স্ট ইয়ারে কিনশিপ ক্লাশে একদিন ফারজানা ম্যাম বলছিলেন, তিনি এখনও টম এন্ড জেরী দেখেন। শুনে ক্লাস সুদ্ধ আমার সহপাঠীরাও যেন আবেগাপ্লুত হয়ে পরলেন,-‘জানেন ম্যাম, এখনও টিভিতে টম এন্ড জেরি শুরু হলে, রিমোট নিয়ে আব্বু আম্মুর সাথে মারামারি লাগিয়ে ফেলি, কতদিন রাগ করে যে ভাতও খাইনি’। আমি তখন ভ্যাভ্যাভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বসে ছিলাম। কারণ, টম এন্ড জেরী বলতে আমি ভেবেছিলাম, আমাদের এইচএসসি ইংরেজি পাঠ্য বইয়ে ‘মাদার ইন ম্যানভিল’ গল্পের জেরী। তখন পর্যন্ত আমার পৃথিবীতে জেরী নামক প্রানী ওই একজনই, সেই গল্পের 'মা-হারা' পিচ্চি জেরী। কিন্তু সেখানে টম কোথায়? অনেক খুঁজে টুজে অবশ্য টম একজন পেয়েছিলাম, তিনি হচ্ছেন ‘আঙ্কল টম’স কেবিন’ গল্পের আংকল ‘টম’! এদের তাহলে টিভিতেও দেখা যায়!! পরে অবশ্য বুঝেছিলাম, এই টম-জেরী সেই টম এন্ড জেরী নহে!
বাচ্চাদের ন্যাশনাল কারিকুলাম বোর্ডের টেক্সট বইয়ের গল্প কবিতার ছবিগুলো দেখে ভেতরে ভেতরে চূড়ান্ত রকম অস্বস্তিকর ফিলিংস হতে থাকে। কিছুতেই দূর করতে পারিনা। গ্রাম থেকে শহর অবধি ছেলে মেয়েরা এখন টম এন্ড জেরী চেনে। শুধু চেনেইনা, এইসকল কিছু খায়, ঘুমায়, স্বপ্ন দেখে। ডোরেমন কার্টুনের ছবিওয়ালা ব্যাগ না হলে তারা স্কুলে যাবেনা। বাচ্চাদের কি দোষ? আমরা না হয় ঠাকুর মা'র ঝুলি পড়েছি, কিন্তু প্রযুক্তি যেখানে সময়ের প্রয়োজনে আগাচ্ছে, আমরা সেখানে কই?
ঠাকুরমার ঝুলির কিছু কার্টুন এনিমেশন দেখলাম, ভালো উদ্যোগ ভেবে বাহবাও দিলাম, কিন্তু যারা দেখবে, তারা কিন্তু আমরা না। তারা এ যুগের বাচ্চা। চাইলেই এদের 'ছেলেভুলানি' গান শুনিয়ে ঘুম পারিয়ে রাখা যাবেনা। অমন আনাড়ি গ্রাফিক্স আর এনিমেশন তারা কেন দেখবে! টিভির রিমোট ঘুরালেই তারা দুর্দান্ত এনিমেশন দেখে, গ্রাফিক্স দেখে, মুভমেন্ট দেখে- টম এন্ড জেরী, বেনটেন, স্পাইডার ম্যান আরও কি কি যেন!! আর আমরা গ্রাফিক্স এনিমেশন দূরে থাক, অসাধারণ সব ছবিগুলোর বদলে টেক্সট বইখানাও এ কি দিয়ে ভরিয়ে ফেলছি! নদীর দেশ, মাঠের দেশ, গ্রামের দেশ বাংলাদেশকে এই শেকরহীন নতুন প্রজন্ম কি করে চিনবে? কোথায় চিনবে?
আমাদের ছেলেবেলায় টেক্সট বইয়ের ছবিগুলো সম্ভবত হাশেম খান কিংবা কাইয়ুম চৌধুরীর আঁকা। বইয়ের বেশিরভাগ গল্প কবিতাই ছিল গ্রামের। ছবিগুলোও। হয়তো সেকারনেই আমরা মুগ্ধ হয়ে দেখতাম। কমলাফুলির ছবি, সফদার ডাক্তার, মামাবাড়ির পুকুর ভর্তি মৃগেল মাছ, আসমানিদের রসুলপুরের ছোট্ট বাড়ি, খেয়াঘাটের বিশাল বট, পরিশ্রান্ত পথিক আর শান্ত নদীতে ঘুমের মতন নিঃশব্দে বয়ে চলা পাল তোলা নৌকোর সারী... চোখের সামনের রোজকার পৃথিবীটা কেমন করে এমন ছবি হয়ে চলে এলো বইয়ের পাতায়, কি যে অবাক হতাম ভেবে!
ক্লাস থ্রী কিংবা ফোরে চমৎকার এক ছড়া ছিল-, ‘‘বিষ্টি এলো কাশবনে, লাগলো সারা ঘাসবনে, বকের সারি কোথায়রে...” গোটা গোটা হরফে লেখা ছোট্ট ছড়াটার পটভূমিকায় পুরো পৃষ্ঠা জুড়ে থাকতো বৃষ্টির ছবি। বাতাসে হেলে পড়া কাশবনে চরাচর ভেসে যাওয়া বৃষ্টি। সাদাকালো ছবিতে যেন বুকের ভেতর জুড়েও নামতো বৃষ্টির ঢল, যেন মেঘ কালো মেঘে আঁধার নেমে আসে বইয়ের পাতায়। বাতাসে তেরছা হয়ে পড়া সেই বৃষ্টির ছাঁট থেকে বাঁচতে কলশি কাঁখে ছুটে যায় পল্লীবধূ, অবাধ্য গরুর পালের পেছনে ছোটে কৃষক। বৃষ্টির ফোটায় যেন টুপ টুপ খই ফোটে বর্ষার ভরা গাঙে, সে গাঙে ভেসে যায় পাল তোলা নাও... হাঁসেদের দল। আহা আমার দেশ!
ছবিগুলো কেমন করে যেন আমাদের ভিজিয়ে দিত বৃষ্টিতে! আসলে ছবিগুলো যারা একেছিলেন, সেখানে 'কল্পনার সব রঙ' নয়, ছিল জীবনের সব রঙ। আমাদের জীবন, আমাদের গাও, আমাদের নদী, আমাদের বৃষ্টি, আমাদের কাশবন, আমাদের জলে ভরা গাঙে পাল তোলা নৌকার সারী।
সেদিন ছোট বোনের বই দেখে রীতিমত আঁতকে ওঠার দশা। বইয়ের পাতায় পাতায় কি হাস্যকর সব ছবি, সে ছবিতে প্রাণ নেই, চিন্তা নেই, জীবন নেই। নৌকার মাঝির সাইজ যেন নৌকার সমান, কখনো কখনো নদীও খানিকটা ছোট লাগে পাল তোলা নৌকোর কাছে। গরু ছোট করে বাছুর আঁকার চেষ্টা।
কিন্তু গরু ছোট করে আকলেই কি বাছুর হয়?
বিলম্বে হলেও আমি যেমন বুঝেছিলাম, এই টম-জেরী সেই টম এন্ড জেরী নহে!
তেমনি সর্বক্ষেত্রে যাহা লাউ, তাহাই কদু নহে...
১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ইয়েস। আপনি আরও একটি অসাধারণ ছবির স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।
ভাবলেই কি এক অদ্ভুত শিহরণ ছুঁয়ে যায়। বোঝানোর ভাষা জানা নেই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
২| ১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
পথহারা সৈকত বলেছেন: কিন্তু গরু ছোট করে আকলেই কি বাছুর হয়?
১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
সাদাত হোসাইন বলেছেন: হ্যা, এই প্রশ্ন আমারও।
কিন্তু জবাব কোথায়? জবাব কে দিবেন?
৩| ১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পোস্টে ঝাঁ ঝাঁ +++++++++++
১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০০
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ঝাঁ ঝাঁ ধন্যবাদ।
৪| ১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা পোষ্ট!! ভালো লাগল।
১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২১
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালবাসা।
ভালো থাকবেন।
৫| ১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
মুক্তকণ্ঠ বলেছেন: ভালো লেগেছে।
১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
৬| ১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: মজা হইছে সাদাত। +।
১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।
আছো কেমন?
৭| ১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সাধু সাধু!!!
সুন্দর পোস্ট!
১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০০
সাদাত হোসাইন বলেছেন: সাধু! সাধু!
ধন্যবাদ।
৮| ১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
চোখের পলক বলেছেন: + উপলব্ধি মূলক পোস্ট ++
১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ঠিক তাই।
কিন্তু জবাব তো খুঁজে পাইনা।
৯| ১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
বোকামন বলেছেন:
শিরোনামেই প্রশ্ন !
শুধু কী ছোট বোনের বইতে জীবনের রঙ নেই !
আমাদের আশপাশ সব আজ যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে। বাস্তবতা এড়িয়ে কল্পনার রঙে আবৃত করতে চাচ্ছি সবকিছুই ....
গরু ছোট করে আঁকলেই বাছুর হয় কীনা জানিনা। তবে যেন অন্তত হাতে কলমে ঐ প্রচেষ্টা অন্তত টিকে থাক ......
পোস্টে ভালোলাগা রেখে গেলুম।
১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
শুভকামনা।
১০| ১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
ভাল্লুক আকবর বলেছেন: পোস্টে ভালোলাগা
১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
১১| ১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
পথ-হারা এক পথিক বলেছেন: অসাধারন। চরম কিছু সত্য তুলে এনেছেন। ++++
১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
শুভকামনা।
১২| ১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
তিক্তভাষী বলেছেন: ১৯ চৈত্র, ১৩০২ সনে কবিগুরু লিখেছিলেন-
দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর,
লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর
হে নবসভ্যতা! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী,
দাও সেই তপোবন পুণ্যচ্ছায়ারাশি,
গ্লানিহীন দিনগুলি, সেই সন্ধ্যাস্নান,
সেই গোচারণ, সেই শান্ত সামগান,
নীবারধান্যের মুষ্টি, বল্কলবসন,
মগ্ন হয়ে আত্মমাঝে নিত্য আলোচন
মহাতত্ত্বগুলি। পাষাণপিঞ্জরে তব
নাহি চাহি নিরাপদে রাজভোগ নব--
চাই স্বাধীনতা, চাই পক্ষের বিস্তার,
বক্ষে ফিরে পেতে চাই শক্তি আপনার,
পরানে স্পর্শিতে চাই ছিঁড়িয়া বন্ধন
অনন্ত এ জগতের হৃদয়স্পন্দন।
আজ ০৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২০ সন। ১১৮ বছর পরও আমরা সেই একই কথা বলছি।
১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
সাদাত হোসাইন বলেছেন: হয়ত চলতেই থাকবে। চলতেই থাকবে।
১৩| ১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ্চমতকার লিখেছেন ...
কোথায় হারিয়ে গেল সেই সব মন ছুয়ে যাওয়া লেখা...
১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: সত্যি তাই।
বুকের ভেতরটা আঁকুপাঁকু করে। প্রশ্নগুলো ঘুরে বেড়ায়।
কোথায় হারিয়ে গেল সেইসব লেখা? ছবি?
১৪| ১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার কথা !!
+++
১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫| ১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
আ.আ.আজাদ বলেছেন: আমরা নিজেরাই আমাদের নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করছি। আমার মনে হয় এর জন্য আমাদের একদিন পস্তাতে হবে।
১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ঠিক তাই।
সময় এখুনি।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৬| ১৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
রাইসুল সাগর বলেছেন: হা হা। অনেক অনেক ভালোলাগা রইল। শুভকামনা জানিবেন সব সময়। ভালো থাকুন।
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আপনিও।
শুভ কামনা।
১৭| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: স্মৃতিকাতর করে দিলেন ++++++++
ভালো থাকবেন
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪০
সাদাত হোসাইন বলেছেন: দোষতো ওই একটাই, সবসময় স্মৃতিকাতর হয়ে থাকি, আর সেইসব দিনগুলো কষ্ট দেয়।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
১৮| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৫
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: শিরোনামডা জোস হইছে
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪১
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ, শুভকামনা।
১৯| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১১
খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন । অনেক ভালো লাগলো। অনেক অনেক।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪২
সাদাত হোসাইন বলেছেন: খেয়াঘাট, অনুপ্রাণিত হবার মত মন্তব্য। ভালো লাগলো।
আর অনেক গুচ্ছ ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
শুভ কামনা।
২০| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
জিয়া চৌধুরী বলেছেন: আমাদের পড়া গুলো ছিল প্রাণবন্ত, জীবন্ত, বাস্তবমূখি।
কাল্পনিক কাটূর্ন কমিকস আমরা পড়িনি।
আমরা পড়ার মধ্যে দিয়ে পিতামাতার সম্মান, শিক্ষাগুরুর মর্যাদা, মামা মামীর নানা নানীর ভালবাসা ইত্যাদি শিখতাম।
সেদিন কি আর আছে?
১। দুধ দই ছানা০ আম আনে নানা
২। মামীর হাতে দুধ ভাত
খেতে ভারী মিঠে
ঘরে আছে ভাপাপুলি
পাটিসাপটা পিঠে
৩। আজি হতে চিরউন্নত হলো শিক্ষাগুরুর শির
সত্যি তুমি মহান উদার বাদশা আলমগীর
৪। মনে করো যেন বিদেশ ঘুরে
মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দুরে
৫। এক এক এক
ভোর হল দেখ
দুই দুই দুই
হাত মুখ ধুই
তিন তিন তিন
নাচে ধিন ধিন
চার চার চার
দেরী নয় আর
পাচ পাচ পাচ
হেসে খেলে নাচ
ছয় ছয় ছয়
নেই কোন ভয়
সাত সাত সাত
খাও দুধ ভাত
আট আট আট
কত ধান পাট
নয় নয় নয়
হবে হবে জয়
দশ দশ দশ
হবে নাম যশ।
এসব কবিতা ছড়া কি এখনও আছে?
জানি না।
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: জিয়া ভাই, মাথা পুরাই আউলা করে দিলেন। এখন সেইসব দিনে ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে, উঠানে পাটি পেতে বসে বাড়ি মাথায় তুলে চিৎকার করে পড়া। যাতে রাস্তার মানুষ শুনতে পায়, এবাড়িতে একটা ছেলে আছে, সে পড়াশোনা করে!!
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যের লেখাগুলো পোড়ে। ভালো থাকবেন ভাই। শুভ কামনা।
২১| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সুন্দর সাবলীল লেখনী। অনেক কথা মনে করিয়ে দিলেন।
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ নাজিম ভাই।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
২২| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৮
বৈরাম খাঁ বলেছেন: উফফ ফিরে জেতে চাই না সেই দিনে ++++++++
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:১৫
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ফিরে যেতে চান না!!
কি বলেন!!
আমিতো খুব চাই, খুব।
২৩| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:৩১
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
'নতুন বই পেলে প্রথমেই সবগুলো ছবি এক এক করে দেখা চাই।'
দিন গুলোর কথা মনে করিয়ে দিলেন।
অসাধারণ লিখেছেন ভাই।
++++
২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
সেইসব দিনের অনুভূতিগুলো আসলে আমাদের সবারই এক।
ভালো থাকবেন।
২৪| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:১৯
ভিটামিন সি বলেছেন: নতুন বই নিয়ে একটা খেলা খেলতাম। খেলাটা হলো একজন ধরবে জোড় পৃষ্ঠা তার, আর অন্যজনে বিজোড় পৃষ্ঠা তার। তারপর পৃষ্ঠা উল্টানো হতো, বুকের ভিতর মৃদু কম্পন। কোন পাতায় বেশি মানুষের ছবি (কার্টুন নয়)। যার পাতায় যতটা বেশি থাকবে সে তার প্রতিপক্ষকে ততটা কিল দিবে (জোরে নয়, আস্তে)।
সিংগ মামা, সিংহ মামা
করছো তুমি কি?
এই দেখো না কেমন তোমার
ছবি একেঁছি!!!
২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ইয়েস। মনে পড়ে গেল। হু আমরাও খেলতাম। ইশ। কি সব অসাধারণ মুহূর্ত।
২৫| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
মায়াবী ছায়া বলেছেন: চমৎকার লিখা ।
২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
২৬| ২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
বৈরাম খাঁ বলেছেন: কোথায় যাব বলেন? কিছু দিন আগে গ্রামে গিয়েছিলাম গিয়ে দেখি সব কিছু চেন্জ । সব চেয়ে মজার ছিল বর্ষাকাল। আমাদের গ্রামে একটা পুল ছিল বর্ষাকালের সময় সেই পুল দিয়ে পানির স্রোত বইত আমরা সেখান লাফিয়ে পড়তাম। সেই দিনগুলি ও আর নাই সেই আবেগ ও আর নাই
২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: আসলেই, সময় এবং বদল। অনিবার্য। কিন্তু কিছু বদল কিছুতেই মেনে নিতে ইচ্ছে হয় না।
এত কষ্ট হয়!
২৭| ২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
সোহাগ সকাল বলেছেন: সকাল বেলা মোবাইল থেকে পড়েছিলাম লেখাটা। তখন মন্তব্য করতে পারিনি। আপনার লেখাটা পড়ে একবার ছোটবেলা থেকে ঘুরে এসেছি। যখন সন্ধ্যা হলেই পাটি বিছিয়ে পড়ার ছলে আলিফ লায়লা দেখার জন্য মন আঁকুপাঁকু করতো, আর মায়ের হাতের ধুরুম-ধারুম কিলের চোটে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতাম! আর বইতে ছড়া-গল্পের ছবি দেখেই যেন তাদেরকে বাস্তব জীবনের কেও একজন মনে করতাম। এতটা জীবন্ত ছিল। নদীর ছবি দেখে তো ভাবতাম আমাদের এলাকার ইছামতি নদীটার ছবিই বুঝি বইতে দিয়ে দেয়া হয়েছে!
২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
সাদাত হোসাইন বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে আবার একবার হারিয়ে গেলাম। কখনো কখনো পুরোপুরি হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে, আর ফিরে আসতে ইচ্ছে করেনা। এই মুহূর্তে তাই মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, সেই বিছানো পাটির সন্ধ্যায় ছুটে যাই। আবার আওয়াজ করে পড়তে বসি। আবার বুকের ভেতর আলিফ লায়লার জন্য ধুকপুক শুরু হোক বুকের ভেতর।
কিন্তু, আর কখনো সেখানে যাওয়া হবেনা।
২৮| ২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
bakta বলেছেন:
নেই সুর নেই তাল
নেই কোন ছন্দ,
বই এর পাতাতে
কি জানি কি গন্ধ ।
নেই ছবির মাথা-মুন্ড
নেই কোন প্রাণ,
শিশু-পাঠ্য যেন আজ
খুবই ম্রিয়মান ।
আমাদের সে সময়ে
ছবির ই টানে,
পাঠ্যে লুকোত মুখ
ঘরের এক কোণে ।
ছবি টাই মনে গেঁথে
বুঝে নিতেম পড়া ,
তারাতারি হয়ে যেত
মুখস্থ সব ছড়া ।
ভেসে যেতেম দুর দেশে
দেখে সে সব ছবি,
কল্পনার দুরাকাশে
উঠিত এক রবি ।
------------------------
২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: নেই ছবির মাথা-মুন্ড
নেই কোন প্রাণ,
শিশু-পাঠ্য যেন আজ
খুবই ম্রিয়মান ।
চমৎকার!!
যেন আমার লেখাটিরই একটি ছন্দবদ্ধ রূপ।
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২৯| ২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
bakta বলেছেন: আপনার লেখাতেই যে আমারও সেই শিশু বয়েসের সেই সব ঘটনার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে - তাই লেখাটা পড়ে আর স্থির থাকতে পারলাম না ভাই ।
আপনার লেখাটাও দারুন হয়েছে ।
আপনিও সকলকে নিয়ে ভালো থাকুন এই কামনা করি ।
২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: শুভকামনা।
ভালো থাকবেন।
৩০| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লিখেছেন । বাংলা বইয়ের ইলাস্টেশন গুলো এত সুন্দর ছিলো, এখনো চোখের সামনে ভাসে ।
২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ঠিক তাই।
৩১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
এরিস বলেছেন: আমাদের বইগুলোতে চিত্রকর অনুভূতি দিয়ে আঁকতেন, এখনকার আর্টিস্ট টাকা দিয়ে আঁকেন।
লেখায় ভাললাগা জানবেন। প্লাস দিয়ে গেলাম।
১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ বলেছেন: ভ্রাতা পোস্ট পড়িয়া যাহার-পর-নাই পুলকিত হইলাম। আহা ! কী মধুর ছিলো সেইসব দিনগুলি।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: পাঠ্যক্রমের চরম বেহাল অবস্থা করে দিয়েছে।
শিরোনামটা মনে ধরছে
গরু ছোট করে আকলেই কি বাছুর হয়?
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
ভিটামিন সি বলেছেন: ভালো লিখেছেন। আমারও মনে পড়ে গেল ছিপখান তিনদার তিনজন মাল্লা,
চৌপর দিনভোর দেয় দুর পাল্লা।