![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম 'বোধ'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবিতে...
'ঝামেলা' জিনিসটা বরাবরই অপছন্দ আমার।
নানান উপায়ে চেষ্টা করি এই উপদ্রব এড়িয়ে চলার। কেউ একগালে চড় মারলে (রূপক অর্থে) নিস্পাপ হাসি দিয়ে বলি, 'ভাইয়া, হাতে ব্যাথা লাগেনাইতো!' চড়মারনেওয়ালা (যিনি চড় মেরেছেন) 'না' বললে বিগলিত হেসে আরেকগাল পেতে দেই,'তাহলে ভাইয়া আরেকটা মারেন, যতটুকু জোরে মারলে আপনি হাতে ব্যাথা পাবেন না, ততটুকু জোরেই মারেন, সমস্যা একটা অবশ্য আছে, আমার চাপা ভাঙ্গা, গালে মাংস কম, একটুতেই হাতে ব্যাথা পেতে পারেন।'
চড়মারনেওয়ালা পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে তাকিয়ে থাকেন। হাত উল্টে পালটে দেখেন, হাতে কোন সমস্যা নাইতো!
২।
আমি বেশ খানিকটা সনাতনি টাইপের লোক। আধুনিক অনেক কিছুতেই বিশেষ রকমের অনাস্থা। বিশেষ করে আধুনিক চিকিৎসা ব্যাবস্থা এবং ওষুধপত্রে ভীষণ আপত্তি। কিন্তু বাধ্য হয়েই প্রায়ই গিলতে হয়। তখন ইউনিভার্সিটিতে পড়ি। থাকি জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভারসিটির মীর মশাররফ হোসেন হলের ৪০১/এ রুমে। হলের পানির ট্যাংকির পানিতে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। হঠাৎ হলের অনেক ছাত্রেরই পেটের পীড়া দেখা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল এই খবর মিডিয়ায় চাউর হওয়ার ভয়ে দ্রুত অসুধ-পথ্য, ডাক্তারের ব্যাবস্থা শুরু করলো। আমি আমার সনাতনি বিশ্বাসে বাড়িতে ফোন দিয়ে আম্মাকে বললাম ঘটনা, আম্মা বলল, ‘থানকুনি পাতা থাকলে ওইটা ছেঁচে রস খা, অনেক তিতা আর একটু কেমন আঁশটে গন্ধ আছে, বমি পেতে পারে, তাই ভর্তা করে ভাতের সাথেও খেতে পারস। বা বড়া বানিয়েও খেতে পারস। অনেক উপকার’।
হলের পেছনে লতাপাতার বিশাল জঙ্গল। থানকুনি পাতা পেতে অসুবিধা হলনা, সমস্যা হচ্ছে, হলে এই পাতা কে আমাকে ছেঁচে রস করে দিবে? কিংবা ভর্তা করে দিবে? কিংবা বড়া করে দিবে? হয়তো চেষ্টা করলে ব্যাবস্থা একটা করা যেত! কিন্তু ঐযে, চীরকালীন ঝামেলা এড়িয়ে চলা আমি জঙ্গল থেকে থানকুনি পাতা তুলে পানিতে ধুয়ে সেই কাঁচা পাতা চোখ-নাখ চেপে ধরে ছাগলের মতো কচকচ করে খেয়ে ফেললাম। নিজেকে ঘাস-পাতা চাবানো দাড়িওয়ালা ছাগল মনে হচ্ছিল। কিন্তু ওষুধ পেটে যাওয়া বলে কথা, সে যেভাবেই খাওয়া হোকনা কেন!
বালাই সাট!
৩।
গত কিছুদিন আগে প্রবল জ্বর থেকে উঠেছি। কিন্তু গলার গোড়ায় সারাক্ষণ বিরক্তিকর খুশখুশে কাশি। সদ্য পাশ করা এক তরুনী ডাক্তারকে কথা প্রসঙ্গে বললাম। তিনি আমাকে চমকে দিয়ে কাশির সিরাপের নাম না বলে সেই সনাতনি এক চিকিৎসার কথাই বললেন। আমি যারপরনাই প্রীত বোধ করলাম। এই সনাতনি চিকিৎসা হোল আদা ছেঁচে আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে হবে! আবারো ঝামেলা! আমি ঝামেলার ধারে কাছ দিয়ে গেলাম না। আস্ত কাঁচা আদায় মধু মাখিয়ে কচকচ করে চাবিয়ে খেয়ে ফেললাম! আসলেতো খাওয়া বলে কথা!
বালাই সাট!
-----------------
কিন্তু বালাই এবার সাঁটলো বলে মনে হোল না, গলা, জীভ, বুক সব আদার ঝাঁঝে ঝাঝান্বিত হয়ে জ্বলে যাচ্ছে! আসলে ঝামেলা এমন এক জিনিস, আপনি তাকে ছাড়লেও সে আপনাকে ছাড়বেনা। সে আপনার জানে-জিগার দোস্ত! জনম জনমের বন্ধু!
জয় বাবা ঝামেলা! ঝামেলারা বেঁচে থাক...
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
সাদাত হোসাইন বলেছেন:
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: জয় বাবা ঝামেলা! ঝামেলারা বেঁচে থাক...
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
সাদাত হোসাইন বলেছেন: :পি
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ঝুট ঝামেলা, ঝামেলা