![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম 'বোধ'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবিতে...
- 'তোমার পাহাড় ভালো লাগে, না সমুদ্র?'
- 'মরুভুমি'।
- 'তোমার নীল ভালো লাগে, না লাল?'
- 'কালো'।
- 'তোমার ভোর ভালো লাগে, না বিকেল?'
- 'রাত'।
- 'তোমার জোছনা ভালো লাগে, না শীত সকালের রোদ?'
- 'আগুন।'
- 'তোমার ঝর্ণা ভালো লাগে, না বৃষ্টি?'
- 'বন্যা।'
- 'তুমি এতো অদ্ভুত কেন বলতো?'
- 'কেন? অদ্ভুত হব কেন?'
- 'এই যে, একটা উত্তরও অপশন থেকে বেছে নাওনি।'
- 'আমার যা উত্তর ছিল, তা ওখানে ছিল না বলে'।
- 'কিন্তু তাই বলে অমন অদ্ভুত সব উত্তর'!
- 'আমিতো মিথ্যে বলি নি, তুমি মিথ্যে উত্তর চাও?'
- 'না, তা চাই না। কিন্তু তোমার 'প্রিয়'গুলো এতো অদ্ভুত কেন?'
- 'অদ্ভুত!'
- 'নয়তো কি? পাহাড়-সমুদ্র নয়, মরুভূমি প্রিয়। লাল-নীল নয়, প্রিয় রঙ কালো। জোছনা কিংবা শীত সকালের রোদও নয়, আগুন তোমার প্রিয়! এমনকি ঝর্ণা কিংবা বৃষ্টি নয়, তোমার ভালো লাগে বন্যা! অদ্ভুত নয়?'
- 'মরুভূমি প্রিয় বলে অবাক হও? অথচ দেখো, তুমি-আমি-আমরা কত কাছাকাছি, অথচ প্রয়োজনে তুমি নেই, আমি নেই, আমরা কোথাও নেই। যেন খাখা ধুধু মরুভূমি। তুমি-আমি-আমরা সকলেই ভীষণ একা, একা এবং একা।'
- ‘তাহলে কালো রঙ কিংবা রাত্রী কেন?’
- ‘দরজা বন্ধ করা গাড় অন্ধকারের কালো রঙে মুখ গুঁজে ওই একা আমি-তুমি-আমরা কাঁদি, মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে একা আমি-তুমি-আমাদের সঙ্গী হয় ঘুটঘুটে কালো অন্ধকার। আর কেউ নেই, কেউ থাকে না। জীবনানন্দ পর্যন্ত বলে গেছেন, ‘থাকে শুধু অন্ধকার...’। তখন অন্ধকারে মুখোমুখি বসবার জন্য বনলতা সেনরা থাকতো, এখন ‘থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার কেউ থাকে না’। অথচ, কালো রঙ কিংবা অন্ধকার রাত প্রিয় বলে ভড়কে যাও! অদ্ভুত!’
-‘কিন্তু আগুন?’
- ‘বুকের ভেতর জমা হওয়া যে অজস্র শ্রান্তিহীন আক্ষেপ আর কষ্টেরা দগদগে কয়লার ঝাঁঝালো আগুন, ও আগুন বুক পেতে সইতে হয়। জোছনা কিংবা রোদ, সেতো কাব্যের রঙ। রোমান্টিসিজম। হাহ! আর আগুনে পুড়তে হয়। আঁচ দিয়ে দেখো, সোনা কত খাঁটি? তাছাড়া আগুন কত কাজে লাগে, দেখো দিব্যি সিগারেট ধরানো যায়! নিকোটিনে থামে কিছু অন্য আগুন। আহা!’
- ‘কিন্তু তাই বলে বৃষ্টি নয়, ঝর্ণা নয়, বন্যা?’
- ‘হ্যা বন্যা! তুমুল বন্যা। চরাচর, লোকালয় ভেসে যাওয়া দুকুলপ্লাবী বন্যা। বেঁচে থাকতে শেষ অবধি এইতো চাই। বন্যা, একটা সর্বগ্রাসী বন্যা। ওই বন্যায় ভেসে যাবে আমি-তুমি-আমাদের মাঝে জেগে ওঠা অদৃশ্য সেই একলা মরুভূমি, গাড় কালো অন্ধকার রাত, বুকের গহীনে জ্বলা দাউদাউ আগুন। সব ভেসে যাবে বন্যায়। পলি পড়ে জেগে উঠবে নতুন স্বপন। অন্ধকারে উকি দিবে আগামী সকাল আর ধুধু মরুতে সবুজ ফসল। আগামী জীবন। জীবনের গান।‘
- ‘আর?’
- ‘দু’চোখের বন্যায় ভেসে যাবে বুকের গরল। আবার ঊঠবে জেগে মানুষের মৃতপ্রায় অজস্র মন। আর... আর, অন্ধকারে মুখোমুখি বসে রবে বনলতা সেন।‘
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
সাদাত হোসাইন বলেছেন: থ্যাংক ইউ
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩
কামরুল পাপি বলেছেন: কি সন্দর লাগলো।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
সাদাত হোসাইন বলেছেন: থ্যাংক ইউ
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩
শূন্য পথিক বলেছেন: তাই বলে বন্যা!!
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
সাদাত হোসাইন বলেছেন:
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ব্যাপক ভাল লাগা।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
হাসান রেজভী বলেছেন: দারুন ....
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২
বোকামানুষ বলেছেন: একটু অন্যরকম কথামালাতে অনেক ভাল লাগা
পড়তে দারুন লেগেছে
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০১
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: আহা........... !!!