![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম 'বোধ'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবিতে...
সরু পেটে, গরু আঁটে!
আমি মানুষ হিসেবে নিতান্তই সরু। সেই আমি অজপাড়া গা থেকে ঝা চকচকে শহরে এসে আবিস্কার করলাম, আমার সরু পেটে আসলে আস্ত গরু এঁটে যাচ্ছে! এই আবিস্কার দেখে আমি রীতিমত বিব্রত। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকি। ডাইনিঙে পাশাপাশি টেবিলে বন্ধুদের সাথে খেতে বসেছি। তাদের প্লেটের তলায় দু চামচ ভাত পড়ে আছে। তারা সেটি খুব অবহেলা ভরে খায়। খাওয়া শেষে বলে, 'ধুর, এত্তগুলা ভাত খাইলাম আজকে, রাতেতো দেখি আর কিছু খেতেই পারবো না।'
তখন টিউশনি করি ঢাকাতে এক বাসায়। সেই বাসার ছেলে-মেয়েদেরও দেখি একই অবস্থা। তাদের কখনোই ক্ষিদেই পায় না। জোরজবরদস্তি করে যদি তাদের খাবার টেবিলে বসানোও যায়, খাওয়া নিয়ে তাদের সেই একই অনীহা। প্রবল অনাগ্রহে দু'চার নলা মুখে দিলেও ভাব খানা এমন যে, "চাবা আসিলেও গেলা আসে না।"
এই শহুরে প্রজাতীদের দেখে, খাওয়া-খাদ্য নিয়ে তাদের কথা শুনে আমি বুঝি, তারা আসলে খেতে হবে বলে খায়! তাদের তেমন ক্ষিদে টিদে পায় না। অথচ আমি লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে, উঁচু উঁচু চার-পাঁচ চামচ ভাত নিয়েও দেখি, খাওয়া শেষে পেটভর্তি ক্ষিদে! আমি সেই ক্ষিদে পেটে চেপে রেখে রাতের খাবারের জন্য অপেক্ষা করি। রাতের বেলা চুপচাপ ডাইনিঙের এক কোনায় বন্ধুদের চোখ এড়িয়ে একা একা বসি। ইয়া উঁচু এক প্লেট, দেড় প্লেট ভাত সাবার করে দেই। তারপর আমার বিশাল দেহী বন্ধু বাবলুর মাত্র দুই নলা ভাত খাওয়া দেখে লজ্জায় পড়ে যাই। চিন্তিত হয়ে পরি।
এই এতটুক শরীর আমার, কিন্তু ঘটনা কি! কি ঘটনা!!
ঘটনা আবিস্কার করেছি আজ।
আমার একমাত্র বোন তাসপিয়া। ও পড়ে ক্লাস এইটে। শুকনা ছিপছিপে লম্বা গড়ন। আম্মা সারাদিন ওকে বকাঝকা করে ঘর মাথায় তুলে রাখেন। ওর দোষ একটাই, ও ভাত খায় না। খেতে বসলেও সেই প্লেটের তলায় এক চামচ ভাত। সে সারাদিন এটা সেটা খায়। তার যত আগ্রহ বোম্বে চানাচুর, চকোলেট ফ্লেভারড বিস্কুট, অমুক চিপস, তমুক নুডুলস সহ নানান কিছু। তার ভাতের প্রতি তীব্র অনাগ্রহ। সে ভাত খেতে বসে পুরাটা সময় ঘ্যান ঘ্যান করবে, আর আম্মার চোখ এড়িয়ে প্লেট থেকে মুঠি মুঠি ভাত আমি, আমার ছোট ভাই কিংবা আব্বার প্লেটে নিঃশব্দে পাচার করবে।
আজ দুপুরে খেতে বসেছি।
আম্মা বরাবরের মতই প্লেট উপচে পড়ে পড়ে এমন উঁচু করে পাহাড় আকৃতির এক প্লেট ভাত দিয়েছেন। আমি হঠাৎ আম্মাকে জিজ্ঞেস করলাম, 'আপনে সবসময় এতো ভাত একসাথে দেন ক্যান আম্মা? লাগলেতো আমি গামলা থেকেও নিয়ে নিতে পারবো!'
আম্মা বললেন, "তুই যা আইলসা, দুই বারতো ভাত জীবনেও নিবি না। প্লেটে যা দিছি তাই খাইয়া উইঠা যাবি। কষ্ট কইরা গামলা থেকেতো আর ভাত নিবি না"।
কথা সত্য। বাড়িতে থাকতে কখনোই আমি দ্বিতীয়বার প্লেটে ভাত নিতাম না। প্রথমবার আম্মা যা দিতেন তাই খেয়ে উঠে যেতাম। তাতে প্লেটভর্তি টিলা আকৃতির ভাত থাকুক, আর পাহাড় আকৃতিরই থাকুক কিংবা সমতল থাকুক বা আরও কমই থাকুক। ওই একবারের পর ভাত নিতে আমার নিতান্তই আলসেমী।
আমি তখন আম্মাকে বললাম, 'জানেন, আপনের কারণে আমার অভ্যাস খারাপ হইছে। এত্তগুলা কইরা ভাত খাই। এই যে, সারাজীবন আপনে প্লেটভর্তি কইরা উঁচা উঁচা ভাত দিতেন, সেই ভাত না খাইয়াতো ওঠা যাইতো না"।
আম্মা নির্বিকার ভঙ্গীতে বললেন, "দিছি ভালো করছি, চুপ কইরা খা। ব্যাটা মানুষ বড় বড় ন্যালা দিয়া গপগপ কইরা ভাত খাইব। এতো কথা কিয়ের? খাওনের সময় এতো কথা কইতে নাই। আল্লাহ নারাজ হইব। রিজিকের মালিক আল্লাহ"
আমি বললাম, "কিন্তু আম্মা, আসলেই আমি বেশী ভাত খাই। বিষয়টা নিয়া ঢাকায় বন্ধু-বান্দবের সামনে একটু লজ্জাই পাই।"
আম্মা সাথে সাথে তার সামনে রাখা পানির মগে হাত ডুবিয়ে দিলেন। আঙ্গুলের মাথায় লেগে থাকা পানিগুলো আমার মাথায় ছড়িয়ে দিতে দিতে বললেন, 'বালাই সাঁট! বালাই সাঁট!!'
তারপর আঁচলে আমার মাথা মোছাতে মোছাতে বললেন, "কে কয় তুই ভাত বেশী খাস? যার যা রিজিকে আছে, সে তাই খায়। এর কম বেশী কেউ খাইতে পারে না"।
-"কিন্তু আম্মা, আপনে এত্তগুলা কইরা ভাত দেন কেন প্লেটে? কমওতো দিতে পারেন।"
আম্মা তার ভেজা হাতে আমার মাথাটা বুকের সাথে চেপে ধরেন। তারপর ভেজা কণ্ঠে বলেন, "বাজান, তোগো দিনে খাওনের মধ্যে খাওয়াইছি তিনবেলা ভাত। আরতো কিছু খাওয়াইতে পারি নাই। একটা বিস্কুট না, এক মুঠ চানাচুর না। খালি ভাত। এই জন্য যতো পারতাম বেশী কইরা দিতাম। যাতে সারাদিন আর ক্ষিদা না লাগে! আর শহরের পোলাপান সারাদিন নানান জিনিস, হাবিজাবি, এইটা-সেইটা খাওয়ার মধ্যে থাকে। তারা ভাত কি খাইব! তাদের পেটতো এইসবেই ভরা থাকে! তোগোতো বাজান জিব্বার সাধ মিটানোর জন্য কিছু খাওয়াইতে পারি নাই, খাওয়াইছি পেট ভরানোর লাইগা, ক্ষিদা ঠেকানোর লাইগা। তাই বুদ্ধি কইরা সবসময় প্লেট ভইরা ভাত দিতাম, যাতে আবার না লইলেও প্লেটে যেইগুলা আছে, সেইগুলা সব খাইতে পারস! শাক হউক, ডাইল হউক, আমার বাজানের পেটটাতো ভরা থাকুক!"
আমি অদ্ভুত এক চোখে আম্মার দিকে তাকালাম। আমার প্রাচীনতাকে আগলে থাকা আদি ও অকৃত্রিম এক মা। আমার সামনে কড়ে আঙ্গুলের সমান ছোট ছোট শসা, এই শশা আমার পছন্দ বলে মা আমার জন্য মাচা থেকে ছিরে রেখেছেন।
পাকা তাল খাওয়ার পর তালের আঁঠি মাটিতে পুঁতে রেখে দিলে তাতে শেকড় গজায়, আর সেই আঁঠির ভেতর হয় অতি সুস্বাদু এক শাঁস। আমাদের গ্রামের ভাসায় "ফোকরা"। আম্মা মাস দুয়েক আগে তাল খাওয়া শেষে সেই তালের আঁঠি যত্ন করে মাটিতে পুঁতে রেখেছিলেন। এখন তা মাটির নিচ থেকে তুলে দা দিয়ে কেটে ধবধবে সাদা ফোকড়া বের করে তা বাটিতে সাজিয়ে রেখেছেন।
আমি ঢাকায় মাছ খেতে পারি না। এই আক্ষেপ আমার চিরদিনের। ঢাকার মাছে কোন স্বাদ নেই, ঘ্রাণ নেই। বড় চিংড়ি আমার পছন্দের। কিন্তু আমার অতি প্রিয় সেই চিংড়ি মাছ ঢাকায় খেলে মনে হয় প্লাস্টিকের চিংড়ি চাবাচ্ছি। আব্বা তাই প্রতিদিন বিলের মাঝখানে মাছ ধরার 'চাই' (মাছ ধরার ফাঁদ) পাতেন, তাতে দু'চারটা করে চিংড়ি ধরা পড়ে, কখনো পড়েও না। যাও পাওয়া যায়, তার বেশিরভাগই আমার সেই অতিপ্রিয় বড় চিংড়ি না। গত দুই আড়াই মাস ধরে আব্বা আম্মা তাই একটা-আধটা করে বড় চিংড়ি প্লাস্টিকের প্যাকেটে জমা করে ফ্রিজের এক কোনায় রেখে দেন। প্রতিদিন গুনে দেখেন, ক্যালেন্ডারের পাতা একবার, আমি কবে আসব? চিংড়ীর সংখ্যা একবার, ততদিনে আর কটা চিংড়ী জমা হবে!!
আমার সামনে থরে থরে সাজানো খাবারের বাটি। থরে থরে সাজানো বোম্বাই মরিচে ডাল ভর্তা, চিংড়ীর বড়া, ঘরের মুরগীর পাড়া ডিম সেদ্ধ, পুঁটিমাছের কড়কড়ে ভাজা, বিলেতি ধনে পাতা আর রসুন বাটা... আরও কী কী সব। হয়তো ফোনে, কিংবা অবচেতন আলোচনায় কখনো, কোথাও, কোন এক খাবারের নাম বলেছিলাম, সেইসব বিস্মৃত, নাম না জানা খাবারেরাও থরে থরে সাজানো। আমি আম্মার বুকে মাথা চেপে ধরে বসে আছি। সেই বুকের ভেতর ঢিপঢিপ করে বয়ে যাচ্ছে হৃদপিণ্ড। বয়ে যাচ্ছে প্রাণ। বয়ে যাচ্ছে এক অন্য পৃথিবী।
সেখানে থরে থরে সাজানো মমতা, ভালবাসা। অনুভুতির বিস্ময়কর সব আয়োজন। প্রাচীনতাকে আগলে থাকা আদি ও অকৃত্রিম এক মা।
এই মা আমার... এই মা আমাদের...
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
সাদাত হোসাইন বলেছেন:
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২২
রানা হক ঢাকা বলেছেন:
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০০
সাদাত হোসাইন বলেছেন:
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: +
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০০
সাদাত হোসাইন বলেছেন:
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
এম ই জাভেদ বলেছেন: ভেতো বাঙালি আমরা। ভাত ছাড়া অন্য কিছু গলা সমান খেলেও পেট ভরেনা।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০০
সাদাত হোসাইন বলেছেন:
৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
সুমন কর বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন। গুড.......
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০১
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
ভিটামিন সি বলেছেন: ভাইজান কোপাই হালাইচেন। খুবই ভালা লাগছে পইড়া। আপনার মায়ের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০১
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মাকে নিয়ে লেখায় অভিনন্দন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০২
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
শ্যামল জাহির বলেছেন: দারুণ!! মা'কে নিয়ে লিখা।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ভালোই লাগলো! আম্মুকে মিস করলাম খুব ঈদের সময়টা।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন, হিউমারে আড়ালে মায়ের মমতা কি চমৎকারভাবেই না ফুটিয়ে তুলেছেন! কিছু নির্মম বাস্তবতাও উঠে এসেছে। অবাক লেখেন আপনি। গ্রেট। আমার মতে, এ পর্যন্ত ব্লগে মা নিয়ে লেখাগুলোর মধ্যে সেরা এটা।
ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
গেন্দু মিয়া বলেছেন: "চাবা আসিলেও গেলা আসে না।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২২
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গত বছর দেশে গিয়েছিলাম.......। মা কতকিছু যে রান্না করে খাওয়াছেন তার হিসেন নাই! তারপরেও গতএকবছর ধরে ফোনে একটা বাক্য বারবার শুনতে হয়েছে - দেশে আসলি কিন্তু রান্না করে তোকে খাওয়াতে পারলাম !
এই তো আমার মা - এইতো আমাদের মা!
দারুণ লিখছেন, খুব ভালা পাইছি!
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৮
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গত বছর কোরবানী ইদে দেশে গিয়েছিলাম। মা কতকিছু যে রান্না করে খাওয়াছেন তার হিসেব নাই! তারপরেও গত একবছর ধরে ফোনে একটা বাক্য বারবার শুনতে হয়েছে - দেশে আসলি কিন্তু রান্না করে তোকে তেমন কিছু খাওয়াতে পারলাম না!
এই তো আমার মা - এইতো আমাদের মা!
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
১৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালোবাসা সব মায়েদের প্রতি।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
১৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫১
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: মেসে থাকার সময় মায়ের হাতের রান্না মিস করতাম। খালি অপেক্ষা করতাম কবে বাড়ি যাবো আর মায়ের হাতের রান্না খাব। যতবার খেতে বসতাম তত বার মনে পরত। এটার যে কি বেদনা তা যারা মেসে থাকে আর বুয়ার যন্ত্রনায় আছে তারাই বুঝবে।
পোস্ট ভাল লাগছে। ধন্যবাদ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৩
কালোপরী বলেছেন: