![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম 'বোধ'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবিতে...
তখন বেলি কেডস আর জাম্প কেডসের যুগ।
আমাদের পুরো গ্রামে একটামাত্র টেলিভিশন। ন্যাশনাল টিভি। তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপহার। সেই টিভি থাকে বাজারে। চলে ব্যাটারিতে। সময়-সুযোগ পেলেই আমরা সেই টিভি দেখতে যাই। টিভি খুললেই জাম্প, জাম্প, জাম্প কেডস এবং বেলি, বেলি, বেলি কেডসের বিজ্ঞাপন। আমাদের অবশ্য কেডস-ফেডসের বালাই ছিল না। সারাদিন খালি পায়ে বনবাদাড়ে ঘুরে বেরাতাম। রাতে ঘুমানোর আগে কোনমতে পা ধুয়ে বিছানায় গিয়ে উঠে পড়তাম।
পরদিন আবার উদোম পায়ের ভোর শুরু।
আমার এক খালা শহরে থাকেন। এক শীতের সন্ধ্যায় তারা আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। সাথে তার দুই ছেলে। ওদের দিকে আমি অবাক হয়ে তাকাই। কি সুন্দর জামা, ইংলিশ হাফপ্যান্ট, ছোট ছোট হাতে ছোট ছোট ঘড়ি। খেলনা ঘড়ি না, সত্যিকারে কাঁটাওয়ালা ঘড়ি। সেই কাঁটা টিকটিক করে ঘোরে। আহা! ওরা কি সুন্দর করে কথা বলে! আমি ওদের সবকিছুতেই মুগ্ধ হই। তবে , মুগ্ধতা ছাড়িয়ে বিমুগ্ধ হয়ে যাই যখন ওদের পায়ের ঝকঝকে জুতা দেখি। বিমুগ্ধ মানে বিশেষভাবে মুগ্ধ!
সেই বিমুগ্ধ আমার ঘুম থেকে উঠতে হয় কাকডাকা কুয়াশা ভোরে। 'বিশেষ মুগ্ধতা' কাঁটিয়ে ঠুকঠুক করে শীতে কাঁপতে কাঁপতে আমাকে মক্তবে যেতে হবে। সেদিন আর মক্তবে যেতে ইচ্ছা করে না। বাইরে বেড়িয়ে দেখি ওরা দুই ভাই জাম্প কেডস পায়ে ঘাসের ভেতর দিয়ে দৌড়াচ্ছে, আর টেলিভিশনের মতো করে ছন্দে ছন্দে বলে যাচ্ছে, জাম্প, জাম্প, জাম্প কেডস...
আমি ঘুমভাঙ্গা চোখে আকণ্ঠ তৃষ্ণা নিয়ে তাকিয়ে থাকি। ইশ! আমারও যদি অমন ঝকঝকে সাদা একজোড়া জাম্প কেডস থাকতো! আমাকে অবাক করে দিয়ে ওদের মধ্য থেকে একজন বলে। 'কি-রে? জুতা পড়বি?'
আমি চিন্তায় পড়ে যাই। কি করবো? আম্মা আবার বকবে না তো! আম্মা সবসময় বলে, 'অন্যের জিনিসে লোভ করতে নাই বাবা। নিজের যা আছে তাই সই।' কিন্তু আমি সেসব বেমালুম ভুলে যাই। ঘাড় কাঁত করে জানিয়ে দেই, 'পরবো'।
জুতা পায়ে পড়ে আমার মনে হয়, আমি সত্যিকার অর্থেই মাটির অনেক ওপর দিয়ে হাঁটছি। শরীরটাকে পাখির পালকের মত হালকা মনে হয়। মনে হয়, আমি বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছি। ইশ! এমন এক জোড়া জুতা যদি আমার থাকতো! সমস্যাটা হোল জুতা খুলে রাখার পরে। আমার খালি পায়ে হাঁটতে কেমন অস্বস্তি হতে লাগলো। কেমন একধরনের ঘোর পুরো শরীর জুড়ে।
সেবার ঢাকা থেকে আব্বা বাড়ী আসার পর একজোড়া জাম্প কেডসের জন্য সেকি বায়না। সকাল বিকাল সন্ধ্যা আব্বার কানে অবিরাম ঘ্যান ঘ্যন, অনুরোধ, কান্না। 'আব্বা, একজোড়া জাম্প কেডস কিনে দিবেন? একজোড়া?' বিরক্তির চরম সীমায় পৌঁছে আব্বা শেষমেশ বলতে বাধ্য হলেন, 'আচ্ছা, যা। পরের বার আসনের সময় নিয়াসবো।' সেই পরেরবার আর আসে না। আমি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠি, ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ দিয়ে রাখি, আম্মার কাছে লেখা আব্বার চিঠি লুকিয়ে চুকিয়ে পড়ে ফেলি, কোথাও লেখা আছে কিনা, আব্বা কবে আসবেন। আম্মা যখন আব্বাকে চিঠি লেখেন, তখন তুমুল আগ্রহ নিয়ে বসে থাকি, 'আম্মা, আমার জাম্প কেডসের কথা কিন্তু লেইখ্য।'
আব্বা এরপরও কয়েকবার বাড়িতে আসেন। এসে চলেও যান। আব্বার সবই মনে থাকে, কেবল কোন এক অদ্ভুত কারণে আমার জাম্প কেডসের কথা তার মনে থাকে না। আমার কান্না, আমার অপেক্ষা, আমার স্বপ্ন আর স্বপ্নভঙ্গেরা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। একসময় আমি জাম্প কেডসের কথা ভুলে যাই। মাঠের সুচালো ঘাস, শক্ত মাটি, এঁটো কাঁটার ঘষায় আমার পায়ের নগ্ন তালু ক্রমশই সেইদিনের সেই জাম্প কেডসের পেলব ছোঁয়ার কথা ভুলে যায়। আমিও ভুলে যাই।
কিছু দিন পরের কথা।
ভোরের আকাশ কেবল ফর্সা হয়েছে। আমাকে গভীর ঘুম থেকে ডেকে তোলেন আব্বা।
-এই, ওঠ ওঠ। ব্যাটা মাইনসের এত ঘুমাইলে হয় নাকি! দ্যাখ দ্যাখ তোর লাইগা কি আনছি?
আমি আধবোজা চোখে আব্বার দিকে তাকিয়ে থাকি। আধো অন্ধকারেও তার হাতে চকচক করে একজোড়া সাদা জুতা।
জাম্প কেডস!!
আমি তড়াক করে লাফিয়ে উঠি। আমার আধবোজা চোখ পুরো খুলে যায়। আব্বার হাত থেকে ছোঁ মেরে আমি জুতা জোড়া কেঁড়ে নেই। আমার মনে হতে থাকে আকাশ বাতাস জুড়ে অজস্র শুভ্র সাদা ফুরফুরে পাখির পালক ভেসে বেড়াচ্ছে। ওই পালকের মধ্যে আমিও আছি। আমিও ওদের একজন। ভেসে যাই মেঘ থেকে মেঘে।
স্বপ্ন কিংবা সত্যি'তে।
----------------------------------------------------------------------
পরিশিষ্টঃ
সমস্যাটা হচ্ছে ওই শেষ লাইনে। ওই যে, স্বপ্ন কিংবা সত্যি'তে! আমার স্বপ্নগুলো, ওই 'স্বপ্ন' পর্যন্তই ঠিক থাকে। সত্যগুলো কেমন অন্যরকম। আমি জুতাজোড়া হাতে নিয়ে কিছুক্ষণের ভেতর কেমন মিইয়ে যাই।
-'এত শক্ত কেন? জাম্প কেডসতো এতো শক্ত না আব্বা?'
-'আরে, এইডা নতুনতো এইজন্য শক্ত। দুই চাইরদিন পায় দিলে, পুরান হইলে, ঠিক হইয়া যাইবরে বোকা! শুনছোস কখনো, নতুন জুতা নরম থাকে! তুইকি আহম্মক নাকিরে'!
হ্যা। আমি আহম্মক। আমি আহম্মকই থেকে যাই। দিনের পর দিন যায়, আমার সেই নতুন জুতা আর পুরান হয় না। সে কাটাতারের মতন শক্ত আর তীক্ষ্ণ হয়েই থাকে। ফুটপাথ থেকে ষাট টাকায় কেনা আব্বার সেই প্ল্যাস্টিকের সাদা জুতাজোড়া পড়ে আমি হেঁটে যাই। হেঁটে যাই আর হেঁটে যাই। আর ভাবতে থাকি, আমার পায়ে পাখির পালকের মত নরম একজোড়া জাম্প কেডস। সেই জাম্প কেডস ধুলবালিতে মলিন হলে আমি পুকুরে গিয়ে তা ডলে ডলে পরিস্কার করি। সাদা চক দিয়ে ঘষে ঘষে সত্যিকারের জাম্প কেডসের মতো ধবধবে সাদা করি। তারপর আলগোছে পায়ে দেই। পায়ে দিয়ে ছুটি। ছুটি। ছুটি।
আর বিড়বিড় করে বলি, জাম্প, জাম্প, জাম্প কেডস...
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৫
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ফিলিং ইনসপায়ার্ড.।।।
ভালো থাকবেন।
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
মদন বলেছেন:
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৬
সাদাত হোসাইন বলেছেন:
৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
পদ্ম (কমল দাস) বলেছেন: আপনার লেখাটা হৃদয় স্পর্শ করলো। আপনার ভাষার গাঁথুনি খুব ভাল লাগলো।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ফিলিং ইনসপায়ার্ড.
ভালো থাকবেন।
৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
প্যাপিলন বলেছেন: জাম্প কেডস না জাম্প কেস হবে
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৮
সাদাত হোসাইন বলেছেন: জাম্প কেস না, জাম্প কেডস-ই.।
কষ্ট করে একটু জেনে নিবেন সঠিকটা।
ধন্যবাদ
৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২
এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: নষ্টালজিক... সব দিনগুলি
সবার স্বপ্ন সত্যি হোক।
লেখাটায় ভাললাগা রইল।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৯
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ফিলিং ইনসপায়ার্ড.
ভালো থাকবেন
৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
আহলান বলেছেন: হাছা কথাই লিখছেন রে ভাই .... আমার মামাত ভাই , পুলিশের পোলা, সে যখন দামি চেইন সু পরে আমার সামনে দিয়ে ঘুরত, ভাবতাম ইসস... কবে যে আমার একজোড়া চেইন সু হবে ... ....
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১০
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ফিলিং ইনসপায়ার্ড.
ভালো থাকবেন।
৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: মানুষের শখ গুলা কত অদ্ভুত ভাই। আমার কত আজব সব শখ ছিল কিন্তু টাকা ছিল না। এখন টাকা আছে কিন্তু আর শখ নাই। বাপ মারে অনেক জ্বালাইছি অনেক কিছুর জন্য। অধরা শখ স্বপ্ন গুলো ছিলো বলেই হয়তো শৈশব এত মধুর ছিল। না চাইতে সব পেয়ে গেলে আজ আপনার লেখা এতটা ভালো লাগতো না। অসাধারন লিখেছেন ভাই। অসাধারন।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১০
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ফিলিং ইনসপায়ার্ড.
ভালো থাকবেন।
৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটা।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১১
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ফিলিং ইনসপায়ার্ড.
ভালো থাকবেন।
৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: ভাই জটিল লিখছেন...............
বহুত কিছু মনে পইরা গেল।
কত কিছুর অপূর্নতা, কত স্বাদ-আহ্লাদ...........
যাই হোক ভাল আছি.......... আপনিও ভালো থাকুন।।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১২
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ফিলিং ইনসপায়ার্ড.
ভালো থাকবেন।
১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এক দমে পড়লাম ....
সুন্দর লিখেছেন। লেখাটা হৃদয় স্পর্শ করলো ..
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১২
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ফিলিং ইনসপায়ার্ড.
ভালো থাকবেন।
১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
কালোপরী বলেছেন:
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১২
সাদাত হোসাইন বলেছেন:
১২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটা দারুণ। প্রথম প্লাস।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৩
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ফিলিং ইনসপায়ার্ড.
ভালো থাকবেন।
১৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: দারুণ - টাচিং- মুগ্ধপাঠ
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৬
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ফিলিং ইনসপায়ার্ড.
ভালো থাকবেন।
১৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৩
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন: ভাল্লাগচ্ছে
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৬
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
১৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
মশিকুর বলেছেন:
খুব টাচিং। মনে পরে গেল অনেক কিছু। +
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
১৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১০
তওসীফ সাদাত বলেছেন: খুবই ভালো লেগেছে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১৩
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩১
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া পোস্ট ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১০
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
১৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
প্যাপিলন বলেছেন: আপনি প্রোফাইল ও এক্টিভিটি দেখ বুঝলাম আপনি নতুন প্রজন্মের ...তাই জাম্প কেডস নিয়ে লেখাটি প্রথমে ভেবেছিলাম আপনার নিজের শৈশবের এখন বুঝতে পারলাম গল্প। বেলি কেডস বা জাম্প কেডসের আর্বিভাব আশির দশকরে শেষভাগে, আপনার বর্ণনা মতে আমার বা আমার দেখা অনেকের শৈশব এরকম ছিল। জাম্প কেডস্ অবশ্যই সঠিক কেস্ অবশ্যই ভুল। তবে আমাদের শৈশবে সু, স্যান্ডেল, বুট, স্পঞ্জ - এই শব্দগুলো জানতাম, কেডস নামক বস্তুটা হঠাত আসায় শব্দটাকে আমরা ভুল করে হলেও কেস নামে গ্রহণ করেছিলাম, আর তখনকার শিশু কিশোররা এখনকার মতো এত এডভান্স না হওয়ায় এরকম কঠিন শব্দকে নিজের মতো করে উচ্চারণ করতো........
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
সাদাত হোসাইন বলেছেন: নাহ! এটা আমার জীবনেরই গল্প। সত্যি ঘটনা। আর আপনার কথার সাথে আমি একমত। আমরা তখন জাম্প কেডসকে 'জাম কেস' বলতাম। যেহেতু আপনি শুধু কেডসকে 'কেস' বোলার কথা বলেছেন, সেহেতু আমি কনফিউজড হয়ে গেছিলাম। আসলে 'জাম্প কেস'ও নয়, আমরা বলতাম 'জাম কেস'!
ধন্যবাদ.।
১৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
রুচি বলেছেন: মন ছুয়ে গেল লেখাটা !!!!
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ.।
২০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: জাম্প কেডস আমাদের ছেলেবেলার আকাঙ্খিত বস্তু । অনেক বায়না ধরে এক জোড়া পেয়েছিলাম ।
লেখাটা ছুঁয়ে গেছে ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
২১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪১
আদম_ বলেছেন: জাম্প কেডস আমাদের ছেলেবেলার আকাঙ্খিত বস্তু । অনেক বায়না ধরেও পাইনি
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
দীপঙ্কর_আলোসন্দিপ বলেছেন: অসম্ভব ভাল্লাগা রইল ব্রাদার , ইট পাথরের দেয়ালে ঢাকা থাকে আমাদের
আব্দার , স্বপ্ন চাওয়া পাওয়া,
অচিন্ত চিন্তনীয় সুখ ঢাকা দৃষ্টি , আমার মন , এমনি যেন
অনুভূতিগুলো
++++++++++
দীপ রয়