![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম 'বোধ'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবিতে...
'হুজুর স্যার' শব্দটা খানিকটা অদ্ভুত।
কিন্তু আমরা আমাদের ইসলাম শিক্ষা'র শিক্ষক কামরুজ্জামান স্যার (হুজুর) কে এই অদ্ভুত নামেই ডাকতাম। কারণ, তিনি একধারে ছিলেন মক্তবের হুজুর, মওলানা এবং স্কুলের শিক্ষক। তাই হয়তো আমরা তার নাম দিয়েছিলাম 'হুজুর স্যার।'
সেদিন হুজুর স্যার ইসলাম শিক্ষা পরীক্ষার খাতা দিচ্ছেন। আমরা খুব আগ্রহ নিয়ে এর ওর খাতার মার্কস দেখছি। এই একটামাত্র পরীক্ষায় সবার মার্কস ভালো। সবাই ধর্ম বিশারদ। প্রায় সবার খাতা দেয়া শেষ। হুজুর স্যারের হাতে একটা মাত্র খাতা। তিনি হঠাৎ বাজখাই গলায় ডাকলেন, 'শহিদুল! শহিদুল!!'
শহিদুল পেছনের বেঞ্চি থেকে কাঁচুমাচু মুখে উঠে দাঁড়ালো। বিষয়টা এমন না যে সে কোন অপরাধ করেছে জেনে সে কাঁচুমাচু মুখে উঠে দাঁড়িয়েছে। আসলে সে সবসময় চিন্তিত থাকে, এই বুঝি কোন অপকর্ম করে ফেলেছে। হুজুর স্যার বললেন, 'এইদিকে আয়'।
শহিদুল ভীত হরিণের মত ব্যাঘ্রের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। হুজুর স্যার তার হাতের খাতা খুললেন, 'এইটা তোর খাতা?'
- 'জ্বী স্যার।' শহিদুল ভীত মাথা নাড়ল।
হুজুর স্যার খাতার পাতা উল্টিয়ে শেষের দিকে চলে এলেন। সেখানে লাল মার্কার দিয়ে শহিদুলের লেখা আণ্ডার লাইন করা। তিনি খাতাটা শহিদুলের দিকে ছুড়ে দিয়ে বললেন, 'লাল দাগ দেওয়া লেখাগুলান জোরে জোরে পড়। ক্লাসের সবাই জানি শোনে।'
শহিদুলের নিজের লেখা। সে তার খাটা থেকে নিজের লেখা পড়া শুরু করলো।
'৮ নং প্রশ্নের উত্তর'। -
"মাতা পিতার প্রতি কর্তব্য। ইসলামে মাতাপিতাকে অনেক সম্মান দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত। মা বাবা সন্তানের জন্য অনেক কষ্ট করেন। তাই আমাদের সকলের উচিত আমাদের মা বাবাদের প্রতি খেয়াল রাখা, তাদের সম্মান করা। যত্ন করা।''
এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। বিপত্তি বাঁধল পরের অংশে। শহিদুল জোরে জোরে পড়ে চলেছে, 'ছোট বেলায় আমাদের মা বাবা অনেক কষ্ট করে কামাই রোজগাড় করে আমাদের খেয়েছেন, তাই আমরাও বড় হয়ে কামাই রোজগার করে আমাদের বাবা মা'কে খাব।'
হুজুর স্যার বা হাতের তালু দিয়ে শহিদুলের কানের নিচে একখানা বিশাল আকারের থাবড়া বসালেন, 'হারামজাদা, ছোট বেলায় তোর বাপ মা'য় তোরে খাইছে, এখন তুইও বড় হইয়া তোর বাপ মা'য়রে খাইবি!! খাড়া আইজকা, তোর খাওয়াখাওই আমি বাইর করতাছি।'
শহিদুল আচানক চটকানা খেয়ে হাত দুই দূরে গিয়ে ছিটকে পড়লো। তারপর বা হাতের তালুতে ঘাড় চেপে ধরে পিটপিট চোখে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো, 'হুজুর স্যার এমনে একখানা বন চটকানা ক্যান মারলো!?!'
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
সাদাত হোসাইন বলেছেন: আমরাও
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩
প্রবাল ক্ষ্যাপা বলেছেন: হাসি মনের সুখে
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
সাদাত হোসাইন বলেছেন:
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
আদরসারািদন বলেছেন: আমরাও হুজুর স্যার বলতাম, তবে তিনি আমাদের খুব আদর করতেন
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯
সাদাত হোসাইন বলেছেন:
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
লাবনী আক্তার বলেছেন:
অনেক হাসলাম। বেশ মজা পেয়েছি।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৫
সাদাত হোসাইন বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১
এন ইউ এমিল বলেছেন: আমরাও 'হুজুর স্যার' বলতাম