![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম 'বোধ'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবিতে...
১।
আমাদের পড়াশোনার কায়দাকানুন ছিল ভারী অদ্ভুত। আম্মা হঠাৎ হঠাৎ বিস্ময়করসব উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে হাজির হতেন। যার বেশিরভাগই ছিল টাকা পয়সা সাশ্রয়ের কৌশল।
আমি লিখছি, হঠাৎ আম্মা এসে হাজির, তার হাতে পেন্সিল আর ইরেজার।
- এই, শোন।
- আম্মা, এখন যানতো। দেখেন না, লিখতেছি?
- এখন থেকে এইটা দিয়া লিখবি।
- কাঠপেন্সিল দিয়া লিখব ক্যান?'
- কাগজের খরচ কম হইব।'
- কি বলেন? কেমনে?
- খাতায় প্রথমে পেন্সিল দিয়ে লিখবি। খাতা শেষ হয়ে গেলে পরে আবার পেন্সিলের লেখার উপরে কলম দিয়ে লিখবি।
আমি হতভম্ব হয়ে আম্মার দিকে তাকিয়ে রইলাম। বলে কি! এই বুদ্ধি কই পাইল!! আমার মন খারাপ হয়ে যাওয়া উচিত ছিল কিনা জানি না। তবে মহাসমারোহে পেন্সিল দিয়ে লেখা শুরু করলাম।
২।
আম্মা আরেকদিন এসে হাজির। তার হাতে পুরনো সব ওয়াল ক্যালেন্ডার।
- নে ধর।
- এইগুলা কি। পুরান ক্যালেন্ডার দিয়ে আমি কি করব?
- লিখবি। ক্যালেন্ডারের উল্টা পাশে দেখ খাতার পৃষ্ঠার মত ঝকঝকে সাদা। রাফ অংকগুলা করতে গিয়া খাতার পাতা নষ্ট করার দরকার নাই। এইখানে লেখ।
আমি এবারো হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলাম, আম্মা...!!
৩।
আমাদের দুই ভাইয়ের আস্ত ডিম খাওয়ার খুব শখ। আমাদের ঘরে পোষা মুরগীটা ডিম দেয়া শুরু করলো। মুরগীর ডিমের সাইজ কোয়েল পাখির ডিমের সাইজের সমান। কিন্তু কিছু একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে। আম্মা দেখি প্রতিদিন আমাদের দুই ভাইয়ের পাতে দুইটা প্রমাণ সাইজের আস্ত ডিম ভাজা দেন। আমরাতো অবাক। জাদুটা কি!
জাদু বুঝতে অবশ্য সময় লেগেছিল। আম্মা ডিমের সাথে হলুদ কুমড়া ফুল মিহি করে বেঁটে মিশিয়ে দুই ভাগে ভেজে ফেলতেন।
আমরা দুই ভাই আরাম করে আস্ত একেকটা ডিম খেতাম। আহা! এক ডিমে দুই ডিম...!
৪।
আমার মামাতো ভাই আসিফ। ও তখন পিচ্চি। কেবল কথা বলতে শিখেছে। আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসলে থাকতেই চায় না। ওর নানুবাড়ি আমাদের পাশেই। আমাদের ঘরে টিভি নাই বলে ও কেবল সেখানে চলে যেতে চায়। আমরা দুই ভাই খুব মন খারাপ করি! ইশ! আমাদের যদি একটা টিভি থাকতো! এতো আদর করি পিচ্চিটাকে! আম্মার সাথে সারাদিন ঘ্যান ঘ্যান করি। সেদিন আম্মা হঠাৎ আমাদের ঘরের ছনের বেড়ার সাথে টানানো ফ্রেমে বাঁধানো আব্বার ছবিটা এনে বিছানার এক পাশে বালিশে হেলান দিয়ে দাড় করিয়ে দিলেন। আমরা অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি, আসিফ আনন্দে আধো বোলে চিৎকার করে উঠছে, 'তিপি, তিপি... (টিভি, টিভি)
৫।
টিভি নিয়েই আরেক গল্প।
তখন গ্রাম গঞ্জে টিভি দেখতে পাওয়া ভাগ্যের এবং গর্বের ব্যাপার ছিল। আমাদের অবশ্য সেইসুযোগও ছিল না। পুরো গ্রামে হাতে গোনা দু একটি টিভি। গ্রামের মানুষ টিভি মালিকের ঘরে রোজ নিয়ম করে হাঁট বাজারের মত ভেঙ্গে পড়ে। টিভি মালিক রীতিমত বিরক্ত। সেদিন টুটুলদের বাড়ীতে টিভি দেখতে গেছি। ঘর ভর্তি লোক। আমরা লেটকি দিয়ে বসে আছি কাঁচা মাটির মেঝেতে। হঠাৎ টুটুলের ভাবী বলল, 'এই, তোরা এইদিকে আয়তো। বাইরে রান্না ঘরে পিড়ি আছে, পিড়ি নিয়া আয়। তারপর আইসা বইসা টিভি দেখ। মাটিতে বসছস ক্যান?'
আমরা অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। তার খাতিরে আমরা মুগ্ধ এবং অভিভূত। নিমিষেই দৌড়ে বাইরের রান্না ঘরে যাই। পিড়ি নিয়ে এক নিঃশ্বাসে ফিরে আসি। ইলিয়াস কাঞ্চনের ফাইটের কোন দৃশ্য মিস হয়ে যায় নাইতো! বুকটা ছটফট করে। কিন্তু পিড়ি হাতে ফিরে এসে দেখি দরজা বন্ধ। টুটুলের ভাবী আমাদের মিথ্যে কথা বলে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ভেতর থেকে দরোজা বন্ধ করে দিয়েছেন।
আমরা বন্ধ দরজায় কান পেতে দাঁড়িয়ে থাকি। ভেতরের শব্দ শুনি, ঢিসুম, ঢিসুম।
৬।
আরও একটা টিভির গল্প।
দিনের বেলা একআধটু কোন বাড়ির দরোজায় দাড়িয়ে টিভি দেখার সুযোগ পেলেও রাতের বেলা তাও না। রাতে ঘর থেকে বেরুনো নিষেধ। আমরা দুই ভাই অন্ধকারে আম্মার দুইপাশে শুয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদি। আম্মা প্রথমে বকাঝকা করেন। তারপর একসময় বলেন, 'শোন, টিভিতে কি দেখায়? টিভিতে দেখায় গল্প উপন্যাসের কাহিনি। অইসব কাহিনিতো সব আমি বই পইড়াই জানি। শুনাই?
আমরা দুই ভাই অন্ধকারে দুইপাশ থেকে আম্মাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরি। আম্মার গা ভর্তি ঘ্রাণ। আঁচল ভর্তি ঘ্রাণ। সেই ঘ্রাণ ভর্তি মমতা। আমরা সেই ঘ্রাণে ডুবে যেতে যেতে বলি, শুনাও।
আম্মা গল্প শুরু করেন, 'এক ছিল রাজা, রাজার ছিল তিন রানী'।
- 'রাজার মাথায় কি মুকুট আছিল আম্মা?'
- গাধা নাকি তোরা। রাজা থাকবো, মুকুট থাকবো না!
- ক্যামুন মুকুট আম্মা? ঐযে, টিভিতে দেখায় টিপু সুলতান, তার মতন মুকুট? পায়ে কি তার মতন ঘোঙ্গট ওয়ালা জুতা আছে? রানীর মুকুট কেমুন? রাজার ঘোড়া নাই? কি ঘোড়া? কালা না সাদা?
আম্মা কথা বলেন না। ঘুমের অন্ধকারে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। তার চোখ কি ভিজে ওঠে?
কে জানে?
আমরা ততক্ষণে মমতার ঘ্রাণ মেখে ঘুমাই...
পরিশিষ্টঃ
এবং অতঃপরও টিভির গল্প...
------------------------------------------
গতবছর বাড়ীতে একুশ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন কিনে দিয়েছি। গ্রামে এখন ডিশ সংযোগও আছে। ডিশ সংযোগও নিয়ে দিয়েছি। আগামীকাল শুক্রবার (২২.১১.২০১৩) রাত ৮.২০ এবং ১২.২৫ মিনিটে চ্যানেল নাইনে আমার সাক্ষাৎকার দেখাবে। আমার বানানো শর্টফিল্ম 'বোধ' ও দেখাবে ফিল্ম টকিজ নামের প্রোগ্রামটায়। টেলিভিশনে! সেই... সেই... টেলিভিশন!!
আমি আম্মাকে ফোন দিলাম গতকাল, 'আম্মা, শুক্রবার চ্যানেল নাইনে রাত আটটায় আমাকে দেখাবে।
- কি? কয়টায়? কোন চ্যানেলে? দাড়া দাড়া... হ্যা হ্যা, এহন ক, এহন ক...
- শুক্রবার রাত ৮ টা বিশ আর ১২ টা পঁচিশ...
- কি জামা পইড়া যাবি? চুলে তেল দিবি ঠিক মতন। কথা ধীরে সুস্থে বলবি।
- হ আম্মা, চুলে তেল দিছি। আর প্রোগ্রাম তো আগেই রেকর্ড হইছে।
আম্মা অতশত বোঝেন না, তিনি বলতেই থাকেন, ‘ মাথা আচড়াই গেছিলি? সিঁথি করছস মাথায়? একপাশে করছস? না মাঝখানে। মাঝখানে সিঁথি করে মহিলারা। সিঁথি করবি ডাইন পাশে। লাল রঙের জামা পড়বি। লাল রঙ ফোটে ভালো। চুল কাটছস? দাড়ি? দাড়ি কাটছস?
বলতে বলতেই আম্মা একটু থামেন, পাশের বাড়ির চাচিকে ডাকেন, ও ভাবী, ভাবী, শোনছেন, আমার বাজানরে টিভিতে দেখাইব! ও ভাবী, ভাবী...
আম্মা আবার ফোন ধরে আমাকে বলেন, 'স্নো পাউডার কিছু মাখছিলি বাপ? গায়ে একটু আতর মাইখ্যা যাইস, আতর। কানের নিচে আর বুকে তুলা দিয়া মাখিস। আতর আছে বাসায়? আছে আতর...
আমি আম্মার কথার জবাব দেই না। চুপ করে ফোন কানে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে থাকি। দাঁড়িয়েই থাকি। আমার বুকের ভেতরে কি জানি ফিসফিস করে। আম্মা কি সেই ফিশফিশানি শুনতে পান? না কি পান না! তিনি কথা বলতেই থাকেন। আরও কতো কিছু! বলতেই থাকেন। বলতেই থাকেন। আমি আর কোন কথা বলি না। অন্ধকারে চুপচাপ তাকিয়ে থাকি। তাকিয়েই থাকি।
আমার হঠাৎ মনে হতে থাকে আমি কিছু একটার গন্ধ পেতে থাকি। গন্ধ। আম্মার আঁচলের গন্ধ? মমতার গন্ধ? মমতার ঘ্রাণ?
সেই ঘ্রাণে, সেই গন্ধে ডুবে যেতে যেতেই আমি ফিসফিস করে বলি, টিভিতে কি আর ঘ্রাণ পাওয়া যায় আম্মা? ঘ্রাণ? আতরের ঘ্রাণ? পাওয়া যায় আম্মা? আম্মা জবাব দেন না। হয়তো শুনতেই পান না। শুধু তার আঁচলের মমতার ঘ্রাণেরা মায়া হয়ে ছুঁয়ে যায়। আমি অন্ধকারে তাকিয়ে থাকি। তাকিয়েই থাকি।
আমার চোখ কি ভিজে ওঠে?
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮
সাদাত হোসাইন বলেছেন: আমার হঠাৎ মনে হতে থাকে আমি কিছু একটার গন্ধ পেতে থাকি। গন্ধ। আম্মার আঁচলের গন্ধ? মমতার গন্ধ? মমতার ঘ্রাণ?
সেই ঘ্রাণে, সেই গন্ধে ডুবে যেতে যেতেই আমি ফিসফিস করে বলি, টিভিতে কি আর ঘ্রাণ পাওয়া যায় আম্মা? ঘ্রাণ? আতরের ঘ্রাণ? পাওয়া যায় আম্মা? আম্মা জবাব দেন না। হয়তো শুনতেই পান না। শুধু তার আঁচলের মমতার ঘ্রাণেরা মায়া হয়ে ছুঁয়ে যায়। আমি অন্ধকারে তাকিয়ে থাকি। তাকিয়েই থাকি।
আমার চোখ কি ভিজে ওঠে?
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২০
রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন,পড়ে ভালো লাগলো। :-)
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন:
মায়ের ভালোবাসায় অন্যরকম ভালোলাগা........ সাথে পুরনো স্মৃতি...
অনেক ভালো লেখা.... ধন্যবাদ
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
সাদাত হোসাইন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
ঢাকাবাসী বলেছেন: অন্তর ছুঁয়ে যাওয়া ভাল গল্প। ভাল লাগল।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
চায়না০০৭ বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো................
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এমন মাকে সালাম। সকল মাকে সালাম। আবেগী করে দিলেন ভাই।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
সাদাত হোসাইন বলেছেন: সকল মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা.।
৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: "মা" সে মমতাময়ী "মা"
পৃথিবীতে আসার আগে এই মানুষটার সাথে সর্বপ্রথম পরিচয় ঘটে .. সে মমতাময়ী না হলে কে হবেন বলেন ??
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
সাদাত হোসাইন বলেছেন: সকল মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা.।
৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ স্মৃতিকথা।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
যাযাবর ০১ বলেছেন: Jotil liksen vai
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সুমন কর বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে। প্রতিটি সুন্দর। আমি আমার মাকে কিছুদিন হলো হারিয়েছি তাই আমার মতো অভাগাই বেশী বুঝবে এই পোস্টটি। আমিও খুঁজি মায়ের ঘ্রাণ, মায়ের ডাক, মায়ের সব সবসবসবসব....
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
সাদাত হোসাইন বলেছেন: সকল মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা.।
১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০১
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা। খুব ভালো লাগলো পড়তে
টিভির গপগুলা পড়ে ছোটবেলার অনেক কিছু মনে পড়ে গেল।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: গল্পগুলো পড়তে পড়তে আর্দ্র হয়ে আসছিল ভেতরটা, শেষের কথাগুলোয় চোখ ভিজে উঠল। মায়ের জন্য শ্রদ্ধা রইল।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
দূষ্ট বালক বলেছেন: শেষের কথা গুলো পড়তে পড়তে চোখের কোনায় পানি জমে গেল।
আমাদের বাসায় টিভি এসেছে অনেক পরে। তখন আলিফ লায়লা, সিন্দাবাদ কত কাহীনি কইরা যে দেখতাম