নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম \'বোধ\'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবি

সাদাত হোসাইন

লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম 'বোধ'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবিতে...

সাদাত হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা ও মানুষ

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮

তখন পানিকে জল বললেই পিঠের উপর দুমদাম পড়তো।

এটা আম্মার ইসলামি আদব লেহাজ শেখানোর অংশ ছিল। সাথে ছিল বাজখাই গলায় বকুনি, ‘মোসলমানের পোলা হইয়া পানিরে কস জল, ছি ছি ছি। এই হাতের গেলাসের পানি ফেলা। এই পানি এহন আর হালাল নাই, ফেলা, ফেলা। বিসমিল্লাহ বইলা আবার পানি নে। তারপর মাটিতে বইসা আদবের সাথে তিন ঢোক দিয়া খা, তিন ঢোকে সব পানি খাবি। এক ঢোকে না। এক ঢোকে পানি খায় শয়তানে’।



আমি গ্লাসের পানি ফেলে দিয়ে আবার পানি নিয়ে মাটিতে বসে আদবের সাথে গ্লাসে চুমুক দিতে যাবো, অমনি আম্মার জোর চিৎকার, ‘পানি খাওনের দোয়া পরছস? জানোস দোয়া? দোয়া পড়, দোয়া পড়’।



- দোয়াতো ভুইলা গেছি আম্মা!’



- ‘কি! দোয়া ভুইলা গেছস!! কই নিবি আমারে? কই? দোজখে? অক্ষন দোয়া মুখস্ত কর, অক্ষন, বল, অসাকা হুম রব্বাহুম সরাবান তহুরা’। পড়, মুখস্ত কর, মুখস্ত কইরা তারপর এইখান থেইকা উঠবি’।



আমি গভীর মনোযোগ এবং খানিক আগে দোয়া ভুলে যাওয়ার ভয় নিয়ে দোয়া মুখস্ত করতে বসে গেলাম। অসাকা হুম রব্বা হুম সরাবন তহুরা।



এই দৃশ্য কেবল আমার একার না। কমবেশি সেই সময়ের আমাদের সবারই।

আমরা তখন ভুলেও পানিকে জল বলি না। বরং বিলের পানিতে ফুটফুটে শাপলা ফুলের মধ্যেও তখন হিন্দু শাপলা আর মুসলমান শাপলা খুঁজি! চিকন চাকন দেখতে কট কটা লাল রঙের শাপলাগুলো হোল হিন্দু শাপলা। আর ধবধবে সাদা রঙের মোটা তাজা শাপলাগুলো মুসলমান শাপলা। আমরা বেছে বেছে সাদা শাপলাগুলো তুলে আনি। সেকালে গ্রামের মানুষদের বিনা পয়সায় পেটে জামিন দেয়ার নানান রকম ফন্দি ফিকির খুঁজতে হতো। সেক্ষেত্রে তরকারি হিসেবে শাপলা ছিল অপ্রতিদ্বন্ধি। চিংড়ির সাথে শাপলার ঝোল কিংবা ভাজির স্বাদ এখনো চোখ বুজলেই জিভের ডগায় লেপটে থেকে চাগিয়ে ওঠে! আহা!



কে শিখিয়েছে, কিংবা কিভাবে শিখিয়েছে জানি না। তবে এই হিন্দু মুসলমান বিভাজন খুঁজতাম সবকিছুতেই। হিন্দুদের আমরা বলতাম 'নোমো'। এই নোমোদের সবকিছুই খারাপ। আমাদের কাছে 'নোমো' মানেই খারাপ। যেন একটা গালি! এরা পরিত্যাজ্য। কেবল চুল কাঁটাতে বিপুল নাপিত 'নোমো' হলেও তার কাছে যাওয়া যাবে, আর দা কুড়াল ধার দিতে শিতেশ কম্মকার! আমরা বাচ্চারাও এই বিভাজন সবক্ষেত্রেই মেনে চলতাম। কঠোরভাবে মেনে চলতাম। এমনকি আর সব পিঁপড়ার মধ্যে থেকেও ছোট ছোট লাল পিঁপড়েগুলোকে বেছে বেছে আঙুলের ডগায় পিষে দিতাম। যা বাবা! একটা 'নোমো' পিঁপড়াতো গেল!



'নোমো'দের সব জিনিসকে খারাপ ভেবে তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললেও চৈত্র মাস এলেই কেমন গাই গুই করা শুরু করতাম। আম্মার কাছে গিয়া বলতাম, ‘আপনে যে কন হিন্দুদের সব কিছুই খারাপ, এই কথা কিন্তু সত্য না’।



- ‘কিভাবে সত্য না?’



- ‘এই যে দেখেন আদর্শ লিপি নামে যে বই আছে, সেই বই ভর্তি ভালো ভালো লেখা, এই বই কে লিখছে? লিখছে, সীতানাথ বসাক। সে কি হিন্দু? না মুসলমান? সে কিন্তু হিন্দু। দেখছেন কি ভালো ভালো কথা লেখছে!’



আম্মা আমার দিকে তাকিয়ে চোখ কটমট করে বললেন, ‘আসল উদ্দেশ্য কি সেইটা বল’।



আমি উদাস চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি। সেখানে বিশাল শিমুল গাছের মাথায় লাল শিমুল ফুলগুলো পরিণত হয়ে বড় বড় ফল হয়েছে। সেই শিমুল ফলের ভিতরেই শিমুল তুলা। বাজারে সেই শিমুল তুলার দাম মাশাল্লাহ ভালো। আমি কিছু তুলা এর মধ্যেই বিভিন্ন গাছ থেকে চুরি টুরি করে জমিয়ে রেখেছি। আরও কিছু তুলা জমাতে পারলেই কেল্লা ফতে। সময় আর বেশি বাকি নাই। আরতো মাত্র ক’টা দিন। তারপরেই...!



আম্মা আবার জিজ্ঞাস করেন, ‘কিরে, মতলব কি?’



আমি উদাস গলায় জবাব দেই, ‘মতলব কিছু না’।



আম্মা হঠাৎ কড়ে আঙুলে মাস গোনেন আশ্বিন, কার্তিক... চৈত্র... বৈশাখ...!



তারপর হঠাৎ শক্ত হাতে আমার কান চেপে ধরেন, ‘ওরে আল্লাহ! তুই এইবারও গোলোইয়ায় যাবি! গোলোইয়ায় যাবি! তোর সাহসতো কম না’!

আমি নির্বিকারভাবে বলি, ‘সবাইতো যায় আম্মা, আমি গেলে কি হইছে?’



আম্মা বলেন, ‘গুনা হইব বাজান, এই সব মেলা ফেলায় যাওন ভালো না। ওইখানে পূজা হইব, নাচ গান হইব, ওইখানে যায় না বাজান’।



কিন্তু আম্মা জানেন, তিনি ‘গোলোইয়ায়’ যাওয়া থেকে আমাকে ফেরাতে পারবেন না। আমি যাবোই। আমাদের অঞ্চলে তখন বাংলা নববর্ষে বিশাল বৈশাখী মেলা হতো। গৌরনদী অঞ্চলের এই বিশাল মেলাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হতো গোলোইয়া। এই গোলোইয়া নিয়ে তখন আশেপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে সে কি উন্মাদনা! উত্তেজনা! কৌতূহল! সেই মেলায় যাত্রাপালা হয়, পালাগান হয়, পূজা হয়! কি সুন্দর সব প্রতিমা! কিন্তু হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার সেই মেলা তখন যেন আর আমার মতো মুসলমান পরিবারের কাছে বাঙ্গালী সংস্কৃতি নয়, যেন শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতির উপলক্ষ্য। আমাদের তাই সেখানে যাওয়া বারণ! আমি ঘরের কোণায় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদি! আর জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখি, ইশ! কত মানুষ রঙবেরঙের জামা পড়ে গোলোইয়ায় যাচ্ছে! কতো কতো মানুষ গোলোইয়া থেকে ফিরছে! ইশ! তাদের হাত ভর্তি কত কত খেলনা! কতো কতো জিলিপি, সন্দেশ, মুড়িমুড়কি, নাড়ু, বাতাসা! ইশ!!



রঙের পসরা মেলে বসা সেই মেলা যেন বর্ণীল জীবনের সবটুকু রঙ। আমার মতো কিশোরের কাছে সেই রঙ তখন স্বপ্নের দেশ! রূপকথার জগত! সেখানে হিন্দু-মুসলমান, পাপ-পুণ্য কিংবা ন্যায়- অন্যায়ের বোধ তখন নিতান্তই গৌণ। আমরা উন্মুখ হয়ে থাকি গোলোইয়া শুরুর মাস তিনেক আগে থেকেই। কি কি কিনবো মনে মনে তার তালিকা করি। উশখুশ করি। নানান ফন্দি ফিকির করি, প্ল্যান-পরিকল্পনা করি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে টাকা কই পাবো? টাকা? আম্মাতো যেতেই দিবেন না। টাকা দেয়াতো অনেক দূরের কথা! যেতে হলেও যেতে হবে আম্মাকে না বলে। পালিয়ে। কিন্তু টাকা কোথায় পাবো?



টাকার ব্যাবস্থাও অবশ্য আমাদের আছে। আমরা গাছে গাছে পেকে যাওয়া শিমুল তুলো চুরি করে শিমুল তুলো জমাই। লুকিয়ে লুকিয়ে রোদে শুকাতে দেই। ভেজা তুলা কেউ কেনে না। প্রতিদিন আম্মার চোখ লুকিয়ে সেই তুলা রোদে শুকাই, আবার নিজের গোপন জায়গায় লুকিয়ে রাখি। দিনে দিনে একটু একটু করে ওজন বাড়ে। আজ-কাল-পরশু। প্রতিদিন ওজন মেপে দেখি! ইশ! যদি এক কেজী হতো! তাহলে কত দাম পাবো? তিরিশ টাকা? নাকি চল্লিশ? ভাগ্য ভালো হলে পঞ্চাশও পেয়ে যেতে পারি!



পঞ্চাশ টাকায় কি কি পাওয়া যায়?



আমি সেবার এক কেজির মতো তুলার ব্যাবস্থা করে ফেললাম!সত্যি সত্যি এক কেজী! রাতে আমার ঘুম হয় না! ছটফট লাগে! দমবন্ধ লাগে উত্তেজনায়, আনন্দে! টেনশনে! ইশ! এক কেজী! কি কি কিনবো? লাল নীল চরকী, লম্বা বাঁশি, চশমা, বাতাসা... আমার আর সময় কাটে না। রাত ভোর হয় না, ভোর হলে দুপুর হয় না। সন্ধ্যা হলে রাত হয় না। গোলোইয়ার দিন আর আসে না, আসে না।



গোলোইয়ার দিন দুপুরে শুকনো ক্ষেতের আইল ধরে হাটা দেই। নদী পেড়িয়ে গৌরনদী হেঁটে যেতে যেতে ঘণ্টাখানেক লাগবে। আমি জোর কদমে হাটি। গা বেয়ে ঘামের স্রোত নামে। কিন্তু বুকের ভেতর উচ্ছ্বাস! আরতো কিছুক্ষন! তারপরই সেই গোলোইয়া! সেই মেলা! আমি মাথা নিচু করে হাতের তুলার বস্তাটা দেখি! বুকের ভেতর প্রজাপতিরা ডানা ঝাঁপটায়। নানান রঙের প্রজাপতি। লাল, নীল, হলুদ! ওরা বুকের ভেতর রঙ ছড়িয়ে পাখা ঝাঁপটায়।



আজ রঙের দিন!



খেয়া নৌকা নদী পাড় হবো। নৌকা ভর্তি গিজগিজে মানুষ। আমি কোন মতে গুটিসুটি মেরে নৌকার পাটাতনে উঠে পড়ি। তুলোর বস্তাটা বুকের সাথে চেপে ধরি। গোলোইয়ায় যাওয়া মানুষের ভিড়ে নৌকাটা টইটুম্বুর। তিল ঠাই আর নাহিরে অবস্থা। নৌকাটা হঠাৎ বা পাশে কাঁত হয়ে পড়ে। কাঁত হয়ে পড়ে। আমি প্রাণপণে পাটাতনের কাঠ আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করি। কিন্তু পারি না। টুপ করে পড়ে যাই জলের ভেতর। আমি এক না। আরও অনেকেই। কিন্তু তাদের আমি দেখি না। সেই বুক সমান জলে দাঁড়িয়ে আমি সেই তুলার বস্তাটা জলের ভেতর থেকে টেনে বের করি! অতো হালকা বস্তাটা জলের ভেতর এতো ভারী হয়ে আছে যে আমি আর টেনে তুলতে পারি না! আমার চোখের ভেতর জ্বালা করে ওঠে। টুপটুপ করে ক’ফোটা চোখের জল সেই নদীর পানিতে মিশে যায়।



কি অদ্ভুত! কান্নার জল নদীর জল থেকে আলাদা করা যায় না।



পরিশিষ্টঃ

-------------------

দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে।



সেই ভেজা তুলার বস্তা নিয়ে আমি বসে আছি সেই নদীর পাশেই ক্ষেতের মাঝে এক বাঁশবাগানের ভেতর। বাশবাগানের পাশের হিন্দু বাড়িটা থেকে উলুধ্বনির শব্দ আসছে! আমার ভয় লাগছে। চোখের কোলে শুকিয়ে যাওয়া জলের দাগ। তবুও আমি সেই অন্ধকারে বসে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদি আর কাঁদি! অন্ধকার আরও গভীর হয়, আমি কাঁদতেই থাকি! কাঁদতেই থাকি। হঠাৎ সেই অন্ধকারের ভেতর থেকে কেরোসিনের কুপি হাতে কেউ একজন এগিয়ে আসেন। তার সিঁথিতে সিঁদুর। এক ‘নোমো’ মহিলা। তিনি এসে পরম মমতায় আমাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কি হইছে তোমার? কান্দ ক্যান?’



আমি জবাব দেই না। কাঁদতেই থাকি। তিনি তার কুপির আলোয় আমার পাশে পড়ে থাকা ভিজে চুপচুপে হয়ে যাওয়া তুলোর বস্তাটা দেখেন। তাকে আমি কিছু বলি না। কিন্তু তিনি যেন সব বুঝে যান। তিনি চুপচাপ আমার পাশে এসে বসেন, ‘তোমাগো বাড়ি কই বাপ? কইত্থেইকা আইছ? মেলায় আইছিলা? বাড়িতে বইলা আসো নাই? খাইছ কিছু? আসো আমার লগে আসো, বাড়ির ভিতর আসো’।



আমি তার কোন প্রশ্নের জবাব দেই না। কিন্তু তার পিছু পিছু বাড়ির ভেতর যাই। আমার কেন যেন ভয় করে না। এতো দিন লালন করে আসা ‘নোমো’ দের প্রতি কোন বিতৃষ্ণাও কাজ করে না। আমার কেবল মনে হয়, এই মানুষটা আমার চেনা। বহু দিনের চেনা।



পরদিন ভোরে পাগলপ্রায় আম্মা এসে হাজির। তিনি কিভাবে খবর পেয়েছেন কে জানে! আমাকে জড়িয়ে ধরে উথাল পাথাল কান্না। সিঁথিতে সিঁদুর আঁকা সেই ‘নোমো’ মহিলাটিকে ধরেও। তাকে বুকের সাথে চেপে ধরে আম্মা কাঁদেন! সেই কান্নায় ধুয়ে মুছে যায় এতো এতো বছর, এতো এতো দিন, এতো এতো মুহূর্ত ধরে গড়ে তোলা বিভেদের দেয়াল! হিন্দু আর মুসলমান! মিলেমিশে এক হয়ে যায় অদ্ভুত ভালোবাসায়, বিশ্বাসে, অনুভূতিতে, কান্নায়! আমি অবাক চোখে তাকিয়ে দেখি। আমার হাতে তখন লাল-নীল-হলুদ রঙের চরকি, লম্বা বাঁশি, প্ল্যাস্টিকের চশমা, হাতের ভেতর পলিথিনে মোড়া নারকেলের নাড়ু, ধবধবে সাদা বাতাসা।



ওই সিঁদুর পড়া মহিলাটা আমাকে কিনে দিয়েছেন। আমি হঠাৎ আমার মায়ের সাথে আর ওই সিঁদুর পড়া মানুষটার সাথে আর কোন তফাৎ খুঁজে পাই না। লাল পিঁপড়া আর কালো পিপড়াতেও না। লাল শাপলা আর সাদা শাপলাতেও না, জল আর পানিতেও না। আমি কোন তফাৎ খুঁজে পাই না।



তফাৎ খুঁজে পাই না এই মানুষ দুজনের মধ্যেও। সেই সিঁদুর পড়া হিন্দু মমতাময়ী নারী আর আমার মায়ের ভেতর আলাদা করে কিছু খুঁজে পাই না আমি! কিচ্ছু না! শুধু খুঁজে পাই দুজন মানুষ! দুজন নারী।



দুজন মমতাময়ী মা

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

কলাবাগান১ বলেছেন: "সেই কান্নায় ধুয়ে মুছে যায় এতো এতো বছর, এতো এতো দিন, এতো এতো মুহূর্ত ধরে গড়ে তোলা বিভেদের দেয়াল! হিন্দু আর মুসলমান! মিলেমিশে এক হয়ে যায় অদ্ভুত ভালোবাসায়, বিশ্বাসে, অনুভূতিতে, কান্নায়! আমি অবাক চোখে তাকিয়ে দেখি। আমার হাতে তখন লাল-নীল-হলুদ রঙের চরকি, লম্বা বাঁশি, প্ল্যাস্টিকের চশমা, হাতের ভেতর পলিথিনে মোড়া নারকেলের নাড়ু, ধবধবে সাদা বাতাসা।"

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

সাদাত হোসাইন বলেছেন: :)

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়লাম,,,,,,,,,,,,,
প্রথমত বলি,,,,,,,,বসে পানি খেলে পানি সরাসরি কিডনিতে এ্যাফেক্ট করে না,,,,,,,,আর তিন ঘোকে পানি খেলে আমি দেখেছি পানি গলায় আটকে যাওয়ার ভয় থাকে না,,,,,,,,আর অক্সিজেন----। ধর্মেরও ভাল দিক আছে,,,,,,,

আমার বেশির ভাগ হিন্দু বন্ধু বান্ধব,,ভাইয়ের ছিল, আপারও ছিল এবং বাবারও ছিল,,,,,,,,তাছাড়া আমার মাকে মেয়ে পাতিয়েছিল এক হিন্দু নারী,,,,,সেই সূত্রে তিনি আমার দিদিমা,,,,,,,,,। যাইহোক আমি মানুষ হিসেবে দেখি সবাইকে,,,,,,,,,,,,
তবে আমার মনে হয় ধর্মের বিষয়গুলো ভাল করে পড়তে হবে,,গভীরে যেতে হবে,,কোরআনের অর্থ, বাইবেল, গীতা, মহাভারত আরো ,,,,। কিছু মানুষকে দেখি কিছু অংশ পড়ে এবং কিছু অংশ না পড়ে---ভাষা ভাষা জ্ঞান নিয়ে/জানা নিয়ে লাফালাফি করে---------এড়াই সাম্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।

সব ধর্মের কিছু মানুষের ভিতর অশুর বাস করে,,,,,,,যা অন্য মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়,,,,,,,,,,,,

ভাল থাকুন, ভাল থাকুক সব ধর্মের মানুষ,,,,,,,,,,

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

সাদাত হোসাইন বলেছেন: :)

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

সায়েম মুন বলেছেন: তফাৎ খুঁজে পাই না এই মানুষ দুজনের মধ্যেও। সেই সিঁদুর পড়া হিন্দু মমতাময়ী নারী আর আমার মায়ের ভেতর আলাদা করে কিছু খুঁজে পাই না আমি! কিচ্ছু না! শুধু খুঁজে পাই দুজন মানুষ! দুজন নারী।

দুজন মমতাময়ী মা

----------------------------
গল্পটা পড়লাম। খুব ভাল লেগেছে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ

:)

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

লেখোয়াড় বলেছেন:
আমি ভাবছি, কি গভীর বোধ আর অনুভব দিয়ে আপনি লিখলেন এই লেখাটা!! এ সময়ে এমন লেখাটা খুব খুব দরকার।

"কি অদ্ভুত! কান্নার জল নদীর জল থেকে আলাদা করা যায় না"
অসাধা্রণ!

কেউ কি পারবে নদীর জলে মিশে যাওয়া কতটুকু হিন্দুর, কতটুকু মুসলমানের চোখের জল?

পরিচয়ের আগে মুখ দেখে কেউ কি বলতে পারবে কে হিন্দু, কে মুসলমান?

তাহলে, ধর্ম নিয়ে অত বড়াই কেন??

অনেক অনেক ভাল লাগল।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

সাদাত হোসাইন বলেছেন: এমন গভীর করে ছুতে পেরেছি ভেবে ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন.। শুভ কামনা।

:)

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩১

মদন বলেছেন: অন্যরকম

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

:)

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার লেখার স্টাইল অতি চমৎকার।
শুভকামনা...........।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

সাদাত হোসাইন বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো। অনুপ্রাণিত।

ধন্যবাদ

:)

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

লাবনী আক্তার বলেছেন: তফাৎ খুঁজে পাই না এই মানুষ দুজনের মধ্যেও। সেই সিঁদুর পড়া হিন্দু মমতাময়ী নারী আর আমার মায়ের ভেতর আলাদা করে কিছু খুঁজে পাই না আমি! কিচ্ছু না! শুধু খুঁজে পাই দুজন মানুষ! দুজন নারী।

দুজন মমতাময়ী মা ।




চমৎকার গল্প। লাল পিঁপড়া , কালো পিঁপড়ার কথা পড়ে ছোট বেলার কথা মনে পড়ল। হাহাহা। সত্যি কি অবুঝ ছিলাম আমরা।
হিন্দু মানুষের সাথে আমার পরিবার আর আমারো বেশ ভালো সম্পর্ক আছে। আমার ছোট বেলার অনেক বন্ধু আছে যারা হিন্দু এবং ওরা আমার খুব ভালো বন্ধু ।


যাক, আপনার গল্পে অনেক অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম। শুভকামনা রইল।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার জন্যও শুভকামনা। ভালো থাকবেন

:)

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

মিথিলা মাহমুদ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৯

সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন.।

:)

৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

সুমন কর বলেছেন: আপনি এই পোস্ট আগে (মনে হয় দুইদিন আগে), ওরা মানুষ [এই ধরনের] নামে পোস্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনার ব্লগে গিয়ে দেখলাম, আপনি পূর্বের পোস্টটি সরিয়ে শিরোনাম বদলে একই পোস্ট রিপোস্ট করেছেন। কারণ আগে পোস্টটি নির্বাচিত পাতায় যাইনি। আামার মনে আছে, কারণ আমি নিজে ঐ পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম। কি করেছিলাম সেটাও মনে আছে? আপনার আছে তো? আপনার কাছ থেকে এই ধরনের ছলচাঁতুড়ী আশা করিনি।


সামুর মডু বিষয়টি ভেবে দেখবেন, আশা করি। উনি যত বড়ই ব্যক্তি বা ভাল লেখক বা পুরস্কার পেয়ে থাকুন না কেন, এই ধরনের চুরি প্রশ্রয় দেয়া উচিত নয়। উনি একই পোস্ট রিপোস্ট বললে, আমার কোন অভিযোগ থাকত না। এটা ফ্লাডিং ছাড়া অন্য কিছু নয়। উনি নির্বাচিত পাতায় যাবার জন্য শিরোনাম বদলে দিয়েছে।
এই পোস্টটি সরিয়ে নেয়া হোক।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৬

সাদাত হোসাইন বলেছেন: সুমন, থ্যাংক্স ফর ইওর কনসারন। আমি ব্লগে সেই অর্থে রেগুলার না। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমি শুধু পোস্ট করি। এই পোস্ট করার কারণ বলতে গেলে আমার লেখা গুলো সংরক্ষন করে রাখা। সেদিন রাতে আমি এক বন্ধুর বাসায় বসে লেখাটা লিখি। এবং সাথে সাথেই পোস্ট করে রাখি। আই ওয়াজ ইন হারি। আমি লেখাটার পোস্ট নিয়ে কিছুই ভাবি নি। আজ লেখাটার কিছু জায়গায় রিটাচ করে পোস্ট করে রেখেছি। শিরোনামও। কিন্তু এটা যে এক ধরনের চৌর্যবৃত্তি এটা আমি বুঝি নি। এবং লেখাটা নির্বাচিত পোস্ট হিসেবে যাবে কি না, সে বিসয়টিও আগে থেকেই আমার পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না। আমি রেগুলার ব্লগে না থাকায় হয়তো অনেক কিছুর সাথেই সেভাবে সংশ্লিষ্ট না, তারপরও আমি যদি বড় ধরনের কোন অপরাধ করে থাকি, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের নিকট দুঃখ প্রকাশ করছি।
বিষয়টি নক করবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ লেখা।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৮

সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ

:)

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

পাজল্‌ড বলেছেন: অসাধারণ !!১৫ বা ২০ বছর আগে গ্রাম দেশে সত্যি সত্যিই এধরনের ধারনা প্রচলিত ছিল।পিপড়ার ব্যাপারটাতো মিলেই গেলো। ধন্যবাদ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৮

সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ

:)

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৬

পাজল্‌ড বলেছেন: সুমন কর বলেছেন, আপনার কাছ থেকে এই ধরনের ছলচাঁতুড়ী আশা করিনি।


সামুর মডু বিষয়টি ভেবে দেখবেন, আশা করি। উনি যত বড়ই ব্যক্তি বা ভাল লেখক বা পুরস্কার পেয়ে থাকুন না কেন, এই ধরনের চুরি প্রশ্রয় দেয়া উচিত নয়। উনি একই পোস্ট রিপোস্ট বললে, আমার কোন অভিযোগ থাকত না। এটা ফ্লাডিং ছাড়া অন্য কিছু নয়। উনি নির্বাচিত পাতায় যাবার জন্য শিরোনাম বদলে দিয়েছে।
এই পোস্টটি সরিয়ে নেয়া হোক।

@সুমন কর, আপনার পয়েন্ট ক্লীয়ার হলো না।উনি কি নিজের লেখাটাই নাম পাল্টে সেকেন্ড টাইম দিয়েছেন? যদি দিয়েই থাকেন তবে ক্ষতি কি! আপনার এটা কোন ধরনের যুক্তি!! নির্বাচিত পাতায় আসায় জন্য উনি সেকেন্ড টাইম পোস্ট দিয়ে থাকলে লেখককে ধন্যবাদ, আমরা যারা ব্লগে আসার তেমন সময় পাইনা তারা গল্পটা পড়তে পারলাম।

আর সামু মডু কে ধিক্কার প্রথম বারই গল্পটাকে নির্বাচিত পাতায় সিলেক্ট না করার জন্য। ধন্যবাদ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৯

সাদাত হোসাইন বলেছেন: সুমন, থ্যাংক্স ফর ইওর কনসারন। আমি ব্লগে সেই অর্থে রেগুলার না। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমি শুধু পোস্ট করি। এই পোস্ট করার কারণ বলতে গেলে আমার লেখা গুলো সংরক্ষন করে রাখা। সেদিন রাতে আমি এক বন্ধুর বাসায় বসে লেখাটা লিখি। এবং সাথে সাথেই পোস্ট করে রাখি। আই ওয়াজ ইন হারি। আমি লেখাটার পোস্ট নিয়ে কিছুই ভাবি নি। আজ লেখাটার কিছু জায়গায় রিটাচ করে পোস্ট করে রেখেছি। শিরোনামও। কিন্তু এটা যে এক ধরনের চৌর্যবৃত্তি এটা আমি বুঝি নি। এবং লেখাটা নির্বাচিত পোস্ট হিসেবে যাবে কি না, সে বিসয়টিও আগে থেকেই আমার পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না। আমি রেগুলার ব্লগে না থাকায় হয়তো অনেক কিছুর সাথেই সেভাবে সংশ্লিষ্ট না, তারপরও আমি যদি বড় ধরনের কোন অপরাধ করে থাকি, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের নিকট দুঃখ প্রকাশ করছি।
বিষয়টি নক করবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন

(এটা সুমন কর এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে)

১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

সুমন কর বলেছেন: লেখক + পাজলড, উনি আসলেই মহা ব্যস্ত। উনি আগের পোস্টটি ডিলেট করে, আমার পড়া মতে তেমন কিছু পরিবর্তন হয়নি। উনি জাস্ট, নজরে আসার জন্যই শিরোনাম বদলে দিয়েছে। উনি তাহলে আগের পোস্টটি রাখতে পারতেন, বুঝতাম কি পরিবর্তন করেছে!!
সরিয়ে দিয়েছে, কারণ যাতে ধরতে না পারি। যাই হোক, যারা ইন হারির মধ্যে থাকে, তারা রিপোস্ট করবেন, অথচ রিপোস্ট লিখবে না, সেটা কি সঠিক!!!
ভালো থাকবেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

সাদাত হোসাইন বলেছেন: সুমন, আপনার আপত্তিটা কোথায়? আমি রিপোস্ট লিখলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে? আর আপনার আচরণের ধরণ এমন ক্যান? আপনি যে কথাটা বলেছেন, সেটা এই ধরনের এপ্রোচ না করেওতো বলা যেতে পারত তাই না?

এতো উত্তেজিত ক্যান আপনি? আমি কিন্তু আপনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাথে সাথেই আমার ভুল স্বীকার করে নিয়েছি। এমনকি দুঃখ প্রকাশ পর্যন্ত করেছি। কিন্তু আপনার এপ্রোচ কিন্তু পাল্টায়নি।

১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন!! দারুন!!

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

সাদাত হোসাইন বলেছেন: থ্যাংক ইউ :)

১৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

পাজল্‌ড বলেছেন: এতো ত্যানা পেচানো ভালো না। আপনি ধরা ধরি কম করেন। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।@ সুমন কর

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

সাদাত হোসাইন বলেছেন: থাক, বাদ দেন। উনি ওনার ভাবনাটাকে হয়তো ওনার মতো করেই বলেছেন

:(

১৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

সকাল রয় বলেছেন:
চোখে পানি এসে গেলো...............

কলোনীতে এভাবেই অনেক গল্প জড়িয়ে কাটিয়েছি অনেক দিন। এখনো আমরা অনেকেই এসব মানি। এখনো গ্রামে গেলেই দেখতে পাই।
সেসব নিয়ে একদিন লিখবো।


অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

সাদাত হোসাইন বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
:)

১৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

কালো কুয়াশা বলেছেন: তফাৎ খুঁজে পাই না এই মানুষ দুজনের মধ্যেও। সেই সিঁদুর পড়া হিন্দু মমতাময়ী নারী আর আমার মায়ের ভেতর আলাদা করে কিছু খুঁজে পাই না আমি! কিচ্ছু না! শুধু খুঁজে পাই দুজন মানুষ! দুজন নারী।

দুজন মমতাময়ী মা


খুব ভালো লিখেছেন। অনেক ভালো লাগলো।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭

সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
:)

১৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০

না প্রেমিক না বিপ্লবী বলেছেন: আপনার লিখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো॥ গ্রামের ছেলেমেয়েদের শৈশব কাটে অনেক দুরন্তপনা আর আনন্দে॥ আফসোস এই ধরনের সুখ কখনো পাওয়া হবে না।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সময় এমনই। চলে যাওয়াই যার শেষ কথা।
ভালো থাকবেন

১৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

ইখতামিন বলেছেন:
অনেক অনেক অসাধারণ একটা পোস্ট +++

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন :)

২০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

রহস্যময় ফয়সাল বলেছেন: অসাধারণ, আর কিছু বলার নেই। অনেক দিন এমন একটা লেখা পড়িনা।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২০

সাদাত হোসাইন বলেছেন: শুনে ভালো লাগলো

ভালো থাকবেন

২১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৯

শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপনার লেখা এর আগেও পড়েছিলাম। গতবারের মত এবারেও ভালো লাগল। ভালো থাকবেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

সাদাত হোসাইন বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন
ধন্যবাদ :)

২২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫১

আছিমভ বলেছেন: ভাল লিখেছেন, শুভকামনা রইল

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫২

সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার জন্যও শুভ কামনা।

২৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: ভালো লেগেছে....

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:২৬

সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০১

অনন্ত শেশা বলেছেন: অসাধারণ , অসাধারণ, অসাধারণ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬

সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।

২৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

রয় ১৯৭৫ বলেছেন: আমাকে জড়িয়ে ধরে উথাল পাথাল কান্না। সিঁথিতে সিঁদুর আঁকা সেই ‘নোমো’ মহিলাটিকে ধরেও। তাকে বুকের সাথে চেপে ধরে আম্মা কাঁদেন! সেই কান্নায় ধুয়ে মুছে যায় এতো এতো বছর, এতো এতো দিন, এতো এতো মুহূর্ত ধরে গড়ে তোলা বিভেদের দেয়াল! হিন্দু আর মুসলমান! মিলেমিশে এক হয়ে যায় অদ্ভুত ভালোবাসায়, বিশ্বাসে, অনুভূতিতে, কান্নায়! আমি অবাক চোখে তাকিয়ে দেখি। আমার হাতে তখন লাল-নীল-হলুদ রঙের চরকি, লম্বা বাঁশি, প্ল্যাস্টিকের চশমা, হাতের ভেতর পলিথিনে মোড়া নারকেলের নাড়ু, ধবধবে সাদা বাতাসা।

ওই সিঁদুর পড়া মহিলাটা আমাকে কিনে দিয়েছেন। আমি হঠাৎ আমার মায়ের সাথে আর ওই সিঁদুর পড়া মানুষটার সাথে আর কোন তফাৎ খুঁজে পাই না। লাল পিঁপড়া আর কালো পিপড়াতেও না। লাল শাপলা আর সাদা শাপলাতেও না, জল আর পানিতেও না। আমি কোন তফাৎ খুঁজে পাই না।

তফাৎ খুঁজে পাই না এই মানুষ দুজনের মধ্যেও। সেই সিঁদুর পড়া হিন্দু মমতাময়ী নারী আর আমার মায়ের ভেতর আলাদা করে কিছু খুঁজে পাই না আমি! কিচ্ছু না! শুধু খুঁজে পাই দুজন মানুষ! দুজন নারী।

দুজন মমতাময়ী মা ................

খুব ভালো লাগলো তবুও এখোনো কেউ কেউ ভাবে.....সাদা মনের মানুষ আছে এখনো....

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮

সাদাত হোসাইন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো তবুও এখোনো কেউ কেউ ভাবে..

আসলে অনেকেই ভাবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.