![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম 'বোধ'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবিতে...
ক্রিকেট খেলা চলছে। হেমন্তের শীত শীত বিকেল।
খেলা হচ্ছে ধান ক্ষেতে। ধান কাঁটা হয়েছে, এবড়ো থেবড়ো ফসলের মাঠ। সেই মাঠেই খেলা হচ্ছে। ফিল্ডারদের নাকানি চুবানি অবস্থা। ডান দিকে বল পড়ে ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে ঘুরে বা পাশ দিয়ে সীমানা পার হয়ে যায়। সেই সীমানা আবার ক্ষেতের আইল। সেই আইল পাড় হলেই চার-ছক্কা। চার ছক্কার সাথে সাথে কান ফাটানো চিৎকার। ধান ক্ষেতের চার পাশ জুড়ে লোকে লোকারণ্য। আজিজ চেয়ারম্যান এসেছেন, এসেছেন লোকমান ফকির। গত ইলেকশনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল দুজনের। মুখ দেখাদেখি বন্ধ। কিন্তু বিকেল হলেই কেমন পেটের ভেতর কেমন গুড়গুড় করে। গুটগুট করে হেঁটে তারা ক্রিকেট খেলা দেখতে হাজির হয়ে যান। আজও হয়েছেন। আজ না হওয়ার অবশ্য কারণও নেই। আজ প্রতিপক্ষ দুইদল তাদের দুইজনের। এই ম্যাচ জেতা মানে ঘাড়ের উপরে যে শার্টের কলার আছে তা বিঘতখানেক উঁচু হয়ে যাওয়া। কিন্তু লোকমান ফকিরের দলের অবস্থা বেশি ভালো না। শেষ উইকেটে ৯ বলে ১৪ রান দরকার। আজিজ চেয়ারম্যান গোঁফে তা দিতে দিতে একবার চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াচ্ছেন, একবার বসছেন। আরেক দফা আজ লোকমান ফকির তার কাছে হেরে যাবেন। হা হা হা...
আজিজ চেয়ারম্যান হাসি শেষ করতে পারলেন না। তার সামনে দিয়ে বলটা ফুড়ুৎ করে সীমানার বাইরে চলে এলো। ঠিক তার চেয়ারের সামনে এসে থামল বলটা। চার রান। আজিজ চেয়ারম্যান হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। এই বল কোনভাবেই চার হওয়ার কথা না! বলটা আস্তে আস্তে আসছিল। খুব সহজেই ফিল্ডারের ধরার কথা। কিন্তু হঠাৎ করেই বলটা নিচু হয়ে গেলো। ফিল্ডারের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে দোতরা কেটে বল চলে গেল আইলের বাইরে! চার!
- ওই ছ্যামড়া দুই ঠ্যাঙের নিচে এতো ফাঁক রাখলে হইব!! বল গড়াইয়া আইলেই লেটকি দিয়া বইয়া ধরবি। দুই পায়ের ভিতরে জানি ফাঁক না থাহে। লেটকি দিয়া বইবি। লেটকি দিয়া।
আজিজ চেরাম্যান চিৎকার দিয়ে ওঠে। ৮ বলে ১০ রান! এখনও চিন্তার কিছু নেই। উইকেটে শেষ জুটি। এক বলের মামলা। পরের বলটা লুঙ্গীতে মালকোঁচা মেরে খেলা ব্যাটসম্যানটা ঝাড়ু কাট মারল। ঝাড়ু দিয়ে যেমন করে মাটি ঝাড়ু দেয়। ব্যাটটাকে তেমন কাঁত করে আড়াআড়ি চালানো শটকে এরা ঝাড়ু শট বলে। কেউ বলে কোরানি শট। মাটি কোরানো শট। অনেকটা সুইপ শটের মত ব্যাপার। ফুললি ক্রস ব্যাট। এরা এতসব জানে না। এরা ক্রিকেটটা জানে। মাটি কোরানো ঝাড়ু শট ঠিক মত লাগে নি। মিস টাইমিং। কিন্তু এবারো এবড়ো থেবড়ো মাঠে বল হঠাৎ নিচু হয়ে ফিল্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে চার! ৭ বলে ৬!
আজিজ চেয়ারম্যান চিৎকার দিয়ে উঠলেন, 'ওই ছ্যামড়া, লেটকি দিয়া বয়, লেটকি দিয়া যুইত কইরা বইয়া বল ধর। যুইত কইরা। ফাঁক দিয়া যাতে বাইর না হইতে পারে। আমাগো মান ইজ্জতটা খাবি?
তিনি বলেই ক্ষ্যান্ত থাকেন না। দৌড়ে মাঠের ভিতর ঢুকে যান। তারপর মাঠের মাঝখানে আসন করার ভঙ্গীতে মাটিতে বসে পড়েন, 'এমনে কইরা বইসা বল ধর ব্যাটা, এইডারে কয় লেটকি দিয়া বওয়া। লেটকি দিয়া বইলে বল আর ছোটতে পারত না। বল যতই লাফালাফি করুক, যাইতেই পারত না। হুনছস? লেটকি দিয়া বইবি, লেটকি দিয়া...'
এই লেটকি দেয়ার ঘটনা সত্য।
গ্রামে একটা মাত্র টিভি, সাদাকালো টিভি। সেই টিভিতে জিম্বাবুয়ের সাথে বাংলাদেশের খেলা হচ্ছে। জিম্বাবুয়ে দলে তখন এলিস্টার ক্যাম্পবেল, নেইল জনসন, হিথ ষ্ট্রিক, ফ্লাওয়ার ব্রাদারস, পল ষ্ট্রয়ংরা খেলেন। তুখোড় সেই দল। বাংলাদেশ তাদের কাছে মুড়িমুড়কির মতন হারে। কিন্তু সেদিন হঠাৎ অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো, বাংলাদেশ দলে দুইজন নতুন ওপেনিং ব্যাটসম্যান এসছে, 'শাহ্রিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ আর মেহরাব হোসেন অপি' এই দুইজন মিলে ওপেনিং জুটিতে করে ফেললো ১৭৫ রান! অবিশ্বাস্য ঘটনা। অবিশ্বাস্য ঘটনা কারণ বাংলাদেশ দল তখন নিয়মিত ৫/৬ উইকেটে ২৫ রান করে অভ্যস্ত। বাকিটুকু টেল এন্ডারদের খেলা। সেই বাংলাদেশ ওপেনিং জুটিতে ১৭৫!! কি বলে এইসব! মেহরাব হোসেন অপি বাংলাদেশের পক্ষে ইতিহাসে গড়ে ফেললেন। প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিও করে ফেললেন। ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২৫৭ (সম্ভবত)।
সেই সাদাকালো টিভি সেটের সামনে ভিড় জমে গেল। বাংলাদেশ প্রতিদিন হারে, এই মানুসগুলা মন খারাপ করে বলে, 'আমাগো দ্যাশের পেলেয়ারগো আর দোষ কি? হ্যারা হারা বছর খেলছে এই ধানক্ষেতের মাঠে, ইস্টেডিয়ামের অইরম সোন্দর মাঠে এইজন্যই খ্যালতে পারে না। বুক কাঁপে'।
আজ বাংলাদেশ জিতবে! চোরের দশদিন, গৃহস্তের একদিন। আজ বাংলাদেশের দিন। জয়ের দিন। কিন্তু রাত যত গভীর হয়, হার তত নিকটে আসে। এলিস্টার ক্যাম্পবেল নামের লোকটা আউট হবার নাম পর্যন্ত নেয় না। খেলেই যাচ্ছে। এখন ভরসা একটাই বলের চেয়ে রান বেশি দরকার। আমাদের শান্ত আছে। হাসিবুল হাসান শান্ত। কিন্তু এলিস্টার ক্যাম্পবেলরা ভাগ্যবান হন, আমরা দুর্ভাগা। তার ব্যাটের কোনাকাঞ্চিতে বল লেগে চার হয়ে যায়। শান্তরা চোখ ঢেকে কাঁদেন। ১৮ বলে ২২ রান দরকার। কিন্তু থার্ডম্যানে দাঁড়ানো ফিল্ডারের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল চলে গেলো সীমানার বাইরে, চার!
যেন টিভি সেটের সামনে শোকের মাতম হোল মুহূর্তেই, লোকমান ফকির, আজিজ চেয়ারম্যান, শরিফ মণ্ডল, সকলে একসাথে চিৎকার করে উঠল, 'ওরে, লেটকি দিয়া বয়, লেটকি দিয়া। বল যাইব ক্যামনে? লেটকি দিয়া যুইত কইরা বইয়া বল ধর। যুইত কইরা। ফাঁক দিয়া যাতে বাইর না হইতে পারে। আমাগো মান ইজ্জতটা খাইস না রে ভাই! লেটকি দিয়া যুইত কইরা বল ধর।
সেই ম্যাচে সম্ভবত বাংলাদেশের ফিল্ডাররা লেটকি দিয়ে যুৎ করে বল ধরতে পারে নাই। বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরে গিয়েছিল। ফাঁক দিয়ে বল চলে গিয়েছিল সীমানার বাইরে। আর কান্নাগুলো গিয়েছিলো চায়ের দোকানের হারুন ব্যাপারির চায়ে, ধানক্ষেতের হেমন্তের শিশিরে, ক্ষেতের আইলের বাউন্ডারিতে, লুঙ্গীতে মালকোঁচা মেরে চার হাঁকানো ব্যাটসম্যানের ব্যাটে কিংবা সেই আড়াআড়ি ব্যাটের মাটি কোরানো ঝাড়ু শটে। একটা জয়ের জন্য সে কি প্রতীক্ষা, সে কি প্রার্থনা, কান্না, জল। বুকের ভেতর নিঃশব্দে গভীর আবেগে একটা জয়ের জন্য চোয়াল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করা। তারপর কত কিছু বদলে গেল একটা জয়ের জন্য। একটা মাত্র জয়ের জন্য। সেই ধানের মাঠে মই লাগিয়ে রব সিকদারের এবড়োথেবড়ো মাঠ সমান করা, ধানের আইলের বদলে দড়ি বেঁধে সীমানা বানানো, সেই লুঙ্গী পড়ে মালকোঁচা মারা ব্যাটসম্যানের জন্য একটা ফুলপ্যান্ট, কোরানো ঝাড়ু শটের সুইপ হয়ে ওঠা। একটা জয়ের জন্য, শুধু একটা জয়ের জন্য। একদিন হঠাৎ সেইসব মাঠ, বাংলাদেশের সেইসব অজস্র মাঠ থেকে উঠে আসতে লাগলো মাশরাফি নামের টগবগে ঝাঁঝালো তরুণ, সাকিব আল হাসানের মত বিস্ময় বালক, রুবেল, রাজ্জাক, তামিম, মুশফিক, মমিনুলের মত জ্বলজ্বলে হীরা... সাথে এলো জয়। পরম প্রার্থিত জয়। এই জয়ের প্রতিটার পেছনে টুপটাপ করে মিশে আছে সেই হেমন্তের শীত শীত বিকেল, এবড়োথেবরো মাঠ, সেই ধানখেত, সেই মাটি, সেই মানুষ আর সেই বাংলাদেশ। একটু একটু করে মিশে আছে সবটুকুতে। সবটুকুতে। সবটুকুতে। ক্রিকেটের সব সবটুকুতে। সেই অপেক্ষার প্রতিটি রাতে, উৎকণ্ঠার প্রতি মুহূর্তে, তিলেতিলে গড়ে তোলা এক একটি জয়ের সীমাহীন স্বপ্নে। মিশে আছে, মিশে আছেই। বাংলাদেশ মিশে আছে, তার মাটি আর মানুষের স্পর্শে।
সেই স্পর্শ যদি টি টোয়েন্তি বিশ্বকাপের এই কিম্ভূতকিমাকার, অর্বাচীন, অসংলগ্ন, শেকরহীন, অথর্ব এবং 'বাংলাদেশের বস্ত্রহরণে'র এক থিম সঙ-এর কিম্ভুত নর্তন কুর্দনে না থাকে, তাতে কি আসে যায়? কিচ্ছু যায় আসে না। শুধু ঘেন্না হয়, অনুভূতি, মমতা আর ভালোবাসাদেরও তোমরা বিক্রি করে দিয়েছ, পণ্য করে দিয়েছ বানিজ্যে বেশ্যার খোলা বাজারে। কিন্তু এই ক্রিকেটের সবটা জুড়ে মিশে আছে, মিশে আছে সেই সব মানুষ, সেইসব মাটি, এবড়োথেবড়ো ধানক্ষেত, সেই বাংলাদেশ। এই ক্রিকেটের সবটুকুতেই। সবটুকুতেই মিশে আছে।
মিশে থাকবে। থাকবেই...
এবং আমি জিজ্ঞেসও করতে চাই না, জানতেও চাই না, এই পরদেশী, শেকরহীন, আগাছা কিংবা পরগাছা থিম সঙ এবং তার মিউজিকভিডিওতে আমার সেই দেশটা কই, সেই মাটি আর মানুষেরা কই?
কই সেই বাংলাদেশ, কই?
-----------------------------------------------------------------------------------
বাণিজ্য বেশ্যায় বস্ত্রহরণ!/ সাদাত হোসাইন
১০.৩.২০১৪
বিঃদ্রঃ নিচে দুখানা লিংক দেয়া হোল, আগ্রহ থাকলে দেখে নিতে পারেন।
লিঙ্ক-১: http://www.youtube.com/watch?v=-fKrAeMMGIY
লিংক-২: Click This Link
১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২৫
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১৬
এন ইউ এমিল বলেছেন: এত বড় পোষ্ট আমি পড়িনা, কিন্তু এই পোষ্টটা আগা গোড়া চেটেপুটে খেলাম,
১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২৫
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: সাবলীল আপনার লেখা।
অনেক ভাল লাগল।
১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
xewel বলেছেন: লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে... লোভের বাণিজ্য আমাদেরকে গিলে খাচ্ছে... ওরা আমাদের বস্ত্র খোলে না... আমরাই তাদের জন্য বস্ত্র খুলে দিই...
১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
সাদাত হোসাইন বলেছেন: কথা সত্য।
৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
মুহামমদল হািবব বলেছেন: পরম মমতায় লেখা। অদ্ভুদ সুন্দর। ধন্যবাদ দিলে কম হয়ে যায় ।
হাজার সালাম ও হাজার ++
১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২২
প্রফেসরস্ বলেছেন: Good & standerd writing.
১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
সাদাত হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
বক্তব্য দারুন ...
ঐ ম্যাচে বাংলাদেশ ২৫৭ ই করেছিলো। বাংলাদেশ ৩ উইকেটে হেরেছিলো
১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
ভিটামিন সি বলেছেন: আমিও পুরো পোষ্টটা পড়লাম। এখনও থিম সঙ এর ভিডিওটা দেখি নাই। অনেকের মুখে শুনেছি সেইরাম হইছে। কিন্তু সেখানে যদি আমার বা আমার ছোট ভাই/ভাইস্তার প্রতিচ্ছবি না থাকে, শুধু যৌবনবতী নারীর আবেদনময়ী দেহপ্রদর্শনী তো আমার মনকে সন্তুষ্ট করতে পারবে না। হাফপ্যান্ট পরা শুকনো গোছের কালো ছেলেটা বল নিয়ে দৌড়ে আসছে হেমন্তের কাটা ধানখেতের এক প্রান্ত থেকে, অন্য প্রান্তে ব্যাট করে চার মেরে তারপর কাদা পুকুরে ডুব এমন তো একটা দৃশ্য থাকতে হবে।।।।।
১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮
সাদাত হোসাইন বলেছেন: থিম সঙ এর লিঙ্ক পোস্টেই দেয়া আছে, দেখতে পারেন
৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন লিখেছেন!! আবেগটা দারুন ভাবে চিত্রিত হয়েছে। ভালোলাগা জানবেন।
১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
১০| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: এদেশে টি টোয়েন্টি বিশ্ব কাপ দেয়া হয়েছে কারণ, আমরা শুধু নিজেদের দেশের খেলা দেখতেই যাইনা। অন্য দেশেরটাও দেখি। টিকিট নিয়ে কাড়াকাড়ি।
আর আমাদের কিনা টেষ্ট স্টাটাস কাড়ে নেবার জন্য ভারত, অষ্ট্রেলিয়া উঠে পরে লাগছে।
দারুন লেখা।++++++++++++++++++
১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
১১| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শুধু ঘেন্না হয়, অনুভূতি, মমতা আর ভালোবাসাদেরও তোমরা বিক্রি করে দিয়েছ, পণ্য করে দিয়েছ বানিজ্যে বেশ্যার খোলা বাজারে। কিন্তু এই ক্রিকেটের সবটা জুড়ে মিশে আছে, মিশে আছে সেই সব মানুষ, সেইসব মাটি, এবড়োথেবড়ো ধানক্ষেত, সেই বাংলাদেশ। এই ক্রিকেটের সবটুকুতেই। সবটুকুতেই মিশে আছে।
মিশে থাকবে। থাকবেই...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
১২| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৪৩
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: থিম সঙটা দেখার এবং শুনার দুর্ভাগ্য হয়েছে আমার। আপনি যে ব্যাপারটা অবতারণ করেছেন, সেটা যথার্থই করেছেন। আশা করেছিলাম সঙটাতে বাংলার সোঁদা কাদা মাটির গন্ধ থাকবে। কিন্তু বাণিজ্যিক কারণেই হোক আর অন্য কোন কারণেই হোক সেটা পেলাম না। ক্রিকেটের সাথে জড়িত কর্তা ব্যক্তিরা যতটা না খেলাটার উন্নতি এবং বিশ্বব্যপী প্রসার নিয়ে ভাবছেন, তার চেয়ে বেশী ভাবছেন বাণিজ্যকরণ নিয়ে। তার ছোঁয়া যে বাংলাদেশেও লেগেছে সেটা আর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নাই। আর এভাবে যদি চলতে থাকে, তবে ভবিষ্যতে সাকিব যেটা প্যান্টের ভিতর রেখেই নাড়ানোর সাহস দেখিয়েছেন, সেটা হয়তো বের করেই নাড়বেন। কারণ যেখানেই বাণিজ্য সেখানেই যে নগ্নতার সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বাঙালীর পুরো আবেগ আপনার লেখায় উঠে এসেছে। ধন্যবাদ সাদাত।
১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
১৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৩১
আসফি আজাদ বলেছেন: বাণিজ্যে বসতি লক্ষী; তা সেই লক্ষী বস্রহরণে আসল, না অন্য যে কোন ভাবে তাতে কিবা আসে যায়!
Money, money, money
Must be funny
ফানতো বটেই...সর্বক্ষেত্রেই ফানি। চমৎকার লিখেছেন।
১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮
সাদাত হোসাইন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
ফকরুজ্জামান শুভ বলেছেন: দারুন লিখছেন। ভালো লাগল