নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"রিটায়ারমেন্ট" এর পর গ্রামে ফিরে যাবার ইচ্ছে ছিলনা আর অলম সাহেবের, বাজার দর এর চাইতে অনেকটা স্বস্তায় পাওয়াতে জায়গাটা কেনা হল বেশ তাড়াহুড়ো করেই, মূল শহরের কাছেই, খালপাড় নামক জায়গটায় বাড়ী করতে গিয়ে যখন মাপ দেয়া হল তখন দেখা গেল পাশের খালটাও জায়গাতে ঢুকে যাচ্ছে।
হেন কোন গালমন্দ বাদ রাখেনি প্রাক্তন মালিক হাকিম সওদাগরকে, তবে তা মনে মনে। হাকিম সওদাগর প্রভাবশালী লোক, বেশী চেচামেচি করলে পুরো জায়গাটাই আবার দখল নিয়ে নেবে।
আলম সাহেবের চাকরী জীবনের পায় পায় হিসেব করে জমানো টাকা দিয়ে এই জমি কেনা। গ্রামে অঢেল জায়গা সম্পত্তি আছে কিন্ত শহরে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া এই জীবনে শেষ বযেসে গ্রামে ফিরে যাবার ইচ্ছে ছিলনা তার।
মাপে আলম সাহেবকে ঠকানো হয়েছে ব্যাপারটা তিনি আর মেনে নিতে পারেননি, প্রতিদিন ভোরে উঠে খালে নেমে পড়ত আর খাল থেকে কাদা তুলে ছুুড়ে মারতো পারে, জায়গার মোহে এতটাই অন্ধ হযে গিয়েছিল যে, খালের জায়গাতে পানি থাক আর মাটি থাক সেটা যে খাস জায়গা সেই বোধটা আর হয়ে উঠেনি। অবশেষে জায়গার চিন্তাই যখন জীবনটাই গত হল তখন সাড়ে তিন হাত জায়গা হলনা কোথাও, আবার সেই গ্রামে ফেরা।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: হুম, বিদ্রোহী বাঙালী ভাই ধন্যবাদ রইল বিশদ ব্যাখ্যার জন্য, কত যুদ্ধ করি আমরা ধন দৌলত এর জন্য কিন্তু সাড়ে তিন হাতের হিসেব থাকেনা
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯
সিকদারভাই বলেছেন: সুন্দর হয়েছে ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন সিকদার ভাই
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনি যেটা বুঝাতে চেয়েছেন সেটা যে আমি বুঝি নাই, তা আমার প্রথম মন্তব্যের উত্তরেই বুঝে গেছি। তবে এখানে আপনার কথার সাথে একটু দ্বিমত পোষণ করছি। সে কিন্তু জায়গায় কিনেছিল, সেটা যদি পেতো, তাহলে কিন্তু তার সাড়ে তিন হাত জায়গার হিসাব ছিল বলেই আমরা ধরে নিতাম। এখন শহরে নাই, সেটা মানুষের জন্য হয়েছে, তার জন্য নয়। এটা যে কারো বেলায়ই হতে পারে। তাছাড়া গ্রামের বাড়িতে কিন্তু তার অঢেল সম্পত্তি আছে। সুতরাং তার সাড়ে তিন হাত জায়গার কিন্তু কোন অভাব নাই। সেই হিসাবে বলতে গেলে কিন্তু আপনি বলতে পারবেন না যে আলম সাহেবের সাড়ে তিন হাতের কোন হিসাব ছিল না। তবে এটা ঠিক, অনেকের আসলেই থাকে না। দেখা গেছে গ্রামের বাড়ি ঘর বিক্রি করে শহরে ফ্ল্যাট কিন আলিশান জীবন যাপন করছে। যখন মারা যায় তখন কবর হয় বিভিন্ন সরকারী গোরস্থানে। ধন্যবাদ বাকপ্রবাস।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: কিছু কিছু ব্যাখ্যা আছে একটু এদিক ওদিক হতে পারে সময় বা ব্যাখ্যা ভেদে, দেশের জন্য লিখা গান বা কবিতা প্রেমিকা পেয়ে খুশী হতে পারে এমনটাও হতে পারে, আপনার ধরাটা ঠিকই আছে, আমি শুধু আরো কিছু উপদান যোগ করলাম আপনার সাথে, এইযে আমরা ধনসম্পত্তির জন্য লাগামহীন কিন্তু মরে গেল পান শুধু সাড়ে তিন হাত, তবে এতো প্রতিযোগীতা কেন? এত লোভ কেন? এত আপসুস কেন? জায়গা সম্পত্তি প্রতিপত্তির জন্য, অন্যদিকে ধরা যাক জায়গাটা আছে কিছু অংশ খোয়া গেছে, সে যেখানে বৃদ্ধ নিশ্চয় ছেলে মেয়েরা আছে, তারা ভাবল এটুন একটা জায়গা তার পাশে কবর দিলে কিছুই থাকেনা আর বেমানান, তাই বাবাকে গ্রামের বাড়ীতে ব্যাবস্থা করি, সবাই স্বার্থপর যেখানে সেখানে কার জন্য এই জায়গা জমি, ছেলে মেয়েরাইতে বাবা মা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয় ব্যাখ্যাটা আপনার ব্যাখ্যার সাথে যোগ হতে পারে, দুটো ব্যাখ্যায় সমান্তরাল, পাঠক ভেদে এক একজন একটু ভাবার এদিক ওদিক হবে কিন্তু মূলটা ঠিকই আছে বা থাকবে মৃত্যু , সাড়ে তিন হাত, পরকাল, আর ফেরা শব্দটার ব্যাখ্যাও দুইটা হতে পারে, যেখান থেকে আসা সেখানে ফেরা, সেটা গ্রামে যেমন আবার পরকালে বা সৃষ্টিকর্তার কাছেও তেমন, ধন্যবাদ আপনাকে এভাবে আমরা আলাপ করলে অনেক কিছু বের হয়ে আসবে যা সবার চিন্তাকে সমৃদ্ধ করবে
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার এবারের ব্যাখ্যাটা কিন্তু আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আগেরটার সাথে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করলেও এবারেরটার সাথে কোন দ্বিমত নয়। সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন বাকপ্রবাস। আমি পুনারাবৃত্তি এড়িয়ে গেলাম কেবল।
আর হ্যাঁ, এটাও ঠিক আমরা যদি এভাবে পরস্পর মন্তব্য আদান প্রদান করি, তবে তাতে আমরা সবা-ই উপকৃত হব। সবার জানার পরিধি বাড়বে বৈ কমবে না। এটাকেই আমি ব্লগিং বলি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: মাপে শেষ পর্যন্ত যতটুকু জায়গায় পেয়েছিল তার পুরোটাই মনে হয় ছিল খালের পেটে। জীবনের সমস্ত সঞ্চিত অর্থ দিয়ে জায়গায়টুকু কেনা হয়েছিল, কিন্তু যেভাবে ঠকেছে, তাতে তো পাগলই হওয়ার কথা। পাগল তো আর মালিকানা দাবী করতে পারে না। ফলে আম ছালা দু-ই গেলে। শেষ পর্যন্ত প্রাণটাও গেলো। তাই কবরের জন্য গ্রামে ফেরা ছাড়া অন্য কোন উপায় রইলো না।
আমাদের দেশে এমন ঘটনা অনেক ঘটছে। মারা না গেলেও দেখা গেছে জমি কিনে শেষ পর্যন্ত সেই জমি আর দখল নিতে পারে না কিংবা জমি কিনেছে শুকনায় অথচ বুঝে নিতে গিয়ে দেখে পুরো জমিই পানির মধ্যে। কিংবা অর্ধেক শুকনায় আর অর্ধেক পানিতে। কোন সময় দেখা যায় পুরো ব্যাপারটাই ভুয়া। অন্যের জমি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে পগারপার। আরও অনেক রকম ঘটনা আছে। ভালো একটা দিক অণুগল্পে তুলে এনেছেন বাকপ্রবাস। অনেক ধন্যবাদ।