নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাকপ্রবাস

বাকপ্রবাস

সৈয়দ আহমেদ হাবিব

বাকপ্রবাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরের ধনে পোদ্দারি

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:১৪



প্রথমে নিজের ঢোলটা নিজে একটু পিটিয়ে নিই। সকালে বের হই অপিষ এর উদ্দেশ্যে। বিকেলে একটা টিউশানি সেটা শেষ করে আরেকটা। তারপর ঘরে ফেরা। এর ফাঁকে আমার ব্লগিং জীবন। সুতরাং আমি চাইলেও সব পড়া পড়তে পারিনা, যারা আমার লেখায় কমেন্ট করে চলেন অনবরত অন্তত তাদের লেখা পড়াটা দায়বদ্ধতার মাঝেই পড়ে, সেটাও কুলিয়ে আসতে পারিনা।

আজকে দেখতে পেলাম মাসিক কবিতার আর গল্পের দুই দুইটা পোষ্ট। এসব নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ ইত্যাদি। আমার যেহেতু সময় নেই তায় আমার আগ্রহ দুইটা বিষয় এর একটা হল ছড়া অন্যটা অণুগল্প। কবিতা সংকলন এর মাঝে ছড়ারা স্থান পায়না তায় আমার ইচ্ছা ছিল সেটা নিয়ে কাজ করার কিন্তু সম্ভব নয়। প্রসঙ্গটা তুলে দিলাম সেটা নিয়ে কেউ একজন লেগে যেতে পারেন। অন্য বিষয়টা অণুগল্প সেটা নিয়ে লাগার কিছু নেই গল্প এর সাথে অণুগল্পগুলো ঠিকই স্থান করে নিবে। তবে আমার একটা খুঁতখুঁতে ভাব হল কেউ কেউ ছোট গল্পকে আর সাদামাটা কিছু কথাকে অণুগল্প শিরোনাম দিয়ে চালিয়ে দেন, তার মাঝে কেউ বুঝেই করেন কাজটা আবার কেউ না বুঝে।

আমি করলাম একটা কাজ, স্রাঞ্জি সে ভাই এর পোষ্ট করা সামহোয়্যারইন ব্লগ গল্প সঙ্কলনঃ শুভ্র সেপ্টেম্বর ১৮ এর ওখান থেকে অণুগল্পগুলো চোখ বুুলিয়ে নিলাম (যে গল্পগুলোর শিরোনাম অণুগল্প লেখা ছিল কেবল সেগুলো)। এবার সে প্রসঙ্গে কিছু কথা শেয়ার করা যাক।

নিচু তলাৱ উকিল লিখেছেন নিচু তলার উকিল অণুগল্পটা আমার ভাল লেগেছে। কিছুটা ব্যাতিক্রমও ছিল। শুধু অনুগল্প শিরোনামটা অণুগল্প হবে।

ফেনা লিখেছে অনু গল্পঃ কুলসুম গল্পটা আমার মোটামুটি লেগেছে, অণুগল্প বিচারে সাদামাটা লেগেছে। এটা অণুগল্প হয়ে উঠতে কিংবা এভাবে লিখতে লিখতে আরো কিছু অভিজ্ঞতা, প্রচেষ্টা ইত্যাদি যোগ হতে থাকলে ভবিষ্যতে ভালো করার সম্ভবনা থাকবে এবং সেটা অণুগল্প বিচারে। গল্প বিচারে পরিশ্রম আরো কম করলেও চলবে। কিছু টাইপো ছিল। আর শিরোনামে অনু এর জায়গায় অণু হবে।

নিচু তলাৱ উকিল লিখেছেন অনুগল্প- নসিব খুব সুন্দর একটা গল্প। আপনার লেখার হাত ও মান খুব ভাল। তবে এই গল্পটা অণুগল্প বিচারে খুব একটা অণুগল্প হয়ে উঠেনি। শুধু গল্প বিচারে খুব সুন্দর বলা যায়। শিরোনামে অণু হবে অনু এর জায়গায়।

একটা মজার কান্ড ঘটল, স্রাঞ্জি সে ভাই এর পোষ্টে অণুগল্প নাম্বার ৯ এর লিংক ভুলক্রমে নুরুন নাহার এর একটা রম্য গল্প যুক্ত হয়েছে, আমি বারবার ক্লিক করেও কাইকরকে পেলামনা। দেখা যাক কাইকর এরটা ওনার পোষ্টে গিয়ে উদ্ধার করা যায় কিনা, সেটা করব শেষের দিকে।

শাহ মোহাম্মদ ইসমাইল লিখেছেন অণুগল্প: টিক..টিক..টিক ভাল লেগেছে অণুগল্পটা। সাদামাটা ভাবে পড়লে অনেকেই মজা পাবেনা। আমাতেও দুইএকবার চোখ বোলাতে হয়েছে। অণুগল্পে এই কাজটা খুব করতে হয়। কিছুটা অঙ্কের মতো কাজ করে, কোন এক জায়গায় সূত্র গুজে থাকে। অণুগল্পের ধরনই এমন। বিশেষত শেষ লাইনে সূত্র থাকে বেশীরভাগ, নামকরণেও সূত্র থাকে যেমনটা কবিতার বেলায় হয়ে থাকে। ঘড়ির টিকটিক শব্দগুলো মনোসংযোগে ব্যাঘাত এবং বিরক্তির কারণ হতে হতে আবিস্কার হয় এটা তার নিজেরই হৃৎপিণ্ডের শব্দ। অবশেষে সেই শব্দটা বন্ধ করার জন্য ফল কাটার ছুরির ব্যাবহার। বুঝতেই পারছেন শব্দ রোধ করার জন্য আত্মহনন এর পথই বেঁছে নেয়া। খুব সুন্দর একটা ব্যাপার।

কাইকর লিখেছেন কাইকর কামলার ছোট সংসার(অণুগল্প) কাইকর ভাল লিখেন, লেখায় ভিন্নতা আছে, প্রতিশ্রুতিশীল একজন লেখক। ভবিষ্যতে আমরা কাইকর থেকে আরো ভাল ভাল লেখা পাব সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। গল্পটা খুব সুন্দর কিন্তু অণুগল্প বিচারে অণুগল্প হয়ে উঠেনি। এই কমেন্ট আমি ওনাকেও ওনার একটা অণুগল্পে করেছিলাম একটুু ঘুরিয়ে বিনয় এর সাথে।

এক ভাই আছেন ইদানিং দেখছিনা, আগে প্রতিদিন লিখতেন, সাদামাটা একটা ঘটনা লিখে শিরোনাম দিয়ে দিতেন অণুগল্প। ওনাকে কমেন্ট করেছি এটা অণুগল্প হয়ে উঠছেনা, ওনি বিরক্ত হয়েছেন, সে থেকে ওনার লেখা পড়ি কিন্তু কমেন্ট করিনা, পড়তাম কারণ কোন চেন্জ আসল কিনা দেখার জন্য, কমেন্ট করতামনা কারণ অহংকার ভাবটা আছে বলে।

সেই যাই হোক, আমার এই লেখার উপজীব্য হল স্রাঞ্জি সে ভাই এর পোষ্ট থেকে, আমার পক্ষে সময় বের করার সময় নেই ব্লগে ঘেটে পড়ে বের করে আনব, তাই রেডিম্যাড যেটা পেলাম সেখান থেকেই লেখা। অণুগল্প সম্পর্কে যা বললাম এবং বাছ-বিচার এটা আমার ব্যাক্তিগত অভিমত, এটার সাথে সবার একমত হবার প্রয়োজন নেই। আমি অণুগল্পে যা খুঁজি সেটা হলঃ

১) আসলেই কী অণুগল্প লেখার চেষ্টা ছিল নাকি গল্প ছোট বলে অণুগল্প শিরোনাম দিয়ে দিল
২) গল্প শেষে কোন মেসেজ রেখে গেল কিনা
৩) গল্পে টুইস্ট ব্যবহার করেছে কিনা
৪) গল্প বড় করে লেখার লোভ ছাড়তে পারল কিনা। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। অণুগল্প এমন একটা বিষয় যেটার ভাবার্থ দিয়ে একটা উপন্যাসও হয়ে যেতে পারে কিংবা কয়েকপর্বের একটা বড় গল্পও হয়ে যেতে পারে, এখন লেখক এত বড় একটা লেখা ফেলে দিয়ে একটা ছোট গল্প লিখতে আগ্রহী কিনা সেটা আমি দেখার চেষ্টা করি। কারণ অণুগল্প লিখতে হলে বড়লেখা ছাড়ার লোভটা থাকতে হবে। অনেক কথা না বলে সামারাইজ করে নিয়ে আসা, এই সেক্রিফাইস বা লোভটা সামলাতে না পালে অণুগল্প লেখা মানে দুই নৌকায় পা দেয়া।
৫) ---------------------------------- যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হয়তো বলাই হয়ে উঠছেনা তায় ডট দিয়ে পাঁচেই রাখলাম।

ধন্যবাদ।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৩৯

আরোগ্য বলেছেন: ব্লগে আসার পর থেকেই আপনার ছড়া পড়ছি রীতিমত ভক্ত হয়ে গিয়েছি। হাবিব ভাই আপনাকে কিন্তু আমার ব্লগে পাইনি। আমার লেখা কবিতায় আপনার মত কবির মন্তব্য পেলে ধন্য হতাম। খুব বড় লিখি না , একদম সময় নষ্ট হবে না। আসবেন কিন্তু অপেক্ষায় থাকবো।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: ঘুরো আসলাম, একটা সুন্দর গল্প আর একটা ভাল কবিতা পেয়েছি এবং কমন্টে ও করেছি

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



'বাকপ্রবাস' ভাই শুভেচ্ছা রইলো। 'অণুগল্প' নিয়ে আপনার চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী লেখাট আমার খুব ভাল লেগেছে। বড় গল্প আর উপন্যাসের মধ্যে যেমন পার্থক্য আছে; ঠিক তেমনি ছোট গল্প এবং অনুগল্পের মধ্যেও কিছু পার্থক্য আছে। এজন্য অণুগল্প লেখার সময় এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়। অনেক সময় ছোট গল্পকে কেউ কেউ অণুগল্প হিসেবে চালিয়ে দিতে চান। কেউ কেউ 'কিছুই হয়নি' টাইপের লেখায়ও অনুগল্পের ট্যাগ লাগিয়ে দেন।

অণুগল্পে অল্প কথায় বৃহৎ কিছুর ইঙ্গিত থাকে। এছাড়া টুইস্ট ও গল্পের প্লট খুব সুন্দর হতে হয়; যাতে অল্প পড়েও পাঠক আনন্দ পায়, উপলব্ধির খোরাক হয়। এখানে অযথা টেনে হিচড়ে কাহিনী বড় করা সুযোগ নেই। আমি মনে করি, গল্প লেখার চেয়ে অণুগল্প লেখা বেশি কঠিন কাজ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন কাওসার চৌধুরী ভাই, সুন্দর গুছিয়ে কমেন্ট করেছেন। আশা করি সবাই অণুগল্প শিরোনাম দেবার আগেই সিদ্ধান্ত নেবেন এটা কী অণুগল্প নাকি ছোট গল্প।

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:৫৮

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন:
সুন্দর।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: বিদেশে কামলা আমিও খাটি

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৯

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

বাকপ্রবাস বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন দাদা

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মধ্যে একজন ভালো ব্লগার হবার সম্ভবনা আছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

বাকপ্রবাস বলেছেন: জয়বাংলা

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

আরজু পনি বলেছেন: অনেকদিন ব্লগে অনিয়মিত থাকার কারণেই হয়তো অনেকের লেখার সাথে অপরিচিত হয়ে গেছি।
তবে আপনার এমন পোস্ট আছে কি না জানি না যে, উপন্যাস, গল্প, অনুগল্পের মধ্যে পরিস্কার পার্থক্যগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ। যদি না থাকে তবে অনুরোধ রইলো এমন একটা পোস্ট দিতে।

আরেকটা ব্যাপার হলো, আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি গল্প লেখাটা নিয়মিত চর্চার বিষয়। নিয়মিত চর্চা আর ভালো লেখার প্রচণ্ড ইচ্ছে থেকেই একজন গর্পকার হয়ে উঠেন। সাথে যদি থাকে গঠনমূলক সমালোচনা করার মতো শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
অনেকেই সমালোচনা নিতে পারে না এটা ঠিক।
তবে পজিটিভ সমালোচনা যে একজন লেখককে সফল হতে সহায়তা করে এটা আমি বিশ্বাস করি।
আজকে নির্বাচিত পাতায় না গিয়ে সরাসরি প্রথম পাতায় এসেছি ভালো পোস্ট গুলো নিজেই খুঁজে নিতে।
সেই সুবাদে আপনার পোস্টটা পেয়ে ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: খুব করে ধন্যবাদ জানবেন।

অণুগল্প আর উপন্যাস এর মাঝে কোন ঝুট ঝামেলা নাই, কেউ উপন্যাস লিখে যেমন অণুগল্প শিরোনাম দেয়না আবার অণুগল্প লিখেও উপন্যাস শিরোনাম দেয়না। যে সম্পর্কটা আছে সেটা হল বিষয়বস্তু বা সারমর্ম। আণুগল্প এর সারমর্মটা এতো প্রখর, তীব্র কিংবা অর্থবহ হতে পারে সেটার উপর ভর করে একটা উপন্যাসও হয়ে যেতে পারে, আবার একটা উপন্যাসে ছোটছোট অনেক অণুগল্প ঢুকে যেতে পারে তাতে কারো কোন প্রবলেমও থাকেনা।
অণুগল্প এর সাথে গল্পের মাঝে একটা ভুলবোঝা বোঝি হয় নতুন লেখকদের মাঝে। তারা বুঝতে পারেনা অনেক সময় এটা কী অণুগল্প নাকি ছোটগল্প নাকি শুধুই গল্প। অণুগল্প শব্দ বা বিষয় হিসেবে সাম্প্রতিকভাবে স্বতন্ত্রতার দাবী রাখে। আগেকার লেখকরা অণুগল্প লিখেছেন তবে সেটা যে অণুগল্প সে হিসেবে লিখেননি, তারা গল্প হিসেবে লিখেছেন এবং বর্তমানে অণুগল্পের যে ধারণা ক্রিয়েট হয়েছে পুরোপুরো তার সাথে মিলে আগেকার অনেক গল্পরা অণুগল্প হয়ে গেছে। পার্থক্য হল তার সেটা গল্প হিসেবে লেখেছে। বর্তমানে অনেকে গল্প লিখে শিরোনাম দিয়ে দিচ্ছে অণুগল্প।
গল্প আর অণুগল্পে একটা বিশেষ পার্থক্য হল গল্পে মেদ থাকে। যেমন আপনি বাজারে গেলেন মাছ কিনে আনলেন কিন্তু মাছটা পচা ছিল। এসে বউ এর ঝারি খেলেন।
এই বিষয়টা গল্পে আপনি বাজারে যাওয়ার আগে থেকে শুরু করতে পারেন, কাঁধে গামছা নিলেন, লুঙ্গিতে গিট্টু নিলেন, বাজারের থলে নিলেন, যাবার আগে গরুটার মুখে ঘাসও দিলেন, যাবার বর্ণনা দিলেন, যাবার পথে কারো সাথে দেখা হল কথা হল তাও লিখলেন। এভাবে আসল কথায় আসার আগে তাকে খাইয়ে পেট মোটা করে নিতে পারেন।
কিন্তু অণুগল্পে এসব বর্ণনা আসলে সেটা মেদবহুল হয়ে যাবে, সেখেত্রে অণুগল্পে লেখটা এক বা দুই লা্ইনে শেষ হয়ে যাবে, যেমন হেমন্ত কালে তুমুল মেঘ গর্জন। মাছটা গিন্নি মাছটা কুটা শেষ হওয়া পর্যন্ত সেই মেঘ বৃষ্টি হয় হয় করেও হলনা।
ধন্যবাদ জানবেন, অপিষে যাবার তাড়া তবুও আমি কমেন্ট এর জবাবটা দিয়ে বের হচ্ছি।

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

আরজু পনি বলেছেন: মনে হচ্ছে আমাকে আরো জানতে হবে।
ব্লগে নিয়মিত নই এমন বদনাম আছে ইদানিং। গল্প নিয়েই তবে কাজ করি।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

বাকপ্রবাস বলেছেন: আমি সময় করে আপনার ব্লগে আসবো ইনশোআল্লাহ।

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: আপনার লেখাটা ভাল লাগল।
গল্প/ ছোটগল্প/ অণুগল্প এগুলো নিয়ে আমি এখনো ধাধার মধ্যে আছি।
অণুগল্পের আকার/ পরিধি বা কত শব্দের মধ্যে হওয়া বাঞ্চনীয়?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: অণুগল্পের নির্দিষ্ট কোন আকার নেই, তবে খুব বেশী বড় হয়না সাধারণত। কম কথায় বিশালত্ব প্রকাশ পায় অণুগল্পে। প্রথম যারা লিখতে যায় তারা অণুগল্প ভেবে কবিতাও লিখে ফেলে। গল্প আর অণুগল্প সাইজ একই হতে পারে তবে গল্পতে বর্ণনা ধারাবাহিকতা থাকে, বোঝা যায় ঘটনা কি ঘটবে। অণুগল্পে এসে শেষের দিকে ঘটনা উল্টো হয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে। এতক্ষণ পড়তে পড়তে যা ভেবে আসছিলেন দেখা গেল উল্টো ব্যাপার।

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: বাকপ্রবাস ,




অনুগল্প সম্পর্কে আপনার বিশ্লেষণটা সঠিক ।
অনুগল্প হবে "অনু"র মতোই ক্ষুদ্র কিন্তু তাতে লুকানো থাকবে বিষ্ফোরিত হবার মতো প্রচন্ড শক্তি ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: আপনি অভিজ্ঞ ব্লগার। আপনি যখন সায় দিলেন তাহলে ধরে নিলাম ঠিক লাইনেই আছি।

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: কি খবর ভাই?
আমার গতকালের লেখাটা, অনুগল্প নামে চালানো যায় কিনা একটু দেখবেন....নিমন্ত্রণ

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: হুম পড়ে আসলাম। আপনার লেখাটা সুন্দর ছিল, মানবিকতা ছিল। সেখানে তিনটা সরল রৈখিক ঘটনা। একটা হল বৃদ্ধ মহিলাকে আপনি সাহায্য করার ইচ্ছে থাকার পরও পরিস্থিতির কারণে সাহায্য করা হয়ে উঠেনি। সেই না পারার ব্যাপারটাকে সান্তনা পাবার জন্য না হেঁটে রিকশা নিয়েছেন আর তার আগে ক্ষুধার্ত কুকুরকে খাওয়ানোর জন্য পাউরুটি কিনে দিয়েছেন সেই পাউরুটিতে ভাগ বসাল আরেক ক্ষুধার্ত শিশু।

সবগুলো অংশ মিলে দুইটা ব্যাপার চলে আসে। এক হলো আপনার মানবিকতা আর দুই হল সকলের আর্থিক দূরাবস্থা।

এখানে সবই ঠিক আছে। তবে অণুগল্প বিচারে সেটা অণুগল্পতে পড়বেনা, গল্প বিচারেও ব্যাপার গল্প হয়ে উঠার দাঁড়প্রান্তে। আপনি যদি ঘটনাগুলো দিয়ে আরেকটা ঘটনা বুঝাতে পারতেন তাহলে সেটা পুরো গল্প বা অণুগল্পে রূপ নিত। এখন যেটা হল দুই তিনটা ঘটনা সরলরৈখিক হয়ে বর্ণনা আকারে চলে এসেছে আর মানবিকতা প্রকাশ পেয়েছে।

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: অসাধারণ বলেছেন বাকপ্রবাস ভাই :-*

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: :D পজেটিভলি নেবার জন্য ধন্যবাদ রইল খুব করে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.