নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অপিষ শেষে তিনটা টিউশানি করে রাত এগারটায় বাসায় ফেরা। আগে টুকটাক রান্নার এক্সপেরিম্যান্ট চালাতাম এখন সময় আর কিচেন না থাকাতে সেটা আর করা হয়না। ঘর চেন্জ হবার পর নতুন ঘরে বিশাল কিচেন পেয়ে ভালই লাগছে যদিও রান্নার সময় পাচ্ছিনা। যাই হোক, অন্যের কল্যানে রেডিমেড খাচ্ছি আর খাবার ফাঁকে ইউটিউব, ফেইসবুক, ব্লগ চলছে। ইদানিং লেখা হয়না, দেশ ও রাজনীতি ঘুরপাক খায় সারাক্ষণ, বাংলাদেশে বর্তমান রাজনীতি নিয়ে সেই রকম হতাশায় আছি যদি আমি নিশ্চিত এমন অবস্থা খুব বেশীদিন চলবেনা। মানুষে আয়ু বড়জোড় একশ বছর, তার আগেই বুড়ো বা বুড়ি হয়ে গেলে ক্ষমতা কমতে থাকে। ইদানিং এরশাদের একটা ছবি ফেইসবুকে খুব শেয়ার হচ্ছে, সেটা দেখে মনে হয় একপা কবরে ইতিমধ্যে চলে গেছে। খালেদাও হয়তো বন্দী অবস্থায় চলে যাবেন। বাকীরা বেঁচে থাকুক যতদিন থাকা যায়।
সে যাই হোক। দেশের সংবাদপত্র, টকশো এসবের প্রতি বিশ্বাস উঠে গেছে পুরোদমে। একটা দেশের এতোগুলো শিক্ষিত শ্রেণী কী করে টাকার কাছে এভাবে নির্লজ্ব বিক্রি হয়ে যায় ভাবতেই গা শিউরে উঠে। ভাবলাম খেলার খবর শুনি। আমার কাছে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলার খবর শুনতে দারুণ লাগে। ক্রিকেট এর সাংবাদিক এবং রিপোর্টাররা এই শিল্পটাকে অনন্য দারুণ উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। প্রত্যেকটা চ্যানেল এর রিপোর্টাররা দারুণভাবে উপাস্থান করছে প্রতিদিন, প্রতিদিনকার ক্রিকেটের খবরগুলো। আমার গর্ববোধ হয় এই ভেবে যে, দেশের ক্রিকেটের উন্নতির সাথেসাথে তার সাংবাদিকতাও সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে।
মেরাজ এর রাজশাহি কিংস, সাকিব এর ঢাকা ডাইনামেটস কে হারিয়ে দিয়েছে। অপ্রতিরোধ্য ঢাকা প্রথম হারের স্বাদ পেল মেরাজ রাজশাহির কাছে। খবরটা শুনতে ভালই লাগছিল, মেরাজ এর মতো এমন নবিন প্লেয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছে একটা দলের এবং ভালই করছে। তবে আমার একটা জায়গায় খটকা লাগল। ঢাক কেন হারল? লো স্কোরিং ম্যাচ। রাজশাহির ১৩৬ এর জবাবে ঢাকার সংগ্রহ ১১৬। হারতেই পারে অবাক হবার কিছুই নেই। কিন্তু আমার সন্দেহটা লাগল অন্যখানে। রাজশাহি একটা চমক দিয়ে মাঠে নেমেছে। তারা তাদের জার্সিতে নিজেদের মায়ের নাম লিখে খেলতে নেমেছে আর জয়টা উপহার নিজেদের 'মা' কেই।
রাজনীতিটা এখানেই। সম্প্রতি নির্বাচনে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে মাশরাফি আর সাকিব। আর তাদের অনুসরণ করেছে মেহেদি। হয়তো ভবিষ্যতের কেরিয়ার ধরে রাখার জন্য এমনটা না করেও উপায় নেই। ঢাকার এই হারটা সেখা্নেই। আমরা আমরাইতো। 'মা' এর নাম লিখে খেলতে নেমেছে, তাদের হারা কী ঠিক হবে? আর যেখানে দুই অধিনায়কই আওয়ামি ক্রিকেটার। শুতরাং নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা আগেই হবার সম্ভবনা বেশী। একটা ম্যাচে হারলে ঢাকার সমস্যা হবেনা, ওদিনে মেহেদির জন্য সুবিধা হবে আর মাকে উৎসর্গ করার প্রক্রিয়াটাও সফল হল। এটা নিশ্চয় অনেকের চোখে পড়বে, বিশেষ করে রিপোর্টারদের। তবে সময়টা যখন গণতন্ত্র কমকম উন্নয়ন বেশী বেশী তখন এসব নিয়ে রিপোর্ট করা বিপদ টেনে নিয়ে আসা। আমারওতো ভয়ভয় লাগছে। তবুও লিখলাম। নিতান্ত্রই একান্ত।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: সেটাই ভাবছি
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৩২
ল বলেছেন: একটা দেশের এতোগুলো শিক্ষিত শ্রেণী কী করে টাকার কাছে এভাবে নির্লজ্ব বিক্রি হয়ে যায় ভাবতেই গা শিউরে উঠে। ------- এমন ভাবনা না ভাবাই ভালো ---+++
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: ভাবতেতো চাইনা, ভর করে তবুও
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
মাশরাফী কি পাবলিক শত্রুতে পরিণত হবে?
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায়না, যাদের আওয়ামি সিম্পেথি আছে তারা হয়তো বুঝতে চাইবেনা, কিন্তু এবারের আওয়ামিলীগ পুরো ট্রাম কার্ড চালিয়েছে, টাকা দিয়ে সবাইকে, সবকিছুকে ব্যবহার করে ফেলেছে, মাশরাফিরা সেখানে ইচ্ছাই হোক অথবা অনিচ্ছাই হোক ইউজড হয়েছে, মাশরাফির এই সমর্থন বেশীদিন থাকবেনা, ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলে মানুষ ধীরে তাকে ভুলে যাবে, তখন তার আওয়ামি পরিচয়টাই থাকবে, তাকে আর খেলোয়াড় হিসেবে চিন্তা করবেনা, ভাববে সে আওয়ামিলীগ। সে নিজেকে অনেক নিচে নামিয়ে ফেলেছে, সাময়িক অতি উপরে উঠে দীর্ঘ মেয়াদে তার দামটাই কমবে। আমি নিজেই যাকে একজন ভালোর আইকন ভাবতাম এখন তার কথা মনে উঠলে মনে হয় একজন আওয়ামিলীগার, আওয়ামিলীগ করা দোষের কিছু না, তবে এবারের আওয়ামিলীগ ভিন্ন পাঠ। এটা ফ্যাসিবাদের উথান পর্ব, মাশরাফিরা সেই পালে হাওয়া দিয়েছে।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৫৭
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভ জনক ব্যবসা হলো ক্ষমতায় থাকা রাজনীতি। এটা ক্রিকেটার, শোবিজ শিল্পী আর শিল্পপতিরা বুঝে গেছেন। এজন্য রাজনীতির "র" না জানা অনেকেই রাজনীতি যুক্ত হচ্ছেন।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: হুম, দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে অযোগ্যরা সবাই ভিড় করছে সংসদে যাওয়ার জন্য, ব্যাপারটা এমন হয়ে গেলযে সংসদে যাওয়ার কোন যোগ্যতা লাগেনা, কেউ গাইতে পারে সেটাই যোগ্যতা, কেউ নাচতে পারে সেটাই যোগ্যতা। রাজনীতির মানটা তলানিতে গিয়ে ঠেকাচ্ছে
৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩১
ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার ধারনা তাগো আয়ু ফুরাইলেই সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যাবে? হা হাহ হা । রিপ্লেসমেন্ট ফিট করা আছে ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫
বাকপ্রবাস বলেছেন: রিপ্লেসম্যান্ট থাকবে, কিন্তু তার একটা মান স্থির হবে, বুশ সিনিয়র থেকে বুশ জুনিয়র আসে কিন্তু সেটা একটা প্রকৃয়া হয়ে আসে যার ফলে শূণ্যতা সৃষ্টি হয়না। তাই আমি আশাবাদি
৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ফস শেষ করে আবার তিনটা টিউশনি??!!!
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: হুম। আমার প্রবাস আসার সূত্রটা একটা ভিন্ন প্রেক্ষাপট ছিল, কাতার ছিলাম দশ বছর, তারপর চলে এলাম সওদি আরব। আমার আত্মজীবনি আমি একটা সিরিয়াল লিখে প্রকাশ করেছি আমার ব্লগেই। আজ দু'জনা দুটি পথ দুই দিকে গেছে বেঁকে শিরোনামে।
৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৬
সোহানী বলেছেন: হুম কি করবেন বলেন!!!!!
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: দেখছি আর ভাবচি, অপেক্ষা করছি। আমার হিসেবে আরো ত্রিশ বছর এই সরকার কন্টিনিও হবে যদি বড় কোন প্রতিরোধ না আসে।
৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৬
মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেছেন: একটা দেশের এতোগুলো শিক্ষিত শ্রেণী কী করে টাকার কাছে এভাবে নির্লজ্ব বিক্রি হয়ে যায় ভাবতেই গা শিউরে উঠে। -------
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০০
বাকপ্রবাস বলেছেন: আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়া দেশ, কিন্তু তার মর্মটা শিক্ষতরাই বুঝলনা, সেটাই বড় দুঃখ। গলদটা হল আমরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এখনো সঠিক ব্যাখ্যা করতে পারিনা, আমরা এখনো মুক্তিযুদ্ধের বয়ানটা ঠাকুর মার ঝুলির মতো গল্পাচ্ছন্ন করে চর্চা করে যাচ্ছি। সেটার সঠিক বয়ান বের হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এই যে এখন মুক্তিযুদ্ধের নামে ব্যাবসা আর দূর্নিতি হচ্ছে সেটা সেই ঠাকুরমার ঝুলি চর্চার জন্যই হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:০১
শুভবাদী রোদ বলেছেন: একান্ত বিষয়টি যে আর একান্ত রইলো না, এখন কী হবে!