নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গলির মুখে মসজিদের সামনে খেলছিল আহাসাম আর অপেক্ষায় ছিল আমি এই পথ দিয়ে যাব। গাড়ি দেখেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে গেল। আমি তুলে নিলাম। অন্য বন্ধুরা সবাই তাকিয়ে হাসছে। আহাসাম বলল আপনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। আমি পড়াই আহাসাম আর মুজাহিদকে। মুজাহিদ ছোট, আহাসাম বড়।
পড়ার রুমে ঢুকলাম। আহাসাম, মুজাহিদ পড়তে আসলনা। তারা সাইকেল চালাতে লাগল। আমাকে আবার বের হতে হল তাদের ধরে আনার জন্য। আহাসাম এসে বসল মুজাহিদ বলল আপনার জন্য চা নিয়ে আসি। আসলে তার নিজেরও খেতে মন চাইল। একটু পর আসল, স্যার কোনটা আনব? দুধ চা, নেসকেফে নাকি রং চা? বললাম নেসকেফে। একটু পর আবার আসল, স্যার এই মগটা করে দিলে হবে? আমি বললাম হায় আল্লাহ, এমন একটা কৌতুক আছে, ওয়েটার প্রশ্ন করতে করতে কাহিল করছিল, আমিও কী সেই খপ্পরে পড়লাম!! হাসি দিয়ে বললাম ঠিক আছে সেটা করে আনো। সেও হেসে দিল।
অবশেষে আমার জন্য আনা হল, এনে আবার দৌড় দিল। তার জন্যও আনল। অর্ধেক খেয়ে বলে আপনি খেয়ে ফেলেন আমি খাবনা। ততক্ষণে হাজির তাদের আদরের ছোট বোন। সে বলল খাবে, আমি বললাম, নাও, তুমি খাও।
এবার মুজাহিদ পড়তে বসল, আহাসাম এর আজ কী মনে হল, পড়ায় মন নেই, দুষ্টামি শুরু। সে পড়ছেনা, মুজাহিদকে খোঁচাচ্ছে। তাকে লিখতে দিচ্ছেনা। আমার মেজাজও বাড়তে লাগল। ছোটদের মারতে নেই, তায় মারা যাবেনা, আবার মারলে আরো বিপদ হল তাদের সাথে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হবে, এবং আর পড়তে চাইবেনা। সে আর পড়লইনা, বললাম, আমি দুষ্টুদের পড়াইনা, তুমি চলে যাও, তোমার ছুটি। সে যায়না, ওদিকে মুজাহিদকেও পড়তে দিচ্ছেনা।
আর পারলামনা, দুই চার ঘা লাগিয়ে দিলাম, প্রথমে আস্তে করে কিন্তু অবস্থার উন্নতি নেই, একটু জোর লাগালাম। তাও কাজ হলনা, সে দুষ্টামি করবেই। এইবার সংবরন করলাম নিজেকে, এর চাইতে বেশী কিছু করলে সম্পর্কের অবনতি অনিবার্য। অবশেষে ছুটি দিয়ে দিলাম দু'জনকেই।
ওরা চলে গেল, আমি বের হয়ে দেখি আমার সেন্ডেল নেই। নিশ্চয় আহাসাম এর কাজ, অনেক খুঁজে বের করলাম। আর ভাবলাম সম্পর্কটা অটুটই আছে, সমস্যা হবেনা, আমার উপর রাগ থাকলে সেন্ডেল লুকাতোনা।
কিছু ছবি দিলাম, তাদের পড়ার স্টাইলটা বুঝার জন্য, কোন কোন দিন এমনও যায়। তবে মনে রাখতে হবে ছোটদের পড়াতে অনেক ধৈর্য লাগে, যেটা পুরুষদের ক্ষেত্রে অনেকটা কঠিন, নারীরা এই কাজে পারদর্শী। শিশুদের পড়াতে শিশু হতে হয়।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: হুম
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১
শায়মা বলেছেন: এতটুকু বাচ্চাদের পড়ানোর কি দরকার ভাইয়া?
স্কুল কি করে? তাদের বাবা মায়েদের কি একটুও সময় নেই!!!!
কি আশ্চর্য্য এই বয়সেই টিউশনী দিয়েছে!!!!!
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: কাহিনি বলি, তারা হল রোহিঙ্গা। বাংলাদেশী পাসপোর্ট, সওদি আরবে লেখাপড়ার মান খুবই বাজে, তায় অন্য দেশের স্কুলে দিতে হয়, এদেরকে ব্রিটিশ স্কুলে দিতে চেয়েছিল কিন্তু বয়েস বেশী হয়ে যাওয়াতে সম্ভব হয়নি, আমি বাংলাদেশ স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলাম, কিন্তু ওদের মা বাবা বাংলা ভাষা বলতে চট্টগ্রাম এরটা জানে, বাবা শুদ্ধ জানে বলতে লিখতে পারেনা, ওদের মা এর জন্ম সওদি আরবে, আরবীতে পড়ালেখা, তায় বাংলা টিচার ছাড়া চলবেনা। বাংলাদেশ স্কুলে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ছে।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার নিজের অভিজ্ঞতা?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: গতকালের ঘটনা বললাম। লেখপড়ায় মন্দ না, ভালই।
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: শিশুদের কিভাবে শিক্ষা দিতে হবে তা রবীন্দ্রনাথ খুব সুন্দর বলে গেছেন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: ওটা পড়া হয়নি, জানলে আরো ভালো করে ডিল করা যেত, যদিও এনালগ যুগ আর ডিজিটাল যুগে একটু ভিন্নতা আছে
৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৪
হাবিব বলেছেন: আহারে.................
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: হা হা হা হা রে.........
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
সাইন বোর্ড বলেছেন: ভাল বিশ্লেষণ ।