নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার চেনা জানায় যারা বই বের করে আসছে এবং ফেইসবুকে তার খবর যখন পাই আমি শুধু লাইক দিয়ে আর হালকা কমেন্ট করে দায়টা এড়াই, কেননা প্রবাসে থাকি তাৎক্ষণিক বইটা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়, আর বইটা না পড়ে আমি পরিচিত সুবাধে তার প্রচার করতে আগ্রহী নই, একজন পাঠককে আমি অতিরজ্ঞিত ভুল বার্তা দিতে আগ্রহী নই।
আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজ এর প্রথম কাব্য গ্রন্থ "মনের অলিন্দে অবছায়া মেঘ," বইটা এখনো পড়িনি কিন্তু আমি এই বইটা শেয়ার করতে আগ্রহী। কেননা আলমগীর এর কবিতা যারা পড়েছেন সবাই জানে তার কবিতার তেজটা। তাই না পড়েও বলে দেয়া যায় এই বইটা পড়ার জন্য। এই বইটা সংগ্রহে রাখার জন্য।
ব্যাক্তিগতভাবে আলমগীরকে আমি চিনি। অত্যন্ত বিনয়ী, প্রচার বিমুখ। সে একজন শিক্ষক। শিক্ষকতা করতে গিয়ে কতৃপক্ষের অনিয়ম এর বিরোদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে চাকরী খোয়া বা লড়তে লড়তে ছেড়ে আসা প্রতিবাদী। পার্টটাইম একটা মোবাইল কোম্পানি সেবা কেন্দ্রে কাজও করতেন, হয়তো এখনো করছেন। আমি ছুটিতে দেশে গেলে কোথাও যাওয়া আসার পথে আলমগীর এর সেবা কেন্দ্রের দিকে চোখ রাখতাম, সে থাকলে গিয়ে কথা বলতাম কিছুক্ষণ। সিট থেকে উঠে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে কথা বলতেন সবসময়। এই যে তার চরিত্রের দুইটা রূপ বিনয় আর প্রতিবাদ তার কবিতা পড়লে ঠিক যেন তারই প্রতিফলন। আলমগীর এখনো ছাত্র। বাংলা সাহিত্যে পড়ছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। প্রাথমিক আর মাধ্যমিক পড়ালেখা মাদ্রাসায়। এই যে মধ্যবিত্তের টানাপোড়ন তার সাথে মাদ্রাসা থেকে কলেজে এসে বাংলা মাধ্যম, ভবিষ্যতে থিতু হবার চিন্তা চেতনা এসব উঠে আসে তার লেখায়। আর যেটা বাকী আছে সেটা হল প্রেম। স্বভাবতই যে বর্ণনা দেয়া হল সেগুলো মিথষ্কৃয়ায় প্রেমটাও রূপ নেয় এক বাস্তবতায়। তার লেখায় উঠে আসে হাই স্কুলের মেয়েরা স্কুল ফাঁকি দিয়ে তার পাশের দোকানে বসে চটপটি খাবার বর্ণনা, তার লেখায় উঠে আসে চারতলা বিল্ডিংয়ে নিচতলায় নব যুবতি ভাড়াটিয়ে যে শিশুটা নিয়ে রোজ বের হয়ে যায় সেখানে অপরিচিত মানুষের আনাগোনায় অন্য রকম একটা পরিবেশ এর চিত্র। গল্পও লিখেন অনন্য সিরাজ। বর্ণনা উপমা ইত্যাদির মিশেলে কোন একটা চরিত্র এমনভাবে ফুটিয়ে তোলে যে কেউ যখন পড়া শুরু করে লেখাটাই তাকে টেনে নিয়ে যাবে শেষ অবধি।
আমি চোখ রাখছিলাম ফেইসবুকে অবছায়া মেঘের উপর। এখনো পর্যন্ত এমন কাউকে বলতে শুনিনি বইটা কবে গিফ্ট পাবো। সবাই বলছে আমি কিনে নেব। এখানেই আলমগীর এর ভিন্নতা। একজন নবীন লেখক কিন্তু পাঠক জানে এই বইটা তাকে কিনতে হবে এবং কিনে ঠকবেনা সে। এটা কিনে পড়ারই বই। অনেকেই অভিযোগ করেন, বই কিনতে চায়না ফ্রি পেতে চায় বা দিতে হয়। আসলে সেখানে কিছুটা খাদ থাকে, পরিচিত হলেও বইটা পাঠক যদি মনে করে কিনে পড়াটা লস হবে তার মানে লেখার মানেই স্থুলতা আছে। তাই লেখক চাইছে পড়ুক, বিনে পয়সায় হলেও পড়ুক, আর পাঠক চাইছে বিনে পয়সায় যখন, পড়তে রাজি।
আশা করি অবছায়া মেঘ ভালই সাড়া ফেলবে। আলমগীর এর সূচনাটা মেঘ দিয়েই শুরু। এই মেঘ ভেসে বেড়াক আমাদের সাহিত্য অঙ্গনে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাবিব স্যার
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনার একটা কবিতা ব্লগে প্রকাশ করুন, আমরা টিপে দেখি
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: হা হা হা এখন বের হচ্ছি অপিষ থেকে, ও ব্লগে তেমন লেখেনা, আমি ফেবু ঘেটে দিয়ে দেব
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: চারিদিকে এত এত বই!!!
কোনটা রেখে কোনটা কিনি!!!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: হা হা হা ঘটনা সত্য
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:২০
জাহিদ অনিক বলেছেন: আমিও তার কোনও কবিতা পড়ি নাই। প্লিজ একটা কবিতা দিন।
আমার যদি পয়সা থাকত সবার বই কিনতাম। মাঝে মাঝে অবশ্য এজন্য খারাপ লাগে।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৩০
বাকপ্রবাস বলেছেন: হুম, ওর ফেইসবুক আইডি থেকে সর্বশেষ কবিতাটা মুরুব্বি গাজী ভাইকে কমেন্ট বক্সে দিয়েছে, সেটাই আপনার বক্সে দিয়ে দিব, আমার এলাকায় থাকে, তায় একটা পক্ষপাতিত্ব আছে, আর খুুব বিনয় স্বভাব এর।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫
হাবিব বলেছেন: সুন্দর+