![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের কিছু লুকায়িত কথা তুলে ধরতে চাই........
- এই খালি যাবেন -?
মেয়েটি বলল। মেয়েটির নাম তিন্নি।
-হ্যা যাবো। কই যাইবেন -?
রিক্সাওয়ালা বলল।
তিন্নি - হাতিরঝিল। কত দিতে হবে।
রিক্সাঃ - আপনের মন মতো দিয়েন।
তিন্নি - না না আপনি বলেন। উঠার পর বাহানা শুনতে পারবো না।
রিক্সাঃ - ৩৫ টাকা দিয়েন।
তিন্নি - ওকে। চলেন। ( উঠে বসল)
রিক্সাঃ - আফা হুক টা লাগিয়ে দেই। আফনের চান্দের লাহান চেহারা ডা পুইরা যাইবো।
তিন্নি - মুচকি হেসে হুম দাও।
(দুজন ঈ নিরব। রিক্সাওয়ালা রিক্সা চালাচ্ছে আর তার সামনের গ্লাস এ তিন্নির চঞ্চল মুখ খানা দেখছে। তিন্নি কি জানি ভাবছে। ভাবতে ভাবতে হঠাত)
তিন্নি - তোমার নাম টা কি-?
রিক্সা - জি তমাল
তিন্নি - বাহ সুন্দর নাম।
রিক্সা ( তমাল) - হাসল। গলার গামছা টা দিয়া মুখের ঘাম মুছতে মুছতে বলল আফা কয়টা বাজে।
তিন্নি - ১২:৪০। কেন তারা আছে নাকি?
তমাল - নাহ। বেলা অনেক হইছে তো তাই।
তিন্নি - অহ আচ্ছা।
( অনেক কথাই হলো। আবার দুজন থেমে গেল। হঠাত করে -
তিন্নি - তোমার বাসায় কে কে আছে।
তমাল - জি সবাই আছে। বাবা মা বোন।
তিন্নি - তুমি বিয়ে করোনি?
তমাল - না। সময় হয় নাই। বির বির করে আরো কিছু বলল।
তিন্নি - ওহ আচ্ছা।
তমাল - হুম আফা হাতিরঝিল আইসা পরছে।
তিন্নি - এতো তারা তারি। এই বলে ভাড়া মিটিয়ে চলে গেল।
তমাল আর কিছু বলতে পারলো না। হয়তো তার আজ কিছু বলার ইচ্ছা জাগছিল। কিন্তু পারল না।
তমাল ওর পথের দিকে চেয়ে রইল। সপ্নময় চোখে তাকিয়ে রইল। হঠাত অন্য এক যাত্রির ডাকে তমাল এর চেতনা ফিরে আসলো। নতুন যাত্রী কে নিয়ে নতুন জায়গায় রওনা দিল।
দিন যায় কিন্তু কোনো এক অজানা কারনে আজ ও সে তিন্নির জন্য অপেক্ষায় আছে। যেই অপেক্ষার প্রহর কখনো শেস হবার নয়। দিন চলে যায় অপেক্ষার প্রহর থেকে যায়। অপেক্ষা........................
____________ ।। ।।
©somewhere in net ltd.