![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সম্পর্কে কিছু একটা বলতে হবে। ভাবছি কি বলা যায়। কিছু একটা তো বলতে হবে। ঠিক আছে বলছি, প্রতিটা মানুষই স্বতন্ত্র, আমি আমার মত আর তুমি তোমার মত। তারপরও কারো কারো সাথে আমাদের চেনা জানা হয়ে যায়, একে অপরকে ভাল লাগে, বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।
এই তো সেদিনও এই প্রজন্মের তরুণ তরুণীদের মেরুদণ্ডহীন মনে করা হত। মেরুদণ্ডহীন মনে করা হত বেশ সঙ্গত কারণেই। যে প্রজন্মের পূর্ব পুরুষেরা ৫২’তে ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছে। দেশের সম্ভ্রম রক্ষা করতে ৭১’এ ঝাঁপিয়ে পড়েছে পাকিস্তানী শত্রু সেনাদের উপর। পূর্ব পুরুষের সেই প্রজন্ম কি করে আজ নির্যাতন সন্ত্রাস, দুর্নীতি, অন্যায় মেনে নিয়ে সহবস্থানে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছে। কেমন করে চোখের সামনে ধর্ষণের সেঞ্চুরিয়ানদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে মিথ্যের সাথে সহবাস করছে।
কোন আন্দোলনই পরিকল্পনা করে গড়ে তোলা যায়না। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, সন্ত্রাস হত্যা, গুম, আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে অনেক চেষ্টা করেও বিএনপি-জামায়াত সফল হতে পারেনি। আরব বসন্তের সমীকরণে আন্দোলন চেষ্টা করেও মাহী বি চৌধুরীরা সফল হতে পারেনি। আন্দোলনের মূল শক্তি গন-মানুষের আস্থার অভাবে সে সকল আন্দোলন গড়ে উঠেনি। সেই জন্য প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা সুশীল সমাজ বারবার হতাশা প্রকাশ করেছেন। আর বুঝি এদেশটাকে স্বপ্নের প্ল্যাটফর্মে দাড় করানো সম্ভব হলো না।
মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল বলে খ্যাত দলও বাংলার মানুষের অনুভূতি ও আবেগ নিয়ে বারবার উপহাস করেছে। সাধারণ মানুষের সাধারণ চাওয়াকে মূল্যহীন বলে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে, তখন দেশের গন-মানুষের হতাশা আকাশ চুম্বী হয়েছে। আঁধারের মাঝে আলো জ্বালাবার কোন সম্ভাবনাও অবশিষ্ট থাকেনি।
আমাদের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির ব্যবধান বেড়ে অসাধন যোগ্য উচ্চতায় উঠে গেছে। কি ছিল সাধারণ মানুষের মানুষের প্রত্যাশা?
বাংলাদেশের প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করে। যখন প্রতিটি মানুষ রক্তঝরা ঘামের বিনিময়ে প্রতিদিন একবেলা খাবারের আশায় সমস্ত শক্তি বিনিময় করেও অর্জন করতে না পারে, তখন তাঁদের প্রত্যাশা আর কিইবা অবশ্যিষ্ট থাকতে পারে। প্রত্যাশা প্রাপ্তির সমীকরণটা অতি সহজ, ঐকিক নিয়মে অংক কষে এর উত্তর পেতে হয়না। কিন্তু বিগত সরকারগুলো এই মেহনতি মানুষের আবেগ আর ছোট ছোট চাহিদার সাথে ছলনা করেছে। সংসদে বসে কোটি টাকা খরচায় নিজেদের হিস্যা নিয়ে দর কষাকষি করেছে। গন-মানুষের প্রত্যাশার দিকে ফিরেও তাকায়নি।
দেশের কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক শুধু বড় বড় কথা বলে পত্রিকা টেলিভিশনে বক্তৃতা দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব শেষ করেছেন। আবার রাতের আঁধারে নিজের স্বার্থ আদায়ের দরদামে মত্ত থেকেছেন, স্বার্থ অদায়ে কলম চলেছে, গন-মানুষের অধিকারের দিকে ফিরেও তাকায়নি। সুশীল সমাজ বুদ্ধিজীবীরা একটি দলের কেনা দাসে পরিণত হয়েছেন। তাঁদের কথায় একসময় এ জাতি গর্জে উঠেছিল, তাঁদের কথাতেই সাধারণ মানুষ ধিক ধিক বলেছেন। তাঁদের মুখস্ত কথা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে অপ-চর্চা চলছে তাঁতে দেশের সাধারণ মানুষের দিকে তাকানোর মত কোন গোষ্ঠী বা ব্যক্তিগত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
একটি গণতান্ত্রিক দেশে স্বৈরাচারের চেয়েও বেশী নির্যাতন ও অধিকার হরণ করা হয়েছে। হত্যা গুম ধর্ষণের মত বর্বর সমস্ত কাজগুলো যেকোনো সময়ের চেয়ে রেকর্ড মাত্রায় বেড়ে গেছে। দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকলেও বারবার দেশকে ধর্ষণ করেছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে গেছে। যে মানুষের জন্য আইন, সেই আইন সাধারণ মানুষকে দাবিয়া রাখতে, নির্যাতন করতে ব্যবহৃত হয়েছে। আর সরকার প্রধান তাঁদের এই কর্মকে বাহ বাহ দিয়ে উৎসাহিত করেছেন।
আজ যখন প্রজন্ম জাগরণের আন্দোলন দেখলাম। এই প্রজন্মকে আবার জাগতে দেখলাম, তখন মনের মাঝে আশাগুলো জ্বলজ্বল করে উঠলো। আবার স্বপ্ন দেখতে চাইলাম। নেতিবাচক অনেক কিছু ভাবতে গিয়েও থেমে গেলাম। ফেসবুক, ব্লগে বন্ধুদের অনেক হতাশা ও আশংকার কথা শুনেও আশাহত হলাম না, আমার বিশ্বাস আরও প্রবল হলো। জ্বলে উঠা, জেগে উঠা, নবজাগরনের নবীন প্রজন্মের সাথীদের গলায় জড়িয়ে বলতে চাইলাম, শুধু যুদ্ধাপরাধী কসাই রাজাকারদের ফাঁসি চাওয়া নয়। যারা স্বামী আর পিতার দোহাই দিয়ে এ সোনার দেশটাকে তামায় পরিণত করছে। দেশটাকে কারবালা বানাচ্ছে, দুর্নীতি, হত্যা গুমের খেলা খেলছে, ওদেরকেও ছাড় দেয়া হবেনা। জেগে উঠো বাংলাদেশ, শুধু দেশ বিরোধী, মানবতাপরাধী কসাই রাজাকারদের বিচার নয়। এই বাংলায় নব্য কসাই, নব্য মীরজাফরদেরও বিচার করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ্।
প্রজন্ম জেগেছে আজ
মুছে দিতে সব দাগ
আর নয় দ্বিধা দ্বন্দ্ব ও-মিছিল
এপার ওপার হয়ে যাক একাকার
বিজয় কেতনে মশাল দেখি স্বপ্নিল
জাগো বাংলা জাগো বাংলা
বৃদ্ধ তরুণ বণিতা
আঁধারের দিন শেষ ভোরের সূর্য ঐ বেশ
শুনা যায় বিজয়েরও বারতা
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সাঈদমোহাম্মদভাই বলেছেন: চালায়ে যান।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
বোকামন বলেছেন: জামায়াত শিবির নিপাত যাক,
সোনার বাংলা মুক্তি পাক!!
যুদ্ধপরাধিদের ফাঁসি চাই,
ফাঁসি ছাড়া কথা নাই!! জয়য়য় বাংলা!