নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ টপিকস

হালার এতো ক্ষিদা লাগে ক্যা, ক্ষিদার জ্বালায় মনে কয় পাথর চাবাইয়া খাই...

সাঈদমোহাম্মদভাই

আমার সম্পর্কে কিছু একটা বলতে হবে। ভাবছি কি বলা যায়। কিছু একটা তো বলতে হবে। ঠিক আছে বলছি, প্রতিটা মানুষই স্বতন্ত্র, আমি আমার মত আর তুমি তোমার মত। তারপরও কারো কারো সাথে আমাদের চেনা জানা হয়ে যায়, একে অপরকে ভাল লাগে, বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।

সাঈদমোহাম্মদভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১১

কে আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ?

একদল ধর্ম ব্যবসায়ী, যারা ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করছে। নাকি একদল ভণ্ড, চালবাজ, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে জনগণের আবেগের সাথে ব্যবসা করছে?



এই দুই দল বারবার জাতিকে বিভক্ত করার জন্য তাঁদের প্রেসক্রাইব সেন্টিমেন্টের প্রডাক্ট নিয়ে জাতির কাছে হাজির হচ্ছে, আর জনগণও সেই প্রডাক্ট গোগ্রাসে গিলছে।



ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরোধীরা ইসলামের শত্রু, আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীরা দেশের শত্রু। দেশ আজ দুটি প্ল্যাটফর্মে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, একদল আরেক দলকে যে কোন মূল্যে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে।



পৃথিবীতে এখন কোন ধর্মযুদ্ধ নেই, তাই ইসলামের সাথে ট্যাগ করে যারা নিজের স্বার্থ হাঁচিলের জন্য আল্লাহু-আকবর বলে সাধারণ মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, এটা ইসলাম গ্রহণ করেনা। ইসলামে এ ধরনের চেতনা ও আবেগের কোন স্থান নেই। ইসলামী রাষ্ট্র অথবা শরিয়া আইন বলবত করতে হলে দেশের বেশির ভাগ মানুষের শান্তিপূর্ণ মতামত লাগবে, জোড় করে শক্তি প্রয়োগ করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা ইসলাম গ্রহণ করেনা।



একজন নাস্তিক অথবা একজন আস্তিক বিচারের দায়িত্ব আল্লাহ্‌ তায়ালা মানুষকে দেন নাই। যদিও আমরা কখনো কখনো দেখি কেউ কেউ স্বঘোষিত, নিজেকে নাস্তিক বলে দাবী করেন। এমত অবস্থায় যারা আস্তিক তাঁরা তাঁর সাথে সামাজিক ভাবে বন্ধুত্ব গড়া, মেলামেশা থেকে বিরত থাকতে পারেন। কিন্তু তাঁকে সরাসরি নাস্তিক বলে ইক্সিকিউট করার ক্ষমতা রাখেন না। আমরা জানিনা দিনের শেষে একজন নাস্তিক তওবা করেছেন কিনা, আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কিনা। মৃত্যুর সময় তাঁর ঈমানের স্ট্যাটাস কি ছিল তা কেবল আল্লাহ্‌ই বলতে পারেন। আল্লাহ্‌ই কেবল বলতে পারেন তিনি কাউকে ক্ষমা করে দিয়েছেন কিনা।



একজন ধর্মান্ধ উগ্রবাদী ও একজন ধর্ম বিরোধী উগ্রবাদীর জন্য একই আইন প্রযোজ্য। দেশের প্রচলিত আইনে তেমনি আছে। তবে এই নিয়ে আইনের প্রয়োগ দেখা যায়না। বরং ফ্রীডম অফ স্পীচের দোহাই দিয়ে তাঁকে উৎসাহিত করা হয়।



আমাদের জাতীয় চেতনা সবার মাঝেই আছে। এর জন্য নতুন করে প্রমাণ দেয়ার কিছু নেই। যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বারবার রাজনীতি করতে চান। মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুটি ত্বরান্বিত করে জনগণের সেন্টিমেন্ট নিয়ে রাজনৈতিক খেলা খেলছেন। আমার মতে ওঁরাও ধর্ম ব্যবসায়ীদের মত সমান অপরাধী। ওঁরা কখনোই জনগণের বন্ধু ছিলনা, ওঁরা কখনো জনগণের বন্ধু হবেনা। ওঁরাও নিজের মসনদ ঠিক রাখার জন্য এমন পৈশাচিক ব্যবসায় লিপ্ত আছে।



নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য আজ দেশকে দুটি প্ল্যাটফর্মে দাড় করিয়ে দিয়েছে যারা তাঁরা বেশ নিরাপদেই আছেন। জীবন গেলে সাধারণ জনগণের যাবে, তাঁতে ওঁদের কিছু আসে যায়না। আমরা কি সব সময় সবকিছু এভাবে বারবার আবেগের জোয়ারে হারিয়ে দেশ ও জাতিকে অনিশ্চিত ও ভয়াবহ এক পরিণতির দিকেই নিয়ে যাব? আমাদের তরুণ ও যুব সমাজ কি আজীবন আবেগ দ্বারাই তাড়িত হবে? যুক্তি, ধৈর্য, আবেগহীন চিন্তা চেতনার উন্মেষ কি তাঁদের মধ্যে কোন দিনও জাগ্রত হবেনা?



একটি দেশে বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ থাকতে পারে, সেই মতাদর্শের পার্থক্য যেমন হতে পারে রাজনৈতিক, তেমনি হতে পারে ধর্মীয়। কিন্তু জাতীয় ইস্যুতে আমাদের কোন ভেদাভেদ থাকতে পারেনা। আমরা ৭১ স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি একটি সুন্দর চেতনার দেশের জন্য। সে দেশে সকল ধর্মের, সকল মতের মানুষ থাকবে। আমরা অনেক কিন্তু আমাদের জাতীয় স্বত্বা থাকবে এক। ‘বাংলাদেশী বাঙালি’ চেতনার আমাদের এই এক দেশ বাংলাদেশ।



এখনও যারা দ্বিধাগ্রস্ত, বিকারগ্রস্ত, আদর্শচ্যুত এখনও সময় আছে আসুন দলের ঊর্ধ্বে উঠে এসে, নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে এসে, এই দেশটাকে ভালবাসি, দেশের মানুষকে ভালবাসি।



আর যদি রাজনৈতিক ব্যক্তিরা চরিত্র পরিবর্তন করতে না পারে, তাহলে জনগণেরই উচিৎ ধর্ম ব্যবসায়ী আর মানুষের চেতনা নিয়ে ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে বয়কট করা, আর এটা এখনই। আর যদি দরকার হয় আসুন এখনই একটি নতুন রাজনৈতিক দলের রূপরেখা দেই......

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.