নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ টপিকস

হালার এতো ক্ষিদা লাগে ক্যা, ক্ষিদার জ্বালায় মনে কয় পাথর চাবাইয়া খাই...

সাঈদমোহাম্মদভাই

আমার সম্পর্কে কিছু একটা বলতে হবে। ভাবছি কি বলা যায়। কিছু একটা তো বলতে হবে। ঠিক আছে বলছি, প্রতিটা মানুষই স্বতন্ত্র, আমি আমার মত আর তুমি তোমার মত। তারপরও কারো কারো সাথে আমাদের চেনা জানা হয়ে যায়, একে অপরকে ভাল লাগে, বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।

সাঈদমোহাম্মদভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাগো বাংলাদেশ: রাজাকার নিধনের কর্ম-কৌশল

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৪





দল মত নির্বিশেষে বাংলাদেশের মানুষ রাজাকার সমূলে উৎপাটনের পক্ষে। তবে কেউ কেউ রাজাকার নিধনের কর্ম কৌশল সম্পর্কে দ্বিমত পোষণ করছেন। এদের মধ্যে একদল বলছেন, ক্ষমতাসীনদের ছাতার তলেই রাজাকারদের বিচার করা সম্ভব, অন্য কোন উপায়ে নয়। আবার কেউ কেউ বলছেন, যারা ৪২ বছর এই দেশে সীমাহীন সন্ত্রাস, দুর্নীতি করেছে, যারা ৩৭ বছর এই রাজাকার কসাইদের নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগিয়েছে, সেই আওয়ামী-বিএনপিকে দিয়ে এদের বিচার করা সম্ভব নয়। কেউ কেউ বলছেন, হয়তবা বিচার হবে কিন্তু সেই বিচার হবে প্রহসনের। তবে যত কথাই হোক না কেন, আজ আমরা একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি তা হচ্ছে আমরা সকলেই রাজাকারদের বিচার চাই।



আমরা যারা রাজনীতি করিনা (হয়ত কেউ কেউ কোন রাজনৈতিক দলের সাপোর্ট করি) তাঁরা যেন দেশের স্বার্থে এক থাকতে পারি। দলীয় রেষারেষি করে এই ইস্যুকে দলীয় বলয়ে না টানার অনুরোধ করছি। তা নাহলে এই আন্দোলন তিমিরে তলিয়ে যাবে তাঁতে কোন সন্দেহ নেই। আর পরাজিত হায়েনারা এটাই চায়। ওঁদের উদ্দেশ্য আমাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করা। তাই এখনও যারা বাংলাদেশের অপ-রাজনীতির প্রতি আস্থা রাখেন তাঁরা হয় অন্ধ, নাহয় তাঁদের এখনও বাংলাদেশের রাজনীতির ধারাপাত পড়া হয়নি।



যারা ৪২টি বছর দেশকে ধর্ষণ করেছে তাঁরা নিজেদের স্বার্থে ৩৭টি বছর জামাতকে কাজে লাগিয়েছে। আন্দোলন কিছুটা শিথিল হলে এরাই আবার এই জামাতকে গলায় গড়িয়ে ধরবেনা (একদল তো জড়িয়ে ধরেই আছে) তাঁর নিশ্চয়তা কি?



আমি মনেকরি দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে, সন্ত্রাস, দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন হলে, সকল প্রহসন বন্ধ হবে। বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলই গন-মানুষের নুন্যতম চাহিদা পূরণ করতে পারেনি, বাংলাদেশকে তাঁরা শুধু ত্রাসের সাম্রাজ্য উপহার দিয়েছে। সেই ত্রাসের সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে শক্ত জবাব দিতেই আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। প্রজন্ম গণজাগরণ সম্পর্কে যতটুকু দলীয় ও নেতিবাচক সমালোচনা হয়েছে। এটা বন্ধ করতে হলে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। আমরা কি চাই, ৪২ বছরের দলীয় প্রহসন? নাকি দুর্নীতি মুক্ত সোনার বাংলাদেশ।



অনেকেই বলে থাকেন ৭১ এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই দেশটাকে কলঙ্ক মুক্ত করতে হবে। জাতি হিসেবে আমাদের আবার প্রমাণ করতে হবে আমরা শেষ হয়ে যাইনি। কি ছিল ৭১ এর স্বপ্ন, যা ৪২ বছরেও অর্জিত হয়নি। আর যারা ৪২ বছরেও অর্জন করতে পারেনি তাঁদের আমরা বিশ্বাস করবো কেন?



কিন্তু আমরা বিশ্বাস করতে চাই। আমরা রাজনীতি বুঝি না, দেশ বুঝি। যারা রাজনীতি বোঝেন এবং করেন, দয়াকরে এবার দেশকে বোঝার চেষ্টা করুন। দেশের গন-মানুষের ছোট ছোট চাওয়াকে মূল্য দিতে চেষ্টা করুন। তা নাহলে প্রজন্ম আজ যেভাবে রাজাকার নিধনে নেমেছে, একদিন এরাই আপনাদের নিধনে নামবে। সেদিন পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না। ভেবে নিন এটা আপনাদের জন্য একটি সুযোগ, এই সুযোগ হাত ছাড়া করলে আপনাদেরকে আর সুযোগ দেয়া হবেনা।



সেই জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রমাণ করতে হবে তাঁরা সন্ত্রাস, দুর্নীতি মুক্ত দেশ উপহার দিবেন। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন, প্রমাণ করতে হবে ব্যক্তির ঊর্ধ্বে দল আর দলের ঊর্ধ্বে দেশ। আর যতদিন তাঁদের চরিত্র পরিবর্তন না হবে ততদিন আমাদের সংগ্রাম, রাজপথ আমাদের। আর সেটা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত জনতার সংগ্রাম চলবেই। আমরা অনেক কিন্তু আমরা এক, আমাদের এই অটুট বাঁধন কোন রাজনৈতিক পক্ষপাত-পোষ্টতায় নস্যাৎ করা যাবেনা।



হে তরুণ-প্রবীণ-বৃদ্ধ, হে নবীণ

এখনই ভেঙে দাও

ভেঙে দাও, সকল কাল সাপের বিষ দাঁত,

রুখো জামাত, রুখো বিএনপি-আওয়ামী লীগ

আরও আছে যত হায়েনা, হাতে রেখে হাত।



এদেশ যেমন কোন ধর্মের নয়,

তেমনি নয় কারো বাপের অথবা স্বামীর

এদেশ আমাদের, আমরাই গড়বো দেশ আগামীর।







মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.