নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ টপিকস

হালার এতো ক্ষিদা লাগে ক্যা, ক্ষিদার জ্বালায় মনে কয় পাথর চাবাইয়া খাই...

সাঈদমোহাম্মদভাই

আমার সম্পর্কে কিছু একটা বলতে হবে। ভাবছি কি বলা যায়। কিছু একটা তো বলতে হবে। ঠিক আছে বলছি, প্রতিটা মানুষই স্বতন্ত্র, আমি আমার মত আর তুমি তোমার মত। তারপরও কারো কারো সাথে আমাদের চেনা জানা হয়ে যায়, একে অপরকে ভাল লাগে, বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।

সাঈদমোহাম্মদভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

এপোলো তোমাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

১৯৯৬ সাল, তখন আমি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করি৷ দিনের কাজ শেষে গুলশান-২ এর একটি রেস্তোরায় বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি৷ আমার অফিস কলিগ এহসানের ভাইয়ের সাথে তার ছেলেবেলার বন্ধু এপোলো ভাইও আছেন, তিনি খুলনা থেকে এসেছেন৷ আড্ডায় জানতে পারলাম এপোলো ভাই দক্ষিন কোরিয়া যেতেই এবার ঢাকায় এসেছেন৷ এপোলো ভাই খুলনার সম্ভ্রান্ত ফ্যামিলির ছেলে, আর্থিক অবস্থা মোটামুটি, ফ্যামিলির আর্থিক অসচ্ছলতা বিবেচনায় এনে তিনি প্রবাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷



ছয়মাস পর আমাকে ব্যক্তিগত কাজে দ: কোরিয়া যেতে হয়েছিল৷ যদি সুযোগ হয় তাহলে এপোলো ভাইয়ের সাথে দেখা করা যাবে, এই ভেবে এহসান ভাইয়ের কাছ থেকে এপোলো ভাইয়ের এড্রেস নিয়েছিলাম৷ সউলে যাওয়ার পর বুঝতে পারলাম, রেস্তোরা, দোকান, রেল থেকে শুরু করে সপিং সেন্টার সব জায়গায় দুর্বল ভাষাগত সমস্যার কারণে এপোলো ভাইকে আমার ভীষণ দরকার৷ এপোলো ভাইকে ফোন করতেই তিনি একেবারে খুশিতে চমকে উঠলেন৷ সেদিন বিকেল থেকেই আমরা সউলের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে শুরু করলাম৷



ছয়মাসে কোরিয়ান ভাষা জানা এবং বিভিন্ন জায়গা চেনা যে কোন মানুষের জন্য অসম্ভব৷ কিন্তু এপোলো ভাই যেভাবে কোরিয়ান ভাষায় কথা বলছেন তা দেখে আমার মনে প্রশ্ন জন্ম নেয়া স্বাভাবিক৷ শেষ পর্যন্ত জানতে পারলাম তিনি এখানে এর আগেও এসেছেন, দীর্ঘ ৮ বছর অবৈধ অভিবাসনে থাকা অবস্থায় ধরা পরে দেশে ফিরে গেছেন, আবার এবারও অবৈধ ভাবেই ফিরে এসেছেন৷ থাকছেন আন্ডার গ্রাউন্ড স্যাঁতসেঁতে একটি ঘরে যেখানে দিনের আলোতো দুরের কথা নি:শ্বাস নেওয়ার মত পর্যাপ্ত বাতাসও প্রবেশ করতে পারেনা৷ পরিবারের সকলের সুখের জন্য নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন বছরের পর বছর৷ দেশে পাঠাচ্ছেন মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা, নিজের সুখের বিনিময়ে অবদান রাখছেন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে৷



দ: কোরিয়ায় অবস্থানের সময় এপোলো ভাইয়ের মত এমন অনেক এপোলোদের সাথে পরিচয় হয়েছে৷ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন এমন লক্ষ লক্ষ এপোলোরা৷ এমন লক্ষ লক্ষ এপোলো তাদের জীবনের হাসি কান্নাগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এমন করেই উৎসর্গ করছেন৷ এপোলোদের আত্মত্যাগে বাংলাদেশের ইউএস ডলারের রিজার্ভ দিন দিন বেড়েই চলছে৷ কিন্তু আমরা কি কখনো এপোলোদের এই আত্মত্যাগের কথা স্বরণ করি? আসুন লক্ষ লক্ষ এপোলোদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, নিজের অনুভুতিগুলো শেয়ার করি৷



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:




এপোলোদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই |

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:




এপোলোদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই |

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:




এপোলোদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই |

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.