নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমাকে সংখ্যালঘু বলে গালি দিবনে না আমাকে সনাতনী হতে অনুপ্রানিত করুন । ধন্যবাদ ।

সাগর কর্মকার

আমি স্বাধীনতা চাই ।

সাগর কর্মকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাটির মুর্তিকে পূজা করে কোনো লাভ আছে কি?

১২ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫


এক হিন্দু লোক তার মন্দিরে এক
দেবতার মাটির মুর্তিকে নিয়মিত
পূজা দিত।

ওটা দেখে তার এক অহিন্দু
প্রতিবেশী তাকে প্রতিদিন বলত
"মাটির
মুর্তিকে পূজা করে কোনো লাভ
আছে?
কি হয়
ওটা করে? আপনার দেবতা তো আর
পূজা পায় না।"
হিন্দু লোকটা কিছু বলত না। কিন্তু
দিন দিন একই
ভাবে অহিন্দু লোকটা বিরক্ত
করতে লাগল। তাই
হিন্দু লোকটা একদিন করল কি, ঐ
মন্দিরের
বাইরে তার প্রতিবেশী অহিন্দু
লোকটার
একটা ছবি টাঙ্গালো, পরে যখন
অহিন্দুলোকটা আসল, তখন সে ঐ
ছবিতে একটা জুতার
মালা পরিয়ে রাখল। অহিন্দু
লোকটা এটা দেখে যথারীতি ক্ষেপে গেল!!
সে তো রেগে-মেগে আগুন!
সে বলল,
আপনার সাহস কতোবড় আমার
ছবিতে জুতারমালা দিয়ে রাখছেন?
আমাকে এতো অপমান করার সাহস
আপনাকে কে দিল? এই
বলে গালি দিতে লাগল।
হিন্দু লোকটি তখন বলল, ভাই,
আমি তো একটা ছবিতে জুতার
মালা দিছি, আপনার
গলায় তো আর দেইনি। অহিন্দু
লোকটা আরো ক্ষেপে গিয়ে বলে -
ফাইজলামি পাইছেন,
এইটাতো আমারই ছবি, আমার
ছবিতে জুতার
মালা দিয়ে আমারে অপমান
করে আবার আবোল-তাবোল
বকছেন মিয়া? হিন্দু
লোকটি বলল - তাহলে আপনার
ছবিতে জুতার
মালা দিলে আপনার লাগে?
অহিন্দু লোকটি বলল -
অবশ্যই। হিন্দু লোকটি বলল -
তাইলে শুনুন,
আপনার কাগজের
একটা ছবিতে জুতার
মালা দিলে যদি আপনার অপমান
হয়, তবে আমার
দেবতার ঐ মাটির
প্রতিমাতে পূজা দিলে আমার
দেবতারই পূজা হয়।
যদি বুইঝা থাকেন, তাহলে এখন
থেকে আর মূর্খের মতো আচরণ
করবেন না।
অহিন্দু লোকটা তারপর থেকে আর
তাকে বিরক্ত
করে নি।
এটা দেখে অনেকে হয়তো আবার বলবে আসলে কেউ কি দেবতা কে দেখেছে হ্যা বেদ গীতা মতে স্বয়ং ভগবানকে দেখেছে অর্জুন তবে এটা যখন ভগবান অর্জুন কে জ্ঞান চক্ষু দান করেছিল তখন । আর তাছাড়া বেদে পুরানে ....... বিভিন্ন যায়গায় দেবতাদের রূপের বর্ণনা দেয়া হয়েছে ।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০০

নীলাকাশ ২০১৬ বলেছেন: কেবল অর্জুন নয়, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যারাই অংশ নিয়েছে, সবাই ভগবানকে দেখেছে, কিন্তু কেউই তার মূ্র্তি বানিয়ে পূজা করেনি। বেদে যেখানে ঘোষনা করা আছে "ভগবানের কোন আকার নেই", সেখানে হিন্দুরা কোন ধর্মগ্রন্থ থেকে এই মূর্তিপূজার ধারণা পেয়েছে - সেটাই একটা রহস্য!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪২

সাগর কর্মকার বলেছেন: শালগ্রাম শিলা সম্পর্কে জানতে পারেন এবং প্রভু জগন্নাথ অবতীর্ণ হয়েছেন কিসের মাধ্যমে ?? আর গীতাতে স্পষ্ট বলা আছে ভগবানকে যে যে রুপেই দেখে ভগবান তার কাছে তাই ।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

মাহিরাহি বলেছেন: Andrews described to Rolland a discussion between Tagore and Gandhi, at which he was present, on subjects that divided them:

"The first subject of discussion was idols; Gandhi defended them, believing the masses incapable of raising themselves immediately to abstract ideas. Tagore cannot bear to see the people eternally treated as a child.

https://www.nobelprize.org/nobel_prizes/literature/laureates/1913/tagore-article.html

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

মাহিরাহি বলেছেন: ১৯১৫ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী রোমেইন রোলান্ডের কাছে সি এফ এন্ড্রু (যিনি কিনা রবীন্দ্রনাথ এবং গান্ধী উভয়ের বন্ধু মানুষ ছিলেন।) ভারতীয় এই দুই বিখ্যাত ব্যক্তিদ্বয়ের আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরেন, যে আলোচনায় তিনি নিজেরও উপস্থিত ছিলেন। তাদের আলোচনার প্রথম বিষয় ছিল মুর্তি কিংবা মুর্তি পুজা।

গান্ধী মুর্তি কিংবা মুর্তিপূজার পক্ষালম্বন করেন এবং তিনি বিস্বাস করতেন সাধারন জনগনের সেই মেধা নেই কিংবা নিজেদেরকে সে পর্যায়ে নিতে সক্ষম নয় যাতে করে তারা এবস্ট্রাক্ট চিন্তাধারাগুলো বুঝতে পারবে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের এটি সহ্য করতে পারতেন না সাধারন মানুষজন চিরকাল বাচ্চাদের মত আচরন করবে এবং তাদের সাথেও শিশুদের মত আচরন করা হবে।

উক্ত পশ্চিম বংগীয় ভদ্রলোকের ধারনা এসব কারনেই রবীন্দ্রসাহিত্যের চর্চা এখন কষ্টসাধ্য, কেননা পশ্চিম বাংলা তার পুজাতেই ব্যস্ত, চর্চার সুযোগ কই।

শুনতে খারাপ লাগলেও এটিও সত্য বিস্ব সাহিত্যের অংগনে রবীন্দ্রনাথ নামটি উচ্চারিত হয় না বললেই চলে। এমনকি খোদ ভারতে আরেক বাংগালী সত্যজিত রয় ভারতীয়দের কাছে রবীন্দ্রনাথের চাইতেও বেশি জনপ্রিয় একটি নাম।

বাংগালীরা যত না রবীঠাকুরকে বুঝতে চেয়েছে তার চাইতে বেশি রবীন্দ্র বন্দনায় ব্যস্ত থেকেছে।


ব্যক্তিপূজার এই রোগটি কিংবা হীনমন্যতাটি আমাদের বাংলাদেশীদের মধ্যেও চোখে পড়ে। কোন কোন বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের সাথে নিজের আবেগ উচ্ছাসকে অনেকে এত বেশিই জড়িয়ে ফেলেন যে, তা রীতিমত দৃষ্টিকটু হয়ে পড়ে।

আমরা সৃষ্টির সেরা জীব এইজন্যেই যে আমরা সকলেই নিজের মত, অন্যের মত নই, অন্যের অস্তিত্ব আমার অস্তিত্বের জন্য আবশ্যকীয় নয়। নিজের অস্তিত্বে সমুজ্জল।

রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, আমরা সবাই রাজা আমাদেরই রাজার রাজত্বে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩৫

সাগর কর্মকার বলেছেন: বিস্ব সাহিত্যের অংগনে রবীন্দ্রনাথ নামটি উচ্চারিত হয় না বললেই চলে। এমনকি খোদ ভারতে আরেক বাংগালী সত্যজিত রয় ভারতীয়দের কাছে রবীন্দ্রনাথের চাইতেও বেশি জনপ্রিয় একটি নাম।
"সত্যজিত রয়" এর অনেক নাম থাকতে পারে কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে তুলনা হবেনা । আর ব্যাক্তি পূজা আর দেবতা কিংবা সৃষ্টিকর্তার আরাধনা সম্পূর্ণ আলাদা । আর আমার প্রশ্ন আসলে পশ্চমি দিকে কি ??

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

আহলান বলেছেন: যুক্তি তর্কের খাতিরে হয়তো অনেক কথাই বলা যাবে, (যেমন দেবতা বলতে কি বুঝায়, আসলেই তেমন কিছু আছে না কি ব্লা ব্লা ...) তবে উপরোক্ত ঘটনাটি মনে নাড়া দেয়ার মতো ....

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২২

সাগর কর্মকার বলেছেন: কে বলল দেবতা বলতে তেমন কিছুনা ?? যিনি দৈব জ্ঞানে জ্ঞানী তিনিই দেব ।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

মাহিরাহি বলেছেন: হিন্দু ধর্মের বই বেদ, ব্রহ্মা সুত্রা, উপনিষদ ভগবত গীতায় স্রষ্টার যে বিবরন দেয়া হয়েছে তা নীচে দেওয়া গেল।
অযুরবেদঃ
চাপ্টার নং৩২, ভারস নং ৩ এ বলা হয়েছে, আতিস্তিয়া প্রাতিমা আসতি, তার কোন ইমেজ বা প্রতিচ্ছবি নেই। আরো বলা হয়েছে, তার কোন জন্ম নেই।
চাপ্টার নং ৪০, ভারস নং ৮ এ বলা হয়েছে, তার কোন দেহ নেই এবং সে শুদ্ধ।
চাপ্টার নং ৪০, ভারস নং ৯ এ বলা হয়েছে, তারা অন্ধকারে প্রবেশ করছে যারা বায়ু, পানি আর আগুনের মত প্রাকৃতিক জিনিষের পুজা করছে আর তারা আরো বেশি অন্ধকারে প্রবেশ করছে যারা সৃষ্ট জিনিষকে পুজা করছে।

উপনিষদের (সবেতা সাত্রা) চাপ্টার নং ৪, ভারস নং ১৯ এ বলা হয়েছে, তার মত আর কেউ নেই।
উপনিষদের (সবেতা সাত্রা) চাপ্টার নং ৪, ভারস নং ২০ এ বলা হয়েছে, তার আকৃতি দেখা যায় না এবং তাকে কেউ চোখে দেখতে পায় না।

উপনিষদের (চান্দগিয়া) চাপ্টার নং ৬, সেকসন ২ ভারস নং ১ এ বলা হয়েছে, তার কোন মাতাপিতা নেই, তার কোন প্রভু নেই, সে একাই যথেষ্ট এবং কারো উপ্র নিরভ্রশীল নয়।

রিক বেদের বই নং ৮, হাইম নং ১, ভারস নং এ বলা হয়েছে, আচ দাঙ্গাদি সামসসাত্রা অরথ্যা তার ছাড়া আর কারো ইবাদত করনা। সব প্রশংসা তার।
বই নং ৬, হাইম নং ৪৫, ভারস নং ১৬ এ বলা হয়েছে, তারই প্রসংশা কর যে অদ্বিতীয় এবং যার কোন তুলনা নেই।

ভগবত গীতার চাপ্টার নং ৭, ভারস নং ২০ এ বলা হয়েছে, যাদের বুদ্ধি জাগতিক লোভে লোপ পেয়েছে তারাই মুর্তি পুজা(ডেমি গড) করে, এরাই বৈষয়িক মানুষ যারামুর্তি পুজা করে, তারা সত্যিকারের সর্বশক্তিমানের খোদার ইবাদত করেনা।

বেদান্তের হিন্দু তত্তের প্রধান ব্রহ্মা সুত্রা হল গিয়ে খোদা শুধুমাত্র একজন, দ্বিতীয় কেউ নেই, একেবারেই নেই, একেবারেই নেই, বিন্দুমাত্র নেই।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৪

সাগর কর্মকার বলেছেন: আসলে আপনি তো এই প্রশ্ন গুলো হয়তো কোনো ইসলামিক পেজ কিংবা অন্য কোথা্ও থেকে নিয়েছেন তাই এত প্রশ্ন যদিও কিছু ভূল আছে । সৃষ্টিকর্তা অবতার রুপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছেন আর তখনি তার নিদর্শন পাওয়া যায় ।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আপনার ধর্মের প্রতি অনুরাগ দেখে ভালো লাগলো।আজকালতো ধর্মকথা বলাই অধর্ম হয়ে গেছে।
তবে সেই বেওকুফ অহিন্দু লোকটির পাগলামীর জন্যে কিন্তু মূর্তিপূজা সিদ্ধ হয়ে যায়না।আই মিন যুক্তিটা ধোপে টেকেনা।
''না তস্য প্রতিমা অস্থি''

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৮

সাগর কর্মকার বলেছেন: আবার সেই লোক .. না না কোন অহিন্দু লোকের যুক্তরি জন্যই প্রতিমা পূজা পাপ হয়ে যায়না ।

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৪

মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। ধর্ম যার যার কর্ম সবার----
কোন ধর্মকে অবহেলা নয়।।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৮

সাগর কর্মকার বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.