নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমাকে সংখ্যালঘু বলে গালি দিবনে না আমাকে সনাতনী হতে অনুপ্রানিত করুন । ধন্যবাদ ।

সাগর কর্মকার

আমি স্বাধীনতা চাই ।

সাগর কর্মকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন ধর্মের সৌন্দর্য দেখতে চান? এমন কোন দেশে যান যেখানে ঐ ধর্মের অনুসারিরা সংখ্যালঘু।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

#সবাইকে_অনুরোধ_করবো_পুরো_লেখাটা_পড়ার
কোন ধর্মের সৌন্দর্য দেখতে চান?
এমন কোন দেশে যান যেখানে ঐ ধর্মের
অনুসারিরা সংখ্যালঘু। তাদের ধর্মাচারের মাঝে যে
রূপটা, যে সৌন্দর্যটা দেখতে পাবেন, অপর
কোন দেশ যেখানে তারা সংখ্যাগুরু সেখানে
সেটা পাবেন না।
অজস্র প্রমাণ আছে।

মুম্বইয়ের এক ব্যস্ত রাস্তায় হঠাত গণেশ
মন্দিরের সামনে এসে থামলো এক ট্যাক্সি,
ভেতর থেকে স্ত্রীকে পাঁজকোলা করে
বের হলেন এক মুসলিম ভদ্রলোক। স্ত্রীকে
নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন, পথেই তার প্রসব
বেদনা ওঠে। জাতপাত ভুলে গিয়ে মন্দিরে
আশ্রয় চান তারা। মন্দিরে প্রার্থনারত ভক্তরা মানবতার
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। মহিলারা চাদর, মাদুর,
শাড়ির আঁচল দিয়ে অস্থায়ী আঁতুড়ঘর বানান, তার
মাঝেই তাদের সাহায্যে পৃথিবীতে আসে তার
নবজাতক। এখানেই শেষ নয়। মুসলিম ভদ্রমহিলা
কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ গণেশ মন্দিরে জন্ম
নিয়েছে বলে ছেলের নাম রাখেন গণেশ।
তখন তার মনে হয়নি এটা হিন্দুয়ানি নাম। তাকে
মন্দিরে জায়গা দেয়া ভক্তদেরও মনে হয়নি
মুসলমান ঢুকলে মন্দির অপবিত্র হবে। ঘটনাটা
গতবছরের।

মধ্য প্রদেশের হরদা শহরের বাসিন্দা সন্তোষ
সিং। গতবছর অল্পবয়সেই দুরারোগ্য ব্যধিতে
ভুগে মারা যান। চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে তার
পরিবারের এতই দুরবস্থা হয়েছিল যে তার মরদেহ
সৎকার করার সামর্থ্যও আর তাদের ছিল না। এমন
সময় এগিয়ে আসেন তার বাল্যবন্ধু রাজ্জাক। নিজে
শুধু বন্ধুর সৎকারের খরচটাই দেননি, বন্ধুর
পরিবারে আর কোন পুরুষ সদস্য না থাকায়
হিন্দুরীতিতে বন্ধুর সৎকারের পুরো কাজটা
নিজহাতেই সম্পন্ন করেন তিনি। তার বা তার বন্ধুর কি
জাত গেছে?
.
২০১২ সাল। স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের
পদত্যাগের দাবীতে উত্তাল কায়রোর তাহরির
স্কোয়্যার। গণদাবী ঠেকাতে হীরক রাজ
মোবারক লেলিয়ে দিয়েছে জান্তা পুলিশ। এমন
সময় এলো রমজান মাস। পথে আন্দোলনকারী
মুসলিমরা ইফতার করবেন, মাগরিবের নামাজ পড়বেন।
পুলিশের লাঠির মুখে সেটাও ঠিকমত করতে
পারছেন না। এগিয়ে এলেন তাদের খৃষ্টান
সহযোদ্ধারা। চারপাশে মানবপ্রাচীর তৈরি করলেন
তারা। মাঝখানে তাদের মুসলিম বন্ধুরা ইফতার
খেলেন, নামাজ পড়লেন। টানা ৩০ দিন।
ওদেরও কারও জাত যায়নি। বরং ওদের একতায়
মোবারকের শাসনের ভিত নড়ে গেছিল।

রোজা চলাকালীন যেকোনদিন সন্ধ্যায় চলে
যান কমলাপুরের বৌদ্ধ মন্দিরে। দেখবেন
দরিদ্রদের মাঝে ইফতার বিতরণ করছেন মন্দিরের
ভিক্ষুরা। পুরো রমজান মাসজুড়েই তারা এটা করে
থাকেন।
.
আমাদের দেশে এমন একজনও পাওয়া যাবে না,
যে দুর্গাপূজার সময় হিন্দু কোন বন্ধু বা
সহকর্মীর বাড়িতে তৈরি কয়েক পদের মন্ডামিঠাই,
নাড়ু, লুচি, নিরামিষ খায়নি। কখনো তারা বাড়িতে
নেমন্তন্ন করে খাইয়েছে, কখনো ক্লাসে বা
অফিসে নিয়ে এসে সবাইকে খাইয়েছে।
প্রতিবছরই এটা হয়। এখানেও কারও জাত যায় না।
.
তাহরির স্কোয়্যারের খৃষ্টানদের মাঝে খৃষ্টানিটির
যে সৌন্দর্য, তা আপনি ডোনাল্ড ট্রাস্পের
খৃষ্টানিটিতে পাবেন না।
মন্দিরে জন্মেছে বলেই ছেলের নাম গণেশ
রাখার উদারতা হেফাজতের ইসলামে পাবেন না।
দরিদ্রদের মাঝে ইফতার বিতরণের মানবিকতা অং সান
সুকি'র বৌদ্ধধর্মে পাবেন না। যত্ন করে বাড়িতে
তৈরি করে আনা নাড়ু, লুচি, নিরামিষের স্বাদ নরেন্দ্র
মোদী'র হিন্দুধর্মে পাবেন না।

সমাজে ধর্ম জিনিসটা হল তরকারিতে লবণের মত।
অপরিহার্য, নিঃসন্দেহে।
তবে অতিরিক্ত হলেই মুশকিল।
copied by : আন্তজার্তিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ - ইসকন

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০০

সুমন কর বলেছেন: কিছু আগে পড়ে ছিলাম। ভালো শেয়ার।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২২

সাগর কর্মকার বলেছেন: হুম এই পোস্টটা আগেও করেছিলাম আজ আবার ও করেছি কারণ তাও যদি মানুষের কাছে মানবতার সংজ্ঞা টা পরিষ্কার হয় ।
ধন্যবাদ ।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৩

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: সমাজে ধর্ম জিনিসটা হল তরকারিতে লবণের মত।
অপরিহার্য, নিঃসন্দেহে।
তবে অতিরিক্ত হলেই মুশকিল.।

সত্যিই ভালো লাগলো।তবে,এটাও ঠিক যে,ব্যাতিক্রমকে কখনোও উদাহরণ হিসেবে দেখা উচীৎ নয়।ভালো লাগলো।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৪

সাগর কর্মকার বলেছেন: ব্যাতিক্রমকে কখনোও উদাহরণ হিসেবে দেখা উচীৎ নয়। আর এজন্যই “সমাজে ধর্ম জিনিসটা হল তরকারিতে লবণের মত।
অপরিহার্য, নিঃসন্দেহে।
তবে অতিরিক্ত হলেই মুশকিল.।”
তবে পদ্মফুল যদি গোবর কেন আরো কোন খারাপ যায়গা থেকেও আসে তার মূল্য দেয়া আমাদের উচিত ।
ধন্যবাদ ।

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: পোস্টের বিষয়বস্তু নিঃসন্দেহে ভাল। কিন্তু আপত্তিকর উপাদানেরও অভাব নেই। ধর্মীয় সম্প্রীতির নামে কেউ যদি নিজ ধর্মকেই অবজ্ঞা করে, তবে সেই সম্প্রীতির মুখে ছাই! কোন মুসলিম তার সন্তানের নাম গণেশ রাখতে পারেনা - তা যদি স্বয়ং গণেশ এসেও তাকে জন্ম দিতে সাহায্য করে যায়, তাহলেও।

ভারতে ধর্মীয় সম্প্রীতির উদাহরণ এরকম হাতে গোনা। কিন্তু সামান্য গো মাংস ভক্ষণের ছুতায় অশীতিপর বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার মত দৃষ্টান্ত অসংখ্য। এই সামান্য কটা উদাহরণ ভারতের সাম্প্রদায়িক চরিত্র ম্লান করে দেবার জন্য যথেষ্ট নয়।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

সাগর কর্মকার বলেছেন: ভারতে ধর্মীয় সম্প্রীতির উদাহরণ এরকম হাতে গোনা। এজন্যই ত বলেছি “যত্ন করে বাড়িতে
তৈরি করে আনা নাড়ু, লুচি, নিরামিষের স্বাদ নরেন্দ্র
মোদী'র হিন্দুধর্মে পাবেন না।”
পোস্ট না বুঝতে পারাটা আমার আমার ব্যার্থতা ।
আমি ধর্ম কে স্মরণ করে মানবতার পথে হাটার সুপ্ত বার্তা পৌছাতে চেয়েছি ।
ধন্যবাদ ।

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৪

মানবী বলেছেন: "তাহরির স্কোয়্যারের খৃষ্টানদের মাঝে খৃষ্টানিটির
যে সৌন্দর্য, তা আপনি ডোনাল্ড ট্রাস্পের
খৃষ্টানিটিতে পাবেন না।"


- ভুল। আমেরিকার ধর্মপ্রাণ খ্রীস্টানরা প্রতিনিয়তই তাঁদের ধর্মের সৌন্দর্য্য তুলে ধরেন বিভিন্ কাজের মাধ্যমে, যেমন ধরেন বাংলাদেশের মুসলিমরা অথবা ভারতের হিন্দুরা্।

টাইম স্কয়্যারে এই কিছু দিন আগেই ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে মুসলিমরা একত্রিত হলে, নামাএর সময় তাঁরা নামাজ পড়ের আর খ্রীস্টানরা তাঁদের ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকেন। ট্রাম্পের ট্রাভেল ব্যানের পর প্রতিবাদ জানিয়ে এয়ারপোর্টে ছুটে যাওয়া মানুষদের মাঝে মুসলিমদের চেয়ে অমুসলিমদের সংখ্যা বেশি ছিলো।

বাংলাদেশে হিন্দু প্রতিবেশীর বিপদে মুসলিম প্রতিবেশী সবচেয়ে আগে এগিয়ে যায়, বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আবার সৌদি আরবের পথের পাশে ক্ষুধার্ত পথচারীদের জন্য এক ব্যক্তি র রাখার সময় কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলে দেননি শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য। যেকোন ধর্মের ক্ষুধার্ত মানুষের জন্যই একজন সংখ্যাগুরু আরব তা করেছেন।
আবার ভারতে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধু মুসলিম হবার কারনে যখন বন্ধুকে চাকরী দিতে অস্বীকার করা হয় তখন তার সংখ্যাগুরু হিন্দু বন্ধুরা সেই কোম্পানী বহুকাঙ্খিত চাকরিটি পাওয়া সত্ত্বেও জয়েন করতে অস্বিকৃতি জানায়।

সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘুর প্রশ্ন নয়। ব্যাপারটা আমাদের দৃষ্টিকোনের।
আমরা ভারতের বর্ণবাদী চাকরীদাতা, অথবা আমেরিকার ট্রাম্প বা ট্রাম্প সমর্থক বা মোদীগ্রুপকে নিজ নিজ দেশের জনগন বা ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে গ্রহন করবো না ঔদার্য্য দেখানো একই ধর্মের মানুষদের গ্রহন করবো।

সহমত হতে না পারার জন্য দুঃখিত।
সুন্দর সব ছবির মাঝে যোগী আদিত্যনাথের মতো কট্টরপন্থী বা হিন্দু জঙ্গীবাদের ছবিটা বেমানান। রাজনৈতিকা সুবিধা আদায়ের উদ্যেশে এধরনের সাধুতা দেখাবার ছবি সব দেশের সকল বর্ণবাদী নেতাদেরই পাওয়া যায়।

ভালো থাকুন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

সাগর কর্মকার বলেছেন: আপনি আমার সাথে সহমতই করেছেন , আমার পোস্টের মাহাত্ম্য লেখাগুলোতে নয় ইঙ্গিতে দেয়া হয়েছে ।
তবে আপনি যে অভিজ্ঞতা থেকে কিছু বলেছেন আমার ও অভিজ্ঞতা ও আছে তবে অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি আমি দেখেছি স্বার্থ উপকারের বিপরীতে ।
তবে সকলে সমান নয় ।
ধন্যবাদ ।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



এই ধরনের দু'চারটে ফটো সেশন দিয়ে ভারতের ভয়ঙ্করতম জাতি বিদ্ধেষের অন্ধকার চেহারা আড়াল করা যাবে না। আজকের প্রথম আলোতে 'কসাইদের কষ্ট' শিরোনামে লেখা নিউজটি পড়ুন। দেখুন কি হচ্ছে সেখানে। মানুষের অধিকার বলতে তারা কোন কিছুকে স্বীকার করেন কি না, এসব খবর দেখার পরে এ প্রশ্নটি নতুন করে মনের কোনে জেগে ওঠে।

নিউজ সূত্র:

কসাইদের কষ্ট

কসাইদের কষ্ট
অনলাইন ডেস্ক
০৪ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৩৮

এলাহাবাদে দোকানের ভেতরে বসে আছেন এক মাংস ব্যবসায়ী। ছবিটি ২৮ মার্চ তোলা। ছবি: রয়টার্স
এলাহাবাদে দোকানের ভেতরে বসে আছেন এক মাংস ব্যবসায়ী। ছবিটি ২৮ মার্চ তোলা। ছবি: রয়টার্স
ভারতের উত্তর প্রদেশে মাংসের দোকানে সরকারি খড়্গ নেমে আসায় অনেক ব্যবসায়ী ও কসাই এখন ঘোরতর বিপদে। কর্মসংস্থান ও অর্থের অভাবে তাঁরা কষ্টে আছেন।

সম্প্রতি রাজ্যের এলাহাবাদ নগরে বেশ কিছু ভুক্তভোগী মাংস ব্যবসায়ী ও কসাইয়ের মুখোমুখি হন বিবিসির বিকাশ পান্ডে। তাঁকে নিজেদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মাংস ব্যবসায়ী ও কসাইরা।

অনেক দিন ধরে মাংস বিক্রির পেশায় আছেন শাকিল আহমদ (৫২)। হতাশা নিয়ে তিনি বলেন, দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁর কাছে অর্থকড়ি নেই। জীবিকার অন্য কোনো উপায়ও জানেন না। এ অবস্থায় সংসার চলবে কীভাবে, তা বুঝতে পারছেন না তিনি।

রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ওপর ক্ষুব্ধ শাকিলের প্রশ্ন, একজন মুসলমান বা মাংস ব্যবসায়ী বলেই কি আজ তাঁর এই ভোগান্তি?

বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারে রাজ্যে অবৈধ কসাইখানা বন্ধের কথা ছিল। কট্টর হিন্দুত্ববাদী আদিত্যনাথ বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই এ ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেন।

মাংস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অবৈধ কসাইখানা বন্ধে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর বৈধ-অবৈধনির্বিশেষে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে মাংসের দোকান ও কসাইখানা। ছাগল ও মুরগির মাংস বিক্রির দোকানগুলোও বন্ধ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

উত্তর প্রদেশে গরুর মাংস নিষিদ্ধ। তবে সেখানে বৈধভাবে মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি জবাই হয়ে আসছিল। রাজ্যের অনেক মানুষ এই পেশা দিয়ে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। এখন তাঁরা জীবিকা নিয়ে সংকটে পড়েছেন।

রাজ্যের অধিকাংশ কসাই মুসলমান। তাঁদের ধারণা, তাঁরা অন্যায্য আচরণের শিকার হচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে শাকিলের প্রশ্ন, গরুর বিষয়টি নাহয় বোঝা গেল। কিন্তু ছাগল-ভেড়ার মাংস বিক্রেতাদের কেন শায়েস্তা করা হচ্ছে?

শাকিল বলেন, তাঁর মতো অধিকাংশ কসাই দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল। বছরের পর বছর এই পেশায় থাকায় তাঁদের অন্য দক্ষতাও নেই।

শাকিলের ১০ সদস্যের পরিবার। জনবহুল এলাকায় দুই কক্ষের ছোট্ট বাড়িতে তাঁদের বসবাস। শাকিল জানান, পেশাগত লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেছে কর্তৃপক্ষ। তাঁকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ইউনিট স্থাপন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এই ইউনিট করার সামর্থ্য তাঁর নেই।

শাকিলের মা ফাতিমা বেগম জানালেন, তাঁদের সম্প্রদায় (কমিউনিটি) ঐতিহ্যগতভাবে মাংস ব্যবসা করে জীবন-জীবিকা চালিয়ে আসছে। এই সম্প্রদায়ের পুরুষদের অন্য বিষয়ে দক্ষতা নেই।

ফাতিমা বেগম বলেন, ‘আমরা এমনিতেই গরিব। আর এখন আমাদের খাবার কোত্থেকে আসবে, তা জানি না। তারা (কর্তৃপক্ষ) হয়তো আমাদের মেরে ফেলতে চায়।’

বয়সের কারণে ফাতিমা বেগমকে প্রতিদিন ওষুধ নিতে হয়। তাঁর ওষুধ ফুরিয়ে আসছে। কিন্তু এ কথা ছেলেকে বলেননি। কারণ, তাতে ছেলের দুশ্চিন্তা আরও বাড়াতে পারে।

শাকিলের স্ত্রী হুসনা বেগম সন্তানদের শিক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। সন্তানেরা শিক্ষিত হয়ে দারিদ্র্য জয় করবে—এমন স্বপ্ন তাঁর। হুসনা বেগম বলেন, ‘সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা কি অপরাধ?’

একই এলাকার মোহাম্মদ শারিক ইতিমধ্যে তাঁর মাংসের দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি জানালেন, তাঁর লাইসেন্স আছে। কিন্তু হামলার ভয়ে দোকান বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

শারিকের ভয়ের কারণ মোটেও অমূলক নয়। রাজ্যে একাধিক মাংসের দোকানে হামলা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।

শারিক জানালেন, অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, তিনি মুরগিও বিক্রি করতে পারছিলেন না।

১০ জন মানুষের ভরণপোষণের দায়িত্ব শারিকের কাঁধে। তাঁর ঘরের অবস্থা নড়বড়ে। রুটি-রুজির একমাত্র পথও রুদ্ধ।

শারিকের ভাই পি কোরেশি। জানালেন, তাঁরা সবাই ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। তাঁদের সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রী বুঝবেন বলে প্রত্যাশা তাঁর।

সম্প্রদায়টির সব বাড়ির গল্প একই।

আবদুল কোরেশি পশু বহনের কাজ করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১০ দিন ধরে কাজের জন্য বাইরে যাননি তিনি। তাঁর ভাষ্য, রাজ্যে মাংস ব্যবসার বিরুদ্ধে যেসব তৎপরতা চলছে, তা খুবই অযৌক্তিক। কারণ, হিন্দুরাও তো মাংস খায়।

ভাষান্তর: সাইফুল সামিন

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

সাগর কর্মকার বলেছেন: "শাকিল জানান, পেশাগত লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেছে কর্তৃপক্ষ। তাঁকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ইউনিট স্থাপন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এই ইউনিট করার সামর্থ্য তাঁর নেই।"
তবে যাই হোক , আসলে এটা বন্ধ করা তাদের ঠিক হয়নি যেহেতু এটা তাদের সংবিধানে নাই আর যদি সংবিধানে থাকত তাহলে মানতাম । কিন্তু আরেকটা কথা হচ্ছে ভারতে কসাই খানা বন্ধ হওয়াতে মানুষ আর গনমাধ্যম যেভাবে ক্ষেপছে সেভাবে যদি ক্ষেপত যখন বাংলাদেশে সি.এন.জি বন্ধ করছে তাহলে আর বাংলাদেশের অনেক ড্রাইভার এর এ দশা হতনা ।
মানবতায় আঘাত হলে কারো হয় কষ্ট না, ধর্ম কে পচানোর জন্য আমরা সবাই উদগ্রীব ।
। ধন্যবাদ ।

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

রিফাত হোসেন বলেছেন: + পোষ্টের উদ্দেশ্য অনেক ভাল।

আরও কিছু বলতাম উপরের মন্তব্যের মত, কিন্তু আপনার উদ্দেশ্য আর বিষয় বস্তুর পটভূমি পরিবর্তন করতে চাই না।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০০

সাগর কর্মকার বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঠিক বুঝলাম না পোস্টের আসল কন্টেন্টেস এর সাথে মানুষ জনের উল্টা পাল্টা কমেন্ট দেখে।


একটা কথা বলি, আমরা প্রতিদিন দেখি না কোনো সংখ্যালঘুকে কেউ না কেউ ধর্ষন করছে অঠবা তার বাড়ি ঘর দখল করছে। যদি প্রতিদিন হতো তাহলে সেটাই হতো খবর। যেমন আমাদের দেশে মেয়েদের বাসের ভীড়ে যৌন লাঞ্চনা অথবা খুতবায় জঙ্গিবাদ ছড়ানো এটা খুব সাধারন ঘটনা কিন্তু এটা যদি সুইডেন বা জার্মানীতে কেউ করতো সেটার চর্চা চলতো পুরোটা মাস। এমনকি সেখানকার ইমিগ্রেশন থেকে শুরু পার্লামেন্টে নতুন আইন পর্যন্ত গড়ায়।

তার মানে দেখা যাচ্ছে দুয়েকটা ঘটনা পুরো জাতীকেই কলংকিত করে। আমার কাছে মনে হয় ভারত একটা মহান রাস্ট্র। ভারতের অনেক কিছুই আমি শ্রদ্ধার চোখে দেখি যেমন সে দেশে মুসলমান, শিখ ধর্মালম্বী লোকও মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট বা প্রধান মনত্রী হতে পারে। যেটা আমাদের মতো ফকিন্নী, বর্বর, ছোটলোক, জঙ্গী দেশ বাংলাদেশে তো বাদ, আমেরিকাতেও সম্ভব না। সব দেশে ভালো হচ্ছে খারাপ ও হচ্ছে। সমস্যাটা হলো আগে হয়তো বছরে একবার শুনতাম, এখন প্রায় প্রতিমাসেই শুনি। এটা নৈতিক অব্ক্ষয়ের লক্ষন আর যখন শুনবো প্রতিদিন হচ্ছে ততদিন ধরে নিতে হবে দেশটাকে অশুভ চক্র গ্রাস করেছে।


আমি আমার দেশকে নিয়ে এখন আর গর্ব করি না, কারন ২০০১ সালে সীমা ধর্ষনের বিচার হলেও এখন প্রায় প্রতিমাসেই এটা হচ্ছে। কিছুদিন আগেও এটা নিয়ে চিৎকার শোনা যেতো কিন্তু এখন শোনা যায় না কারন এখন প্রতিনিয়তই ঘটছে আর জঙ্গিবাদের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে।

দেশ এখন জঙ্গিবাদে এতটাই আক্রান্ত যে খোদ সরকার পর্যন্ত মাথা নুইয়ে ফেলেছে যার সবচেয়ে বড় উদাহরন পাঠ্যপুস্তকে বর্বরতম মাদ্রাসা শিক্ষার জাতীয় করন এবং বিতর্কিত বাল্যবিবাহের আইন করা।


সুন্দর শেয়ার

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪২

সাগর কর্মকার বলেছেন: ভাই কি আর বলব আসলে অযৌক্তিক কমেন্ট দেখে মাথা নষ্ট ।
তবে ধন্যবাদ ।

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



#উদাসী স্বপ্ন বলেছেন:আমি আমার দেশকে নিয়ে এখন আর গর্ব করি না, কারন ২০০১ সালে সীমা ধর্ষনের বিচার হলেও এখন প্রায় প্রতিমাসেই এটা হচ্ছে। কিছুদিন আগেও এটা নিয়ে চিৎকার শোনা যেতো কিন্তু এখন শোনা যায় না কারন এখন প্রতিনিয়তই ঘটছে আর জঙ্গিবাদের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে।

দেশ এখন জঙ্গিবাদে এতটাই আক্রান্ত যে খোদ সরকার পর্যন্ত মাথা নুইয়ে ফেলেছে যার সবচেয়ে বড় উদাহরন পাঠ্যপুস্তকে বর্বরতম মাদ্রাসা শিক্ষার জাতীয় করন এবং বিতর্কিত বাল্যবিবাহের আইন করা।#

-উদাসী স্বপ্ন,
শুধু কি তাই! সব্বনাশা খবর তো তাহলে শোনেনই নি!! অবস্থা ভয়াবহ!! শুধু ভয়াবহও না, মহাভয়াঙ্কর!!! যতদূর ঠাহর করতে পারি, সাফল্যের সাথে জঙ্গী দমনের পরে সরকারের পরবর্তী টার্গেট বোধ হয়, দেশ থেকে নাস্তিক ধর্মদ্রোহী খোদাদ্রোহী আগাছা পরিষ্কার করা। কারন, শুনেছি, জঙ্গীদের চেয়ে এরাও নাকি জাতীয় উন্নতি অগ্রগতির পথে অন্তরায় হিসেবে সমাজে বিভেদ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে কোন অংশে কম নয়- বলেই তাহাদের ধারনা।

আস্তাগফিরুল্লাহ! এগুলান কি হুনতাছি দাদা ভাই??

দু:খে কইলজা ফাইট্টা যায়!!!

বঙ্গোপসাগরে ঝাপ মারন লাগব নি!!!!

আবার গর্ব করার কথা কন? গর্ব খর্ব হইয়া কাঁচা বাঁশের লাহাইন চড়চড়াইয়া ফুইটা যাইতাছে গা!!!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৩

সাগর কর্মকার বলেছেন: ভাই মানবতার দিক থেকে নাস্তিকদের কিছু দোষ জানলে কনত হুনি । ভূইল্লা গেলে বাদ দেন ।
ধন্যবাদ ।

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই সাগর কর্মকার,
উদারমনা দৃষ্টিভঙ্গিতে কৃতজ্ঞতা!

ভাল থাকবেন।

১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



# এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৩ ০
লেখক বলেছেন: ভাই মানবতার দিক থেকে নাস্তিকদের কিছু দোষ জানলে কনত হুনি । ভূইল্লা গেলে বাদ দেন ।
ধন্যবাদ ।#

-প্রিয় সাগর কর্মকার,
ভালই আছেন, আশা করি।
৮ নং মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যে আপনার মূল্যবান বক্তব্য বিবেচনায় নিতে গেলে অনেক কথা বলতে হয়। সেই সময় সুযোগ যদি কখনও পেয়ে যাই, চেষ্টা করব।

তবে, সংক্ষেপে এটুকু অন্তত: আপনার সদয় জ্ঞাতার্থে বলি- এই জাতীয় প্রানীগুলো হিতাহিত জ্ঞানহীন ধর্মদ্রোহী, স্রষ্টাদ্রোহী এমনকি অনেক ক্ষেত্রেই এরা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্যও উগ্রবাদী কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে পরেন। হিংসা বিদ্ধেষ আর কপটতায় আচ্ছন্ন এগুলোর অধিকাংশকেই দেখেছি- ভদ্রতার মুখোশ পরে ধর্মের আর ধর্মাচারীদের নিয়ে না রগড়ালে, তাদের পাজামা প্যান্ট আন্ডারওয়্যার ইত্যাদির মাপ জোক না করতে পারলে ওদের পেটের ভাত হজম হয় না।

আসুন, এই সারির মুখোশধারী জনৈক অখাদ্যের সদ্য ভূমিষ্ঠ একখান কবিতার দেহাবয়ব পরখ করি।

হুজুরে গওসুল

এদের ব্যাপারে কী বলবেন?

ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন, দাদা।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৭

সাগর কর্মকার বলেছেন: ভাই মানবতার দিক থেকে মোখশ ধারী ধার্মিক রা যেমন পিছিয়ে মোখশ ধারী নাস্তিক রাও পিছিয়ে । কিন্তু নাস্তিক রা কখনো ধর্মের নাম নিয়ে মানুষ মারতে আমি শুনিনাই ;আর নাস্তিকরা যতটানা ধার্মিক দের অপমান করে মজা পায় ,তার থেকে বেশি মজা পায় মুসলিমরা হিন্দুদের আর হিন্দুরা মুসলিম দের অপমান কিংবা দোষ খুজে ।
কিন্তু তারা আসলেই ধার্মিক না অন্য কিছু আমার জানা নাই ।
আর আমাকে নাস্তিক মনে করে দুঃখ দেবেন না কথাগুলো অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ।
ধন্যবাদ যৌক্তিক মন্তব্য করার জন্য ।

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১২

সাগর কর্মকার বলেছেন: আমার এই পোস্টটা সেকুলার কিংবা এথেইস্ট এর পক্ষে ছিল না কিন্তু কিছু কিছু থিইস্ট এর জন্য এই পোস্ট টা এখন এথেইস্ট বাদী হয়ে যাচ্ছে অার এটাই আমাদের সমস্যা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.