![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বাধীনতা চাই ।
প্রতিমা পূজা কী? হিন্দুরা কেন প্রতিমা পূজা করে?
প্রতিমা পূজা হলো প্রতীকের মাধ্যমে বিশেষভাবে প্রার্থনা করা।আমরা যা করি তা অনেকটাই প্রতীকের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকি। প্রতীক/মাধ্যম ভিন্ন কোন ভাবের আদান প্রদান করা যায় না। যেমন মাতৃভাষা দিবসের প্রতীক মা, ভাষা শহীদের প্রতীক শহীদ মিনার, জ্ঞানের প্রতীক অক্ষর, প্রার্থনার প্রতীক মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ইত্যাদি। এই শ্রদ্ধাটাই হলো পূজা। এগুলোর মধ্যে সৃষ্টিকর্তার যে অলৌকিক শক্তি ও সম্পর্ক আছে মানুষ তাকেই শ্রদ্ধা জানায় বা আহ্বান করে।
মানুষ বিশেষভাবে শ্রদ্ধার সাথে সৃষ্টিকর্তার সেই শক্তির আহ্বান করাকেই পূজা বলে।
যেমনঃ নির্বাচনে আমরা যে কোনো একটি প্রতীককে ভোট প্রদান করি যার মাধ্যমে সে গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে বিজয়ী হয় এবং দলের প্রধান তার মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর পদে জয় লাভ করে। এখানে যেমন প্রতীক ভিন্ন অন্য কোথাও ভোট দেয়া হয় না তেমনি আমরা কোন ছবি, কাগজ বা প্রতীককে পূজা করি না, পূজা(অর্থ বিশেষ ভাবে শ্রদ্ধা জানানো) করি তার গুণ ও আদর্শকে।
স্বামী বিবেকানন্দ তাই মূর্তি পূজা সম্পর্কে বলেছেন --কারো পিতার ছবি দেখলে যেমন পিতার কথা মনে পড়ে, তেমনি ভগবানের ছবি দেখলে ভগবানের কথাই মনে পড়ে এবং তখনই মন পবিত্র হয়।
প্রহ্লাদকে তার বাবা প্রশ্ন করেছিলেন ---
"তোর ঈশ্বর কি এই স্ফটিক স্তম্ভের মধ্যে আছেন? "
তখন প্রহ্লাদ বললেন -- পিতা যদি বিশ্বাস করেন তবে এই স্ফটিক স্তম্ভের মধ্যেও ঈশ্বর আছেন। বিশ্বাস ও ভক্তিই আসল।
একজন স্বর্ণকারের কাছে একটি স্বর্ণের হাতিও যে মূল্য, স্বর্ণের ঘোড়াও সেই মূল্য কারণ এখানে বস্তু নয় তার গুণগত মানই শ্রেষ্ঠ।
"পুতুল পূজা করে না হিন্দু কাঠ মাটি দিয়ে গড়া,,
মৃন্ময়ী মাঝে চিন্ময়ী হেরে হয়ে যাই আত্নহারা "
আমেরিকার বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ মূর্তিপূজার প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন __"Hindus are not idol - worshiper. They are ideal- worshipers."
অর্থাৎ -------হিন্দুরা মূর্তিপূজক নন,তারা আদর্শের পূজারী।
মূর্তি হলো একটি আদর্শের প্রতীক,সত্যের প্রতীক।।।
"জয় শ্রী কৃষ্ণ"
পোস্ট_সংগ্রহীত
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার লিখার ভাবার্থ যে বুঝতে পারছি না তা নয়, তবু কিছু দ্বিধা/প্রশ্ন থেকেই গেল। যেমনঃ
১। স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি সৃষ্টিকর্তা যদি নিরাকার এবং সাকার হয়ে থাকেন তাহলে কে কেউ কোনদিন দেখেছে বলে বলতে শুনিনি। আর সৃষ্টিকর্তা কেন মানুষের রূপ ধারন করবেন সেটাও বোধগম্য নয়।
২। শেষের দিকে আপনি বলেছেন, "মূর্তি আদর্শের প্রতীক"। আদর্শ কি চোখে দেখা সম্ভব? কোথাগুলো গোলমেলে লাগছে।
৩। আপনার দেয়া ছবি দেখে মনে হচ্ছে আপনি কৃষ্ণানুসারী বা কৃষ্ণ-ই আপনার মূল আরাধ্য। প্রশ্ন হলো কৃষ্ণ যদি ভগবান বিষ্ণু-র অষ্টম অবতার হয়ে থাকেন তাহলে বিষ্ণু-কে বাদ দিয়ে তার অবতার কে কেন আরাধ্য মানা হয়?
প্রশ্নগুলো কোন প্রকার অশ্রদ্ধা দেখানো বা ধৃষ্টতা দেখানোর উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করা হয় নি, আশা করছি আপনিও ব্যাপারটাকে শুধু জানার উদ্দেশ্য হিসেবেই দেখবেন। সনাতন ধর্ম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুটা পড়াশোনা করার সুযোগ হয়েছিলো। যতটুকু জেনেছি তাতে আমার কাছে শিভ-কেই বেশী ভালোলেগেছে। আমি ত্রিদেব ধারনার সাথে পরিচিতি। ধন্যবাদ।