নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক যে দেশের জন্য কিছু করতে আগ্রহী এবং সে হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আপনি যদি পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে চান তাহলে আমাকে পাশে পাবেন!

বালক বন্ধু

মনের কথা অপরকে বলতে ভাললাগ।কবিতা ভালবাসি। একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি।

বালক বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কণ্ঠ রোধের রাজনীতি: সফল হয়েছে কোন কালে?

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৩

২০১৩ সালটা নিয়ে অনেকেই একটু চিন্তিত। কারণ আমাদের মনে "আনলাকি থার্টিন" বিষয়টা বেশ ভাল ভাবেই গেথে আছে। অনেকই নিজের জীবনের অনেক কিছুর হিসেব কষে রাখছেন এই আনলাকি থার্টিনকে এরিয়ে যেতে।



আমরা যারা একটু খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করি তারা অনেকেই লক্ষ্য করছি নিজের ব্যক্তিগত জীবনে আনলাকি থার্টিন বাঁধ না সাধলেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আনলাকি থার্টিন যেন বিষ ফোঁড়া হয়ে দাঁড়াচ্ছে।



বছরের শুরুতেই ছাত্রলীগের তাণ্ডব জানান দিল এই শেষ বছরে সরকার নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সব কিছু করতে পিছপা হবে না।

পত্রিকার পাতায় নতুন করে যে বিষয়টি চোখে পড়ছে তা হল আন্দোলন দমাতে সরকার কঠোর অবস্থানের বিষয়টি।



আন্দোলনের নামে যারা ভাংচুর করে, জনগণের সম্পদ নষ্ট করে, সরকারী সম্পদ ধ্বংস করে তাদের ঠেকাতে সরকার কঠোর হলে আমাদের কিছু বলার থাকতে পারে না।



কিন্তু প্রতিটি মানুষের আন্দোলন ঠেকাতে সরকারের এই কঠোর অবস্থানে যাওয়ার কোন মানে বুঝে উঠতে পারলাম না।



ডেস্টিনি দুই দুইবার প্রেসক্লাব গরম করেছে। ভাগ্যক্রমে দুইবারই আমি প্রেসক্লাবের পাশেই অবস্থান করছি। একবার DRU মিলনায়তেন, আরেকবার CIRDAP মিলনায়তনে। এই বছর তারা ৩০ জানুয়ারী আরেকবার প্রেসক্লাবে জমায়েত হয়েছিল নিজেদের দাবি আদায়ে। লক্ষ্যণীয় তাদের দাবি অযৌক্তিক কিছু না। তারা সবাই তৃণমূল কর্মী। তারা নিজেদর এবং অন্যদের টাকা ডেস্টিনিতে ঘাটিয়েছে লাভের আশায়। তাই বড়দের দোষে বাচ্চাদের কষ্ট দেওয়া কেন? তারা তাদের টাকা ফেরত চায়। এই দাবি নিশ্চয় দোষের কিছু না। কিন্তু এই দাবি নিয়ে পুলিশ তাদের দাঁড়াতে দিল না। আমি পুলিশ, র‍্যাব এর যে প্রস্তুতি দেখেছি তা সত্যিই যুদ্ধাবস্থার মত মনে হয়েছে। র‍্যাব অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত, পুলিশ প্রস্তুত লাঠি, জল কামান, গ্যাস বোমা, কাঁদুনে গ্যাস, সাউন্ড বোমা, মরিচ গ্যাস নিয়ে। মিনিটের মধ্যে সবাইকে গরুপেটা করে তারিয়ে দিল।



আরেকটা আন্দোলন পুলিশ বেশ কঠোর ভাবেই দমিয়ে দিয়েছে। মাধ্যমিকের শিক্ষকদের দাবির আন্দোলন। যে দাবির পক্ষে আওয়ামীলীগ নির্বাচনী ইশতেহারে ওয়াদা করেছিল সেই দাবি নিয়ে তারা যখন মাঠে নামলো পুলিশের সে কি পিটুনি। কোন শিক্ষক মনে হয় জীবনে কোন ছাত্রকে মানুষ করতে এই ভাবে পেটায়নি। তার উপর সাউন্ড বোমা, এবং মরিচ গ্যাস তো আছে। এই মরিচ গ্যাস বিভিন্ন দেশে আইন করে নিষিদ্ধ করা হলেও আমাদের দেশে আনা হয়েছে আন্দোলন দমানোর নাম।



বিরোধী দল বর্তমান সময়ে ভাংচুর করছে। এটা খুবই খারাপ কাজ। কিন্তু বিরোধী দলকে এই অবস্থানে আসতে বাধ্য করেছে সরকার। মানব বন্ধনেও দাঁড়াতে দেয়নি সরকার প্রথম দুই বছর। দুই জন মানুষকে একত্রে দেখলেই পেটানো শুরু করেছে। অনেকটা সন্ধা আইনের মত। আমাদের মনে পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক একটি সংগঠন "ল্যাম্পপোস্ট" একটি প্রতিবাদ সভা করতে গিয়েছিল। তাদের পুলিশ যে ভাবে পেটাল তাতে মনে হল চোর পেটাচ্ছে। ল্যাম্পপোস্টের মত একটি ছোট সংগঠনের আন্দোলনকেও সরকার দাঁড়াতে দিতে ভয় পায়! কি অবস্থা এই দেশের?



এর পর বিরোধী দল চলে এল হার্ড লাইনে যেটি আমাদের কারোরই কাম্য ছিল না। তারা শুরু করলো ধ্বংসাত্মক রাজনীতি। এখানে সরকার যেন কাঙ্খিত সুযোগ পেয়ে গেল। শুরু হল কেস, মামলা, হামলা এবং সবাইকে খোয়ারে পুরা।



বিভিন্ন পত্রিকায় খবরে দেখলাম সরকার ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র কোন আন্দোলনই সহ্য করতে চায়না। তার পুলিশকে কঠোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছে এগুলো দমন করতে। সেটা যতই অন্য পেশার মানুষের আন্দোলন হোক না কেন। এর জন্য পুলিশের বিভিন্ন অস্ত্র আনা হচ্ছে।



আমার প্রশ্ন হল: আন্দোলন দমন করে, দমন নিপীড়ন চালিয়ে কোন দিন কি ক্ষমতায় টিকা গেছে? কখনো সফল হয়েছে এই চেষ্টা? কণ্ঠ রোধের রাজনীতি কি ইতিহাসে বিজয়ী হয়েছে?



তবে কেন এই অসহিষ্ণুতা? কেন এই ধ্বংসের খেলা? এর শেষ কোথায়? এর শেষ কবে?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২০

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: বিরোধীদলের কর্মকান্ডের উপর আনলাকি থারটিনের প্রভাব ২০১৪ সালে গিয়ে পড়বে এবং আনলাকি ১৩ হওয়ার কারণে ২০১৪ সালে বর্তমান সরকার পুণরায় ক্ষমতাশীন হয়ে অল্টারনেটিভ পালাবদলের রেকর্ড ভেঙ্গে দেবে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪০

বালক বন্ধু বলেছেন: সরকার ঠিক সেই রকমই প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু জনগণের হাতে সব কিছুর হিসাব বদলের হাতিয়ার আছে। এখন দেখার বিষয় সেই হাতিয়ার তারা ব্যবহার করবে নাকি নিজেরাই হাতিয়ার হয়ে যাবে।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

গনি নাজমুল বলেছেন: অবস্থা যে রকমই হোক না কেন , ৯৬ বি এন পি যে ভাবে ক্ষমতায় গিয়েছিল অন্য পথে, ১৩ তে এসে বছরের শেষে এই সরকার একই পথ ধরবে বলে মনে হয়। তবে ১৩ র রাহো জনগণ সহ সব রাজনীতিক দলকে চরম ভাবে ভুগাবে বলেই মনে হচ্ছে ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪১

বালক বন্ধু বলেছেন: জনগণ এখন অনেক সচেতন। কিন্তু কার্যকর না। মানে হল সব বুঝে। কিন্তু সেই বুঝ কাজে লাগায় না। তাই হিসাব বদলাবে বলে মনে হয় না।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: মুনাফেক চিনেন ? না চিনলে বলব আমাদের পিএম কে চিনেনে না । তিনি গত বছর মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত করতে বলেন এ আশ্বাস দিয়ে যে তিনি দাবি পূরণ করবেন । কিন্তু তিনি তা করেননি । ওয়াদা ভঙ্গ মুনাফেকের লক্ষণ ।


জেনারেশন সুপারস্টার @ এত যখন বিশ্বাস এ সরকার পুনরায় জিতবে তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাী মেনে নিতে বলেন সরকারকে ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫০

বালক বন্ধু বলেছেন: যারা দেশের মেরুদণ্ড সোজা করবেন তাদের অবস্থা যদি এই হয় যে মাসের পর মাস বেতন পাবেন না তাহলে তাদের পক্ষে দেশের মেরুদণ্ড সোজা করা সম্ভব হবে না। হবে না দেশের সাধারণ অমানুষদের মানুষ করা।

যে যাই বলুক। শেষ দিন পর্যন্ত না দেখলে হিসাব নিকাশ বুঝা যাবে না।

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫১

ইখতামিন বলেছেন: দৃষ্টি আকর্ষণ:
প্লিজ! অনুগ্রহ পূর্বক এই পোস্টটিকে সকলে একবার রিপোর্ট করে আসুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.