নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইল্যান্সার পাগল

হাসান মাহামুদ সাগর

মিছিল যে যাবে না সে থাকুক,চলো এগিয়ে যাই । যে সত্য জেনেছি পুড়ে, রক্ত দিয়ে যে মন্ত্র শিখেছি, আজ সে মন্ত্রে সপক্ষে নেবো দীপ্র হাতিয়ার । শ্লোগানে কাপুক বিশ্ব,চলো আমরা এগিয়ে যাই ।

হাসান মাহামুদ সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭১ এবং ৭ মাঝে কি মিল আর কি অর্থ তা বিশ্ব খুব ভালো করে জানবে একদিন ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:০১

প্রথমে বলে নেই ৭১ আমাদের স্বাধীনতার সাল আর ৭ আমাদের নায়কের/বিরত্বের প্রতীক ।৭১ মনে হলে আমাদের শরীরের লোম খাড়া হয়ে যায় ।৭ আমদের মাঝে সর্বদাই প্ররনা ।আজ যা ঘটে গেল তা কিন্তু ছোট কিছুনা ।৭১ সালে স্বাধীনতা পায় ৭ বীরশ্রেষ্ঠর দুধোর্ষ আত্ত্বত্যাগের বিনিময়ে ।কি চমৎকার কম্বিনেশন জয়টার মাঝেও।৭ উইকেট হাতে ৭১ বল বাকি ।আজতাও খুব ইজি খেলা দেখলাম ।জয় নিচ্শিত জেনেই বসসিলাম । বাংলাদেশ টিম যে ফর্মে আছে তাকে বাঘ না বললে চরম বোকামি।আমরা জিতব ,ওরা ১১ জন পারবে ,ওরা ১৬ কোটি লোকের আবেগ বুঝে খেলে ।তাই আমিও নিচ্শিত ছিলাম ।জয় শেষে চোখে জল চলে আসলো ,শরীরের লোম দাড়িয়ে গেল ।এইটা ছিল আমার আবেগ আমার অকৃতিম ভালবাসা ।৩২ বছর পরে ওদের আবার মনে করে দিতে পারলাম আমরা বাঘের জাতি ।আমরা কিছু ভূলিনা সহজে ।এখন গর্ব করে বলতে মন চায় আমি বাংলাদেশের সমর্থক ।এইতো কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের যারা সাক্ষী তাদের কাছে এখনো বাংলাওয়াশ সিরিজ এইসব অবিশ্বাস্য ব্যাপার। দুইবার চোখ মুছে টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে নিশ্চিত হতে হতো বাংলাদেশ টু নিল উইথ পাকিস্তান

আসলে অভ্যাসের দোষ। টস শেষ হইতে হইতে দুই তিন উইকেট পইড়া যাইত। মিস্টার ফিফটি হাবিবুল বাশার আরেকটা ফিফটি উপহার দিয়ে সেই শর্ট বলে পুল করতে যেয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যেত। টেনেটুনে ১৮০ এর ঘরে যেত। রোজ রোজ একবার করে বাংলাদেশের খেলা আর দেখবই না শপথ করা হত।

এখনো তাই দল দুইশ রান করলে বুকে ফু টু দেই। এখনো ব্যাটিং শুরু হলে আমাদের হাটূ তামিমের চাইতে বেশি কাপে। আসলে অনেক হার দেখে আসছি তো, এইসব সিরিজ জয় আসলে তাই আনন্দ টা প্রকাশ করতে পারিনা। বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। চিন্তা করি এটা আসলে কি হল।

কিন্তু আজকের লিডারশিপ এই জেনারেশনের হাতে

এরা জন্মে টাইগারদের জিততে দেখেছে। সাব্বির সৌম্যরা এদেরই প্রতিনিধি। কলার উঠাইয়া যারা নিজের দামটা বুঝাইয়া দেয়। হাসতে হাসতে যে জেনারেশনের তাসকিন ১৪০ এ পিচ পারফেক্ট লাইন লেংথে বল ফেলে।

এদের কাছে বাংলাওয়াশ সো নরমাল। পাকিস্তান! হু কেয়ারস। ইন্ডিয়া মোড়ল, আমরা কি ভাইসা আসছি নাকি।

ডাউন দা উইকেটে আইসা সাব্বির ছয় মারে। আবার পরের বল খেলতে চলে যায়। একটা ছক্কাই তো। এমন কি। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, তো, পেস বোলারদের হেভেন বলা যে দেশ কে সে দেশের ব্যাটসম্যানদেরই বাউন্সারে বুকে কাপন ধরায় আজকের তাসকিনরা।

আগামীর বাংলাদেশ সাব্বির সৌম্য তাসকিন নাসিরদের হাতে। আগামীর বাংলাদেশ আজকের টাইগার ফ্যানদের হাতে।

এরা ঘারত্যাড়া। গুণে গুণে ৭১ টা বল হাতে রেখে পুরোন শত্রুকে মনে না করতে চাওয়া ইতিহাস স্বরণ করিয়ে দেয়।

এই ছেলেমেয়েগুলোর সংবিধানে হার নামক কোন শব্দ নেই। এরা চুরমার করে এগিয়ে যায়। চুইংগাম চাবায় পৃথিবী কাপায়।

তখন মনে পড়ে চৌধুরী জাফর উল্লাহ শরাফত বলেছিল,

শাবাস বাংলাদেশ। শাবাস বাংলাদেশ। তোরা সব জয়ধ্বনি কর। শাবাস বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশই একদিন বিশ্বকাপ জিতবে। আমি বললাম তোমরা লিখে রাখ। আমি হয়ত সেইদিন থাকব না। কিন্তু এই বাংলাদেশ একদিন পৃথিবী কাপাবেই। শাবাস বাংলাদেশ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১১

শহিদুল বলেছেন: চমৎকার বলেছেন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.