নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাবুব আলম

সাহাবুব আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুজুকে বাঙ্গালী

১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:২৮

মুশকিল হলো- কিছু কথার বিপদ আছে।
এই এখন আমি যা বলব, তা আপনাদের
মোটেই পছন্দ হবে না।
বনানীর রেইনট্রি রেস্টুরেন্টের
ধর্ষণের ঘটনায় দুটি পক্ষ। দুই অসহায় (!)
ধর্ষিতা ভার্সেস ধনীর কয়েকজন
দুলাল। যদি প্রশ্ন করা যায়,
ন্যাক্কারজনক ঐ ঘটনায় কাকে বেশী
দোষারোপ করবেন? ১০০ তে কাকে
কত ভাগ দোষ দিবেন? জরিপ করলে
অধিকাংশই ধনীর দুলাল সাফাত-
সাদমান গংদের ১০০ তে ১০০ ভাগ
দোষী বলবেন। হ্যাঁ, বলাটা
স্বাভাবিক ও উচিৎ।
আমি একটু অস্বাভাবিকভাবে বলি।
আমি ১০০ তে ৯০ ভাগ দোষ দিব
ধর্ষিতা মেয়ে দুজনকে।
থামেন ভাইসব। আমাকে ধুয়ে দিন-
আপত্তি নাই। কয়েকটি প্রশ্ন তো শুনুন!
এক: জন্মদিনের পার্টি হয় রাত ১২.০০
টায়। গভীর রাতের সংজ্ঞা খুব ভাল
করে জানি না। ধরে নিই গভীর
রাতের শুরু হয় ১২.০০ টায়। ১ ঘন্টা মদ
খেয়ে রাত ১.০০ টার গভীরতায়
তরুণীকে হোটেল রুমে পেয়ে
সাফাত, সাদমান, নাঈম আশরাফরা কি
তাহাজ্জুদ নামাযের তাবলীগি
ফাজায়েলে আমল খুলে বয়ান দিবে?
দুই: রাত ১২.০০ টার পার্টিতে দাওয়াত
পেয়ে যাওয়ার আগে মেয়ে দুজন কি
কিছু না বুঝেই গেছে? ব্যাপারটা কি
এমন ছিল- সাফাত, সাদমান, নাঈম
যুবতী দুজনকে রাত ১২.০০ টায় ঈমান ও
আমলের নসীহাহ করার জন্য
ডেকেছিলেন।
তিন: ধর্ষিতা হলো ১ মাস আগে। ইজ্জত
বুঝতে ৩০ দিন লেগে গেল? বলছেন,
ধর্ষকরা আবারো না ডাকলে, ভিডিও
ছাড়ার হুমকী না দিলে মামলা
করতেন না। আহা! কী দারুণ ডিফেন্স!
ধর্ষণ অপরাধ ছিল না। ভিডিও ছাড়ার
হুমকীটাই আসল অপরাধ।
গতকাল গ্রেফতার হওয়া সাফাত ও
সাদমানের পুলিশ মাধ্যমে বয়ান শুনুন।
'জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তারা জানান,সাফাত ও
সাদমান স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই সকল
কিছু স্বীকার করে। তাদের প্রশ্ন করা
হয়,তোমরা পালিয়ে ছিলে কেন?
জবাবে সাফাত জানায়,পুলিশ
তাদের খুঁজছে এমন খবর পেয়ে
পালিয়ে যায় তারা। পুলিশ কেন
খুঁজছে জানতে চাইলে তারা বলে, এই
বিষয়টিই তারা বুঝতে পারছে না।
তারা দুই তরুণীর অভিযোগকে ধর্ষণ
বলে মনেই করছে না।
অপকটে বলেছে, তাদের অনেক
মেয়েবন্ধু রয়েছে এবং তাদের
ভাষায় মাঝেমধ্যেই মেয়েবন্ধুদের
সঙ্গে তারা ‘আনন্দ-ফূর্তি’ করে।'
সোসাইটির এই নরপশুদের কোন
আদালতে বিচার করবেন? সেই প্রশ্ন
আপাতত ঢাকা সিএমএম কোর্টের
কাঁধে রেখে বলি দুই তরুণীকে
মহিলা দরবেশ ভাবার কোন সুযোগ
নাই। ওদের রিমান্ডে নিয়ে রাত
১২.০০ টায় হোটেল গমনের হেতু নিয়ে
জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার আসল
মোটিভ বের হবে। ১ মাস পরের
অসহায়াদের একটু ঝালিয়ে নেয়া
ভাল না?
অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া রাত
১২.০০ টায় বন্ধুর সাথে পার্টিতে
যাওয়া ক্রাইম কিনা- রাষ্ট্রকে
সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আমি সাফাত, সাদমান, নাঈমদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি; একই
সাথে মেয়ে দুজনকেও
জিজ্ঞাসাবাদের দাবী জানাচ্ছি।
ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের জন্য এটা
গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ফেসবুক থেকে কপি পেস্ট। চর্বিত চর্বন। পার্টি করতে গেলেই জোর করে সেক্স এটাই তাহলে আপনার শিক্ষা?

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৭

সাহাবুব আলম বলেছেন: দুই দিক থেকে ভাবুন

২| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:২১

অতৃপ্তনয়ন বলেছেন: এভাবে ধর্ষকের পক্ষে যাইয়েন না ভাই!!!!! আপনি যতো যুক্তিই দেখান, দিলদার সাহেবের পুরো বংশের রক্তে কুত্তার রক্ত মিক্সড আছে। যুগান্তর পত্রিকার হেড লাইন দেখলেই বুঝতে পারবেন

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১৪

সাহাবুব আলম বলেছেন: ভাই আমি চাই এদের সর্বোচ্চ শাস্তি হক

৩| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: ধরে নিই, গভীর রাতের শুরু হয় ১২.০০ টায়। ১ ঘন্টা মদ খেয়ে রাত ১.০০ টার গভীরতায় তরুণীকে হোটেল রুমে পেয়ে সাফাত, সাদমান, নাঈম আশরাফরা কি তাহাজ্জুদ নামাযের তাবলীগি ফাজায়েলে আমল খুলে বয়ান দিবে? খুবই চমৎকার বিশ্লেষণ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই রকম একটা লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১২

সাহাবুব আলম বলেছেন: তবে ভাই এদের অপরাধের শাস্তি এদের কে পাইতে হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.