নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাবুব আলম

সাহাবুব আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আটা ময়দা সুজি আর কত মাখবি আমাদের কথা আমরা পুরুষ

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

আমি ছেলে হয়ে জন্মেছি, তার জন্য
আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া।
মেয়ে হয়ে যদি জন্মাতাম, কি হত
তাতো আমি চিন্তায় করতে পারি
না, ১৮-১৯ বছর বয়সে জীবনের এক
অধ্যায় শেষ করে, নতুন জীবনে পা
রাখা, তারপর চড়াই উতরাই পার হয়ে,
অপরিজ্ঞাত এক যাত্রায় তাল
মিলিয়ে চলা। আমার এক পরিচিত
বয়সে আমার চাইতে ৪-৫ বছরের ছোট।
উনি প্রেগনান্ট, শেষ সময়ে আছেন মে
বি ২-১ মাসের মধ্য তার বেবি হবে।
সো, কাল উনাকে দেখতে গেলাম,
উনাকে দেখে আমি তব্দা খাইয়া
গেলাম, বয়স কত ২১-২২ বাট উনাকে
দেখতে লাগছে সামওয়ান লাইক
৪৫-৫০ এইজ এর কেউ। মেয়েদের যে
আটা, ময়দা সুজি নিয়ে কটাক্ষ করেন;
একটা সন্তান হয়ত আপনার মত পয়দা
করতে কতটা শারীরিক অত্যাচার সহ্য
করতে হয়;একটু চিন্তা করে দেখুন। যখন
মায়ের সাথে ছিলাম তখন সবকাজ ১০
মিনিটের মধ্যে হয়ে যেত।আজ
বাইরের দেশে এসে, নিজের কাপড়
নিজে ধোয়া, রান্না বান্না, আইরন
etc etc ভাবি কেমনে পসিবল। আসলেই
প্রত্যেক মা বোধয় Wonder Girl.
অনেকেই আছেন মেয়ে দেখলে
রেটিং করে থাকেন, ১-১০
নাম্বারের মধ্যে। এই রেটিং
উঠানামা করে মেয়েদের শারীরিক
আয়তন এর উপর। যার সাইজ যত বেশি
তার তত বেশি নাম্বার। অনেকেই
আছেন আবার হেভি বকধার্মিক,
নিজের নাই ঠিক ফেইসবুক এ
মেয়েদের পর্দা, হিজাব নিয়ে
গলাবাজি। ভাই, রেটিং কর, জাজ কর,
প্রবস নাই, কিন্তু মনে রেখো তোমার
এই রেটিং করা মেয়েটি একদিন মা
হবে,একজনের জীবন মৃত্যু এই মানুষটার
উপর নির্ভর করবে। সো, রেটিং করার
আগে, মেয়েদের টিজ করার আগে, to
a broader extent, শাড়ির আঁচল ধরে টান
মারার আগে, মনে রেখো তুমি এমন
একজনের স্বত্বায় বলিষ্ঠ পদচারনায়
উন্মুখ, যার গর্ভে কিনা তুমি ছিলে
সুরুক্ষিত দশমাস দশদিন.......

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


সুন্দর লিখেছেন, পড়ে সময়টুকু নস্ট হলো

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৫

সাহাবুব আলম বলেছেন: নষ্ট সময় তো ফেরত দিতে পারবোনা। ধন্যবাদ দিয়ে আপনার কিছু ক্ষতি পুষিয়ে দেয়।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৩৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: ভাল লেগেছে। বিষয়বস্তু সুন্দর।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৫৫

প্রোলার্ড বলেছেন: পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ মায়েদের সন্তান ধারণের এই কষ্টকে পরোক্ষভাবে সওয়াব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন ।

সন্তানের মা যেমন সন্তানকে গর্ভে ধারণের সময় ও পরবর্তী সময় তাকে লালন পালন করতে কষ্ট সহ্য করে যায় । পাশাপাশি সন্তানের জন্য ও সন্তানের মায়ের ভালোর জন্য , ভরণ পোষনের জন্য সন্তানের বাবা দিনরাত পরিশ্রম করে টাকা পয়সা রোজগার করে । এটাও কিন্তু কম কষ্টের না । মায়ের কষ্ট গর্ভ ধারনের ৯ মাস ১০ দিন । এর পর থেকে তার কষ্ট কমতে থাকে । কিন্তু সন্তান ও তার মায়ের ভরণ পোষণের কষ্ট তো প্রায় সারা জীবনের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.