নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাবুব আলম

সাহাবুব আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম ব্যবসা আমাদের বিশ্বাস

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

ভারতের হিন্দুদের 'বাবা কালচার' বহু
পুরোনো। গুরু শিষ্য কালচার থেকে
আসা। মানুষের ধর্ম বিশ্বাসকে পুঁজি
করে বাবারা ব্যবসা করে। কিছু
মাতাও গজিয়েছে। হিন্দুদের ধর্ম
বিশ্বাস প্রচন্ড। এমন একটা পুরোনো
ধর্ম ! অজস্র রূপকথা। লক্ষ কোটি দেব
দেবী। কাউকে মানলেও হয়, না
মানলেও হয়। এই অঞ্চলের লোক একে
মানে তো ওই অঞ্চলের লোক ওকে
মানে। ধর্ম বিশ্বাস করায় বা ধর্ম
পালন করায় কোনও জবরদস্তি নেই। নতুন
প্রজন্মের হিন্দুদের নাস্তিক হওয়ার
কথা । কিন্তু নাস্তিকের সংখ্যা
এদের মধ্যে খুবই কম। দেবদেবী তো
মানেই, অধিকাংশ হিন্দু কুসংস্কার
মানে। আঙুলগুলোয় কুসংস্কারের
পাথর। জ্যোতিষি ব্যবসা জমজমাট।
বাবারা দেদার ঠকাচ্ছে
সাদাসিধে মানুষকে। কত বাবা যে
ভক্তদের দেওয়া টাকার পাহাড়ে
বসে আছে, আর নিশ্চিন্তে কুকর্ম
করছে। সত্য সাঁই বাবা শুনেছি কচি
কচি ছেলেদের রেপ করতেন,
চারজনকে খুনও করেছে্ন। অদক্ষ হাতে
ছোট ছোট যাদু দেখাতেন। যে কেউ
ইচ্ছে করলেই ধরতে পারে হাতের
কারসাজি। কিন্তু ধর্মে অন্ধ হয়ে
থাকলে আঙুলের ফাঁকে রাখা
ছাইয়ের বড়ি বিভুতিকে কায়দা করে
বের করে নিয়ে বুড়ো আঙ্গুলে ঘসে
যে ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে মানুষের
মাথায়, বিভুতি যে খালি হাতের
ওপর আকাশ থেকে পড়েনি, অথবা অদৃশ্য
ভগবান এসে দিয়ে যাননি-- তা
দেখা যায় না। সাঁই বাবা কাশি
দিলেন, আর গলা দিয়ে সোনার ডিম
বেরিয়ে এলো? সোনার ডিমটা যে
বাবার তোয়ালের আড়ালে ছিল, যে
তোয়ালে বার বার মুখের কাছে
নিয়ে কাশছিলেন, তা অন্ধ না হলে
ধরা যেত। পুরস্কারের বাক্সের তলায়
লুকিয়ে রাখা সোনার চেইনগুলো যে
আঙুল বাঁকিয়ে নিয়ে আসছিলেন,
স্বয়ং ভগবান যে তাঁর হাতে
ফেলেননি ওগুলো, তা বিশ্বাসের
অন্ধত্ব না থাকলে সবাই দেখতে
পেতো। খুন ধর্ষণে ফাঁসবেন, আঁচ করে
হাসপাতাল বানিয়ে ফেললেন। পিঠ
বাঁচাতে সমাজসেবা! সমাজসেবা
কার টাকায় করেছিলেন? ওইতো
মানুষের দেওয়া টাকায়। আশারাম
বাপু মেয়েদের ধর্ষণ করতেন। রাম
রহিম তো হারেম খুলে বসেছিলেন।
এঁরা নিজেদের ভগবান ভাবেন। এত
বাবা ধরা পড়ছে্ন, তারপরও বাবার
ওপর বিশ্বাস মানুষের যায় না।
বিশ্বাস এমনই ভয়ঙ্কর।
বিজ্ঞানে বিশ্বাস বাড়লে বাবায়
বিশ্বাস কমবে। বিজ্ঞানে মানুষের
বিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করা
উচিত। টেলিভিশনে কটা চ্যানেল
বিজ্ঞানের, কটা ধর্মের! ধর্মেরই তো
দেখি সব। ধর্মে বিশ্বাস কমলে
বাবা-ব্যবসা বন্ধ হবে। কী বলবো,
ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানী
মন্দিরে ছোটেন ভগবানের কৃপা
পেতে। মানুষকে বিজ্ঞানমনষ্ক করতে
কত হাজার বছর আরও দরকার, জানিনা।
বাঙালি মুসলমানের পূর্ব নারী-পুরুষ
হিন্দু। সম্ভবত হিন্দুর এই ‘বাবা কালচার’
থেকেই এসেছে মুসলমানের ‘পীর
কালচার’ । হিন্দুরা বাবা নিয়ে যে
আদিখ্যেতা করে, মুসলমানরা পীর
নিয়ে অনেকটা তাই করে। পীর
ফার্সি শব্দ। পীর অর্থ বুড়ো লোক।
কোনো কোনো সুফি যাঁরা আধ্যত্মিক
বিষয়ে শিক্ষা দিতেন, তাঁদের পীর
বলা হতো। সুফি পীর মারা গেলে
মাজার বানানো হতো। এখন তো ভন্ড
কিছু সুন্নি লোক মানুষের ধর্ম
বিশ্বাসকে মূলধন করে পীর ব্যবসায়
নেমে পড়ে। বাবাদের ভক্ত যেমন
মিনিস্টার, ক্রিকেটার, কালাকার।
পীরের মুরিদও তেমন। দেশের
প্রেসিডেন্ট অবধি দৌড়োন পীরের
অনুগ্রহ পেতে। বড় বড় রাজনীতিক,
ধনকুবের, আর বিখ্যাত সব মানুষ বাবা
বা পীরের পায়ের ধুলো নিতে ব্যস্ত
থাকেন বলে বাবা বা পীরের দাম
বেড়ে আকাশে ওঠে। বাবা
প্রতারণা করেন, পীরও তাই করেন। এই
প্রতারকদের কবলে গোটা ভারতীয়
উপমহাদেশের হিন্দু মুসলমান।
পীরে, হুজুরে, ভরে গেছে
বাংলাদেশ। বাঙালি মুসলমানদের
নষ্ট হওয়ার পেছনে এরা অনেক বড়
কারণ। এরা জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয়
দিচ্ছে। দেশজুড়ে ওয়াজ করছে আর
নারী বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। ইসলাম
নাকি বলে আল্লাহ ছাড়া আর কারো
সামনে মাথা নোয়াবে না। অথচ
মুসলমানেরা পীর হুজুরের পায়ে
প্রতিদিনই মাথা নোয়াচ্ছে। ভক্তরা
যেমন রাম রহিমকে গ্রেফতার করা
হয়েছে এই খবর পেয়ে হরিয়ানার
শহরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে,
ধর্ম ব্যবসাটা বন্ধ না করলে ভবিষ্যৎ
অন্ধকার।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

মেরিনার বলেছেন: view this link
এখানে যা বলা হয়েছে তা জানলে বা মনে রাখলে, ধর্ম ব্যবসায় বন্ধ হয়ে যেতো!

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: ব্লগ উল্লেখিত ব্যপারে বিভিন্ন পোষ্ট দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, খবরের কাগজে ছাপানো হয়েছে বাবাদের নিয়ে। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ছাড়া এগুলো হ্রাসের সম্ভবনা দেখছি না।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ধর্ম থাকলে ধর্ম ব্যবসাটাও চলবে। ধর্ম নামের এই বিষবৃক্ষ যতদিন থাকবে, ততদিন সারা বিশ্ব-জুড়ে অশান্তি বিরাজ করবে। দেখছেন না, ধর্মে ধর্মে তো যুদ্ধ লেগেই আছে? আর সেইসব যুদ্ধবাজ ধার্মিক মানুষরা আবার বলছে-- 'অহিংসা পরম ধর্ম'!

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১২

পাউডার বলেছেন:
প্রকারান্তরে উপমহাদেশের মুসলিম মোল্লারা হিন্দু পুরোহিতদের সাথে পাল্লা দিয়ে ধর্ম ব্যবসা তো করছেই কোন কোন ক্ষেত্রে তাদেরও ছাড়িয়ে গেছে। তাবিজ বেচা, ইমামতির বেতন, কোরআন খতমের টাকা, ওয়াজ-মাহফিল নামক শীতকালের বাবসা, হরেক রকম দোয়ার বই/সিডি, হজ্বের এজেন্সি, আতর, টুপি, খোরমা-খেজুর কি নাই?

এরা কি জানে না যে আমাদের রসুল ধর্ম পালন-প্রচারের বিনিময়ে এক পয়সাও নেন নি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.