নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাবুব আলম

সাহাবুব আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্ষকই যখন ভক্ষক তখন এর থেকে বেশি আশা করা বোকামি

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

বাংলাদেশের সকল জেলায় বেশিরভাগ পুলিশের মধ্যে আমি একটা সহজাত প্রবৃত্তি লক্ষ করেছি।

সেটা হলো যেকোনো জায়গায় যেকোনো ক্রাইমে পুলিশ ভিকটিমের সাপোর্ট না নিয়ে আগে অপরাধীর সাপোর্ট নেয়, অপরাধীকে বাচানোর চেস্টা করে। অপরাধীকে বাচানোর জন্য পুলিশ কিছু করা বাদ রাখেনা।

১- মামলা না নেওয়া

২- ভুয়া তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া

৩- চার্জশট থেকে আসল আসামীকে বাদ রাখা

৪- ভিকটিমের পরিবারকে হুমকি ধামকি ও নির্যাতন

ইত্যাদি সহ আরো বহু রকম উপায়ে পুলিশ অপরাধিকে বাচানোর চেস্টা করে।

অপরাধীর পক্ষ নেওয়ার এই প্রবৃত্তিটা পুলিশের ভেতর ঠিক কখন থেকে শুরু হয় এবং কেন শুরু হয়??

ফেনীর নুসরাত হত্যায় ওসি মোয়াজ্জেম থেকে শুরু করে এরকম শত শত উদাহরন পাওয়া যাবে পুলিশের আসামির পক্ষ নেওয়ার। এমনকি প্রতারক সাহেদ করিমের বিরুদ্ধেও পুলিশ মামলা নিত না।

কোনো ঘটনা ভাইরাল হয়ে গেলে তখন চাপে পড়ে পুলিশ ভিকটিমকে সাহায্য করতে বাধ্য হয়।

সম্প্রতি কক্সবাজারে মেজর সিনহা হত্যা মামলায়ও পুলিশ অপরাধীকে বাচানোর সর্বোচ্চ চেস্টা করে যাচ্ছে। হত্যার ঘটনাটা যদি ভাইরাল না হত তাহলে এই মামলাও তারা ধামাচাপা দিয়ে মেজর সিনহাকে মাদক ব্যবসায়ী বলে খালাস হয়ে যেত।

তো এইযে অপরাধীর পক্ষ নেওয়ার প্রবৃত্তি এটাতো পুলিশের মূলনীতির সরাসরি বিরোধী। পুলিশ তৈরীই করা হয়েছিল অপরাধ দমনের জন্য, তা না করে পুলিশ নিজেই অপরাধিদের সাহায্য করছে এবং নিজেরাও অপরাধ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পুলিশ বাহীনির একাংশ এখন ইউনিফর্ম পরিহীত সন্ত্রাসী বাহীনিতে পরিনত হয়েছে

আবারো জানতে চাই অপরাধীর পক্ষ নেওয়ার এই প্রবৃত্তিটা পুলিশের ভেতর ঠিক কখন থেকে শুরু হয় এবং কেন শুরু হয়??

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: জোর যার মুল্লুক তার।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



অপরাধীরা বেশী ঘুষ দিতে বাধ্য

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই পুলিশ বাহিনীকে ভেংগে আবার গড়ার দরকার।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৮

সাহাবুব আলম বলেছেন: সহমত, কিন্তু পুরো বিষয়টি আর্থিক এবং রাজনৈতিক ভাবে, অসম্ভব মনে হচ্ছে।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহাবুব আলম,



এ প্রবনতা কল্পনাতীত বাড়তি উপার্জনের পথ খোলা রাখে বলে এই ভাইরাস আঙুল গোনা কয়েকজন বাদে সব পুলিশেরই রক্তে ছড়িয়ে আছে। এই ভাইরাস কোভিড-১৯ এর আর এক প্রজাতি। কোন চিকিৎসা নেই এর।
শুরু হয়েছে মনে হয় সেদিন থেকে, যেদিন থেকে পুলিশে ভর্তি হতে হলে কয়েক লাখ টাকার ঘুষের ছোঁয়া কর্মকর্তাদের নাকে মুখে লেগেছে..............

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৯

সাহাবুব আলম বলেছেন: ধন্যবাদ মূল্যবান মতামতের জন্য ।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার বিচার বিশ্লেষন ভালো লেগেছে। লজিক আছে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৯

সাহাবুব আলম বলেছেন: ধন্যবাদ মতামতের জন্য ।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোন জবাবদিহীতা নাই।হায়রে স্বদেশ,এই জন্য জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছিলাম।আমরাই ব্যর্থ

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪২

সাহাবুব আলম বলেছেন: সময়ের সাথে বিষয়গুলো ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে, সরল পথ থেকে এখন অনেক দূরে।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: এই ভাইরাস কোভিড-১৯ এর আর এক প্রজাতি। কোন চিকিৎসা নেই এর - আসলেই তাই।
চাঁদগাজী বলেছেন: এই পুলিশ বাহিনীকে ভেংগে আবার গড়ার দরকার। - একমত।

গোটা পুলিশ বিভাগকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন করে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা এখন সময়ের দাবী। ব্যতিক্রমী যে ক'জন সৎ সদস্য রয়েছেন, তাদেরকে স্ক্রীনিং এর মাধ্যমে পরবর্তীতে পুনঃনিয়োগ দেয়া যেতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.