![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে আমাদের চারপাশে যা ঘটতেছে তা থেকে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া যায় যে আমরা চোদ্দ শ বছর পূর্বের জাহেলিয়াত যুগের আবির্ভাব ঘটাচ্ছি। একটু বিশ্লেষণ করলে আশা করি অধমের সাথে একমত হবেন।
আসুন জেনে নেই জাহেলিয়াত বলতে আমরা কি বুঝি? জাহেলিয়াত আরবি শব্দ যার অর্থ অজ্ঞতা। জাহেলিয়াত বলতে সাধারণত যা বুঝায় তা হচ্ছে ইসলাম আগমনের পূর্বের যুগ। তবে প্রশ্ন হচ্ছে চোদ্দ শ বছর পূর্বের সেই যুগ কে কেন জাহেলিয়াতের যুগ বলা হতো? সে যুগের মানুষ কে কেন জাহিল বলা হতো? আসলেই কি তারা শিক্ষা দীক্ষা, জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে এতোই পিছপা ছিল? ইতিহাসের পাতা যদি উল্টিয়ে দেখা যায় তবে সকলকে এক বাক্যে সিকার করতে হবে যে সেই যুগেও শিক্ষা দীক্ষা চর্চা ছিল। তাদের ভাষা ও কবিতা গুলুতে এত উচ্ছাঙ্গতা, ভাবের গাম্ভীর্যতা ও অপরুপ প্রকাশ ভঙ্গি ছিল, যা পরবর্তী যুগের কবি সাহিত্যিকদের হিমশিম খেতে হয়। এমন কি তাদের লক্ষকরে কুরঅানের চ্যালেঞ্জ এটাই প্রমান করে যে তারা মূর্খ ছিল না।
কুরঅান ও অন্যান্য তথ্য অনুযায়ী জাহেলিয়াত যুগের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে- ১) আকীদাগত দিক দিয়ে প্রকৃত মাবুদের পরিচয়ে তারা ছিল অজ্ঞ। ২) আইনগত দিক দিয়ে তারা আল্লাহর হুকুম সম্পর্ক অজ্ঞ ছিল। ৩) চরিত্রগত দিক দিয়ে তাদের অন্তরে ছিল জেদ ও গর্ব। ৪) পরিবেশগত দিক দিয়ে তাদের ছিল নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা।
তোমরা জাহেলিয়াত যুগের অনুরুপ নিজেদের প্রদর্শন করবে না। সুরা আজহাব, আয়াত ৩৩।
এতে আরো ইঙ্গিত রয়েছে যে এরপর ও আবার অপর কোন অজ্ঞতার পাদুর্ভাব ঘটতে পারে। সে সময় আবার সে যুগের ন্যায় উক্ত অজ্ঞতার বিস্তর ঘটবে। সে যুগকেও জাহেলিয়াত যুগ বলা হবে।
বর্তমান পশ্চিমা বিশ্বএর সর্বত্র সে অজ্ঞতার জয়জয়কার। সে জাহেলী সমাজ প্রকৃত মাবুদের সঠিক পরিচয় জানা না থাকার কারনে তারা মূর্তি, গাছ ও আগুনের পূজা করত। তেমনি বর্তমান চাকচিক্যময় চোখ ধাঁধানো পৃথিবীতে প্রকৃত মাবুদের পরিচয় ভুলে গিয়ে কেউ করছে মাজার পূজা, নেতার পূজা, ভন্ড পিরের পূজা, নফছের পূজা আবার কেউ করছে শয়তানের পূজা। জাহেলী সমাজ ভ্রান্তির মধ্যে নিমজ্জিত ছিল। তারা জেদের বশীভুত হয়ে এক গোত্র অন্য গোত্রের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হতো। বর্তমান নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ত জাহির করার জন্য অথবা জেদের বশীভুত হয়ে, এক দল অন্য দলের সাথে, এক দেশ অন্য দেশের সাথে যুদ্ধ করছে। তাদের সমাজে মারামারি যুদ্ধ বিগ্রহ হতো লাঠি সোটা, তলোয়ার, বল্লম দ্বারা আর এখন হচ্ছে রাইফেল, বন্দুক, মেশিনগানও পারমানবিক বোমা দ্বারা। তখন নারী হাইজ্যাক হতো ঘোড়ার লাগাম টেনে। এখন হছে গাড়িতে করে ও হুন্ডা হঁাকিয়ে। তখন নারী নির্যাতন হতো জ্যান্ত সমাহিত করে এখন নারী স্বাধিনতার নামে নারী জাতিকে চরমভাবে অপমানিত করা হচ্ছে, রাজপথে টেনে এনে, পালাক্রমে ধর্ষণ করে, এসিড নিক্ষেপ করে, বিদেশে পাচার করে, লাইসেন্স দিয়ে পতিতালয়ে নিক্ষেপ করে। তখন আঙুর ও খেজুরের তৈরি অপরিশোধিত মদ খেত এখন অভিজাত হোটেল, রেস্তোরা ও ক্লাবে উন্নতমানের মদ চলছে।
উপরোক্ত কথার প্রমান হিসেবে এর চাইতে বেশি যুক্তির দরকার আছে বলে আমি মনে করি না।
আল্লাহ আমার এবং আমাদের এই আজাব ও গজব থেকে রক্ষা করুক।
©somewhere in net ltd.