![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২৫/১০/২০১৬ প্রথম আলো নারীমঞ্চ পাতায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যার শিরোনাম, পুরুষ তুমি মানুষ হও। শিরোনামটির যথার্ত যুক্তিকতা আছে এই জন্য যে, নারীর প্রতি যৌন হয়রানি, নির্যাতন, নিপীড়ন দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এটাকে আমরা কোন সমস্যার অন্তর্ভুক্ত করবো? রাষ্ট্রীয়, সামাজিক নাকি মানবিক?
ধরি, এটা একটা মানবিক সমস্যা তাহলে আমাদের মধ্যে মানবতা বোধ থাকতে হবে, মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, মানবিক মুল্যবোধ কি তা জানতে হবে। এইগুলা জানা, শিখা এবং প্রয়োগ করা নির্ভর করবে কিসের উপর?
মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব, সেক্ষেত্রে সমাজ কি এর দায়ভার এড়াতে পারে? শুধুমাত্র সমালোচনার মাধ্যমেই কোন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব কি?
এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি।লিঙ্গ চার প্রকার। পুংলিঙ্গ, স্ত্রী লিঙ্গ, উভয় লিঙ্গ, ক্লিভ লিঙ্গ। আমরা কথা বলার সময় নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে প্রায় সময়ই আমি শব্দটা ব্যবহার করে থাকি। আমি কোন লিঙ্গ? একি সাথে তুমি শব্দটাও ব্যবহার করে থাকি। তুমি কোন লিঙ্গ? উভয়টাই উভয় লিঙ্গ। তারমানে, আমি তুমি দ্বারা আমরা নির্দিষ্ট করে নারী কিংবা পুরুষ বুজাই না। আমরা ব্যাক্তি নির্দেশ করি।সে নারীও হতে পারে আবার পুরুষও হতে পারে।
মানুষ কোন লিঙ্গ? আমার যদি ভুল না হয় তাহলে মানুষ শব্দটা পুরুষ বাচক শব্দ। তাহলে স্ত্রী বাচক শব্দ হল মনুষী। এখন প্রশ্ন হল, এই লিংগত পার্থক্যের কারনেই কি নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হয়? অর্থাৎ পুরুষ পুরুষকে যেই দৃষ্টিতে দেখে নারীদের কি ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখে? যদি তাই হয় তাহলে অস্বীকার করতে হবে আমাকে এই বলে যে, আমি মানুষ কিংবা মনুষী নই। কারন প্রতিটা মানুষ ও মনুষী কোন না কোন মানুষ এবং মনুষীর সমন্বয়ে্র অস্তিত্ব।
লিঙ্গগত পার্থক্যই যদি একমাত্র কারন না হয় তাহলে অন্যকারন গুলি কি সেটা ক্ষতিয়ে দেখার সময় এসেছে।
অতএব আমাদের লিঙ্গগত পার্থক্য থাকতে পারে বিবেকবোধ এর পার্থক্য থাকতে পারে না।একি সমাজে বসবাস করে অধিকারের প্রশ্ন আসতে পারে না। অধিকারের প্রশ্ন তুলে নারী যেমন তাকে ছোট ভাবতেছে, তেমনি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হচ্ছে যে, তুমি শাসক, তুমি মানবাধিকার লঙ্গনকারি। এটা যেমনি নারী পুরুষ কারো জন্যই সুখকর নয়, তেমনি নারী পুরুষের সমন্বয়ে গঠিত মানব সমাজের জন্যও নয়, নয় মানবতার জন্যও।
©somewhere in net ltd.