![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফুল, সৌন্দর্য আর সৌরভ বিলিয়ে দেয় প্রকৃতিতে তার আপন মহিমায়। সেই সৌন্দর্য আর সৌরভের প্রেমে পড়ে মানুষের শখও বদলে যায় প্রতিনিয়ত। ইঞ্জিনিয়ার আফতাব উদ্দীন খান তার শখের তালিকায় ফুল চাষকেই প্রাধান্য দিয়ে মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে স্পেক্ট্রা ফ্লাওয়ার প্রকল্প নামে ২০১৩ সালের জুন মাসে শুরম্ন করেন দেশি-বিদেশী বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ। তারমধ্যে রজনীগন্ধা, গোলাপ, নয়নতারা, জারবেরা ইত্যাদি উলেস্নখ্যযোগ্য। দেশী ফুলের পাশাপাশি বিদেশী ফুলের চাষ করতে ইঞ্জিনিয়ার আফতাব উদ্দীন খান নিয়োগ করেন ফুল চাষ বিশেষজ্ঞ মোঃ আমিরম্নজ্জামান চৌধুরী দোলন সাহেবকে। দোলন সাহেব এই জারবেরা ফুল চাষ করে সার্বৰনিক তদারকি করতে থাকেন সেখানে। বিশেষ পদ্ধতিতে বৃষ্টির পানিরোধক সেড নির্মাণ করে চারিপাশে মজবুত বেড়া দিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে করে গরম্ন-ছাগল ফুল বাগানের কোন ৰতি না করতে পারে। বিভিন ধরনের ফুল চাষ করলেও জারবেরা ফুলকেই বেশী প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এই গার্ডেনে। আবার বিভিন্ন রংয়ের এই জারবেরা ফুলের মোট ১০টি ভিন্ন জাত আছে স্পেক্ট্রা ফ্লাওয়ার গার্ডেনে। তারমধ্যে জয়রাইট, অ্যামলেট, ফিরজা, ডুনি, ইনটনিস, রোজালন, আর্টিষ্ট, রিয়েল, ব্যালান্স, গুলিত ইত্যাদি ফুলগুলো দেখলে নয়ন জুড়িয়ে যায়। জারবেরা ফুলের বাগান আর দেশি ফুলের প্রেমে পড়ে মানিকগঞ্জের অনেকেই ছুটে আসেন নয়নের তৃষ্ণা মেটাতে। (মোঃ আক্তারম্নজ্জামান খান মাসুম, প্রকল্প পরিচালক, স্পেক্ট্রা ফ্লাওয়ার) জারবেরা ফুল সংগ্রহ করার পর তা আবার র্যাফিং করা হয় বিশেষ পলি দিয়ে। এই পদ্ধতিতে এই জারবেরা ফুল সংরৰন করা যায় ২০ থেকে ২৫ দিন। এই জারবেরা ফুলের চাষ, ফুল সংগ্রহ ও পরিচর্যার জন্য অনেক মানুষের কর্মসংস'ানও হয়েছে এখানে।(মোঃ বিলস্নাল মন্ডল-কর্মচারী, স্পেক্ট্রা ফ্লাওয়ার) বিভিন্ন জাত ও রংয়ের জারবেরা বিশেষ পদ্ধতিতে প্যাকিং করে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন শহরে। তবে জারবেরা ফুল শুধু মানুষের উপকারে আসছে তা নয়, উপকারে আসছে পশুপাখিরও। জারবেরা ফুলের বাগানে বিভিন্ন ধরনের পোকা খেয়ে জীবন ধারণ করে পাখিরা। জারবেরা ফুলের বানিজ্যিক ভাবে চাষ ও পরিচর্যা নিয়ে বিসৱারিত শোনালেন গার্ডেন ইনচার্জ মোঃ আমিরম্নজ্জামান চৌধুরী দোলন। এই জারবেরা ফুল যদি কৃষক পর্যায়ে পৌছে দেওয়া যায় এবং বানিজ্যিক ভাবে চাষ করা যায় তাহলে বিদেশী ফুল আমদানী কমিয়ে রপ্তানী করা সম্ভব হবে বলে সংশিস্নষ্টদের ধারনা
দর্শক, চলুন এবার জেনে নেই জারবেরা ফুল চাষ পদ্ধতিঃ
জমি নির্বাচন ও চাষ পদ্ধতিঃ
বেঁলে দোআঁশ মাটিতে খুব ভাল হয় এই জারবেরা ফুল। ৮০ ভাগ গোবরসার ও ২০ ভাগ অন্যান্য সার ও সেচের মাধ্যমে খুব ভাল ফুল উৎপাদন করা সম্ভব আমাদের দেশে।
চাষ পদ্ধতি
নির্বাচিত জমিতে প্রথমে লাঙ্গল দিয়ে ৩০-৩৫ বার চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা করে নিতে হবে। তারপর গস্নাস ফাইবার বা বিশেষ পলিথিন পেপার দিয়ে সেড নিমাণ করে সেডের মধ্যে প্রস'তকৃত জমিতে ২৪ ইঞ্চি চওড়া বেড করে নিতে হবে এবং একটি বেড থেকে অন্য বেডের দূরত্ব হবে ১২ ইঞ্চি। বেড প্রস'ত করার পর সংগৃহিত টিস্যুকালচার চারা রোপন করতে হবে। একটি বেডে দুই সারিতে চারা লাগাতে হবে। একটি সারি থেকে অন্য সারির দূরত্ব হবে ১৮ ইঞ্চি এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব হবে ১৩ ইঞ্চি।
পরিচর্যা ও ফুল সংগ্রহঃ
চারা গাছ লাগানোর ৭০ দিন পর ফুল আসা শুরম্ন হয়। চারা লাগানোর পর প্রয়োজন মত সেচ ও পরিচর্যা করতে হয়। একবার ফুল আসা শুরম্ন হওয়ার পর প্রতি সপ্তাহে দুই বার ফুল সংগ্রহ করতে হয়। এই ভাবে দুই থেকে আড়াই বছর ফুল সংগ্রহ করা যায়। সংগৃহিত ফুল বিশেষ র্যাপিং পেপার দিয়ে র্যাপিং করে ২০-২৫ দিন সংরৰন করা যায়।
©somewhere in net ltd.