![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শশার চাষ করে অর্থনেতিক ভাবে লাভবান হয়েছেন জয়পুরহাটের বদলগাছি, ধামুরায়, পাঁচবিবি, আক্কেলপুরসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে শশার চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় চাষীরা বছরে দুই বার এই শশার চাষ করেন। ধান বা পাট কাটার পর তিন মাস জমি খালি ফেলে রেখে জমি প্রস'ত করা হয় শশা চাষের জন্য। ভাদ্রমাসের ১৫ তারিখের মধ্যে শশার বীজ লাগানো হয়। বীজ লাগানোর ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে শশা বিক্রির জন্য ৰেত থেকে তোলা যায়। শশা চারা বড় হওয়ার সাথে সাথে জমিতে মাচা করে দিয়ে শশার গাছগুলোকে মাচাতে ঝুলে থাকার ব্যবস'া করে দিতে হয়। হাজারো কৃষকের মত এক একর জমিতে শশার চাষ করেছেন গোপালপুরের কৃষক শহিদুল ইসলাম। তার শশা ৰেতে শশাও ধরেছে আশানুরম্নপভাবে। শশার চাষ ও সফলতার কথা শুনালেন শহিদুল ইসলাম নিজেই।() জয়পুরহাটের এইসব অঞ্চলে ব্যাপক শশার চাষ হওয়ায় প্রতিবছর এই সময় গোপালপুর বাজারে দেখা যায় অন্যরকম দৃশ্য। যতদুর চোখ যায় শুধু শশা আর শশা। এই বাজারে শশা ছাড়া অন্য কিছু বিক্রয় হয়না। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা শশা কিনতে চলে আসেন এই গোপালপুর শশার বাজারে।() বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকেরা জমি থেকে শশা তুলে বিক্রয়ের জন্য গোপালপুর বাজারে নিয়ে আসে এবং ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে শশা ক্রয় করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয়ের জন্য পাঠিয়ে দেয়।() চাষীরা শশা বিক্রয়ের টাকা হাতে পেয়ে খুশি হয়েও খুশি হতে পারেন না নায্য দাম না পেয়ে। () কৃষকদের নানান অভিযোগ থাকলেও শশার যে খুব ভাল ফলন হয়েছে তা বোঝা যায় গোপালপুর শশার বাজারের এই দৃশ্য দেখলে। শশার এই ব্যাপক ফলনে কৃষকদের সাথে খুশি হয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ আবু সোয়েব। জয়পুর হাটের এই শশা আশেপাশের জেলাগুলোর চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরেও নিয়ে যায় শশা ব্যবসায়ীরা।() গোপালপুর শশার বাজারে প্রতিদিন প্রায় ১২,০০০ মন শশা কেনাবেচা হয়। দজয়পুরহাটের মত যদি দেশের বিভিন্ন জেলায় শশার চাষ বাড়ানো যায় তাহলে কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে যেমন লাভবান হবে তেমনি ভাবে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করে অর্জন করা যাবে বৈদেশিক মদ্রা এমনটায় আশা করেন সংশিস্নষ্টরা।
সাঈদ হাসান আকাশ, বাংলা ভিশন /০১৭১৬৬৭৮৪৪৮
©somewhere in net ltd.