নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মর্ম কথা আমি বাংলাদেশী। আওয়ামীলীগ আমার প্রাণের সংগঠন।

সাঈদ হাসান আকাশ

সাঈদ হাসান আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিতি ও টার্কি পাখি পালন পদ্ধতি / এই লিংকে পাবেন সচিত্র প্রতিবেদন https://www.youtube.com/channel/UCdchHmcRTvt06R9lPDJnFeg

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

আমাদের দেশে বিপন্নপ্রায় একটি পাখির নাম তিতির পাখি। যদিও বহুপ্রাচীনকালে বনে জঙ্গলে এই তিতির পাখির অবাধ বিচরণ ছিল কিন' একটি সময় এসে এই তিতির পাখি গৃহপালিত পশুপাখির তালিকায় স'ান করে নেয়। শখের বশে অনেকেই এই তিতির পাখি পালন করতো। সাধারণত তিতির পাখি তিন ধরণের হয়- কালা তিতির, বাদা তিতির ও মেটে তিতির। এই গৃহপালিত তিতির পাখি ওজনে ২ কেজি পর্যনৱ হয়ে থাকে। একটি জরিপে দেখা যায় এই তিতির পাখি ছাড়া অবস'ায় অর্থাৎ বনে জঙ্গলে থাকা অবস'ায় এক বছরে ডিম দেয় ৫০-৭০টি। তবে পারিবারিকভাবে বা খামারে এই তিতির পাখি ডিম দেয় ১৫০-১৬০টি। আর এই তিতির পাখি বানিজ্যিক ভাবে পালন করছেন নওগাঁর নাফি পাখি সংগ্রহশালার মালিক মোঃ জিলস্নুর রহমান চৌধুরী। ঘুরে ঘুরে দেখালেন তার তিতির পাখির খামারটি। এই খামারে প্রায় একহাজার তিতির পাখি আছে এবং প্রতিদিনই এই তিতির পাখির খামার থেকে ডিম সংগ্রহ করা হয়। তিতির পাখির পরিচর্যা করার জন্য স'ানীয় কয়েকজন খেটে খাওয়া মানুষও নিয়োগ করেছেন তিনি। যারা এই পাখি সংগ্রহশালার পাখিদের দেখভাল করেন। এই নাফি পাখি সংগ্রহশালায় আরো আছে বিরলপ্রজাতির টার্কি পাখি। মেলিয়াগ্রিডিডেই পরিবারের এক ধরণের বৃহদাকৃতির পাখি এটা। টার্কি পাখির বাচ্চা দেখতে মুরগীর বাচ্চার মত হলেও পরিপূর্ন বয়সে বদলে যায় আকৃতি ও চেহারা। যদিও এই টার্কি পাখি মধ্য আমেরিকা ও উত্তর আমেরিকার বনাঞ্চলে বসবাস করতো কিন' বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সবদেশেই এই টার্কি পাখি গৃহপালিত পশুপাখির মত পালন করা হচ্ছে। পুরম্নষ টার্কি মাথা ন্যাড়া হয় আর উজ্বল লাল রঙ্গের হয়, কখনো কখনো সাদা কিংবা উজ্বল নীলাভ রঙেরও হয়ে থাকে। একটি পুরম্নষ টার্কির ওজন হয় প্রায় ১০ কেজি বা ২২ পাউন্ড। স্ত্রী টার্কি আকারে অনেক ছোট হয় এবং বছরে ৭০-৮০টি ডিম দেয়। এই টার্কি পাখি সবসময় সতর্ক থাকে তাদের ডানা ও পেখম মেলে। যখন ডানা মেলে দেয় তখন দেখতে চমৎকার লাগে আর সে কারণেই উত্তর আমেরিকায় এই টার্কি পাখি খেলাধুলার কাজে ব্যবহার করা হয়। পাখি প্রেমি মানুষটি তিতির ও টার্কি পাখি পালন সম্প্রসারনের জন্য নিজস্ব হ্যাচিং মেশিনে বা ইনকিবিউটরে ডিম রেখে বাচ্চা ফুটান। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তিতির পাখির বাচ্চা ফোটে ২০ দিনে আর টার্কি পাখির ডিম ফোটে ২৮-৩০ দিনে। তিতির ও টার্কি পাখি পালন করে মাসে ৩ লৰাধিক টাকা আয় করেন আলহাজ্ব মোঃ জিলস্নুর রহমান চৌধুরী। () আলহাজ্ব মোঃ জিলস্নুর রহমানে মত যদি দেশের আরো অনেকে বিলুপ্তপ্রায় ও বিরল প্রজাতির তিতির এবং টার্কি পাখি পালন করেন তাহলে দেশের মাংস চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন সংশিস্নষ্টরা।

সাঈদ হাসান আকাশ/০১৭১৬৬৭৮৪৪৮

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.