![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মসলা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের অপরিহার্য অংশ যা খাদ্যকে সু-স্বাদু, সুগন্ধি ও আকর্যণীয় করে তোলে। আমাদের দেশীয় তরিতরকারির সাথে প্রতিদিনই কোন না কোন মসলা দিয়ে থাকি যা খাদ্যকে রম্নচিশীল করার পাশাপাশি খাদ্যে পুষ্টিমানও বৃদ্ধি করে। ওষধি গুন সম্পন্ন প্রায় ১০৯ প্রকার মসলা ব্যবহার করা হয় সারা বিশ্বে, তবে আমাদের দেশে ব্যবহার করা হয় ২৭ প্রকার মসলা। তারমধ্যে মাত্র ১৭ প্রকার মসলা উৎপাদিত হয় আমাদের দেশে। এরমধ্যে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ধনিয়া, কালোজিরা, তেজপাতা ইত্যাদি। অন্যান্য প্রধান মসলাগুলো আমদানি করতে হয় বিভিন্ন দেশ থেকে। বর্তমানে আমাদের দেশে মসলার চাহিদা রয়েছে ২৮.৩৯ লৰ মেট্রিকটন। উৎপাদন করা হয় ১৭.২১ লৰ মেট্রিকটন। প্রতিবছর আমদানী করতে হয় ১১.১৮ লৰ মেট্রিকটন মসলা। তবে বর্তমানে আমাদের দেশের মসলা গবেষণা কেন্দ্রগুলো সব ধরণের মসলা উৎপাদন করার লৰ্যে গবেষণা করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত, বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্র, শিবগঞ্জ, বগড়ার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা বিভিন্ন মসলার চাষ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন প্রকার মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে আদা অন্যতম প্রধান। এই আদার জাত উন্নয়ন ও ব্যাপকভাবে উৎপাদন বাড়ানোর লৰ্যে সার্বৰনিক গবেষণার মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। সার্থকতার হাত ছানিও দেখতে পেয়েছেন তারা।() শুধু আদা নয় এই মসলা গবেষণা কেন্দ্রে রয়েছে বিলুপ্ত প্রায় তেজপাতার গাছ। অতীতে গ্রামাঞ্চলে তেজপাতার গাছ প্রতিবাড়িতে বাড়িতে দেখা গেলেও বর্তমানে তা একেবারেই দেখা যায়না বললে ভূল হবে না। সুগন্ধী এই মসলার চাষ বাড়ানো এবং দেশীয় চাহিদা পূরণের লৰ্যে বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্রে তেজপাতার চাষ ও গবেষণা করা হচ্ছে। এই মসলা গবেষণা কাজে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছেন প্রশিৰন প্রাপ্ত অনেক কৃষক। জমিতে সার দেওয়া, জমি প্রস'ত করা ইত্যাদি কাজগুলো এই কৃষকরা দৰতার সাথে করে থাকে, যার ফলে মসলা ফসলের গবেষনা ও চাষ ভালই হয়। যেমনটি হয়েছে হলুদের চাষ। হলুদের এই গবেষনা মাঠ দেখে বোঝাই যায় যে হলুদের জাত উন্নয়নে সফল কৃষি বিজ্ঞানীরা।() এই মসলা গবেষণা কেন্দ্রে গবেষকরা আরো গবেষনা করে যাচ্ছেন লবঙ্গ বা লং নিয়ে। ব্যবহৃত মসলার মধ্যে লবঙ্গ অন্যতম একটি প্রধান মসলা যা আমদানী করতে হয় বিভিন্ন দেশে থেকে। তবে লবঙ্গের চাষ নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পাশাপাশি সাদা এলাচ, কালো এলাচ ও গোলমরিচ গবেষনা করে সফলতার দ্বারপ্রানেৱ পৌছেছেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। এইসব মসলার মধ্যে দারম্নচিনি অন্যতম প্রধান মসলা। এই দারম্নচিনির চাষ ও গবেষনা সার্থকতা লাভ করেছেন এই মসলা গবেষনা কেন্দ্রে। দারম্নচিনির উৎপাদন বাড়ানো, জাত উন্নয়ন ও দেশীয় মাটিতে কৃষক পর্যায়ে চাষ করার লৰ্যে হাতে কলমে গবেষণা করে যাচ্ছেন তারা।() ইতোমধ্যে মসলা গবেষণা কেন্দ্র বিভিন্ন মসলার জাত উন্নয়নে সফলতা অর্জন করে তা কৃষকদের হাতে পৌছে দিয়েছেন। তাই বলা যায়, বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্র যদি এই সব প্রধান মসলাগুলো দেশের মাটিতে উৎপাদন করতে পারে এবং কৃষকপর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারে তাহলে অচিরেই আমাদের দেশ হবে মসলায় স্বয়ংসম্পন্ন এবং প্রতিবছর প্রধান প্রধান মসলা আমদানী খাতে ব্যয় হওয়া ৬১৫ কোটি টাকা আর বিদেশীদের হাতে তুলে দিতে হবে না এমনটাই ধারণা করছেন সংশিস্নষ্টদের।
০১৭১৬৬৭৮৪৪৮
©somewhere in net ltd.