নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মর্ম কথা আমি বাংলাদেশী। আওয়ামীলীগ আমার প্রাণের সংগঠন।

সাঈদ হাসান আকাশ

সাঈদ হাসান আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিমের চাষ ও রোগ বালাই দমন বিষয়ে কৃষি গবেষণা ইনইস্টিটিউট

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩


বাংলাদেশে শীতকালে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি সাধারনত বেশী উৎপাদন হয়ে থাকে। শিম শীতকালীন সবজির মধ্যে একটি জনপ্রিয় সবজি হিসাবে বেশ পরিচিত। এদেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতে কম-বেশী শিমের চাষ হচ্ছে। তবে মাটির গুনাগুনের উপর ভিত্তি করে অনেক জেলাতে শিমের উৎপাদন বেশী হচ্ছে। সাধারনত বেলে-দোআঁশ মাটিতে শিমের উৎপাদন ভালো হয়। তবে এটেল মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমানে জৈব সার প্রয়োগ করে শিম উৎপাদন করা সম্ভব। আমাদের দেশের কৃষকরা শিমের আশানুরম্নপ উৎপাদন করতে পারলেও তা জৈব পদ্ধতিতে না হওয়ার কারণে শিম ৰেতে দিতে হয় অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক। শিমের চারা বড় হওয়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে রাসায়নিক কীটনাশকের প্রয়োগ মাত্রা। সকাল বিকেল স্প্রে করা হয় বিষাক্ত কীটনাশক। এমনকি শিম বাজারে বা ভোক্তাদের কাছে বিক্রয়ের লৰ্যে সংগ্রহের পূর্ব মুহুর্তে এই বিষ স্প্রে করেন অনেক কৃষক। যা মানব দেহের জন্য অতিমাত্রায় ঝুকিপূর্ণ। তবে বর্তমানে এই ঝুকির হাত থেকে রেহায় পেতে এবং বিষমুক্ত শিম বাজারে বা ভোক্তাদের কাছে পৌছে দিতে গাজিপুরের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকরা প্রচেষ্টা চালিয়ে সফলতা অর্জন করেছেন। গবেষণা মাঠে দেখা গেল বাসৱব চিত্র। দেশীয় জাতের শিম চাষ করা হয়েছে এই মাঠে। শিম চাষের সব শর্ত মেনে চাষ করা হয়েছে শিম। শিমের মাচায় লকলকে শিমের ডগাগুলো বেড়ে চলেছে আপন গতিতে। এই ডগাগুলোকে মাচায় আটকে থাকার ব্যবস'া করতে হবে সময়মত। শিমের ফুল আর শিমের শীষ দেখে মনে হয় এই শিমে যাদুর পরশ বুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিম খেতে প্রচুর পরিমানে মৌমাছি দেখা যায়। এই মৌমাছি শিমের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে এবং শিমের পরাগায়নে সহায়তা করে। উপকারী মৌমাছি ও ফেরোমন ফাঁদ বা জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের ফলে এই শিম ৰেতে পোকা মাকড়ের আক্রমন হয়নি বা তেমন কোন রোগবালাই দেখা দেয়নি। শিম ৰেতের ৰতিকারক পোকা বা রোগ বালাই দমনের নতুন এই পদ্ধতি সম্পর্কে জানবো বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, জয়দেবপুর, গাজীপুর-এর কৃষি বিজ্ঞানী ড. নুরম্নল আলমের কাছ থেকে। ()
কৃষকরা যদি সময় মত সঠিক পদৰেপ নিতে পারে তাহলে শিম চাষে এই সকল ঝুকি থেকে রেহায় পেতে পারেন। তারপরও অনেক সময় শিম চাষীরা বিভিন্ন প্রকার ৰতিকর পোকা মাকড়ের আক্রমন বা রোগবালাইয়ের কবলে পড়ে ৰতিগ্রসৱ হওয়ার ভয়ে এবং শিমের উৎপাদন ভালো হওয়ার জন্য শীম ৰেতে ব্যবহার করেন মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক কীটনাশক। তবে বর্তমানে শিম চাষীদের জন্য সুখবর এই যে তাদের শিমের ৰেতে পোকা মাকড়ের আক্রমন থেকে রৰাপেতে আবিস্কৃত হয়েছে ফেরোমন ফাঁদ। যা পোকা মাকড় দমনে বেশ কার্যকরী। এই ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করলে শিম খেতে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে বিষমুক্ত শিম উৎপাদন করা সম্ভব। উক্ত পদ্ধতিতে যদি শিম চাষ করা যায় তাহলে শীতকালিন শিম চাষ করে কৃষকভাইয়েরা তাদের উৎপাদন খরচ কমিয়ে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করতে পারবে এবং শিম চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারবে বলে কৃষিবিদদের ধারণা।

সাঈদ হাসান আকাশ/০১৭১৬৬৭৮৪৪৮

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.