নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মর্ম কথা আমি বাংলাদেশী। আওয়ামীলীগ আমার প্রাণের সংগঠন।

সাঈদ হাসান আকাশ

সাঈদ হাসান আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হবিগঞ্জে টমেটোর বাম্পার

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬


টমেটোর চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার আন্দিউড়া গ্রামের স্বল্প শিৰিত যুবক কাজী আমির উদ্দিন পলাশ। পাঁচ বিঘা জমি লিজ নিয়ে এ বছর টমেটোর চাষ করার সিদ্ধানৱ গ্রহণের পর, এলাকার কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে এই জমিতে প্রথমবার লাগিয়েছেন টমেটোর চারা। ফলনও হয়েছে আশানুরম্নপ।
চাষ ও পরিচর্যা ঃ
নিধারিত সময় অর্থাৎ ভাদ্র মাসে টমেটোর চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। টমেটোর চারা বড় হতে শুরম্ন করলে গাছের পরিচর্যাও বাড়তে থাকে। সময় মত সেচের ব্যবস'া রাখার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় পানি নিঃষ্কাষনের ব্যবস'াও রেখেছেন এই কৃষক। গাছের গোড়ায় চটা বা কুঞ্চি পুতে দিয়েছেন টমেটোর গাছকে সোজা রাখার জন্য যাতে টমেটোর গাছ মাটিতে হেলে না পড়ে। টমেটো গাছ মাচা বা ধরা দিলে টমেটোর ধরণ ভাল হয়। টমেটোর ফুল আসার শুরম্নতে টমেটোর কুসি বা থোকা চিকন সুতুলি দিয়ে চটা বা কুঞ্চির সাথে বেধে দিয়েছেন। যাতে করে টমেটো বড় হওয়ার সাথে সাথে টমেটোর ভারে গাছ বা টমেটোর থোকা মাটিতে নুয়ে না পড়ে। টমেটো পাকার পূর্বে যখন ফুল আসা শুরম্ন করে তখন অন্যান্য পোকা মাকড়ের আক্রমন ও পাখিদের উৎপাত বাড়তে থাকে। আর তাই পাখি তাড়ানোর জন্য টিন বেধে দেওয়া ও সময় মত টানার ব্যবস'া রাখতে হবে। টিনের শব্দে পাখিরা টমেটোর ৰেত থেকে উড়ে যাবে এবং টমেটোর ফুলের ৰতি করতে পারবে না। টমেটো পাকার সময় পাখিদের আনাগোনা বেশি পরিলৰিত হয়। সে কারণেই দুই একটি পাকা টমেটো চটা বা কঞ্চির মাথায় রেখে দিতে হয় যাতে করে পাখিদের দৃষ্টি আকর্যন করে এবং পাখিরা ঐ টমেটোটি খেতে থাকে। পাকা টমেটো এভাবে দিলে পাখিরা আর গাছের পাকা বা কাচা টমেটো খাবার জন্য ঠোট দিয়ে ছিদ্র করবে না। টমেটোর জমিতে সার্বৰনিক পরিচর্যার জন্য টোং বা বাসা করে থাকার ব্যবস'া রাখা ভাল।

টমেটো সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণঃ
টমেটো লাগানোর পর আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে টমেটো সংগ্রহ করা শুরম্ন হয়। আর এই সময় ৰেতের পাকা ও আধা কাচা পাকা টমেটো সংগ্রহ করে নিতে হয়। টমেটো সময় মত সংগ্রহ করলে নতুন ফুল ও ফল আসার সম্ভাবনা থাকে এবং ফলন ভাল হয়। সংগ্রহীত ফল জমি থেকে পস্নাস্টিকের খাচি বা বসৱায় করে জমির পাশে পরিস্কার একটি স'ানে এনে রাখা হয় এবং সেখানে ওজন করে টমেটো ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন হবিগঞ্জের এই কৃষক।

কাজী আমির উদ্দিন পলাশের এই টমেটোর বাম্পার ফলন হওয়ায় এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস'ানও হয়েছে। ১২জন দিনমুজুর প্রতিদিন এই টমেটোর বাগানের পরিচর্যা ও ফল সংগ্রহ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।() শুধু তাই নয় হবিগঞ্জের স'ানীয় বাজারগুলোতে পলাশের নির্ভেজাল টমেটোর বেশ চাহিদাও রয়েছে এমনটাই বললেন টমেটো ব্যবসায়ীরা।() দেশের বেকার, শিৰিত বা স্বল্প শিৰিত যুকরা যদি পলাশের মত কৃষি কাজে এগিয়ে আসে তাহলে দেশের কৃষিৰেত্রে পরিবর্তন ঘটবে ব্যাপকভাবে। অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবেন কৃষকরা।()

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.