নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিতালী

ড্রাগন ফ্লাই

ড্রাগন ফ্লাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুন্দরবন ও আমাদের প্রত্যাশা

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩৪





পৃথিবীর বুকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নান্দনিক পরিবেশ সমৃদ্ধ অঞ্চল (সাতক্ষীরা, খুলনা, বরগুনা) সুন্দরবন। অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ নিদর্শন সুন্দর সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের দৌড়ে এখনও টিকে আছে। মার্চে এই অবস্থান ছিল ২৬ নম্বরে।



অনলাইনে নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট এবং ফোনে ভোট প্রদানের মাধ্যমেই নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ১১ নভেম্বর ২০১১ পর্যন্ত ভোট দেওয়া যাবে। বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় সুন্দরবনকে স্থান পেতে হলে সচেতনতার পাশাপাশি দেশ-বিদেশ থেকে আরো বেশি সমর্থন ও ইন্টারনেট ভোটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো সরকারি উদ্যোগে কম্পিউটার, ল্যাপটপ সংযোজন করে ব্যাপকভাবে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা হলেও বাংলাদেশে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে এ ধরনের উল্লেখযোগ্য কোন উদ্যোগ না থাকায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরেও স্বদেশপ্রেমীদের প্রচেষ্টা থেমে নেই। এস এম এস পদ্ধতি চালু করায় কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের বেসরকারি পর্যায়ে লোকজন ভোট দেয়ার পরও সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় সুন্দরবন ধীরে ধীরে আশার আলো দেখাচ্ছে। সুন্দরবনের অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ অংশে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত পৃথিবীর বৃহত্তম জোয়ারধৌত এক বনভূমি। কর্কটক্রান্তির দক্ষিণে ভারত ও বাংলাদেশের উপকূল ধরে বিস্তৃত ২১০৩০০ - ২২০৩০০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯০০০০-৮৯০-৫৫০ পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যবর্তী স্থানে এর অবস্থান। বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালার চমৎকার সমারোহ এবং বন্যপ্রাণীর পদচারণে এ বনভূমিকে চিহ্নিত করেছে এক অপরূপ প্রাকৃতিক নিদর্শন হিসেবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও যার ভূমিকার রয়েছে উলে¬খযোগ্য। এখান থেকে সংগৃহীত হয় নানাকাজে ব্যবহার উপযোগী বনবৃক্ষ, আহরিত হয় মধু, মোম ও মাছ। সাতক্ষীরা, খুলনা এবং বাগেরহাট জেলার অংশবিশেষজুড়ে বাংলাদেশের সুন্দরবন বিতৃত। পরস্পর সংযুক্ত রয়েছে প্রায় ৪০০ নদী-নালা, খালসহ, ছড়িয়ে আছে ২০০টি ছোট বড় দ্বীপ। সুন্দরবনের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে মাটি, জলবায়ু, উদ্ভিদ ও প্রাণী। এ অঞ্চলের মাটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরভাগের অন্যান্য মাটির তুলনায় পৃথক ধরনের এবং এ বনভূমিতে জোয়ারাভাটার কারণে জলাবদ্ধতা ও লবণাকক্ততার প্রভাব সুস্পষ্ট। মাটির এ ধরনের অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে এখানকার উদ্ভিদ বৈশিষ্ট্যময়। সুন্দরবনের জলবায়ু কর্কটক্রান্তির দক্ষিণে অবস্থিত এবং বঙ্গোপসাগর এর উত্তর দিকের সীমা বরাবর বিস্তৃত, এ বনকে তাই উষ্ণমণ্ডলীয় আদ্র্য বনভূমি হিসেবে শ্রেণীবিভাগ করা হয়। বনসংলগ্ন ভূখণ্ডের তুলনায় সুন্দরবনের তাপমাত্রা সুষম। এছাড়া সুন্দরবনের গাছপালার অধিখাংশই ম্যানগ্রোভ ধরনের এবং এখানে রয়েছে বৃক্ষ, লতাগুল্ম, ঘাস, পরগাছা এবং আরোহী উদ্ভিদসহ নানা ধরনের উদ্ভিজ্জ। এ বনের প্রধান চরিত্র রয়েল বেঙ্গল টাইগার। অধিকন্তু এ বনভূমিতে আছে প্রায় ৫০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩২০ প্রজাতির আবাসিক ও পরিযায়ী পাখি, ৫০ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর এবং ৪০০ প্রজাতির মাছ। এছাড়াও সুন্দরবনে উলে¬খযোগ্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে রয়েছে চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, রেসাস বানর, বন বিড়াল, লিওপার্ড, সজারু. এবং বন্যশুকর সুন্দরবনে বাস করে। সুন্দরবনের জলাশয়গুলোতে বাস করে প্রায় ৪০০ প্রজাতির মাছ। মাকড়সার প্রাচুর্য রয়েছে। এখান থেকে ২২টি গোত্রের অধীনে প্রায় ৩০০ প্রজাতির মাকড়সা। প্রায় ২০০ বছর পূর্বেও মূল সুন্দরবনের এলাকা ছিল প্রায় ১৬,৭০০ বর্গ কি.মি.। বর্তমানে সংকুচিত হয়ে প্রকৃত আয়তনের এক-তৃতীয়াংশে পৌঁছেছে। ব্রিটিশ ভারত বিভাগের পর বনের দুই-তৃতীয়াংশ পৌঁছেছে। ব্রিটিশ ভারত বিভাগের পর বনের দুই-তৃতীয়াংশ পড়েছে বাংলাদেশে, বাকিটা ভারতে। এই বনভূমির বর্তমান আয়তন হবে প্রায় ৬,১১০ বর্গ কি.মি. এর প্রায় ১,৭০০ বর্গ কি.মি. জলাভূমি। গোটা সুন্দরবন দুটি বন বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। এখানে আছে চারটি প্রসাশনিক রেঞ্জ-বুড়িগোয়ালিনি, খুলনা, চাঁদপাই এবং শরণখোলা; আর ১৬টি ফরেস্ট স্টেশন। ব্যবস্থাপনার সুবিধার জন্য সুন্দরবনকে নয়টি ব¬ক এবং ৫৫টি কোম্পার্টমেন্ট-এ ভাগ করা হয়েছে। ১৮৭৫ সালে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ বনভূমির প্রায় ৩২,৪০০ হেক্টর এলাকাকে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ১৯৯৯ সাল থেকে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আদেশ (সংশোধন), ১৭৭৪-এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৭ সালে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়। যে তিনটি এলাকা এতে অন্তর্ভূক্ত সেগুলো হচ্ছে : সুন্দরবন পশ্চিম (৯,০৬৯ হেক্টর), সুন্দরবন দক্ষিণ (১৭,৮৭৮ হেক্টর) এবং সুন্দরবন পূর্ব (৫,৪৩৯ হেক্টর)। ‘সুন্দরবন’ নামটি সুন্দরী বৃক্ষের আধিক্যের কারণে (সুন্দরী-বন) অথবা সাগরের বন (সমুদ্র-বন) কিংবা এ বনভূমির আদিবাসী চন্দ্রবেদ থেকে উদ্ভূত। সাধারণভাবে গৃহীত ব্যাখ্যাটি হলো এখানকার প্রধান উদ্ভিত সুন্দরী নাম থেকেই এ বনভূমির নামকরণ। ভূতত্ত্ব উৎপত্তির দিক থেকে সুন্দরবনের সাম্প্রতিকালের এবং হিমালয় পর্বতের ভূমিক্ষয়জনিত জমা পলি থেকে এর সৃষ্টি। ভূগঠন প্রক্রিয়াটি সাগরের জোয়ারের কারণে ত্বরানি¦ত হয়েছে। এর নিম্নস্তর প্রধানত কোয়াটারনারি যুগের তলানিতে গঠিত, যার সংমিশ্রণ ঘটেছে বালি, পলি, সামুদ্রিক লবণ এবং কাদামটির সঙ্গে। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আমাদের এ ঐতিহ্যকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে প্রয়োজন আমাদের সচেতন হওয়া। প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও প্রযুক্তির দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকার ফলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে আমরা এগিয়ে যেতে পারছি না। তাই আমাদের আরও সচেতন হতে হবে ইন্টারনেট সম্পর্কে এবং সচেতন করতে হবে সবাইকে। এখন ১ম স্থান দখল করে আছে জিজু আইল্যান্ড (আগষ্ট)। প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের ২৮টি স্থানের মধ্যে বাদ পড়বে ২১টি স্থান। আর বাকি সাতটি স্থান নির্বাচিত হবে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য হিসেবে। এজন্য প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগ। আমাগী ৪ মাস সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করলে বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে নতুন করে চিনতে পারবে। এ জন্য সরকারকে একটি অধ্যাদেশ জারি করে সকল সরকারি কর্মকর্তাদের ভোটদান বাধ্যতামূলক করতে হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বাধ্যতামূলক ভোটদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের ( বিশেষ করে আইটি সংশ্লিষ্ট) নিয়ে কমপক্ষে ১০০টি টিম করে দিয়ে তাদের বিভিন্ন জেলায় প্রেরণ করতে হবে। ভোট নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে যেগে হবে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যেমন দ্বারে দ্বারে যেতে হয় তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকারদের বিশ্বের দরবারে ভাবমুর্তির জন্য জণগণের দ্বারে দ্বরে আরো এক বার যেতে হবে। সপ্তাচার্য নির্বাচনে ব্যার্থ হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। তাই বুকে দেশপ্রেম ধারণ করে এস এম এসের মাধ্যমেও ভোট দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে সুন্দরবনকে।

সুন্দরবনকে ভোট দিন

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৪৭

দি ব্লগার৪৪ বলেছেন: আপনি আগে কই আছিলেন! এতদিন লাগলো এই পোস্ট দিতে?
যারা ভোট দিছে তারা তো হায়হায় করতাছে। নাকি এখনও জানেননা যে পুরাটাই বিজনেস? :D

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০৯

ড্রাগন ফ্লাই বলেছেন: মানে?

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৪৮

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: onek tottho shommriddho akta post.. Onek dhonobad.. Sundorbon k jodi agheye na niye jete pari,tobe sheti hobe chorop berthota amader..


:: valo thakun..amar blog a jabar amontron koilo ::

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:১০

ড্রাগন ফ্লাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু...।!!
অবশ্যই দেখব তোমার ব্লগ..।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৪৫

টিনটিন` বলেছেন: অনেক অনেক তথ্য। অনেক কিছুই জানতাম, তাই বলে এত্ত..............:)

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:০৯

জয় শান্ত বলেছেন: সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশনই একটি ভুয়া বিষয়। এদের কোন স্বীকৃতি নেই আশা করি আপনি এত দিনে বিষয়টি অবগত হয়েছেন।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:১৩

জয় শান্ত বলেছেন: মানে? মানে সবাই জানে জানেন না শুধু আপনি। জেনে নিন আর এখনো ভোট দিতে বললে আমাকে আগে মোবাইলে বাকেয়াসহ ১০০০ খানেক টাকা দেন। কারন আমি প্রতিদিন তিনটা নাম্বার খেকে কমপক্ষে ১৫টি এমএমএস দিতাম।

ধন্যবাদ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৩০

ড্রাগন ফ্লাই বলেছেন: ভূয়া..কি করে বুঝলেন?

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৬:১২

তিথির অনুভূতি বলেছেন: দেশপ্রেম সবার মধ্যে জাগরিত হোক।।।
পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন আমাদের গর্ব বটে।
এরকম আরও তথ্যমূলক পোস্ট চাই।
২য় ভালো লাগা

১৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৫৯

ড্রাগন ফ্লাই বলেছেন: থ্যান্কস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.