![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে আছে সেই পিরাইমারি ইস্কুলের কথা, বার্ষিক পরীক্ষার সময়ের কথা, আগে পিছের কয়েটা ছোকরা ছুকরির করুন চাহনী, পাশ বোধহয় করিবেইনা। নিজের পেপারটা উন্মুক্ত করিয়া দিলাম, কহিলাম তাড়াতাড়ি কর! যাহারা পারিতো কপি করিতে থাকিতো। পেছনের বাম কর্ণারের বেচারী ফেলফেল করিয়া চাহিয়া রহিল, করুন চাহনী, এইবুঝি চোখের পানি পড়িবে, ইহার চোখের পানি পড়িবার আগে আমার মনের চক্ষু কান্দিয়া উঠিল। আলতো করিয়া তাহার পেপারটা টানিয়া নিয়া খস খস করিয়া লিখিতে লাগিলাম। তার পর হাই ইস্কুল, মাস্টার সাহেবদীগের চোখ ফাঁকি দিয়া মনের অজান্তে রীতিমত কতিপয় সহপাঠির পাশ করিয়ে নেওয়ার অবৈধ অঘোসিত দায়িত্ব লইলাম, চারুকারু পরিক্ষায় আঁকিতে পারিতেছেনা, একএক করিয়া আঁকিয়া দিলাম, পেরাক্টিক্যাল আঁকিয়া দিলাম, অবজেক্টটিভ বলিয়া দিলাম। ইন্টারেও এইভাবে পার হইল। অনার্সের কাহিনীও সেইটাই, নিজের আঁতি পাঁতি করিয়া বহু গবেষনার ফসল বছরের শুরু থেকে সজতনে করা হ্যান্ডনোটগুলি কপি করিতে দিয়া দিলাম চাহিবামাত্র। চার ঘন্টা পরীক্ষার দেড় ঘন্টা পর নিজের মূল পেপারখানি লিখা শেষ হইল এক্সটার্নাল পেপার নিয়া মূল পেপারটি (এক্সপেল হওয়ার ভয় নিয়া) দিয়াদিতাম পেচনের টেবিলের গোলগালওয়ালীকে (না দিলে বা না দিতে পারিলে পাচে বড্ড অভিমানের ফোলাগাল দেখিতে হয় আর সেদিন কোন কথাটি পর্যন্ত না বলিয়া দ্রুত হন্টন করিয়া অতিতাড়াতাড়ি হল ত্যাগ করিতো যাহা সহ্যকরিবার শক্তি অনেক মানবের নাই)। মাস্টার্সেও এই পুরোনো গল্পটিকা থাকিল। এইবার আসিল ফাইনাল স্টেইজ। চাকুরীর আবেদন করিলাম। এইখানে আমি নাই শতের ভিতরেও নাই হাজারের ভিতরেও নাই। ইস্কুলে কলেজে দশ পনের বিশ একশতের ভিতর থাকিলে কি হইবেক আসল জায়গায় কট খাইয়া গেলাম। এখন আমার নিজেরে বলিতে ইচ্ছা করে -তোমার দেখি জীবন খানা ষোল আনাই মিছে!
©somewhere in net ltd.