![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২ বছরের মারুপ একদিন আগেও বোমা বানানোর কাজে মা শাহানাকে সহায়তা করেছিল। বোমা বানানোর টিউটোরিয়ালগুলো নেট থেকে ডাউনলোড দিয়ে সে ল্যাপটপে দেখছিল আজ সে ছাঁই হয়ে গেছে। তার নানা ইয়াছিন আলী ওসামা বিন লাদেনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার সুবাধে মামা আশিক প্রায়ই আল কায়দার অস্ত্র সরবরাহ করতো। সিরিয়াতে বাশার আল আসাদ বাহিনীর নিক্ষেপিত রাসায়নিক অস্ত্রগুলো আশিকের কাছ থেকেই নেয়া আর এই অস্ত্রগুলো মিরপুরের এই বিহারী ক্যাম্প থেকেই সরবরাহ করেছিল আশিক। এখনও লেবাননের হিজবুল্লার জন্য ১ লাখ রকেট লাঞ্চারের অর্ডার তার কাছে আছে ।বাবা ইয়াছিন আলীর পাশাপাশি মা বেবী বেগমও তাকে সাহায্য করে। তার বউ শিখা বিদেশীদের সাথে অস্ত্র বিক্রির ড্রিলিংস গুলো করে সাথে রাখে ছোট বোন রোকসানাকে। পাকিস্তানের জন্য তৈরী গ্রেনেডগুলো তৈরীতে শাহানা রাতদিন পরিশ্রম করেছে। মিরপুর থেকে গুলিস্তান কম দূরে না… সেখান থেকে বোমা তৈরীর সরঞ্জাম নিয়ে আসতে তাকে সহায়তা করতো যময দুই ভাই লালু আর ভুলু। তারা নিজেরা বিমান বিদ্ধংশী কামানের গোলা নির্মানের কেীশল রপ্ত করেছে আজ ২০ বছর হলো। মায়ের পেটে থাকা অবস্থাতেই ককটেল বানাতে শিখেছিল। আফসানা অত্যাধুনিক ট্যাংক তৈরীর কাজে হাত দিয়েছে কিছু দিন হলো রাশিয়ার জন্য ৫০০০০ নির্মান করতে হবে ১ মাসের মধ্যে।তাই শবে বরাতের রাতেও তাকে ট্যাংক বানানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে।তারা সবাই পরিশ্রমী, বিশ্বের অত্যাধুনিক সব অস্ত্রগুলো তারা মিরপুরের এই বিহারী বস্তিতে বসে সরবরাহ করে।
এমন মেধাবী এই কারিগরেরা আজ সবাই মৃত, তাদের জন্য নেই কারো সহানুভুতি, তাদের শরীরেতো রক্ত মাংস ছিলো না ছিল পাকিস্তানি নাপাকি বস্তু, ওরা মরলেই কি বাঁচলেই কি? ওরা মানুষ নাকি ওরা তো বিহারী !!
পরিশেষে আমার পক্ষ থেকে নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি আর দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিই বা করার আছে??
১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪
এমএস ইসলাম বলেছেন: বিবেক এখন বস্তাবন্ধী
২| ১৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২
হ্যারিয়ার-৩ বলেছেন:
রোহিঙ্গা ও বিহারিদের সহযেই অল্প টাকায় জঙ্গি সন্ত্রাসি বানানো যায়।
এজন্যই তো ওদের এত দরদ!
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
আরাফআহনাফ বলেছেন: হায় জাতি !!!
হায় বিবেক!!!