![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমার খুনের ন্যায় বিচার আমারা করতে পারিনি যেমনটা পারিনি আমরা তোমার বাঁচার আকুতিকে রক্ষা করতে। তুমিসহ সেদিন ১২ শতাধিকের ও অধিক তাজা প্রান হারিয়েছিলে রানা প্লাজার সেই ধ্বংশস্তুপে।যার অবহেলায় সেদিন হারিয়ে গিয়েছিল হাজার হাজার তাজা প্রান, পঙ্গুত্ব বরন করেছিল আরো কয়েক হাজার তাকে আমরা পারিনি বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে, সেই হিম্মতও আমাদের হয় নাই যে রানার বিপক্ষে জোর গলায় কিছু বলতে।কারণ রানার শিকল অনেক গভীরে গাঁথা যা আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষদের উপড়ে ফেলার ক্ষমতা নাই।সেদিন কি হয়েছিল সারা বিশ্ববাসী ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কারনে দেখতে পেরেছিল এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখার পর কার না চোখে জল এসেছে? আমাদের চোখ যেমন সেদিন কেঁদেছিল তেমনি আমাদের বিবেকও সেদিন কেঁদেছিল কিন্তু কাঁদেনি আমাদের মানবতা কাঁদেনি আমাদের মনুষত্ববোধ। অথবা কাঁদতে গিয়েও কাঁদতে পারেনি কারণ আমাদের মুখ চেপে ধরেছিল কোন অজানা আশংকা ভয়।
আজো অনেকে খোঁজে তার স্বজনের লাশ, সন্তানের ছবি বুকে নিয়ে এখনও রানা প্লাজার আশে পাশে ঘুরে বেড়ায় তাদের বাবা মায়েরা।কেউ পেয়েছিল তাজা লাশ কেউ পেয়েছিল পঁচা গলা লাশ কেউবা পেয়েছিল শরীরের কোন অঙ্গ বিচ্ছিন্ন ক্ষতবিক্ষত লাশ।কিন্তু যারা এখনও পায়নি তারা সান্ত্বনা খুঁজবে কোথায়?
পঙ্গত্বের গ্লানি বয়ে বেড়াচ্ছে এখনও শত শত, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে হাজার হাজার পরিবার, সেই দিনকয়েকের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে এখনও জীবন কাটছে অনেকের। আহতদের আর্তনাদ, স্বজনের আহাজারিও কি ন্যায়বিচারের দাবীকে তুলে ধরতে পারেনি আমাদের কর্তাব্যক্তিদের কাছে?
১২ শতাধিকের অধিক তাজা প্রান গেল যার অপরাধে, যার জন্য এই ভয়ংকর হত্যাকান্ড ঘটলো সেই সোহেল রানাকে বাদ দিয়ে কিভাবে মামলা হলো সেটা আমাদের জানা নেই, হয়তো রানা নিদোর্ষ তবুও তাকে অন্তত বিচারের মুখোমুখি করলে হয়তো আত্মা শান্তি পেত শাহানাদের। আমাদের ক্ষমা করো বোন আমরা পারিনি তোমার ঘাতকের সামনে দাঁড়িয়ে সত্য কথাটুকু বলতে!
©somewhere in net ltd.