নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

না বলা ভালোবাসা

এমএস ইসলাম

বলার মত কিছু নাই

এমএস ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এভাবে কি খুন করতেই থাকবে ছাত্রলীগ?

১৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৪



আমাদের দেশে মানুষের ভক্ষনকারী মাংশাসী প্রানীগুলো কেটে সাইজ করার জন্য আছে একদল কসাই তারা শুধুমাত্র এই কাজই করে আপনি চাইলেই তাদের অন্য কাজে মনোনিবেশ করাতে পারবেনা । কিন্তু ছাত্রলীগ, এরা সব করে এরা যেমন মানুষ কাটতে পারে তেমন পারে চুরি ছিনতাই চাঁদাবাজি টেন্ডার বাজি সহ সকল অপকর্ম করতে কিন্তু এরা পারেনা অন্ধকে রাস্তা পার হতে সাহায্য করার মতো দূর্বল এই ভালো কাজটি পর্যন্ত করতে।এরা শুধু মানুষের হাত পা কাটেনা মানুষের মস্তকও ওরা কেটে ফেলে। এরা নারী ধর্ষনের পর তার লাশ টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্ধী করে ফেলে তারপর কোথাও মাটি চাপা দিয়ে দেয় অথবা নদীতে ভাসিয়ে দেয়।



ছাত্রলীগের কোন্দলের জেরে ইতিপূর্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাথা হারিয়েছিল তাদেরই দলের এক কর্মী, জাহাঙ্গীরনগরে অকালে প্রান হারিয়েছিল মেধোবী ছাত্রনেতা জুবায়ের, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলি মুখে পড়ে প্রান গেল এক স্কুল ছাত্রের, ঠিকাদারীকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে তাদের গুলির মুখে প্রান হারাতে হয়েছে আরেক শিশুকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের নির্মম রাজনীতির বলি হল মেধাবী ছাত্র আবু বকর, বরিশালে তাদের নৃশংশতার আরেক নাম হল ছাত্র ইউনিয়ন নেতা সানি । এভাবে ছাত্রলীগের নৃশংসতার নির্মম বলি রাবির শিবির নেতা নোমানী আর দুই দিন আগে শিবির নেতা রাসেলের পা কর্তন অতপর বুকে গুলি তাদের নির্মমতাকে জানান দেয়। এরকম আরো হাজারো ঘটনার পিছে আছে ছাত্রলীগ যা দৈনিক পত্রিকা গুলোর দিকে চোখ বুলালেই চোখের সামনে ভেসে উঠে।



এতা গেল নামমাত্র কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা, বাংলাদেশের এমন কোন বিশ্ববিদ্যালয় নাই যেখানে ছাত্রলীগের হিংস্র থাবা পড়েনি। কোথাও তারা শিক্ষকককে মারধর করেছে কোথাও ছাত্রীকে উত্যক্ত করেছে, কোথাও তারা করেছে শিক্ষিকার কাপড় নিয়ে টানাটানি।নিজেদের স্বার্থের জন্য তারা ক্লাশরুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ভিসিকে আবার কোথাও ভিসির পক্ষ নিয়ে হামলা করেছে অন্য শিকক্ষদের উপর।কোথায় নেই তারা? হামলা মামলা খুন ধর্ষন সব খানেই তাদের সমানতালে বিচরন।



সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আজ স্থবির হয়ে গেছে, দিনে বাড়ছে সেশন জট। খুনির অভয়ারন্য হয়ে উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, কোথাও বিচার নেই, শান্তি নেই, আছে উপর থেকে দেওয়া শেল্টার, আছে অবৈধ উপায়ে টাকা কামানোর নানরকম পথ।



ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরা দরকার, ওদের খুনোখুনি এখনই বন্ধ করা দরকার নিজেদের বাঁচানোর জন্য দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য।বিরোধীদের দমানোর জন্য, দলের ভিন্নমতানুসারীদের কোনঠাসা করার জন্য যদি এদেরকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় তাহলে এরা খুন এভাবে করতেই থাকবে গত ২৮ বছর যাবত তারা যেভাবে করে এসেছিল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.