নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

না বলা ভালোবাসা

এমএস ইসলাম

বলার মত কিছু নাই

এমএস ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইনের লোক নজরবন্ধী আইনের শাসন বস্তাবন্ধী

১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

ছাত্রলীগের হামলায় পায়ের গোড়ালী হারালো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্র রাসেল, তার বুকে গুলি করা হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে আর সেই রাসেলকেই আসামী হিসাবে পুলিশ পাহারা দিয়ে রাখছে। রাসেলের মা ও চাচাতো ভাই থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং কোর্টে মামলা করতে পরামর্শ দেয়।এখন প্রশ্ন হলো পুলিশ কেন মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানালো? আর মামলা কোথায় করবে বা কার নামে করবে তার পরামর্শ দেওয়ার পুলিশ কে? মামলার পরামর্শ দেওয়ার জন্য নিশ্চয়ই আইনজীবি আছে, এই অনধিকার চর্চার অধিকার পুলিশ কোথায় পেল? তারা কি ছাত্রলীগকে ভয় পায় নাকি উপর থেকে মামলা গ্রহনের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে? থানায় মামলা করার অধিকার বাংলাদেশের সব নাগরিকেরই আছে কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশ কেন মানুষের মেীলিক অধিকারের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ালো? ওচি থানায় নাই এই অযুহাতে মামলা না গ্রহন করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত তা কি পুলিশ ব্যাখ্যা দিতে পারবে? এক মা যদি তার সন্তানের উপর হামলার জন্য থানায় মামলা করতে সকাল থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে মামলা না করেই ফিরে যেতে হয় তাহলে সেখানে ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা সহজেই অনুমেয়।রাসেল শিবির নেতা হতে পারে কিন্তু ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার তার আছে আমাদের সংবিধান তাকে সেই অধিকার দিয়েছে একন আমাদের আইনের পোশাকধারী পুলিশ যদি মানুষের সাংবিধানিক অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করতে থাকে তাহলে বিচারপ্রার্থী মানুষেরা যাবে কোথায়? কারো নামে মামলা করলেই কেউ আসামী হয়ে যায়না কিন্তু কারো নামে মামলা করতে না দিলে কাউকেইতো আসামী বলা যায় না অথচ সেখানে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।আসামি দোষি না নিদোর্ষ সেটা প্রমান করবে আদালত কিন্তু পুলিশ বা থানা মানুষের মামলা করার অধিকার কেড়ে নিলে কাউকে দোষী বা নিদোর্ষী সাব্যস্ত করার আদালতের সুযোগ কথায় যদি বিচার প্রার্থী থানায়ই মামলা করতে চান?

অনেক থানতে পুলিশ মামলা নিলেও উপরের মহলের চাপে, আসামীদের ভয়ে কিংবা টাকার বিনিময়ে বাদীকে ভয় দেখিয়ে মামলা উঠিয়ে ফেলেন এক্ষেত্রে বিচার প্রার্থীর কিইবা করার থাকে?

পুলিশ যাবে কোথায়? চাকুরী হারানোর ভয়ে তাদেরকে সবসময় তটস্থ থাকতে হয়, বিশেষ লোক দিয়ে তাদের নজরদারী করা হয়, সৎ ও যোগ্য পুলিশ অফিসারদের ওএস ডি করে রাখা হয়।চাইলেই পুলিশ পারছেনা ন্যায়ের পক্ষে তাদের দৃষ্টি ফেরাতে অনেক ক্ষেত্রে তাদের হাত পা বাঁধা থাকে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতার বাহুবলে।

পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা আজ শূন্যের কোটায় মানুষের পুলিশের কাছে ন্যায়বিচার আশাও করে না যদিও তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। পুলিশকে মানুষের আস্থায় আনতে হলে, পুলিশের কাছ থেকে ন্যায় বিচার পেতে হলে পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে যা অবশ্যই হবে জবাবদিহিতামূলক। আর পুলিশের দলীয় পরিচয়ের পদধারীদের সরিয়ে সৎ যোগ্য কর্মকর্তাদের যোগ্য জায়গায় পদায়ন করতে হবে, না হলে আমাদের ন্যায় বিচারের জন্য ঘুরে বেড়াতে হবে যুগের পর যুগ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.