নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

না বলা ভালোবাসা

এমএস ইসলাম

বলার মত কিছু নাই

এমএস ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সীমান্তে গুলি, মরে কেবল বাংলাদেশীরাই

২১ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

ফেলানীর রক্তের দাগ তখনো শুকায়নি, বিএসএফ ধরে নিয়ে গেল এক বাংলাদেশীকে পরের দিন মিললো তার গলাকাটা লাশ। এভাবে প্রতিদিনই সীমান্তের কোন না কোন জায়গাতেই বাংলাদেশীদের লাশ হতে হচ্ছে। শুধু সীমান্তে নয়, বাংলাদেশের সীমান্তের অনেক ভিতরে প্রবেশ করে এখন বিএসএফ গুলি চালাচ্ছে বাংলাদেশীদের উপর। আমাদের বিজিবি এখন হত্যাকান্ডের দশর্ক, শুধু মাত্র লাশ গ্রহন আর পতাকা বৈঠকই তাদের কর্মসূচি। নেই কোন প্রতিরোধ, নেই কড়া কোন প্রতিবাদ।অথচ এমনটা হওয়ার কি কথা ছিল? প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক কি এমন হওয়ার কথা? আমাদের বিজিবি কি এমন ছিল? পূর্ববর্তী বিডিয়ার এমন ছিল না কিন্তু বিজিবি বর্তমানে এমনই, দেশের ভিতরের সমস্যা নিয়েই তাদের ব্যস্ততা আর সীমান্তে তাদের বন্ধু বিএসএফই তাদের ভরসা।কোথাও কোন ছিটকে চোর ধরতে হলে এখন বিজিবির দরকার হয়, সীমান্তে খুনিরা যতই আস্ফালন দেখাকনা তাতে বিজিবি মাথা ঘামানোর প্রয়োজনই মনে করে না। বিডিয়ারের নাম শুনলে যে ভারতীয় বিএসএফ প্যান্টে প্রশ্রাব করে দিতো এখন সেই বিএসএফ এর নাম শুনলে আমাদের বিজিবি পায়খানাই করে দেয়।কেন বিডিয়ারকে ধ্বংশ করা হলো? কেন বিডিয়ারের ৫৭ জন চেীকস কর্মকর্তাকে হত্যা করা হলো তার উত্তর স্পষ্ট আজ।

আজ বিজিবি সদস্যের লাশের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয় দিনের পর দিন। মিয়ানমার এত সাহস কোথা থেকে পেল আমাদের সীমান্ত বাহিনীর উপর হামলা করার? লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে আসে ঘৃনা বিবেককে ধিক্কার জানায়। কেন আমাদের সীমান্তরক্ষা বাহিনী এত নখদর্পনহীন হলো ?

আমার দেশের মানুষ মরে কাটাতারে ঝুলে, আমার দেশের ভুমিতে অবৈধ ভাবে কাটাতারের বেড়া দেয় প্রতিবেশী রাষ্ট্র তবু আমাদের বিজিবি এতো নিরব কেন? তারা কেন সীমান্ত হত্যার কড়া প্রতিবাদ না করে সীমান্তে হত্যাকান্ডের পক্ষে সাফাই গায়?

দেমের মানুষের জীবন কি এতই মূল্যহীন ? দেশের সম্পদ কি সস্তা ? দেশের স্বাধীনতা কি এতই অপাঙ্গতেয়? তাই যদি না হয় তবে কেন সীমান্তে হত্যা বন্ধ করার কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না?

কার স্বার্থে সীমান্ত অরক্ষিত রেখে দেশের সীমান্তবাহিনীকে সীমান্ত পাহারায় না রেখে রাজনৈতিক দলের কর্মীদের পাহারায়, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ হিসাবে, ক্রসফায়ারের নাটক সাজাতে, আন্দোলনরত গার্মেন্টস শ্রমিকদের উপর গুলি চালাতে বিজিবিকে ব্যবহার করা হয়?

এই দেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা এনেছে কারো তাবেদার বা দালালী করার জন্য নয়, দেশের মানুষের মুক্তির জন্য, দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতা এনেছিল।

দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে এখনই সীমান্ত হত্যা বন্ধে সরকারকে আরো কঠোর ভুমিকা পালন করতে হবে। আর যদি বিজিবি তার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হয় তাহলে বিজিবি ক্লোজ করে নতুন বাহিনীকে সেখানে সংযোজন করে সীমান্তের খুনিদের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে প্রতিরোধ করা হোক। আমাদের সীমান্ত রক্ষা পেলে আমাদের জাতীয় পতাকা সমুন্নত থাকবে আমাদের উঁচু মাথা উঁচৃই থাকবে, আমাদের গর্বের বাংলাদেশ নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারবো আমরা মুক্তিকামী স্বাধীন চেতা বীরের জাতি।

<>দলীয় পরিচয় নিপাত যাক<>

<>সীমান্ত বাহিনী মুক্তি পাক<>

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

খাটাস বলেছেন: পোষ্টের বেশ কিছু বক্তব্যই যথার্থ।
আর জীবনের মূল্য সবারই আছে, বাঙালি, পাকি, ভাদা, লীগ, দল, শিবির সবার। কাদের প্রয়োজনে সব সেট থেকেই মানুষ মরে, পরিবারের কাছে কেওই নিষ্ঠুর না সাধারণত।
হাজার চোরের মাঝে এক চোর কে ধরলে, চোরের শত্রু চোর রা আপনার পক্ষেই থাকবে।
তবু ও আবেগ প্রয়োজন।

২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

এমএস ইসলাম বলেছেন: ভালেই বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.